রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৭
সিরাজগঞ্জে “বি.এল.স্কুল এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন”এর উদ্দোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তির সোপানে পুষ্পমাল্য অর্পন
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ বিএনপির লিফলেট বিতরণ
২৫ মার্চ পালিত হবে ‘গণহত্যা দিবস’
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ২৫ শে মার্চ দেশে প্রথমবারের মত গণহত্যা দিবস পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৫ মার্চ তারিখে গণহত্যা দিবস প্রথমবারের মতো পালন করতে যাচ্ছে। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে এবার কাঙ্ক্ষিত ব্যাপক কর্মসূচিতে এ দিবস পালন করা সম্ভব না হলেও, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এ ঘটনা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি জানান, ওইদিন ‘রক্তাক্ত ২৫ শে মার্চ : গণহত্যা ইতিবৃত্ত’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ সংলগ্ন স্থানে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এ দিবস উপলক্ষে ২৫ মার্চ আলোচনা সভা ও গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণহত্যা দিবস পালন করতে যাচ্ছি।
দেশের বাইরে দূতাবাসগুলোতে দিবসটি পালনের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দূতাবাসগুলোতে আমরা এ বছর নির্দেশনা দেইনি। কারণ, সেখানে একটা সভা আয়োজন করতে হলে বিভিন্ন লোককে দাওয়াত করতে হয়। দাওয়াত করতে গেলে দূতাবাসের যে একটা নিয়ম আছে, সেই নিয়মটি পালন করতে ন্যূনতম সাতদিন লাগে। সেই সময়টা আমাদের এ বছর হাতে ছিল না দেখে দূতাবাসগুলোতে আমরা বলিনি।
তবে বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে এ দিবসটি পালনের চেষ্টা করা হবে এবং ভবিষ্যতে দূতাবাসগুলোতে অবশ্যই এ দিবস পালন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭
পেপ্যালের অনুমোদন পেল সোনালী ব্যাংক
শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭
শাহজাদপুরে আ'লীগের যৌথ বর্ধিত সভা : শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর
মরহুম জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মরহুম আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালন
বেলকুচিতে “সরকারের সাফল্য অর্জন, উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিত ও সম্পৃক্তকরণ” আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বেলকুচিতে হুরা সাগর নদী নাব্যতা রক্ষার্থে পরিস্কার অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া মিলন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সেঁজুতি ধর, বেলকুচি থানা (ওসি তদন্ত) লাইছুর রহমান, জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিসার লায়লা নারগীস বেগম, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ গাজী সাইদুর রহমান, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ, ভাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী ফজলুল হক ভাষানী প্রমুখ।
শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭
সিরাজগঞ্জে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্ম বার্ষিকী ও শিশু দিবস পালন
কামারখন্দে নানা আয়োজনের মধ্যেদিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে একটি র্যালি দলীয় কার্য্যালয় থেকে শুরু করে উপজেলা বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করে দলীয় কার্য্যালয় শেষ হয়। এবং আনন্দ উল্লাসের মধ্যেদিয়ে কেক কর্তন করা হয়।
এছাড়াও কামারখন্দ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের রুপকার বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমান গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। ৫২ ভাষা আন্দলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দলন, ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুথান, ৭০এর নির্বাচন সহ বাঙ্গালীর মুক্তি ও অধিকার আদায়ের পরিচালিত প্রতিটি গনতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। তাছাড়াও নানা চড়াই উৎরাই পারিদিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। তিনি কেবল বাঙালির নন, বিশে^ নিপীরিত শোষিত মানুষের স্বাধিনতার প্রতিক, মুক্তির দূত।
শহীদ আবুল হোসেন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতউপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইসফাত জাহান (ভারপ্রাপ্ত) এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, গাজী আমিনুল ইসলাম সহ স্থানিয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে ছাত্র-ছত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন স্কুল কলেজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবস টি যথাযথ মর্জাদায় পালন করে।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্ম বার্ষিকী ও শিশু দিবস পালিত
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের আয়োজনে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্ম বার্ষিকী ও শিশু দিবস পালিত
অনুষ্ঠান শুরুতে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম দিন খুসির দিন” উপলক্ষে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক ডঃ মোঃ হাবিব উল্লাহ বাহার, বিশেষ হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ সেলিনা বেগম সপ্না, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, সিরাজগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী সফিকুল ইসলাম সফি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ।
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭
রায়গঞ্জে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড
স্বাধীনতার মাসেই চলে গেলেন সিরাজগঞ্জের বীরমাতা সুর্য্য বানু
