শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৪

গাঁও গেরামের মুদি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত যৌন উত্তেজক মাদক ড্রিংকস্ ------------------------- @[180594362081243:274:সিরাজগঞ্জের খবর]: মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে এনার্জী ড্রিংকস্ নামের যৌন উত্তেজক পানীয় শহরের গন্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে সিরাজগঞ্জের নির্ভৃত পল্লীর মুদি দোকানগুলোতেও। কম মূল্য ও সহজ প্রাপ্যতায় ওই কেমিক্যাল মিশ্রিত ড্রিংকস্ পান করে যুবকেরা যৌনশক্তি হারানোর পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে কিডনি লিভারসহ নানা জটিল রোগে। এদিকে, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ অবাধে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্টদের নজরদারী ও কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিরাজগঞ্জসহ উত্তরজনপদের লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে লুফে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আকর্ষণীয় মোড়কে হর্স ফিলিংস্, রুচিতা ফিলিংস্,মাশরুম ফিলিংস্,জিনজিন ফিলিংস্, বোমবোম ফিলিংস্, রাজ গার্ড প্লাসসহ নামে বেনামে ‘বিএসটিআই-এর বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতাভূক্ত নহে, শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য প্রযোজ্য’ লেবেল লাগিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত মাদক ড্রিংকস্। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ কোম্পানীর একজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, যৌন উত্তেজক মাদক ড্রিংকস্ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য কোন কোম্পানীরই সরকারীভাবে অনুমোদন নেই।ভূয়া লেবেল ও নাম ঠিকানা ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ সরবরাহ করা হচ্ছে। কেমিক্যাল মিশ্রিত যৌন উত্তেজক এসব মাদক ড্রিংকস্ সেবনকারী কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধু যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য নয়,তাদের অনেকেই এটাকে নেশা হিসাবে নিয়মিত পান করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন মাপের পুরাতন প্লাষ্টিকের বোতল ক্রয় করে বিশেষত টাইগার এনার্জী ড্রিংকস্ এর খালি বোতলে ব্যাপক পরিমাণে কেমিক্যাল ও যৌন উত্তেজন পদার্থ মিশিয়ে সুদর্শন লেবেল লাগিয়ে ওইসব বিষাক্ত ড্রিংকস গ্রাম-গঞ্জের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়ায় তাদের অভিভাবকরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুবসমাজকে এই ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে ক্ষতিকারক বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব যৌন উত্তেজক পানীয়র বিক্রি ও বাজারজাত বন্ধ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। © সিরাজগঞ্জের খবর - www.facebook.com/Sirajganj24 সিরাজগঞ্জের গাঁও গেরামের মুদি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত যৌন উত্তেজক মাদক ড্রিংকস্

গাঁও গেরামের মুদি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে
কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত যৌন উত্তেজক মাদক ড্রিংকস্
-------------------------
@[180594362081243:274:সিরাজগঞ্জের খবর]: মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে এনার্জী ড্রিংকস্ নামের যৌন উত্তেজক পানীয় শহরের গন্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে সিরাজগঞ্জের নির্ভৃত পল্লীর মুদি দোকানগুলোতেও।

কম মূল্য ও সহজ প্রাপ্যতায় ওই কেমিক্যাল মিশ্রিত ড্রিংকস্ পান করে যুবকেরা যৌনশক্তি হারানোর পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে কিডনি লিভারসহ নানা জটিল রোগে।

এদিকে, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ অবাধে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্টদের নজরদারী ও কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিরাজগঞ্জসহ উত্তরজনপদের লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে লুফে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

আকর্ষণীয় মোড়কে হর্স ফিলিংস্, রুচিতা ফিলিংস্,মাশরুম ফিলিংস্,জিনজিন ফিলিংস্, বোমবোম ফিলিংস্, রাজ গার্ড প্লাসসহ নামে বেনামে ‘বিএসটিআই-এর বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতাভূক্ত নহে, শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য প্রযোজ্য’ লেবেল লাগিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত মাদক ড্রিংকস্।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ কোম্পানীর একজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, যৌন উত্তেজক মাদক ড্রিংকস্ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য কোন কোম্পানীরই সরকারীভাবে অনুমোদন নেই।ভূয়া লেবেল ও নাম ঠিকানা ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেমিক্যাল মিশ্রিত যৌন উত্তেজক এসব মাদক ড্রিংকস্ সেবনকারী কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধু যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য নয়,তাদের অনেকেই এটাকে নেশা হিসাবে নিয়মিত পান করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন মাপের পুরাতন প্লাষ্টিকের বোতল ক্রয় করে বিশেষত টাইগার এনার্জী ড্রিংকস্ এর খালি বোতলে ব্যাপক পরিমাণে কেমিক্যাল ও যৌন উত্তেজন পদার্থ মিশিয়ে সুদর্শন লেবেল লাগিয়ে ওইসব বিষাক্ত ড্রিংকস গ্রাম-গঞ্জের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়ায় তাদের অভিভাবকরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

যুবসমাজকে এই ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে ক্ষতিকারক বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব যৌন উত্তেজক পানীয়র বিক্রি ও বাজারজাত বন্ধ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।
 
© সিরাজগঞ্জের খবর - www.facebook.com/Sirajganj24
মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে এনার্জী ড্রিংকস্ নামের যৌন উত্তেজক পানীয় শহরের গন্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে সিরাজগঞ্জের নির্ভৃত পল্লীর মুদি দোকানগুলোতেও।

কম মূল্য ও সহজ প্রাপ্যতায় ওই কেমিক্যাল মিশ্রিত ড্রিংকস্ পান করে যুবকেরা যৌনশক্তি হারানোর পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে কিডনি লিভারসহ নানা জটিল রোগে।

এদিকে, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ অবাধে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্টদের নজরদারী ও কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিরাজগঞ্জসহ উত্তরজনপদের লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে লুফে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

আকর্ষণীয় মোড়কে হর্স ফিলিংস্, রুচিতা ফিলিংস্,মাশরুম ফিলিংস্,জিনজিন ফিলিংস্, বোমবোম ফিলিংস্, রাজ গার্ড প্লাসসহ নামে বেনামে ‘বিএসটিআই-এর বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতাভূক্ত নহে, শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য প্রযোজ্য’ লেবেল লাগিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত মাদক ড্রিংকস্।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ কোম্পানীর একজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, যৌন উত্তেজক মাদক ড্রিংকস্ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য কোন কোম্পানীরই সরকারীভাবে অনুমোদন নেই।ভূয়া লেবেল ও নাম ঠিকানা ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র কেমিক্যাল মিশ্রিত মাদক ড্রিংকস্ সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেমিক্যাল মিশ্রিত যৌন উত্তেজক এসব মাদক ড্রিংকস্ সেবনকারী কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধু যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য নয়,তাদের অনেকেই এটাকে নেশা হিসাবে নিয়মিত পান করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন মাপের পুরাতন প্লাষ্টিকের বোতল ক্রয় করে বিশেষত টাইগার এনার্জী ড্রিংকস্ এর খালি বোতলে ব্যাপক পরিমাণে কেমিক্যাল ও যৌন উত্তেজন পদার্থ মিশিয়ে সুদর্শন লেবেল লাগিয়ে ওইসব বিষাক্ত ড্রিংকস গ্রাম-গঞ্জের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়ায় তাদের অভিভাবকরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যুবসমাজকে এই ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে ক্ষতিকারক বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব যৌন উত্তেজক পানীয়র বিক্রি ও বাজারজাত বন্ধ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

