হাসপাতালের ফ্রিজে রাখা ঔষধের থাকলেও ভেতর রয়েছে দুধের পিঠা। ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ ক্লিনিকটির নেই নিয়মিত চিকিৎসক ও নার্স। গত ৭ মাস থেকে ক্লিনিকের লাইসেন্সেরও নবায়ন করা হয়নি।
ভাড়া করা চিকিৎসক ও নার্স দিয়েই চলছে ক্লিনিকটি। সিরাজগঞ্জের আলোচিত রোগীমারা চিকিৎসক ডাঃ বিপ্লব অফিস ফাঁকি দিয়ে এখানে রোগীদের প্রায়ই অপারেশন করে থাকেন। শাহজাদপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মারা যাওয়া,নিজেকে গুম করে রাখা এবং অনৈতিকভাবে বেশ ক’টি বিবাহের ঘটনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে খাগড়াছড়ির হিমছড়ি উপজেলায় ডাঃ বিপ্লবকে বদলী করা হয়। যোগদান করেই দীর্ঘদিন থেকেই খাগড়াছড়িতে অনুপস্থিত থাকলেও এ ক্লিনিকটির চিকিৎসকদের কাতারে রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে,ক্লিনিকের মালিক আহসান কবীর নিজেই টাঙ্গাইল জেলায় আর্য়ুবেদ নেপচুন ঔষদ কোম্পানী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হওয়ায় ক্লিনিকটির পেছনে আগের মত সময় দিতে পারেন না তিনি। তার অবর্তমানে পার্টনার আমিরুল ও মুকুলের ক্লিনিক পরিচালনায় অতটা দক্ষতা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামসুদ্দিন ক্লিনিকটি তদন্ত করে এসে এমন অনিয়মের কথা জানালেন। তিনি আরো জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নিজেদের ত্রুটিমুক্ত হবার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে, ক্লিনিকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান কবীরের দাবি সিরাজগঞ্জের অনেক ক্লিনিকের চেয়ে তার ক্লিনিক বড় বরং বেশ দক্ষ জনবল এবং বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।