শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী পদক্ষেপে জঙ্গী দমন ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ অর্জন

প্রথমবারের মতো সুষ্ঠুভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন,যারা জেলা পরিষদ নির্বাচন অসাংবিধানিক বলেন তাদের দলের নেতাকর্মীরাই ঠাকুররগাঁসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। তারা ভোট দিযে প্রমাণ করেছেন তাদের দল বিএনপি’র নেতাদের বক্তব্য অসাড়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধিনে  নাসিক নির্বাচনও প্র¤œহী নির্বাচণ প্রমাণ হবার পরও পরাজিত দলের প্রতিক্রিয়া জাতির জন্য দুঃখজনক। ২০১৬ সাল ছিল আইনশৃংখলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বছর উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন-বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার কঠোর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপে জঙ্গী দমন ছিল এ বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর অবদানও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এ বছরই দেশের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দমন করা হয়েছে। এছাড়াও এ বছরটি উন্নয়নের দিক থেকেও ছিল ভরপুর। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হয়েছে এ বছরেই। 

নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেন নির্বাচনকে প্রশ্নহীন নির্বাচন উলেখ করে নাসিম বলেন, এ নির্বাচনে পরাজিতদের বিরুপ প্রতিক্রিয়া জাতির জন্য দুঃখজনক। এছাড়াও এ বছরই দেশে প্রথমবারের মত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনও সম্পন্ন করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড.বিমল কুমার দাস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমূখ। 

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

অতীতে যারা রাজনীতির নামে লুটপাট করেছে তাদের জনগনই আস্তাকুরে নিক্ষেপ করেছে - মোহাম্মদ নাসিম

সুখে দুঃখে বাংলার জনগণের সাথে বর্তমান সরকার আছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- আওয়ামীলীগ জনগনের সরকার । প্রাকৃতিক যে কোন দূর্যোগের  সময় বর্তমান সরকার জনগনের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে । অতীতে যারা রাজনীতির নামে লুটপাট করেছে তাদের জনগনই আস্তাকুরে নিক্ষেপ করেছে । নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রমান হয়েছে এদেশের জনগন উন্নয়নের পক্ষে আছে । সন্ত্রাস ঘুষ দুর্নীতি লুটপাটের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে । কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের শীতার্ত মানুষের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায়  কম্বল বিতরনকলে তিনি এসব কথা বলেছেন। এর আগে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মোহাম্মদ নাসিম আলমপুর রাস্তার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন এবং আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী মর্তুজ তালুকদারের কবর জিয়ারত করেন ।  কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণ কালে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য, আব্দুস সামাদ তালুকদার, আব্দুল বারী শেখ,দানিউল হক দানী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান টিএম আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন ।

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিরাজগঞ্জে সদস্য পদে বিজয়ী আওয়ামীলীগ ৬ স্বতন্ত্র ৪

 
সিরাজগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে শেষে হয়েছে জেলা পরিষদের ১০টি ওয়ার্ডের নির্বাচন। নির্বাচনী বেসরকারী ফলাফলে ৬ জন আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও ৪ জন স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা চলে। ভোট গণনা শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার।

বিজয়ীরা হলেন- (১,২ও ৩ নং ওয়ার্ড) ১নং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী নাসরিন আকতার তালুকদার, (১৩, ১৪ ও ১৫নং) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দলীয় প্রার্থী মৌসুমি খান ও ৭, ৮ও ৯নং ওয়ার্ডে হুসনে আরা পারভীন লাভলী বিজয়ী হয়েছেন। কামারখন্দের ৫নং ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হাসান ওরফে আমিনুল ইসলাম, রায়গঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম হাসান সরকার সুমন, চোহালী ১৫নং ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ওরফে গনি মোল্লা, তাড়াশের ৯নং ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন, উল্লাপাড়ার ১১নং ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, শাহজাদপুরের ১৪নং ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী শাহজাহান আলী, নিমগাছী ৮নং ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী ডাঃ গজেন্দ্র নাথ মাহাতো। 


রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার জানান, ভোট গণনা শেষে বেসরকারী এদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় চেয়ারম্যানসহ ১১জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে। 



মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিরাজগঞ্জের পুলিশের উল্লাপাড়া সার্কেলের যাত্রা শুরু



সিরাজগঞ্জের উল্লপাড়া মডেল থানা ও তাড়াশ থানা নিয়ে উল্লাপাড়ায় পুলিশ বিভাগের “উল্লপাড়া সার্কেল” অফিসের যাত্রা শুরু হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লাপাড়া সার্কেল অফিসের অফিসিয়ালি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের ভিতরে সাবেক কোর্ট ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে উল্লপাড়া সার্কেল অফিসের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