মরহুমার ছেলে হাফিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সূর্য্য বানু শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহরের আভিসিনা হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ব্রেনজন চাম্মু গং জানান, মঙ্গলবার বাদ আছর রহমতগঞ্জ কবরস্থান মসজিদ প্রাঙ্গনে সূর্য্য বানুর জানাযা নামাজ শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কার্য্য সম্পন্ন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯১৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বড়বোনসহ সম্ভ্রম হারান সূর্যবানু। সম্ভ্রম হারানোর পর দীর্ঘদিন তিনি লোকলজ্জার ভয়ে অসহায়ত্বের মধ্য একাকী জীবনযাপন করতেন। ১৯৯২ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মাধ্যমে তিনি জনসম্মুখে আসেন। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ২০১৬ সালে তিনি নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
নিয়াজ এন্ড ব্রাদার্সের অয়োজনে ফ্রেস সিমেন্টের সেমিনার অনুষ্ঠিত
এসময় বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম (এল,জি,ই,ডি), নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল আজিম (পি,ডাব্লিউ,ডি), নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন (ই,ই,ডি), নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান (পাওরোসোনহা), ফ্রেস সিমেন্ট ডিলার মঈনুল গাফ্ফার নিয়াজ, সিরাজগঞ্জ ফ্রেস সিমেন্ট অফিসার ইনচার্জ সাজেদুর রহমান সাজু।
সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭
সিরাজগঞ্জের চৌহালীর চরাঞ্চলে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় মেলা
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাঃ এর কনর্সান্ট এন্ড সিমেন্ট টেকনোলোজির প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন
রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭
পূজা উদযাপন পরিষদের জাতীয় পরিষদ সদস্য হীরক গুনের সংবর্ধনা
কারো সঙ্গে যুদ্ধ নয়, হামলা হলে জবাব দিতে প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয় দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। তবে বাঙালি কখনো অন্যায় ও অবিচারকে মেনে নেয়নি। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু আমাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা হলে তার সমুচিত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
রবিবার চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে দু’টি সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবহরে কমিশনিং করেন তিনি। এ সময় তিনি সাবমেরিন দু’টির কমিশনিং ফরমান অধিনায়কদের হাতে তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশের সাবমেরিন যুগে প্রবেশের ঘটনাকে ইতিহাসের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমাদের নৌবাহিনীর সাবমেরিন ছিল না। অত্যাধুনিক এই সাবমেরিন যুদ্ধ জাহাজ যুক্ত হয়ে আমাদের নৌবাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়েছে। আক্ষরিকভাবেই এখন বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে প্রথম ধাপ ছিল নৌবাহিনীর জন্য আকাশসীমা উন্মোচন। বর্তমান সরকারের আমলে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন। শিগগিরই এতে আরো মেরিটাইম এয়ারক্রাফট ও অত্যাধুনিক সমরক্ষমতা সম্পন্ন হেলিকপ্টার সংযোজিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্বল্প সময়ে বিশাল সমুদ্র এলাকায় টহল এবং পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা অর্জন করেছে যা সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশের জলসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লকসমূহে অধিকতর নিরাপত্তাসহ সার্বিকভাবে দেশের ব্লু ইকনমি উন্নয়নে এই সাবমেরিন দু’টি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সাবমেরিনের আধুনিকায়ন, ক্রু-দের প্রশিক্ষণ ও কারিগরী প্রশিক্ষণের জন্য চীন সরকার, নৌবাহিনী ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মত বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হলো দীর্ঘ প্রতিক্ষীত আধুনিক দু’টি সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।
শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭
বার বার চোখ মুছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা
জাতীয় সংসদে সর্ব সম্মতিক্রমে ২৫ মার্চ' কে বাংলাদেশের "জাতীয় গণহত্যা দিবস" ঘোষণার প্রস্তাব পাশ
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায়ই আমাদের বিগত পঁয়তাল্লিশ বছরের আত্মপীড়ন ও ভূলুণ্ঠিত জাতীয় মর্যাদার আংশিক উপশম হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সাজার মাধ্যমে! সে প্রক্রিয়া এখনো চলমান! আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে এরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে নির্দয়, পৈশাচিক ও জঘন্য গণহত্যায় সামিল ছিলো। বাংলার প্রান্তরে নিশ্চয়ই তারা সেদিন বাজি পোড়াতে আসেনি! এসেছিলো পরিকল্পনার গণহত্যা সংঘটনে। সেই ভয়াবহতম গণহত্যার শুরুটা হয়েছিলো ২৫শে মার্চের দিবাগত রাত থেকে; চলেছিলো নয় মাসব্যাপী! শুধু বাঙালি নিধনের মচ্ছবে মেতেছিলো তারা! ২৫শে মার্চকে বিশ্ব গণহত্যা দিবস হিসেবে দাবি করার স্বপক্ষে কয়েক সহস্র দলিল উপস্থাপন করা সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে যাতে এই দিবসটি পালিত হয় সেজন্য আমরা বিভিন্ন দেশের কাছে গণহত্যা সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করেছি।”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংসদে আকস্মিকভাবে আলোচনাক্রমে উত্থাপিত প্রস্তাবে আনন্দে আজ আত্মহারা! হয়তো এটি একটি বিজয়। দেশমাতৃকার প্রতি ভালবাসার অমোঘ এক স্বীকৃতি! আমরা বলবো এ বিজয় কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের সূচনা মাত্র; এর জন্যে আরও যেতে হবে অনেকটা পথ। চোখের জল ও রক্তের বিনিময়ে জাতির জন্যে বয়ে আনা অহংকার, গৌরব ও শৌর্যের বিজয়ে উত্তর প্রজন্মের অতি সামান্য অংশীদারিত্ব। আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হোক আমাদের আত্মার বন্ধন।
বাংলাদেশের কয়েক কোটি মানুষ দেশমাতৃকার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া ত্রিশ লাখ শহীদের বিদেহী আত্মার সাথে কালের নিকষ কালো অন্ধকারেও ন্যায় ও সত্যের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে জেগে আছে আজও! জাতীয় সংসদে সর্ব সম্মতিক্রমে ২৫ মার্চ' কে বাংলাদেশের "জাতীয় গণহত্যা দিবস" ঘোষণার প্রস্তাব পাশ হয়েছে ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু ...
শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭
কনফিডেন্ট ইনষ্টিটিউট ও টেকনোলজির বার্ষিক শিক্ষাসফর অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জে চির সবুজ সংঘের টি-২০ সিএসপিএল উদ্বোবন
বেলকুচিতে ইয়াবা ব্যবসায়ী আরিফ গ্রেফতার
বেলকুচির ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন
নির্বাচনে অন্য কোন ফর্মুলা দিয়ে লাভ নেইঃ সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম
১৯৯৬ সালে খালেদা জিযার প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে ৬ মার্চ সরকারের পেটুয়া বাহিনীর গুলিতে ভূইয়াগাতীতে ছাত্রনেতা জসমত, আনন্দ, রানা ও বুলবুল শহীদ হয়। তাদের স্মরণে রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ এই স্মরণসভার আয়োজন করেন। খালেদা জিযার প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলনে নিহত ছাত্র নেতাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণসভায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথি মঞ্চে আরোহন করার আগে শহীদ চার ছাত্রনেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
স্মরণ সভায় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামীলীগের এই সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। ইতিহাস বলে যারা নির্বাচন বর্জন করে তারা বরাবরই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হযে পড়ে। বিএনপি আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে নাসিম বলেছেন- নির্বাচন পরিচালনা এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাবার কোন সুযোগ নেই। ভারত আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্বাচনে দেশের শান্তি সমৃদ্ধি ও উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারো আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন জোটকেই ভোট দেবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন তিনি। নাসিম বলেছেন- ২০১৯ সালের নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি আবারও নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে মাঠে নেমেছে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে অযৌক্তিক মন্তব্য করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার জন্যও তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন দেশের অব্যাহত উন্নয়ন এবং জনগনের মন জয় করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ আবারও বিজয়ী হবে। কোন ষড়যন্ত্রই এ বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আসুন, খেলা হবে মাঠে। রাষ্ট্রপতি একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও দক্ষ রেফারি হিসেবে ভোট পরিচালনা করবে। এ ভোটের জয় পরাজয় মহাজোট মেনে নেবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে যাবে। আওয়ামীলীগের রাজনীতির অধ্যায় হচ্ছে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। অপরদিকে বি,এন,পির রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও পোড়াও, মানুষ হত্যা লুটপাট রাজনীতি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ নাসিম জঙ্গী দমন, স্বাস্থ্য শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুত সহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের সাফল্য তুলে ধরে বরেছেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হযেছে। এই সেতু নিয়ে বি,এন,পি সহ বিশ্বব্যাংকের অনেকেই মিথ্যাচার করেছেন। কানাডার আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। মিথ্যা কথা বলার জন্য খালেদা জিয়ার শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি দলের প্রতিটি নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সাফল্য পাড়ায় মহল্লায় এবং গ্রামে গ্রামে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার আহবান জানান।
বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন ২০১৪ সালে একজন নেত্রী দেশে আগুন জ্বালিয়ে জঙ্গীবাদকে উস্কানি দিয়ে ভোটকে বানচাল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে একদিন জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছিল। গুলশানে তারা ৩০ জন বিদেশীকে হত্যা করে, শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের হত্যা করে। তারপরও দেশপ্রেম ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পুলিশ জীবনের বিনিময়ে মুসল্লিদের রক্ষা করেছিল। ইসলাম জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেয় না, মুসলমান হয়ে মুসলমান হত্যার মতো জঘন্য কাজ ইসলাম পছন্দ করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গী দমন হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মায়ের স্নেহ আর বোনের ভালবাসা দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করছেন।
এর আগে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলে নির্মানাধীন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। তিনি রায়গঞ্জে পৌছে চান্দাইকোনা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেন এবং মুসুল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।