সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭

সিরাজগঞ্জের চৌহালীর চরাঞ্চলে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় মেলা





যমুনার দুর্গোম চরাঞ্চলে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলা নিয়ে বসবাস করে ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায় এমনি দিক নির্দেশনা মুলক ব্যতিক্রমী মেলা সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যমুনা নদী দ্বারা সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে বিভক্ত ও নদী ভাঙ্গন কবলিত দেশের দুর্গোম চরাঞ্চল চৌহালীতে দুর্যোগ প্রস্তুতি জলবায়ু সহনশীল কৃষিজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য পুষ্টি ও জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষে আদর্শ গ্রাম ব্যবস্থাপনায় খাদ্য, পুষ্টি ও কৃষি এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানী দাতা সংস্থা বিএমজেট ও ওয়েল্টহুঙ্গারহিলফি এর অর্থায়ন মানবমুক্তি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রোমোটিং ক্লাইমেট স্মার্ট ফিলেজ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় সোমবার বেতিল চরে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মেলায় মোট ১৬টি স্টল অংশ গ্রহন করে।

 বাড়ির আঙ্গিনায় উৎপাদিত কৃষিজাত খাদ্য সামগ্রী, শিশুর পুষ্টি খাবার, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলা করে আধুনিক গ্রাম প্রতিষ্ঠার নকশার এসব স্টল গুলো উপস্থিত চরাঞ্চলের শত-শত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের দৃষ্টি কারে। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও এতে অংশ নেয়। পরে এক আলোচনা সভায় মানবমুক্তি সংস্থার পরিচালক হাবীবুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানী দাতা সংস্থা বিএমজেট ও ওয়েল্টহুঙ্গারহিলফি এর দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অংশুমান দাস। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ তায়জুল ইসলাম, পুষ্টিবিদ সিরাজৃুল ইসলাম, জীবিকায়ন ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ রফিকুল আলম ও আবেদ আলী খান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা বলেন, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবেলা এবং জলবায়ু সহনশীল পুষ্টি সমৃদ্ধ কৃষিজ উৎপাদেন লক্ষে চৌহালী উপজেলার সর্বাধিক দুর্যোগ প্রবন ২৫টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার নিয়ে এই প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে কাজ করে আসছে। যা ২০১৮ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত চলবে। আর এ মেলা করার উদ্দেশ্য, দুর্যোগ প্রবন এলাকার মানুষ দুর্যোগ কালীন চাষাবাদ কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে দৈনিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যের প্রয়োজনীয় স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন ফসল উৎপাদন করে নিজেরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে।

মেলায় অংশ নেয়া বেতিল চরের মৃত লেদু মিয়ার স্ত্রী জয়গন নেছা, গহের আলী মোল্লার স্ত্রী কদভানু বেওয়া জানান,  আমরা সাড়া বছর চরে নানা দুর্যোগ পাড়ি দিয়ে বসবাস করছি। দুর্যোগ মোকাবেলা করে বেঁচে থাকার পাশাপাশি ভাগ্য উন্নয়নে হাস-মুরগী, পশু পালন, শাঁক-সবজি চাষ সহ মেলার মাধ্যমে তারা আমাদের যে শিক্ষা দিল তা আমাদের জীবন যাত্রার সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
অতীতের মত আর কষ্ট চলতে হবেনা।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।