এই সার্কেলে একজন সহকারী পুলিশ সুপার, একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক এবং ৬জন সাধারণ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এই সার্কেলের প্রথম নবাগত সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগ দিয়েছেন মোঃ শরাফত ইসলাম। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের বাসিন্দা। ৩১তম বিসিএস মাধ্যমে তিনি পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসাবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি র‌্যাব-৭ কক্সবাজার এবং মানিকগঞ্জ জেলার সিবালয় সার্কেলে দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে উল্লাপাড়া সার্কেলে যোগদানকারী নবাগত সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শরাফত ইসলাম বলেন, উল্লপাড়া একটি বৃহৎ এবং চমৎকার উপজেলা। একটি ক্যাম্পাসের মধ্যে সাজানো পরিপাটি উপজেলাটি মাত্র কয়েক দিনেই তার কাছে ভাল লেগেছে। এই উপজেলাসহ সার্কেল এরিয়ার আইন শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়ন করাই তার লক্ষ।

নতুন এই সার্কেল অফিসের মাধ্যমে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগনের দোরগোড়ায় পুলিশের সর্বোচ্চ সেবা পৌছে দিতে কাজ করতে চান। একই সাথে তিনি পুলিশ ও জনতার মধ্যে সর্ম্পকের সেতুবন্ধন তৈরী করে সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। পুলিশের এই নতুন সার্কেলের কার্যক্রমে তিনি সবার সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। অন্যদিকে পুলিশের উল্লাপাড়া সার্কেলের নতুন অফিসে প্রথম কর্মকর্তা হিসাবে সবার উপরে তার নামটিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জানা যায়, জেলার শাহজাদপুর সার্কেল থেকে উল্লাপাড়া এবং রায়গঞ্জ সার্কেল থেকে তাড়াশ থানাকে পৃথক করে উল্লাপাড়া সার্কেল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের সার্কেল হচ্ছে ৬টি। এগুলো হচ্ছে-উল্লাপাড়া-তাড়াশ থানা পুলিশ সার্কেল, শাহজাদপুর-চৌহালী থানা পুলিশ সার্কেল, বেলকুচি-এনায়েতপুর থানা পুলিশ সার্কেল, কামারখন্দ-বঙ্গবন্ধু সেতু থানা সার্কেল, কাজীপুর-সিরাজগঞ্জ সদর থানা সার্কেল, রায়গঞ্জ-সলঙ্গা থানা সার্কেল।  

সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি নিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ

সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ সিন্ডিকেটের হোতাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থা গ্রহন না করায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন  ওঠেছে। অভিভাবকরা বলছে, সিন্ডিকেটের সাথে ম্যানেজিং কমিটিও জড়িত। যে কারণে প্রায় দশদিনে পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 

জানা যায়, সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের শ্যামপুর আলিম মাদ্রসার অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ ও চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ জোতপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার লুৎফর রহমান শিক্ষক কতিপয় কয়েকজন অসাধু শিক্ষক নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। ইতোমধ্যে এ দুইজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিন্ডিকেটের মুলহোতা আব্দুল লতিফ ও লুৎফর রহমান যোগসাজস করে চৌহালী জোতপাড়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) নিয়োগ পরীক্ষা গোপনে শ্যামপুর মাদ্রাসায় সম্পন্ন করতে স্থানীয়দের কাছে ধরা খান।  খবর পেয়ে এলাকাবাসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁর এই অবৈধ কার্যক্রমের বাঁধা দেয়। জেলায় কর্তব্যরত গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ তাঁদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এসময় ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সহকারি পরিচালক জান্নাতুন নাহার বিষয়টি বুঝতে পেরে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে চলে যান। সিন্ডিকেটের সদস্যরা অবস্থার বেগতি দেখে তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে অভিভাক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিন্ডিকেটের সদস্যরা জেলার যে কোন মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারী মাদ্রাসা সুপারদের মোটা টাকার লোভ দেখায় এবং গোপনে সকল কিছু ম্যানেজ করে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশস্ত করেন। পরে সিন্ডিকেটের সদস্যরা মুল প্রার্থী সিলেকশন এবং ডামি জোগাড় করেন। মুল প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার চুক্তি করা হয়। নিয়োগের আগেই অর্ধেক টাকা নিয়ে যে মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ হবে সেই সুপারের কাছে উৎকোচের অর্থ পর্যন্ত পৌছে দেন। এরপর গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে প্রলোভনসহ নানা ফন্দি করে ম্যানেজ করে ফেলেন। চাকুরী হবার পর নিয়োগকৃত শিক্ষকের কাছ থেকে বাকী টাকা নিয়ে তিনজন ভাগবাটোয়ারা করে নেন। এভাবে এই সিন্ডিকেট ইতোমধ্যে শ্যামপুর, জগতগাতী ও রাজিবপুরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় অন্তত ডজন খানেক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই শ্যামপুর মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাকেরা জানান, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ দীর্ঘদিন ধরে এহেন অপকর্মের সাথে জড়িত। কিন্তু পরিচালনা কমিটি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে না। অভিভাবকগন অবিলম্বে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে শ্যামপুর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশের পর জানতে পেরেছি। এ নিয়ে কমিটির অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। অচিরেই মিটিং আহবান করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