আপনি ভোট বর্জনের জন্য ঘোষণা দিলেও আপনার বাড়ির কাজের বুয়া ছাড়া কেউ সে ডাকে সারা দেয়নি -- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন মুক্তির সোপানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 
জামায়াতের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ না নিয়ে 'একুল-ওকুল দু’কূলই' হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, "বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার আমন্ত্রণ জানানোর পরও জামায়াতের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়া সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একূল-ওকূল দু'কূলই হারিয়েছেন।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "জনগণ এ সরকারকে ৫ বছরের জন্য ভোট দিয়েছে। তাই এ সরকার ৫ বছরই ক্ষমতায় থাকবে। খালেদা জিয়া; দেশের জনগণ এখন আর আপনার সাথে নেই।"
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, "আপনি ভোট বর্জনের জন্য ঘোষণা দিলেও আপনার বাড়ির কাজের বুয়া ছাড়া কেউ সে ডাকে সারা দেয়নি। আপনার দলের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামেনি।"
তিনি বলেন, "সারা দুনিয়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছে। তাই বর্তমান সরকারের কাজ হবে সবাইকে নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করা, যাতে দেশ এগিয়ে যায়।"
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ ইসহাক হোসেন তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের এমপি তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের এমপি শিল্পপতি আব্দুল মজিদ মণ্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, সহ-সভাপতি আবু ইউসূফ সূর্য্য, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া।
এছাড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন খান চিনু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড আব্দুল হাকিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ  জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪

সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল হত্যার অন্যতম আসামী বাবুল র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত।

গত ৩০শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার  এজাহারভুক্ত ২নংআসামী বাবলু মিয়া সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি অশোক কুমার পাল জানান, গত রাত পৌনে ২টার দিকে শহরের হোসেনপুর মোল্লাবাড়ি সংলগ্ন যমুনা নদীর বালুর বাধ এলাকায় ৭/৮জন দৃস্কৃতিকারী নাশকতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের ৩টি টিম চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। উপস্থিতি টের পেয়ে দৃস্কৃতিকারীরা র‌্যাবের উপর গুলি চালায়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ক্রসফায়ারে বাবলু’র মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরির্দশক নাসির উদ্দিন জানান, নিহত বাবলু আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামী। এছাড়াও তার নামে সিরাজগঞ্জ সদর ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগে আরও ৩/৪টি মামলা রয়েছে। সে সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী কুখ্যাত নৌ-দূস্য জবান আলীর বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত।

চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাকঅস্ত্র মামলা

চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাকঅস্ত্র মামলার আসামি ৫২জন।অস্ত্র আইনের মামলায় ৫০জন ও চোরাচালানের ঘটনায়করা বিশেষ ক্ষমতা আইনেরমামলার আসামি ৫২ জন, যারমধ্যে ৫০ জন উভয় মামলারআসামি।অধিকতর তদন্তশেষে সম্পূরকঅভিযোগপত্রে অভিযুক্তচোরাচালানের মামলার ৫২আসামির মধ্যে গ্রেপ্তারহয়ে কারাগারে আছেন ১১ জন।২৯ জন জামিনে থাকলেওপলাতক রয়েছেন ১২ জন।অস্ত্র মামলার ৫০ আসামিরমধ্যে গ্রেপ্তার ১০,জামিনে আছে ২৮ জন। 

এইমামলায়ও পলাতক রয়েছে ১২জন।মামলার অভিযোগপত্রেরক্রমানুসারে আসামিরা হলেনচোরাকারবারী হাফিজুররহমান, চোরাকারবারী দীনমোহাম্মদ, ট্রলারভাড়াকারী হাজী মো. আব্দুসসোবহান, সানোয়ার হোসেনচৌধুরী, দিলদার হোসেনচৌধুরী, মরিয়ম বেগমমেম্বার ওরফে বদনী, জসীমউদ্দিন, আব্দুল আজিজ, মো.আকতার, মো. জাহাঙ্গীর,নুরুল আবছার ওরফে আবছারমেম্বার, শ্রমিকসরবরাহকারী আরজুমিয়া রওফে আরজু পাগলা,এজাহার মিয়া, মজিবুররহমান ভুলু, শেখ মোহাম্মদ,ফজল আহাম্মদ চৌধুরী, মো.আকবর আলী, বাদশা মিয়া,ওসমান মিস্ত্রী, আব্দুলমান্নান, কবির আহাম্মদ, মো.রফিক, মনির আহাম্মদ,আব্দুল খালেক, মঞ্জুরুলআলম, প্রদীপ কুমার দাশ, নুরনবী, বাবুল মিয়া, সালেহজহুর, আব্দুর রহিম মাঝি,মো. শাহজাহান, আব্দুসসোবহান, আব্দুছ সবুর, শাহআলম, সিরাজুল ইসলাম, হেলালউদ্দিন, ফিরোজ আহাম্মদ,সাইফুদ্দিন, কামাল মিয়া,এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ডঅফিসার আকবর হোসেন,এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক(নিরাপত্তা)উইং কামান্ডার (অব.)সাহাবুদ্দিন, এনএসআইয়েরসাবেক মহাপরিচালক (অব.)আব্দুর রহিম, এনএসআইয়েরসাবেক মহাপরিচালক মেজরজেনারেল (অব.) রেজ্জাকুলহায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়েরসাবেক উপ-পরিচালক(টেকনিক্যাল) মেজর (অব.)লিয়াকত হোসেন, সিইউএফএলেরসাবেক এমডি মহসিন উদ্দিনতালুকদার, সিইউএফএলেরসাবেক জিএম (প্রশাসন) কেএমএনামুল হক, সাবেকস্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামবাবর, উলফার সামরিককমাণ্ডার পরেশ বড়ুয়া,সাবেক অতিরিক্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, সাবেকশিল্পমন্ত্রী ওজামায়াতে ইসলামীর আমীরমতিউর রহমান নিজামী, আবুলহোসেন ও সফিকুর রহমান।উভয় মামলায় গ্রেপ্তারহয়ে কারাগারে থাকা ১১আসামি হলেন- মতিউর রহমাননিজামী, লুৎফুজ্জামানবাবর, রেজ্জাকুল হায়দারচৌধুরী, আবদুর রহিম,শাহাবুদ্দিন, লিয়াকতহোসেন, আকবর হোসেন খান,মহসিন উদ্দিন তালুকদার,কেএম এনামুল হক, হাফিজুররহমান ও দীন মোহাম্মদ।১২ পলাতক আসামি হলেন-নুরুল আমিন, পরেশ বড়ুয়া,মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,হেলাল উদ্দিন, আবদুর রহিমমাঝি, মোহাম্মদ শাজাহান,মোহাম্মদ সবুর, শাহ আলম,হাজী সোবহান, প্রদীপকুমার দাশ, নুর নবী ওবাবুল মিয়া।প্রথম অভিযোগপত্রভুক্তমৃত চার আসামি হলেন- মুনীরআহমদ, ইয়াকুব আলী, আতাউররহমান ও আবুল কাশেম মধু,যাদেরপরবর্তীতে অভিযোগপত্রথেকে বাদ দেয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ উপজেলাকে আধুনিক সিরাজগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই-আবু ইউসুফ সূর্য

সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে আবারও কাজ করতে চান যমুনা পাড়ের মাটি ও মানুষের নেতা আবু ইউসুফ সূর্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আজীবন আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, সিরাজগঞ্জের নিপীড়িত মানুষের জন্যে নানা আন্দোলন সংগ্রাম করে নিজেকে একজন জননেতায় পরিণত করেছেন আবু ইউসুফ সূর্য।  
তিনি তার মেধা, বুদ্ধি, জ্ঞান ও সততাকে কাজে লাগিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীর বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। গরীব ও মেহনতি মানুষের সংগ্রামী ত্যাগী নেতা সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি যমুনা পাড়ের মাটি ও মানুষের নেতা আবু ইউসুফ সূর্য সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। 

আবু ইউসুফ সূর্য উত্তর জনপদের রাজা দিঘাপতির রাজ্যে ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আজিজুর রহমান ব্রিটিশ সরকারের মহকুমা ম্যাজি্েষ্ট্রটের ডেপুটি কালেক্টর পদে নিয়োজিত ছিলেন। তার মাতার নাম গুলশান আরা। পিতা সরকারী কর্মচারী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় বদলী হতে হয়েছে। ফলে কোন নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে তার লেখাপড়া সম্ভব হয়নি। 

১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকায় ওয়েস্ট-ইন হাইস্কুলে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৮ সালে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করে। তখন তার পিতা তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী এম. মনসুর আলীর বড় ভাই হওয়ায় পদের অবনতি দেখাইয়া বগুড়া জেলার পাঁচবিবি থানায় সার্কেল অফিসার হিসেবে বদলী করা হয়। এতে আবু ইউসুফ সূর্য বাধ্য হয়ে নিজগ্রাম রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়িপাড়ায় ফিরে আসেন। এবং গান্ধাইল স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৬৬ সালে গান্ধাইল স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষঅয় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। ঐ বছরই সিরাজগঞ্জ বি.এ কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন।

স্কুল কলেজে লেখাপড়ার সময় চাচা এম. মনসুর আলী সান্নিধ্যে এসে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিস ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচনী প্রচারণা কাজে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত ৬ দফা এবং ছাত্র সমাজের প্রণীত ১১ দফা দাবীর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। 

সেই সাথে ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে সিরাজগঞ্জ বি.এ কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে বি.এ. পাশ করেন এবং ঐ বছরেই অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরে ভারত হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বগুড়া জেলার ধুনট এবং কাজিপুরের বড়ইতলা গ্রামে ও কাজিপুর থানাকে মুক্ত করাসহ শৈলাবাড়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করতে তাঁর ভূমিকা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সিরাজগঞ্জবাসী। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি কাজিপুর থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলর হিসেবে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সিরাজগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জাতির চার নেতা হত্যার মধ্যদিয়ে সারাদেশে নেতৃত্ব শূন্যতার সৃষ্টি হয়। সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোতে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। 

১৯৭৮ সালে আওয়ামীলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান। সে সময় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের প্রার্থী কর্ণেল এমজি ওসমানীর নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের প্রতিটি থানায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ড. কামাল হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ১৯৮২ সালে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্য ফেব্র“যারি ছাত্র আন্দোলন ও ১৯৮৪ সালের উপজেলা নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবরণ করেন আবু ইউসুফ সূর্য। ১৯৮৪ সালে জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের পদ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে দলের সদস্য পদ গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালের ৭মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৭টি আসনে ব্যাপক গণসংযোগ করে এরশাদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি করে দুটি আসন ছিনিয়ে নেয়ার পেছনে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ২২ দলের নেতত্বে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি করেন। ১৯৯০ সালে ৬ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। 

১৯৯২ সালে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৩ সালে খালেদা জিয়ার মাগুড়া উপ-নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক ছুরিকাঘাত করে। কয়েকবার তার বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। ১৯৯৬ সালে ১২ ফেব্র“য়ারী সিরাজগঞ্জে খালেদা জিয়ার আগমন প্রতিহত করার জন্য ব্যাপক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। এ আন্দোলনের কারণে সিরাজগঞ্জ থেকে অল্পসময়ের মধ্যেই ফিরে যেতে বাধ্য হয় খালেদা জিয়া। ১৫ ফেব্র“য়ারী এক দলীয় অবৈধ নির্বাচন প্রতিহত করার গণ আন্দোলনে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে বাজানো হয় এবং ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেয়া হয় যা ঐ সময় বিবিসি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। কাজিপুর, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও তাড়াশে নির্বাচন প্রতিহত হয়। এর ফলশ্র“তিতে ১৯৯৬ সালে ১২ জুনের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৭টি আসনের মধ্যে ৬টি আওয়ামীলীগ জয়লাভ করে। এ নির্বাচনে আবু ইউসুফ সূর্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। 

১৯৯৭ সালে আবু ইউসুফ সূর্যকে জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলররা সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত করে। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার পর ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি এবং জাতির জনকের ঐকান্তি ইচ্ছা ও তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী এম. মনসুর আলীর আন্তরিক সদিচ্ছায় জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় প্রতিশ্র“তি আদায়ের ফলে বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতু ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ও উন্নয়নের এক নব দিগন্তের সুচনা করেন। যার ফলশ্র“তিতে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩বার সিরাজগঞ্জ জেলায় শুভাগমনের মধ্যদিয়ে ঐ বছরের ২৬ ফেব্র“য়ারী হাটিকুমরুল বনপাড়া ৩০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তার কাজ উদ্বোধন ও বাস্তবায়ন করেন। আবু ইউসুফ সূর্য জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার পর সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন ঐ সময় সিরাজগঞ্জে যত উন্নয়নমুলক কাজ হয়েছে এতে তার ভূমিকা সিরাজগঞ্জের আপামর জনতা আজও স্মরণ করে। তার উল্লেখযেগ্য কাজগুলোর মধ্যে-সমগ্র উত্তরাঞ্চলকে বিদ্যুৎ ও শিল্পায়নসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে বাঘাবাড়ীতে ১৩১ মেঘাওয়াট মাউনটেন্ট বার্জ এবং ৩০ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের গ্যাস সঞ্চালন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাহেবের প্রতিশ্র“তি মোতাবেক সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলায় ব্যাপক উন্নয়নস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে ৪০০ একর জমির উপর শিল্পপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছন। ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জ শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, উক্ত বাঁধ এলাকায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ধরে শহীদ রাসেল স্মৃতি পার্ক নির্মাণ, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০০ আসন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শহীদ মনসুর আলী অডিটোরিয়াম, ২০ কোট টাকা ব্যয়ে শহীদ এম মনসুর আলী সংযোগ সড়ক, যমুনা ভাঙ্গন রোধকল্পে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি স্পার বেকার যুবকদের জন্য ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যুব উন্নয়ন প্রকল্প স্থাপন, শাহজাদপুরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে করতোয়া সেতু, রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীতে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ ও খোকশাবাড়ীতে কারিগরি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পাসপোর্ট অফিস, আমদানী রফতানি অফিস, টেলিফোন বিভাগীয় অফিস, শিয়ালকোলে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন সমিতিসহ সিরাজগঞ্জের রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামো ও কৃষি উন্নয়নের জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের ৫ বছরে ১২০০ কোটি টাকার কাজ করর পিছনে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। 

বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে আবু ইউসুফ সূর্য বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যত উন্নয়ন আমার হাত দিয়ে হয়েছে সে অভিজ্ঞতার আলোকে আমি সিরাজগঞ্জ উপজেলাকে আধুনিক সিরাজগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য নির্বাচনে সিরাজগঞ্জবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

লেখকঃ ফজলে খোদা লিটন 
ছবিঃ সোহাগ লুৎফুল কবির

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৪

ওয়াইফাই রিক্সা । অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমাহার তাও রিক্সায়।

ওয়াইফাই রিক্সা । অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমাহার তাও রিক্সায়।

এই রিক্সায় আপনি যাত্রী হলে আপনি যে সব সুবিধা পাবেন তা রীতিমত ফাস্টক্লাস বিমান এর যাত্রীর চেয়ে কম কিছু নয়। গদির নীচে সেট করা আছে উন্নত মানের সাউন্ড সিস্টেম উন্নত বিলাস বহুল হেড ফোনের মাধ্যমে হার্ড সফট অথবা আপনার পছন্দের গান আপনি নিজেই সিলেক্ট করতে পারবেন অবশ্য সেটা একটি চাইনিজ এমপি ফোর এর মাধ্যমে । 

রিক্সাতেই সেট করা আছে ওয়াইফাই মডেম রাওডার যাত্রী হবার পরেই আপনাকে দেয়া হবে এর পাসওয়ার্ড যাতে করে আপনি আপনার ওয়াইফাই সুবিধা সম্পন্ন মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন থ্রি জি ওয়াইফাই ।সাধারণ রিক্সা থেকে একটু আলাদা এর বসার সীট দুজন ব্যাস আরাম করেই বসা যায়। 

যানজটের নগরীতে রাস্তায় আটকে পরা বোরিং সময়কে প্রাণবন্ত এবং উপভোগ্য করে তোলতে এরচেয়ে বেশী কিছু আর কি চাই। দেলোয়ার তার রিক্সাকে এভাবেই সাজিছেন তবে তিনি গন্তব্যের হিসাবে ভাড়ায় চলেন না তার হিসাব ঘণ্টা ১৫০ টাকা।বনশ্রী,আফতাব নগর,হাতির ঝিল,তেজগাও,গুলশান এলাকায়, সাধারনত টিনেজরাই ডেটিং এর জন্য তার যাত্রী হয়। অনেকেই তার মোবাইল নাম্বারে আগেথেকে সময় ঠিক করে রাখে। 

কুমিল্লার দেলোয়ার এস এসি পাস করে রিক্সা চালায়। আয় ভালোই ২৪ বছর বয়সী দেলোয়ার একসময় মোবাইলএর দোকানে চাকরী করত। সেখান থেকেই সে প্রযুক্তি বিষয়ক চিন্তা মাথায় নিয়ে এই রিক্সা সার্ভিস শুরু করেন।

উপজেলা নির্বাচন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের অগ্নিপরীক্ষা

উপজেলা নির্বাচন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাত সাংগঠনিক সম্পাদককে। খাতা-কলমে নয়, সাংগঠনিক দক্ষতা আর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা প্রমাণের এ পরীক্ষা নেবেন স্বয়ং দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

এই অগ্নিপরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যা থাকছে তা হলো- উপজেলা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে দ্বন্দ্ব মেটানো ও বিদ্রোহী পার্থী ঠেকানো; যেকোনো মূল্যে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করে আনতে হবে। আর এ পরীক্ষায় পাস করলে যেমন আছে পুরস্কার তেমনি ফেল করলে আগামী কাউন্সিলে পদ হারাতে হবে তাদের।

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, দলীয় কোন্দল ও তৃণমূল নেতাদের অবমূল্যায়ন এবং প্রার্থীদের দুর্নীতিতেই এ পরাজয়। তাই এবার উপজেলা নির্বাচনের আগেই এসব সমস্যা সমাধান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকদের ঘাড়ে। অবশ্য সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে জাতীয় অনেক ইস্যুও বড় ভূমিকা রেখেছে। সেসব বিষয়েও এবার ব্যাপকভাবে ইতিবাচক প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সাত বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নেতৃত্বে সাতটি কমিটি গঠন করেছে। এসব কমিটির কার্যক্রম দেখভাল করবেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবাদুল কাদের এবং সাহারা খাতুন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যারা আগামী উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করে আনতে পারবে তাদের আগামী কাউন্সিলে নানাভাবে পুরস্কৃত করা হবে। যারা ব্যর্থ হবেন তাদের কপালে খারাবি আছে! পদ হারাবেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বাংলামেইলকে  বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ফলাফলের মাধ্যমে সাত সাংগঠনিক সম্পাদকের সাফল্য ও ব্যর্থতার মাপকাঠি তুলে ধরা হবে। ইতোমধ্যে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাদের এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। বিগত দিনের সাংগঠনিক সম্পাদকদের আমলনামা নেত্রীর কাছে রয়েছে। যারা সঠিকভাবে তৃণমূলের দল গোছানোর কাজে দক্ষতা দেখাতে পারবেন, তাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামী কাউন্সিলে কমিটিতে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করবেন দলীয় প্রধান।’

তিনি আরো জানান, গত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে প্রথমবার সাংগঠনিক সম্পাদকদের দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছিল। সে সময় অনেকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে পারেননি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় ও সরকার গঠনের পর মন্ত্রী-এমপিরা আর নির্বাচনী এলাকায় পদধূলি দেননি। এই ফাঁকে নেতৃত্বাহীন তৃণমূল সংগঠন অন্তর্দ্বন্দ্বে ভঙুর অবস্থায় চলে যায়। অবশেষে বিষয়টা বুঝতে পেরেই শেখ হাসিনা দশম সংসদের মন্ত্রিসভায় অনেককে না রেখে সাংগঠনিক কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে দলের সাত সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিয়োগ পান জাহাঙ্গীর কবীর নানক (ঢাকা বিভাগ), আহমদ হোসেন (চট্টগ্রাম বিভাগ), মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ (সিলেট বিভাগ), বিএম মোজাম্মেল হক (খুলনায় বিভাগ), আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (বরিশাল বিভাগ), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (রাজশাহী বিভাগ) ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে (রংপুর বিভাগের) দায়িত্ব দেয়া হয়। কাউন্সিলের পরপরই সাত বিভাগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় এই সাতজনকে।

পাচঁ সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর সাংগঠনিক সম্পাদকদের বেশ ক’জনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক অদক্ষতা, পৌরসভায় গোপন লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্যদের প্রতি দলীয় সমর্থন ঘোষণাসহ ইত্যাদি অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সাত সাংগঠনিক সম্পাদককে নিজ নিজ এলাকার সাংগঠনিক অবস্থার রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। আগামী সভায় সাংগঠনিক সম্পাদকদের তাদের রিপোর্ট উপস্থাপন করতে হবে। তাই এই সম্পাদকরা অনেক চরম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলামেইলকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয়ভাবে ৭ বিভাগের জন্য ৭টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি আমার জেলার খোঁজখবর নিচ্ছি। কীভাবে কাজকর্ম করতে হবে সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিচ্ছি।’

আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (রাজশাহী বিভাগ) বলেন, ‘আমি এলাকাতেই আছি। আমার কাজকর্ম সঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সাত সাংগঠনিক সম্পাদকের অগ্নিপরীক্ষা হবে। কারণ, সাংগঠনিক সম্পাদকদের বিভাগীয় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর তৃনমূল নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নতুন করে উজ্জবীত করবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হবে- কে কতটুকু করতে পেরেছে।’

ইকবাল মাহমুদ টুকুর খালাসের রায় বাতিল

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পত্তির তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে হাই কোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৪

আইসিটি আইনের সবচেয়ে আলোচিত দিকটি


আইসিটি আইন (মূলত এর ৫৭ নং ধারা) লঙ্ঘণকারীকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দিতে পারবে। ৫৭(১) ধারা: কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন,যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্টঅবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলেবা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানিঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতিঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বাধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটিঅপরাধ৷৫৭(২) কোন ব্যক্তিউপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দশ বছরর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷৪(১) ধারা: আইনের অতিরাষ্ট্রীক প্রয়োগঃযদি কোন ব্যাক্তি বাংলাদেশের বাইরেএই আইনের অধীনে কোন অপরাধ করেন যাহা বাংলাদেশে করিলে এই আইনের অধীনে দন্ডযোগ্য হতো তাহা হইলে এই আইন এইরুপে প্রযোজ্য হইবে যেন অপরাধটি বাংলাদেশেই করিয়াছেন ।অর্থাৎ দেশে থেকে এই আইনের অধীনে অপরাধকরলে তো সেটা অপরাধ আর এখন যারা দেশের বাইরে আছে অর্থাৎ প্রবাসী তারাও যদি ইন্টোরনেটের যে কোনমাধ্যমে এই আইনের অধীন কোন তথ্য প্রকাশ করে তাহলেও উক্ত প্রবাসী এই আইনের অধীনে অপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত হবেন।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নোমিনেশন ফ্রম জমা দেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু ইউসুফ সূর্য ।


আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নোমিনেশন ফ্রম জমা দেন

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু ইউসুফ সূর্য ।





আওয়ামীলীগ-বিএনপির সম্পর্ককে ‘শত্রুতা’ বলছে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটবাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কারের তাগিদ দিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পূর্ণ অধিবেশন সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করেছে রেজুলেশন- ৩১৮। এতে বাংলাদেশে ইসলামী উগ্রবাদের উত্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দুই প্রধান দলের সম্পর্ককে ‘শত্রুতা’ হিসেবে উল্লেখ করে এই প্রস্তাবে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সরাসরি ফলপ্রসু আলোচনায় বসার আহবান জানানো হয়েছে। ২০১৪ সালে সিনেটের প্রথম সভাতেই বাংলাদেশের ওপর এই প্রস্তাব পাশ করা হলো। প্রস্তাবটি এখন বিল হিসেবে বিবেচিত হবে। বিলে বলা হয়েছে , বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে আঞ্চলিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমুহে অর্থনৈতিক, সন্ত্রাস মোকাবেলা, পাইরেসি মোকাবেলা, দারিদ্র দুরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বছওে ছয় বিলিয়ন ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে বলেও বিলে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়।এর আগে সিনেটের কমিটি অন কমার্স, সায়েন্স এন্ড ট্রান্সপোর্টেশন গত ১৮ ডিসেম্বর শুনানিতে “রেজুলেশন- ৩১৮” প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে তা ফরেন রিলেশন কমিটিতে পাঠায়। পরে ‘রেজুলেশন- ৩১৮” এর নাম ও মুখবন্ধে কিছুটা সংশোধনী এনে অন্য কোন পরিবর্তন ছাড়াই হুবহু রেজুলেশনটি পাশ করে যুক্তরাষ্ট্র সিনেট। রেজুলেশন ৩১৮ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাশ হওয়ার ফলে বিষয়টি হাউজে অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস পর্যন্ত গড়াতে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ক্ষমতাশালী উচ্চকক্ষ সিনেট এখন চাইলে ফরেন রিলেশন কমিটিতে শুনানি বা কোন নির্দেশনাও দিতে পারবে। উল্লেখ্য রেজুলেশন-৩১৮” শুনানিতে বাংলাদেশে ইসলামী উগ্রবাদের উত্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গৃহীত প্রস্তাবে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সরাসরি ফলপ্রসু আলোচনার আহবান জানানো হয়েছে। প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র মধ্যকার সম্পর্ককে ‘শত্রুতা’ হিসেবে উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে এর ফলে জরুরি করণীয় থেকে বাংলাদেশ বিচ্যুত হয়ে পড়েছে যা গভীর উদ্বেগের। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দ্রুত সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগী হয়ে এবং একই সাথে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে এই প্রস্তাবে। জাতিসংঘের সহকারী মহাসাচিব অস্কার ফার্নান্দেস তারানকোর ঢাকা সফরের সময় গৃহীত উদ্যোগে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রস্তাবে। এছাড়াও মানবাধিকার কর্মীদের উপর নির্যাতন বন্ধে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও গ্রামীণ ব্যাংকের স্বায়ত্ব শাসন পূনরুজ্জীবনে সরকারকে আহবান জানানো হয় সিনেটে পাশ হওয়া এই বিলে। গত ১১ ডিসেম্বর সিনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে কানেকটিকাটের সিনেটর ক্রিস মারফি ও ওয়াইওমিং এর সিনেটর মাইক এনজি প্রস্তাব আকারে বিলটি উপস্থাপন করেন। কমিটিতে দেওয়া তার প্রস্তাবে বাংলাদেশে ১৮-দলের অবরোধে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা

সিরাজগঞ্জে বিকাশ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক এবং ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদণ্ড।

বিকাশ পিনকোড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লার ২ যুবককে সিরাজগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত প্রত্যেকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন এই রায় দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার আলমপুর গ্রামের মতিন সরকারের পুত্র জহুরুল ইসলাম(২৯) এবং একই জেলার মুরাদনগড় উপজেলার সাতনুরা গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র মাহবুব হোসেন(৩০)।

এসআই আব্দুল বারীক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের কাজিপুর মোড়ে লিয়াকত হোসেনের বিকাশ এজেন্টের দোকানে ওই দন্ডপ্রাপ্ত যুবকদ্বয় বিকাশের গোপন পিনকোড নম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে মোবাইল ফোন থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। এসময় বিকাশ এজেন্ট লিয়াকত হোসেন বিষয়টি সন্দেহ ও টাকা গড়মিল ধরা পড়ায় তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে, শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় প্রদান করেন।

সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৪

আগামীতে আয়ের বড় উৎস ও কর্মসংস্থানের বৃহৎ সেক্টর হবে ফ্রিল্যান্সি আউটসোর্সিং।

তুহিন মাহমুদ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ধারণা করা হয়, আগামীতে আয়ের বড় উৎস ও কর্মসংস্থানের বৃহৎ সেক্টর হবে ফ্রিল্যান্সি আউটসোর্সিং। দেশের প্রায় দুই লাখের অধিক তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িত আছে। এই পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। তাদের এ সফলতায় অনুপ্রানিত হয়ে অনেকেই না বুঝে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নেমে পড়েন। তবে কাজে নামার আগে কোন কাজটি মার্কেটপ্লেসে বেশি জনপ্রিয় বা বাংলাদেশিদের জন্য করা সম্ভব এসব বিষয় ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। ফ্রিল্যান্সিংয়ের এমনই জনপ্রিয় ৫ কাজ নিয়ে এই লেখা।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই সময়ে বিশ্বের ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রায় সবাই ক্রমেই ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সবাই চাচ্ছে তার একটি ভার্চুয়াল ঠিকানা হোক। কারণ, একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান একদিকে যেভাবে তার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, অপরদিকে বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত নিজস্ব শাখার সাথে আন্তঃযোগাযোগও সহজে এবং কম খরচে করতে পারে।
ওয়েব দুনিয়ায় বর্তমানে মোট ওয়েবসাইটের পরিমান প্রায় ৭০০ মিলিয়ন। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার ওয়েবসাইট। এই বিপুল সংখ্যক ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডিজাইনের পাশাপাশি প্রয়োজন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের। নতুন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কিংবা পুরাতন ওয়েবসাইটকে নতুনভাবে ডেভেলপ করার জন্য প্রয়োজন একজন ভালমানের ওয়েব ডেভেলপার। এ কারণেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসসহ লোকাল মার্কেটে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
web development-techshohorএকথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্সসহ জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য কাজ হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ওডেস্কে প্রায় সবসময়ই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে ১০ হাজারের অধিক জব থাকে। ইল্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ কাজই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের। প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে শত শত কাজ। ওডেস্কে প্রতি ঘন্টায় ১৫০ ডলারের বেশি রেটে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করছেন এমন অনেকেই রয়েছেন। তবে এই আয়ের পরিমান নির্ভর করে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে কতটা স্কিল করতে পারছেন তার উপর।
একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে অবশ্যই এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি, জাভাস্কিপ্ট, জেকোয়ারি, মাইএসকিউএলসহ সংশ্লিষ্ঠ আরও বিষয় ভালভাবে জানতে হবে। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে শিখে বিলিয়ন ডলারের ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বাজারে যেকেউ প্রবেশ করতে পারে।
ওয়েব ও গ্রাফিক্স ডিজাইন
আঁকা ঝোঁকাতে ঝোক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর নিয়ে গাছ, পাখি, ফুল, ফল, বাড়ির দৃশ্য বা কারো নাম বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করেন? পার্ট-টাইম বা ফুল টাইম কাজ খুঁজছেন? অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করতে চান? তাহলে ভেবে চিন্তে নেমে পড়তে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনে। অন্যান্য সব চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো অন্যান্য সব পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটা একটি সন্মানজনক পেশাও।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বেশ কিছু কালার, টাইপফেস, ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এটার আউটপুট ডিজিটাল বা প্রিন্ট উভয়ই হতে পারে। নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব হয় না! ইন্টার্যাাক্টিভ মিডিয়া, প্রমোশনাল ডিসপ্লে, জার্নাল, কর্পোরেট রিপোর্টস, মার্কেটিং ব্রোশিউর, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইনসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজের চাহিদা রয়েছে। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেনো প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে।
Graphic-Design-TechShohor
ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজ এর মতে, একজন ডিজাইনার প্রতি বছরে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা এ সম্পর্কিত চাকরি বা কাজ করে ১ লাখ ডলার সেই হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় ৮০ লাখ টাকা আয় করতে পারে। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে সাধারণত ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসিক ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটি লোগো ডিজাইন করলে ৫ থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে দক্ষতার ক্ষেত্রে ও বেশি ক্রিয়েটিভ কাজ হলে এটি ৫ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে।
এছাড়া একটি ওয়েবসাইটের ফাস্ট পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। ৯৯ডিজাইনস ডটকম, ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্কসহ অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে এই কাজগুলো পাওয়া যায়। তাই ওয়েব ও গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে একজন ফ্রিল্যান্সারের সবচেয়ে উপযোগি পেশা।
কনটেন্ট রাইটিং
অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং অথবা কনটেন্ট ডেভেলপিং বলা হয়। যারা ইংরেজিতে ভালো তাঁরাই লেখালেখিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। কনটেন্ট রাইটাররা বিভিন্ন কাজের জন্য কনটেন্ট লিখে থাকেন। ওয়েব কনটেন্ট ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য রিসোর্স বই, ব্রশিউর, লিফলেট বা অন্যান্য প্রচারণার কাজে কনটেন্ট ডেভেলপ করা হয়ে থাকে।
একজন কনটেন্ট ডেভেলপারের অনেক কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। ক্ষেত্রগুলো হলো- কপিরাইটিং, ব্লগ লেখা, ওয়েব কনটেন্ট, প্রেস রিলিজ রাইটিং, ট্রান্সলেশন, ট্রান্সক্রিপশন, সামারাইজেশন, রিজিউম রাইটিং, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি। লেখার বিষয়টা নির্ভর করে লেখকের দক্ষতা, রুচি, সহযোগিতা সর্বোপরি যে সাইট বা বিষয়ের জন্য লেখা হচ্ছে সেটার চাহিদার ওপর।
তবে বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন একজন ওয়েব কনটেন্ট রাইটারকে কোনো নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করে ডেটাবেজ তৈরি করতে হয়। উন্নত বিশ্বে একজন কনটেন্ট রাইটারকে একজন সাংবাদিক আবার গবেষকও অভিহিত করা হয়। বিষয়বস্তু অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হয় লাইন অফ অ্যাকশন। লেখা অবশ্যই প্রাঞ্জল ও গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে।
content-writing-techshohor
রাইটার হিসেবে মনে রাখতে হবে, যারা ওয়েবসাইটে আপনার লেখা পড়বেন, তিনি মিনিট প্রতি বা ঘণ্টা প্রতি নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং তিনি চাইবেন সবচেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পড়তে। তাই তথ্য নির্ভর, সংক্ষিপ্ত বিষয়ভিত্তিক লেখাই আপনাকে লিখতে হবে। কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অন্যের লেখা কপি করা যাবে না। এতে লেখক হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে তেমনি উপার্জনের পথও প্রশস্থ হবে।
কনটেন্ট রাইটার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো হতে হবে। প্রয়োজন শুদ্ধ বানান। আমেরিকান স্পেলিং শুদ্ধভাবে জানতে হবে। গ্রামার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ ও আমেরিকান গ্রামার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা ভালো। আর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে যেমন ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ সমন্বয়, কাভার লেটার লেখা, আপডেটেড থাকা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশে এমন অনেক ফ্রিল্যান্স লেখক আছেন যারা ঘন্টায় ১০-১২ থেকে ৩০ ডলার আয় করে থাকেন। এছাড়া দেশি-বিদেশি ইন্টারনেট মার্কেটিং অথবা কনটেন্ট মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানেও আপনি ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বেতনে চাকরি করতে পারেন। তাই কনটেন্ট রাইটার হিসেবেও ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
ব্লগিং অ্যান্ড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
মার্কেটপ্লেসের কাজ না হলেও, অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। বাংলাদেশ থেকেই এখন প্রচুর তরুণ-তরুণী ব্লগিং-অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে নিজেদের স্মার্ট ক্যারিয়ার নিশ্চিত করেছেন। এই সেক্টর থেকে প্রতিমাসে ২ থেকে ১০ হাজার ডলার আয় করছেন এমন সফল ব্লগার ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের সংখ্যাও এখন অনেক। ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রায় একই বিষয়। দুটিই একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা সম্ভব। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কেবল টাকা নয়, পাওয়া যায় বিপুল সম্মানও। আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্লগারদের সাংবাদিক হিসাবেও এখন গণ্য করা হয়। স্মার্ট ক্যারিয়ার হিসাবে তাই ব্লগিং এখন ওয়েব উদ্যোক্তাদের মধ্যে ‘হট-কেক’!
blogging-TechShohor
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনেক উপায়েই আয় করা যায়, তন্মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টের এ বিজ্ঞাপন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০ হাজার ডলারের উপরে আয় করছেন এমন ব্লগারের সংখ্যাও বাংলাদেশে রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স এবং সরাসরি বিজ্ঞাপন স্পেস বিক্রিসহ আরও নানান উপায়ে আয় করতে পারেন একজন ব্লগার। নিজের ব্লগের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পণ্যকে সুপারিশ করেও (রেফার) আয় করার সুযোগ রয়েছে একজন ব্লগারের, যাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। ইন্টারনেট থেকে ভালো আয়ের ক্ষেত্রে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও একটি উপযোগি মাধ্যম। এই মাধ্যমে আপনি অন্য যেকোনো আয়ের উপায় যেমন অ্যাডসেন্স থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন।
তবে বিশাল এ ক্ষেত্রটিতে এগিয়ে যেতে আপনাকে কৌশুলী হতেই হবে, জানতে হবে পরীক্ষিত সব উপায়। ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে অ্যামাজান অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, প্রোডাক্ট রিসার্স (চাহিদা সম্পন্ন লাভবান পণ্য নির্বাচণ করা), কিওয়ার্ড রিসার্স (সার্চ ইঞ্জিন থেকে টার্গেটেড ভোক্তা প্রোডাক্ট বেস কিওয়ার্ড নির্বাচন), প্রোডাক্ট রিভিউ লিখা (কাস্টমারকে পণ্য প্রদর্শণ ও লেখনির মাধ্যমে পণ্য কেনায় উৎসাহিত করা), অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সাইটে টার্গেট ট্রাফিক আনাসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে হয়। এক্ষেত্রে ইংরেজিতে কনটেন্ট লিখতে পারা বা লেখালিখিতে আগ্রহীরা এগিয়ে আসতে পারেন। সন্মানজনক এই পেশায় নাম লেখাতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
ইন্টারনেট বাণিজ্যের এই যুগে ওয়েবসাইট ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে তো কল্পনাই করা যায় না! আবার ওয়েবসাইট থাকলেই কিন্তু এখন চলেনা। এটি সর্বত্র পৌছে দিতে ব্যাপক মার্কেটিংয়েরও প্রয়োজন হয়। একটি ওয়েবসাইটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথমদিকে নিয়ে আসার যে কৌশল সেগুলোকেই মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয়ে থাকে।
দিন দিন বিশ্বব্যাপি যত ওয়েবসাইট বাড়ছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজের ক্ষেত্রও অনেক বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও তাই দিন দিন বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ। আর এ হিসাবে ফ্রিল্যান্সার হতে চাওয়া তরুণ-তরুণীদের অন্যতম পছন্দ হতে পারে এ ক্ষেত্রটি। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুসারে, একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। প্রয়োজন কেবল সঠিক নির্দেশনা, প্রচেষ্টা, ধৈর্য এবং সময়। বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এই পেশায় বেশ ভালো করছে। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত ব্লগ এসইওমজ-এর ডাটা অনুযায়ী প্রতি ১০০ জন ফ্রিল্যান্স সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের মধ্যে ২৩ জনই নারী।
Search-engine-optimization-TechShohor
ওডেস্ক এর বিলিয়ন ডলারের এ মার্কেটপ্লেসের ১২ শতাংশ এখন আমাদের দখলে, আর এর মধ্যেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর কাজ সবচেয়ে বেশি করা হয়। শুধু ওডেস্ক নয় অন্যান্য মার্কেটপ্লেসেও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর কাজে বাংলাদেশিদের পদাচারণা বাড়ছে। ২০১২ সালে ফ্রিল্যান্সার ডট কম আয়োজিত ‘কনটেন্ট রাইটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)- ২০১২’ প্রতিযোগিতায় পাকিস্থান, অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশের ফ্রিল্যান্সারদের হারিয়ে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ইন্টারনেট মার্কেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডেভসটিম লিমিটেড প্রথম হয়। আর এ জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) বিশ্বে বাংলাদেশ এখন খুব পরিচিত একটা নাম।
আপনি যদি ইংরেজিটা মোটামুটি জানেন তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা শুরু করে দিতে পারেন। এসইও-র এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো খুব কঠিন কিছু নয়। দু’তিন মাসের ট্রেনিং নিয়েই এ ধরণের কাজ করা যায়। কোথায় পাবেন প্রশিক্ষণ? ইন্টারনেট থেকেই শিখতে পারেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের খুঁটিনাটি। প্রয়োজনে নিতে পারেন প্রশিক্ষণ। ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন চাহিদা সম্পন্ন এই কাজে।