সিরাজগঞ্জে জেএমবি সদস্য ৩ দিনের রিমান্ড ও হাজিরা শেষে জেএমবির ১৭ সদস্য কারাগারে

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় মাহমুদুল হাসান (২২) নামে জেএমবির সদস্য ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে মাহমুদুল হাসানকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে সলঙ্গা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় ((মামলা নং ২০/১৬) মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত। রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক নজরুল ইসলাম ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জর করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জেএমবি সদস্য মাহমুদুল হাসান ঢাকার টঙ্গী মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় (মামলা নং ১৮, ১৮, ২০/ ১৬) কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। আটক মাহমুদুল হাসান সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রশিদপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। 

এদিকে আদালতে হাজিরা শেষে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) ৪ আত্মঘাতী দলের নারী সদস্যসহ ১৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেএমবির ১৭ সদস্যকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টট আদালতে হাজির করে পুলিশ। হাজিরা শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন বিচারক মোঃ নজরুল ইসলাম। এরা হলেন জেএমবির আত্মঘাতী দলের নারী সদস্য শাকিলা, ফুলেরা, রাজিয়া, নাসিমা, সদস্য রায়হান, মতিউর, আতাউল্লাহ, ইসরাফিল, রুহুল আমিন, আলমাস, জয়নাল, আবেদীন, আবু বকর, বোরহান , ইমরান, সানাউল্লাহ, লিয়াকত উল্লাহ, বরকত উল্লাহ।

সিরাজগঞ্জ সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শহীদুল্লাহ জেএমবির সদস্যদের আদালতে হাজির করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলার কাজিপুর, সলঙ্গা, তাড়াশ ও সদর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গত কাল (বুধবার) আদালতে হাজির করা হয়। শুনানী শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন

সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশেই আজ জেলা পরিষদের নির্বাচনী হাওয়া বইছে। আজ ২৮ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে প্রার্থীদের শেষ মহুর্তের ব্যাস্ততা। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অধিকাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনের উত্তাপ কিছুটা কম। নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অংশগ্রহন না করায় সরকার দলীয় প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কয়েকটি এলাকায় সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ভোটকারচুপি ও নানা হুমকী-ধুমকী দেয়ার অভিযোগ করেছেন। স্বতন্ত্রপ্রার্থীরাও একই অভিযোগ করছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু প্রার্থী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছেন নির্বাচন অফিসে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১জন চেয়ারম্যান, ১৫টি সাধারণ ও ৫টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষনা করা হয়। প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করলে যাচাই বাছাই শেষে গত ১২ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় চেয়ারম্যানসহ ২জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ৮জন সাধারণ সদস্যকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। নির্বাচিতরা হলেন, চয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে কাজী সেলিনা পারভীন, ৪নং ওয়ার্ডে রিবলী ইসলাম কবিতা। সাধারন সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে রেফাজ উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ডে ইসহাক উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডে গোলাম রব্বানি, ৪নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম সজল, ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ আব্দুল হামিদ আকন্দ, ১০ নং ওয়ার্ডে হাফিজুর রহমান, ১২নং ওয়ার্ডে ইকবাল হোসেন এবং ১৩নং ওয়ার্ডে নেয়ামল ওয়াকিল খান। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্যরা সকলেই সরকার দলীয় সমর্থিত প্রার্থী। এছাড়া বাকী ৩টি সংরক্ষিতি ওয়ার্ডে ৭জন এবং ৭টি ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদের ১৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানান, ভোট সুষ্ঠু করতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ৭জন সাধারণ সদস্য নির্বাচনের জন্য আজ ভোটাররা তাদের ভোট দেবেন। ১১টি ভোট কেন্দ্রের ২২টি বুথে এ ভোট নেয়া হবে। স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠান উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১১৮৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ২৭৯জন। একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটরা বেশ চাপে রয়েছেন। দলের প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই।

জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকা জানান, ইতোমধ্যেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিনজন ম্যাজিট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে। নির্বিগ্নে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন সেব্যাবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জনান।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিরাজগঞ্জ পুলিশ কর্তৃক দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং কমিউনিটি পুলিশিং সম্মেলন

দুস্থ এবং শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জনাব পুলিশ সুপার জনাব মিরাজ উদ্দিন অাহম্মেদ
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার জনাব মিরাজ উদ্দিন অাহম্মেদের উদ্দোগে দুস্থ এবং শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ৷ ২৫শে ডিসেম্বর রবিবার সিরাজগঞ্জ পুলিশ অফিস চত্বরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার জনাব মিরাজ উদ্দিন অাহম্মেদের উদ্দোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
দুস্থ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহিনুর অালম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ অাবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জ সার্কেল জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন, সদ্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব বিমান কুমার রায়, সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি জনাব মোঃ অহেদুজ্জামান, সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ,সিরাজগঞ্জ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এস অাই জনাব মোঃ নুরুল ইসলামসহ অনেকে ৷
কমিউনিটি পুলিশিং সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন 
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জ সার্কেল জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন
এদিকে সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং সম্মেলনে সদরের ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জ সার্কেল জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন। এসময় সদর থানার উপপরিদর্শক মোঃ আজিম আহমেদ।
কমিউনিটি পুলিশিং সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ কর্তৃক দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ


সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার জনাব মিরাজ উদ্দিন অাহম্মেদের উদ্দোগে দুস্থ এবং শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ৷ ২৫শে ডিসেম্বর রবিবার সিরাজগঞ্জ পুলিশ অফিস চত্বরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন অাহম্মেদের উদ্দোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
 
দুস্থ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে  উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহিনুর অালম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ অাবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জ সার্কেল জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন, সদ্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব বিমান কুমার রায়, সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি জনাব মোঃ অহেদুজ্জামান, সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ,সিরাজগঞ্জ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এস অাই জনাব মোঃ নুরুল ইসলামসহ অনেকে ৷

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

৯৯৯ সেবায় যুক্ত হচ্ছে থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি

৯৯৯ নম্বরে কল করলেই সরকারের নাগরিক সেবা পাওয়া যায়। এ সেবাকে আরও বিস্তৃত করতে এবার দেশের সব থানা ও পুলিশ ফাঁড়িকে যুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানিয়েছেন, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন-৩ (ইনফো-৩) প্রকল্পের আওতায় সরকারের ৯৯৯ কল সেন্টারে যুক্ত হচ্ছে এসব থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি। গত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনলাইনে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম ডিজিটালাইজেশন ও সরকারের ৯৯৯ কলসেন্টারের সেবার কথা মাথায় রেখে এসব থানা ও পুলিশ ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করা হবে।আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে এক হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ইনফো-৩ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানায়, এই প্রকল্পের অন্যতম বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগের আওতায় আনা ও দেশের সব ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) বিপিও সেন্টার (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) প্রতিষ্ঠা করা।  জানা যায়, ইনফো-৩ প্রকল্পে রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, রিয়েল টাইম রেসপন্স, প্রান্তিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধার সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান তৈরি, ডিজিটাল বৈষম্য রোধ ও  শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি। 

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের উদ্দোগে কম্বৰল বিতরণ

ইছামতি গুচ্ছগ্রাম ও বাজার স্টেশনে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ২১ শে ডিসেম্বর বুধবার গভীর রাতে  কম্বৰল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক জনাব কামরুন নাহার সিদ্দিকা। 
এসময় উপস্হিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মুহাম্মদ কামরুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিরাজগঞ্জ, এনডিসি, আরডিসি ও ডিআরআরও

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিরাজগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়-ক্ষতি থেকে উত্তরণে সচেতনতা মূলক পট ও গম্ভীরা প্রর্দশনী

১৯-২১ ডিসেম্বর ২০১৬ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জিআইজেড এর সহযোগিতায়, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার বাস্তবায়নে এবং অদিতি, খুলনা, পরিবেশনায় ”জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি হতে উত্তরণে সচেতনতামূলক পট ও গম্ভীরা” প্রর্দশনী হয়।

উক্ত সচেতনতামূলক পট ও গম্ভীরা প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা বেগম, সালমা বেগম, মমতা বেগম, কাউন্সিলর বেলাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টু, মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। জিআইজেড এর পক্ষে এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন মোঃ আতিয়ার রহমান, আরআইইউডি প্রকল্প, জিআইজেড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে এস এম শাহ আলম, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জ পৌরসভা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি হতে উত্তরণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। 

সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোল ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পুলিশের সেবা জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে শিয়ালকোল ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সম্মেলন অনুষ্টিত । গতকাল বুধবার সকালে শিয়ালকোল উইনয়ন পরিষদের হলরুমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শিয়ালকোল ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সচিব গোলাম আজম তালুকদার বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন । তিনি বলেন, পুলিশ জনগনের পাশে সব সময় বন্ধুর মত কাজ করে । যে কোন অপরাধ দেখলে সাথে সাথে সদর থানাকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান শেখ । আরো বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এস, আই আজিম, এবং এ,এস আই মানিক । অনুষ্ঠানে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন, এস আই আবু জাফর ।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরন বিধি অবহিত করন ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত



গতকাল সকালে কালেক্টরেট ভবনের শহীদ শামসুদ্দিন হলরুমে জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার কামরুন নাহার সিদ্দিকার সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারি প্রার্থিদের সমন্বয়ে নির্বাচনি আচরন বিধি অবহিত করন ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মতবিনিময় সভায় আগামি ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিদের আচরন বিধি সর্ম্পকে অবহিত করা হয়।

নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও শৃংখলা বজায় রাখতে প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুন লাগান বিষয়ে নির্বাচনি বিধি নিষেধ মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্বাচনি প্রচার কার্য্যে অনুমদিত পোষ্টার হ্যান্ডবিল ব্যাবহার করা যাবে। এছাড়াও নির্বাচনি বিধিনিষেধ মেনে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করার আহবান জানান, কোন প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে কোন দলিয় প্রভাব বিস্ত্রা করা যাবেনা বলেও অবহিত করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রহিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহিন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইসমাইল হোসেন সহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য বৃন্দ গন উপস্থিত ছিলেন।     

র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ স্পেশাল ক্যাম্প কর্তৃক ধর্ষক গ্রেফতার

র‌্যাব-১২ এর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাসিবুল আলম, এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং তারিখ আনুমানিক ২৩.২৫ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানাধীন সোনামুখী বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ধর্ষণ মামলার এজাহার আসামী মোঃ রাজিব (২৬), কে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার কসাই সাং- পাঁচাইখা গ্রামের আইবুর রহমানের পুত্র। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানায় পুলিশের নিকট হস্তাস্তর করা হয়েছে।

আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মামলা নং-৫১ তারিখ- ২১/১০/২০১৬ ইং ধারাঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-০৩) এর ৯(ক)/৩০ ২। রুপগঞ্জ থানার মামলা নং-৫৬, তাং-২৫/০৭/২০১৬ ইং ধারাঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-০৩) এর ৯(ক)/৩০ তৎসহ ৫০৬ শ্লীলতাহানির অপরাধ ও হুমকী এবং ৩। রুপগঞ্জ থানার মামলা নং-২৪ তারিখ ০৬/০৫/২০১৬ ইং ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৫০৬ দঃ বিঃ মামলা রইয়াছে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে র‌্যাবের অভিযানে গুলিসহ আটক ১



সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় র‌্যাব-১২ এর অভিযানে গুলিসহ আনোয়ার হোসেন নামে (৪২) এক ব্যক্তি আটক হয়েছে। সে বেলকুচি উপজেলার মবুপুর গ্রামের নুরুল হক মোল্লর ছেলে।

বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১২ এর ক্যাম্প কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) মো: হাসিবুল আলম এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোর রাতে বেলকুচি উপজেলার মবুপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব সদস্যরা।  এসময় আনোয়ার হোসেনকে একটি গুলি (কার্তুজ)সহ আটক করা হয়। এব্যাপারে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কাজীপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুই পারভীনক বহিষ্কার

 
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুই পারভীনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রোজ শনিবার সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উত্ত সভায় আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনী আলোচনায় “১,২ ও৩ নং ওয়ার্ডের ১নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে দলীয় মনোনিত প্রার্থী নাসরিন ইসলাম তালুকদারের বিপক্ষে কাজিপুর থানা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জুই পারভিন দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা নিজের সিদ্ধান্তে মনোনায়ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ-পাবনা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না জানান জুই পারভীন দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আারো বলেন, কয়েকদফা ফোন করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও জুই পারভিন মনোনায়ন পত্র উত্তোলন করেননি। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এ কারণে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কার পত্রটি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ বরাবর পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সেলিনা বেগম স্বপ্না।

সিরাজগঞ্জের ইজতেমায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায়



আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জের যমুনার পাড়ে চায়না বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত ইজতেমার আয়োজক মুরুব্বী ও মুসুল্লীদের সাথেও কুশল বিনিময় করেন। শনিবার আঞ্চলিক ইজতেমায় তিনি অংশ গ্রহণ করেন এবং আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন এসময় তিনি হুজুরের বয়াণ শোনেন।
এর পর সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জে দলীয় কর্মীদের সাথে জাতীয় নির্বাচনে নেতাকর্মীদের করণীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন “বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকারের সফলতায় বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে তরুণ প্রজন্মের উচ্ছাস ও অভূতপূর্ব গণজাগরণ প্রমাণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি ছাড়া এদেশে কোন অপশক্তির স্থান হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির জনকের হত্যা সহ জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার করেছেন, একাত্তরের ঘাতক মাস্টারমাইন্ডদের বিচারে আদালতের রায়ও বাস্তবায়ন হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নের ধারার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মহান বিজয় দিবসে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল। সাম্প্রদায়িক রুখে দেবার প্রত্যয় নিয়ে বাংলার শহর-বন্দও গ্রাম গঞ্জের মানুষ বিজয়োৎসব পালন করেছে। নতুন প্রজন্মের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্চাস ও গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউসে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনী এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রতিটি নেতাকর্মীদের সরকারের উন্নযন কর্মকান্ড জনগণের দোঁড় গাড়ায় পৌছে দিতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন এবং জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামীলীগের বিজয় অর্জিত হবে। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধিনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনি বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেছেন- বিএনপি যদি এ নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে এবং অসাংবিধানিক কর্মকান্ড করে তবে জনগণই তার জবাব দেবে। বিএনপি দল হিসেবে ধ্বংস হয়ে যাবে। এ সময় সার্কিট হাউসে দলের সহসবাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, পৌর আওয়ামীলগের সভাপতি হাজী ইসহাক আলী, সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক দানী, যুবলীগের সভাপতি মঈনুদ্দিন খান চিনু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুল হাকিম, যুবলীগ নেতা রাশেদ ইউসুফ জুয়েল ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিরাজগঞ্জে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিজয়োৎসব শুরু