সিরাজগঞ্জে আদালত চত্বরে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়েছে

জানা যায়, পৌর এলাকায় মহিরউদ্দিন (৫০) নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী রোববার রাতে রেলওয়ে কলোনীতে খুন হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই মিরপুর রেলওয়ে কলোনির এরশাদ আলীর ছেলে উজ্জ্বল (২৫) ও একই মহল্লার আনসার আলীর ছেলে গোলাম হোসেন (২২) কে আটক করে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ আসামি দু’জনকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এখান থেকে গোলাম হোসেন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, আসামি আমাদের কাছে হস্তান্তর করার আগেই পালিয়েছে, তাই এ ঘটনার সব দায় সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার।

এ বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কোর্ট পুলিশের কাছে আসামিদের বুঝিয়ে দেওয়ার পরেই গোলাম হোসেন পালিয়েছে। তবে বুঝিয়ে দেওয়ার লিখিত কোনো প্রমান তিনি দেখাতে পারেননি।

এ ঘটনায় আদালতপাড়া ও পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সিরাজগঞ্জে হোটেল ব্যবসায়ী খুন, আটক ২।


সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনীতে মহির উদ্দিন (৫০) নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।

মহির উদ্দিনের বাড়ি রেলওয়ে কলোনীতে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মিরপুর রেলওয়ে কলোনীর এরশাদ আলীর ছেলে উজ্জল (২৫) ও একই মহল্লার আনসার আলীর ছেলে গোলাম হোসেন (২২) কে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানান, রোববার সকালে হোটেল ব্যবসায়ী মহির পাওনা টাকা চাইলে গোলাম হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহির গোলামকে মারপিট করে।