মহান বিজয় দিবসে, রাত্রী ১২টায় মুক্তির সোপানে, 
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই বিজয় তাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে হাজারো মানুষের ঢল৷ 

 

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের মুক্তির সোপানে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ৪৫তম মহান বিজয়োৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর ) রাত ১২.০১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির পর শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় মুক্তির সোপানে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা ও পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
 
এরপর জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এবং সিরাজগঞ্জ পৌরসভা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।


বিজয় উৎসব উপলক্ষে সকালে শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন, বিজয় র্যালী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার ক্রিকেটলীগ টি-টোয়েন্টি ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন সিরাজগঞ্জ টাইগার্স

সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ (এসপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টূর্নামেন্টের ফাইনালে সিরাজগঞ্জ সুপার কিংসকে ৫১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স। সুদক্ষ ব্যাটিং ও দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলের জয়ে অবদান রাখায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। 

খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম শফি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় টসে জিতে ব্যাটিং নেয় সিরাজগঞ্জ টাইগার্স। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ও জাতীয় দলের আরেক অল রাউন্ডার নাসির হোসেনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ বল খেলে ৪৩ রান করেন আশরাফুল ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৩২ (৪৪) আসে নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে।

১৭.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৮১ রান করে সুপার কিংস। দৃঢ় ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও গর্জে ওঠেন আশরাফুল। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট লাভ করেন।  এছাড়াও স্থানীয় বোলার সাকিব ১৪ রানে ২টি ও মিলন ০ রানে ১টি ইউকেট লাভ করেন। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন মোহাম্মদ আশরাফুল ও সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সিরাজগঞ্জ স্টারের খেলোয়ার মনিরুজ্জামান লিটন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা

১৪ ডিসেম্বর; শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ আবার ফুলে ফলে ভরে উঠবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকান্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়।
১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তাদের গলিত ও ক্ষত বিক্ষত লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের লাশে ছিল আঘাতের চিহ্ন। চোখ, হাত-পা ছিল বাঁধা। কারো কারো শরীরে ছিল একাধিক গুলি। অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।

১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন। 

বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৭১’র ২৯ ডিসেম্বর গঠিত বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০,০০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মতো হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়নি। কারণ ফরমান আলীর টার্গেট ছিল শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরকে গভর্নর হাউজে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে মেরে ফেলা।

বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির প্রধান জহির রায়হান বলেছিলেন, এরা নির্ভুলভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা বুদ্ধিজীবীদেরকে বাছাই করে আঘাত হেনেছে। ওই কমিশনের আহবায়ক ছিলেন চলচিচত্রকার জহির রায়হান যিনি নিখোঁজ হন ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি।

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেন ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্ত তার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন প্রণীত একটি দলিল থেকে জানা গেছে, বুদ্ধিজীবী হত্যায় যারা ঘৃণ্য ভূমিকা রাখে তাদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রাজা, ব্রিগেডিয়ার আসলাম, ক্যাপ্টেন তারেক, কর্নেল তাজ ,কর্নেল তাহের, ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন, ড. মোহর আলী, আল বদরের এবিএম খালেক মজুমদার, আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মাইনুদ্দিন। এদের নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।

হানাদারদের এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী দেশের যেসব শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে এর কিছু বর্ণনা পাওয়া গেছে রমনা থানায় দায়ের করা বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বাদী ফরিদা বানুর মামলা থেকে। তিনি এজাহারে বলেছেন, তার ভাই গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও মোহসীন হলের হাউস টিউটর ছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর সকালে ঘাতকরা মোহসীন হল সংলগ্ন বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে হলে যায়। হলের সামনে খুঁজে পায় তাকে। হলের দারোয়ান আবদুর রহিমের গামছা দিয়ে প্রথমে তার চোখ বাঁধে। পরে ইপিআরটিসির একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি।

ঘাতকরা অন্যান্য হাউস টিউটরের বাসায়ও যায়। এসময় ওই হলের ছাত্র ছিলেন বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। পরে তারা জানতে পারেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ড. মো. মুর্তজা, ড. আবুল খায়ের, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক সিরাজুল হক ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্যসহ আরো অনেককে ধরে নিয়ে গেছে আল বদররা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মো. মুর্তজা ও সিরাজুল হকের ছেলে এনামুল হক অপহরণকারীদের দু’জনকে চিনতে পারেন। তারা হলেন চৌধুরী মাইনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান। দু’জনই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের মধ্যে আশরাফুজ্জামান তৎকালীন অবজারভার পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর ফরিদা বানু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা ছেড়ে আজিমপুরের ভাড়া বাসায় ওঠেন।
১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তিনি আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ড. মুর্তজা, ড. আবুল খায়ের ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্যসহ অনেক বুদ্ধিজীবীর গলিত লাশ খুঁজে পান।
৫ জানুয়ারি মিরপুরের বর্তমান শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের কাছে গিয়ে তার ভাই গিয়াসউদ্দিন আহমেদের গলিত লাশ পান। লুঙ্গি ও জামা দেখে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন তিনি। বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চৌধুরী মাইনুদ্দীন লন্ডনে ও আশরাফুজ্জামান নিউইয়র্ক প্রবাসী।

হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি, পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি।২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনায় একসাথেই বুদ্ধিজীবীদেরহত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পাকিস্তানী সেনারা অপারেশন চলাকালীন সময়ে খুঁজেখুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকশিক্ষককে ২৫শে মার্চের রাতেই হত্যা করা হয়। তবে, পরিকল্পিত হত্যার ব্যাপকঅংশটি ঘটে যুদ্ধ শেষ হবার মাত্র কয়েকদিন আগে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়েপাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের প্রশিক্ষিত আধা-সামরিক বাহিনী আল-বদর এবংআল-শামস বাহিনী একটি তালিকা তৈরি করে, যেখানে এই সব স্বাধীনতাকামীবুদ্ধিজীবীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ধারণা করা হয় পাকিস্তানী বাহিনীরপক্ষে এ কাজের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি। কারণস্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বঙ্গভবন থেকে তার স্বহস্তে লিখিত ডায়েরীপাওয়া যায় যাতে অনেক নিহত ও জীবিত বুদ্ধিজীবীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়াআইয়ুব শাসন আমলের তথ্য সচিব আলতাফ গওহরের এক সাক্ষাৎকার হতে জানা যায় যে, ফরমান আলীর তালিকায় তার বন্ধু কবি সানাউল হকের নাম ছিল। আলতাফ গওহরেরঅনুরোধে রাও ফরমান আলি তার ডায়েরীর লিস্ট থেকে সানাউল হকের নাম কেটে দেন।এছাড়া আলবদরদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন বলে তার ডায়েরীতেএকটি নোট পাওয়া যায়। এছাড়া তার ডায়েরীতে হেইট ও ডুসপিক নামে দুজনআমেরিকান নাগরিকের কথা পাওয়া যায়। এদের নামের পাশে ইউএসএ এবং ডিজিআইএসলেখা ছিল। এর মধ্যে হেইট ১৯৫৩ সাল থেকে সামরিক গোয়েন্দাবাহিনীতে যুক্ত ছিলএবং ডুসপিক ছিল সিআইএ এজেন্ট। এ কারণে সন্দেহ করা হয়ে থাকে, পুরো ঘটনারপরিকল্পনায় সিআইএ'র ভূমিকা ছিলো।

হত্যাকাণ্ডের বিবরণ
ডিসেম্বরের ৪ তারিখ হতে ঢাকায় নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়। ডিসেম্বরের১০ তারিখ হতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতি নেয়া হতে থাকে। মূলত ১৪ডিসেম্বর পরিকল্পনার মূল অংশ বাস্তবায়ন হয়। অধ্যাপক, সাংবাদিক, শিল্পী, প্রকৌশলী, লেখক-সহ চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদেরদোসরেরা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেদিন প্রায় ২০০ জনের মতবুদ্ধিজীবীদের তাদের বাসা হতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের চোখে কাপড়বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ অন্যান্য আরো অনেকস্থানে অবস্থিত নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের উপরবিভৎস নির্যাতন চালানো হয়। পরে তাদের নৃশংসভাবে রায়েরবাজার এবং মিরপুরবধ্যভূমিতে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।



জড়িত ব্যক্তিবর্গ
পাকিস্তানী সামরিক জান্তার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেনমেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। আর তাকে তালিকা প্রস্তুতিতে সহযোগীতা ওহত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের পেছনে ছিল মূলত জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক গঠিতকুখ্যাত আল বদর বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রধান ঘাতক ছিলেন বদর বাহিনীরচৌধুরী মঈনুদ্দীন (অপারেশন ইন-চার্জ) ও আশরাফুজ্জামান খান (প্রধান জল্লাদ)।১৬ ডিসেম্বরের পর আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে তার একটিব্যক্তিগত ডায়েরী উদ্ধার করা হয়, যার দুটি পৃষ্ঠায় প্রায় ২০ জনবুদ্ধিজীবীর নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কোয়ার্টার নম্বরসহ লেখা ছিল। তারগাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিনের দেয়া স্বাক্ষ্য অনুযায়ী রায়ের বাজারের বিল ওমিরপুরের শিয়ালবাড়ি বদ্ধভূমি হতে বেশ কয়েকজন বুদ্ধজীবীর গলিত লাশপাওয়া যায় যাদের সে নিজ হাতে গুলি করে মেরেছিল। আর চৌধুরী মঈনুদ্দীন ৭১সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি অবজারভার ভবনহতে বুদ্ধিজীবীদের নাম ঠিকানা রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার বশীর আহমেদকেপৌঁছে দিতেন। এছাড়া আরো ছিলেন এ বি এম খালেক মজুমদার (শহীদুল্লাহকায়সারের হত্যাকারী), মাওলানা আবদুল মান্নান (ডাঃ আলীম চৌধুরীরহত্যাকারী), আবদুল কাদের মোল্লা (কবি মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী) প্রমুখ।চট্টগ্রামে প্রধান হত্যাকারী ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার দুই ছেলেসালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী।

হত্যার পরিসংখ্যান
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা[১৩] নিম্নরূপঃ-
শিক্ষাবিদ - ৯৯১ জন
সাংবাদিক - ১৩
চিকিৎসক - ৪৯
আইনজীবী - ৪২
অন্যান্য (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং প্রকৌশলী) - ১৬

নিহত বুদ্ধিজীবীদের তালিকা
২৫শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী পাকবাহিনীর হাতে প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ গোবিন্দ চন্দ্র দেব (দর্শনশাস্ত্র)।
ডঃ মুনির চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ আনোয়ার পাশা (বাংলা সাহিত্য)।
ডঃ আবুল খায়ের (ইতিহাস)।
ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি সাহিত্য)।
ডঃ সিরাজুল হক খান (শিক্ষা)।
ডঃ এ এন এম ফাইজুল মাহী (শিক্ষা)।
হুমায়ূন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য)।
রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য)।
সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা)।
ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান)।
এন এম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান)।
এ মুকতাদির (ভূ-বিদ্যা)।
শরাফত আলী (গণিত)।
এ আর কে খাদেম (পদার্থবিদ্যা)।
অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিদ্যা)।
এম এ সাদেক (শিক্ষা)।
এম সাদত আলী (শিক্ষা)।
সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য (ইতিহাস)।
গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস)।
রাশীদুল হাসান (ইংরেজি)।
এম মর্তুজা (চিকিৎসক)।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকঃ
ডঃ হবিবুর রহমান (গণিত বিভাগ)।
ডঃ শ্রী সুখারঞ্জন সমাদ্দার (সংস্কৃত)।
মীর আবদুল কাইউম (মনোবিজ্ঞান)।
চিকিৎসকঃ
অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ)।
অধ্যাপক ডাঃ আলিম চৌধুরী (চক্ষু বিশেষজ্ঞ)।
অধ্যাপক ডাঃ শামসুদ্দীন আহমেদ।
ডাঃ হুমায়ুন কবীর।
ডাঃ আজহারুল হক।
ডাঃ সোলায়মান খান।
ডাঃ আয়েশা বদেরা চৌধুরী।
ডাঃ কসির উদ্দিন তালুকদার।
ডাঃ মনসুর আলী।
ডাঃ মোহাম্মদ মোর্তজা।
ডাঃ মফিজউদ্দীন খান।
ডাঃ জাহাঙ্গীর।
ডাঃ নুরুল ইমাম।
ডাঃ এস কে লালা।
ডাঃ হেমচন্দ্র বসাক।
ডাঃ ওবায়দুল হক।
ডাঃ আসাদুল হক।
ডাঃ মোসাব্বের আহমেদ।
ডাঃ আজহারুল হক (সহকারী সার্জন)
ডাঃ মোহাম্মদ শফী (দন্ত চিকিৎসক)
অন্যান্যঃ
শহীদুল্লাহ কায়সার (সাংবাদিক)।
নিজামুদ্দীন আহমেদ (সাংবাদিক)।
সেলিনা পারভীন (সাংবাদিক)
সিরাজুদ্দীন হোসেন (সাংবাদিক)।
আ ন ম গোলাম মুস্তফা (সাংবাদিক)।
আলতাফ মাহমুদ (গীতিকার ও সুরকার)।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (রাজনীতিবিদ)।
রণদাপ্রসাদ সাহা (সমাজসেবক এবং দানবীর)।
যোগেশ চন্দ্র ঘোষ (শিক্ষাবিদ, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)।
জহির রায়হান (লেখক, চলচ্চিত্রকার)।
মেহেরুন্নেসা (কবি)।
ডঃ আবুল কালাম আজাদ (শিক্ষাবিদ, গণিতজ্ঞ)।
নজমুল হক সরকার (আইনজীবী)।
নূতন চন্দ্র সিংহ (সমাজসেবক, আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক)।
জেলা এবং বিভাগ
শিক্ষাবিদ
আইনজীবী
প্রাথমিক
মাধ্যমিক
উচ্চমাধ্যমিক
৩৭
১০
২৭
১২
২০
৪৬
২৮
ঢাকা বিভাগ
১৩০
৫৫
১৭
১০
৩৯
১৬
১৯
৪৫
৩৩
২৬
১৩
চট্টগ্রাম বিভাগ
১৩৮
৭৩
১৩
১০
৪৮
১৫
৫৫
৩১
৫০
২১
২৮
১৩
খুলনা বিভাগ
১৮৪
৮১
১৫
৩৯
৪১
২২
৫০
১০
১৪
১২
৪৩
রাজশাহী বিভাগ
১৮৭
৬১
১৪
১৫
বাংলাদেশ
৬৩৯
২৭০
৫৯
৪১
শহীদ শিক্ষাবিদ (বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন) = ৯৬৮
শহীদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক = ২১
মোট শহীদ শিক্ষাবিদ = ৯৮৯

তথ্য সংগ্রহঃ
বাংলা পিডিয়া

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।