রাত নয়টার দিকে হোটেল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মহির রেলওয়ে কলোনী মাদ্রাসার নিকট পৌঁছলে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা গোলাম হোসেনসহ চার পাঁচজন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

পরে খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গেপাঠায়। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

ড. জাফর ইকবাল বলেছেন :- দেশের চলমান সহিংসতার সমাধান রয়েছে। জামায়াতকে বাদ দিয়ে সবাই এক হয়ে গেলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।

যাঁরা নির্বাচন বন্ধ করতে চান তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে সহিংসতা বন্ধ কর। তারপর তুমি রাজনীতি নিয়ে কথা বল। সহিংসতা বন্ধ না করলে তাদের নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলার অধিকার নেই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি খুব সহজ। এটি খুবই সঠিক আবার বেঠিক। যারা মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবেন তাদের সঙ্গেই থাকতে হবে।নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু অনেকে নির্বাচন বন্ধের কথা বলছে। নির্বাচন বন্ধ না হলে সহিংসতা হবে। তাহলে কি জামায়াতকে নির্বাচনে আনার জন্য নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। অনেক বড় বড় পত্রিকা ও সম্পাদক নির্বাচন বন্ধের কথা বলছেন। কিন্তু তারা সহিংসতা বন্ধের কথা বলছেন না কেন ?

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে গেছে। তখন এনজিওগুলো বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন বন্ধের কথা বলছেন। তারা কেন তা বলছেন তা আমাদের জানা। এনজিওগুলো কিভাবে চলছে, সেটাও আমাদের জানতে হবে।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের দেশের জন্য যদি মায়া থাকে, তাহলে তোমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। যখন দরকার পড়বে রাস্তায় নেমে আস। তোমাকে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করতে হবে না, বাংলাদেশ করতে হবে। মনে রাখবে, একাত্তর সালে তরুণরাই দেশ স্বাধীন করেছে।

তিনি বলেন, আমার কোন ফেসবুক এ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু খুব দুঃখ লাগে যখন দেখি বাঁশেরকেল্লা নামের একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে একমত হয়ে দেশের বড়বড় সংবাদপত্র ও এর সম্পাদক বলেন নির্বাচন বন্ধ কর।

তিনি বলেন, বড় বড় সম্পাদকের সঙ্গে দেখা হলে বলতাম, যখন একজন মানুষ মরে, তখন জানতে হবে কেন মরছে। নির্বাচনের জন্য নাকি যুদ্ধাপরাধের নির্বাচন বন্ধের দাবিতে। আমি এ ধরনের সুশীল বুদ্ধিজীবী হতে চাই না। আমি লজ্জা পাই। ভাবি আমি এর মধ্যে পড়ে গেলাম কিনা।

বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের না যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার দেখলাম আমরা স্মৃতিসৌধে সাদা চামড়ার লোকেরা যায়নি। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। বিদেশী ও সাদা চামড়ার লোকদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে হব

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ ১ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড এবং ওয়াই-ফাই সংযোগের আওতায়


পোস্ট করা হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, সকাল ৪:১০সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ ১ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড এবং ওয়াই-ফাই সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং উন্নতমানের জনসেবা নিশ্চিত করতে আরো একটি গুরুত্বপুর্ন ধাপ অতিক্রম করা হল।

যেসব আসনে আজ ভোটযুগান্তর রিপোর্টপ্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি, ২০১৪দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪৭ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকি ১৫৩ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওই সব আসনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে না। ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৯ জেলায় ভোট হবে। ভোট হচ্ছে না চাঁদপুর, রাজবাড়ী, জয়পুরহাট, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায়। এই জেলাগুলোর সব আসনেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।নির্বাচন হচ্ছে ১৪৭ আসনে : যেসব আসনে নির্বাচন হচ্ছে তা হল পঞ্চগড়-১ ও ২, ঠাকুরগাঁও-১ ও ৩, দিনাজপুর-১, ৩, ৪, ৫ ও ৬, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-১ ও ৩, রংপুর-৩, ৪, ৬, কুড়িগ্রাম-১, ৪, গাইবান্ধা-১, ২, ৩, ৪, বগুড়া-৪ ও ৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, নওগাঁ-৩, ৪ ও ৫, রাজশাহী-৩, ৬, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-৫, পাবনা-১ ও ৩, মেহেরপুর-১ ও ২, কুষ্টিয়া-১, ৩, ৪, চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২, ঝিনাইদহ-১, ২, ৩, ৪, যশোর-২, ৪, ৫ ও ৬, মাগুরা-১ ও ২, নড়াইল-২, বাগেরহাট-৪, খুলনা-১, ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-১ ও ২, বরগুনা-১ ও ২, পটুয়াখালী-১ ও ৩, ভোলা-২ ও ৩, বরিশাল-২, ৩, ৪, ঝালকাঠী-১, পিরোজপুর-৩, টাঙ্গাইল-২, ৫ ও ৬, জামালপুর-১, ২, ৪, ও ৫, শেরপুর-১, ২ ও ৩, ময়মনসিংহ-৩, ৬, ৭, ১০ ও ১১, নেত্রকোনা-১, ২ ও নেত্রকোনা-৩, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-১, ২, ঢাকা-১, ৪, ৫, ৬, ৭, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮, গাজীপুর-৪, নরসিংদী-১, ২ ও ৩, নারায়ণগঞ্জ-১, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, ২ ও ৩, সুনামগঞ্জ-১ ও ৩, সুনামগঞ্জ-৫, সিলেট-২ ও ৪, মৌলভীবাজার-১ ও ২, হবিগঞ্জ-২, ৩, ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, ২, ৩ ও ৫, কুমিল্লা-১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮ ও ৯, ফেনী-৩, নোয়াখালী-৬, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-২, ৩, ৪, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫ ও ১৬, কক্সবাজার-৪, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান।নির্বাচন হচ্ছে না ১৫৩ আসনে : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৫৪ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। ফলে স্ব স্ব আসনের রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে হাইকোর্ট কুমিল্লা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম কামরুল ইসলামের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করে। ফলে ইসি ওই আসনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে এখন ১৫৩ আসনে ভোট হচ্ছে না। এই আসনগুলোর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১২৭, জাতীয় পার্টি (জাপা) ২০, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক পার্টি-জাসদ তিন, ওয়ার্কার্স পার্টি দুই এবং জাতীয় পার্টি-জেপি প্রার্থীরা একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।১৫ জেলায় একটি আসনে নির্বাচন : ১৫ জেলায় একটি আসনে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে আছে সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নড়াইল, বাগেরহাট, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, কক্সবাজার।১১ জেলায় সব আসনে নির্বাচন : নির্বাচনে ১১ জেলার সবগুলো আসনে ভোট হচ্ছে। এই জেলাগুলো হলো গোপালগঞ্জ, শেরপুর, পঞ্চগড়, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরগুনা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান।আংশিক ভোট হবে যেখানে : রাজধানী ঢাকাসহ যেসব জেলায় আংশিক ভোট হবে সেগুলো হচ্ছে লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, সাতক্ষীরা, ভোলা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, লক্ষ্মীপুর।- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2014/01/05/56089#sthash.GBA5AOJz.dpuf

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।