শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মীর মোশারফের নির্বাচনী এলাকায় দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন

সিরাজগঞ্জ -৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের  নির্বাচনী এলাকায় অনুষ্ঠিত শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা করেছেন বেলকুচির কৃতি সন্তান সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা, বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন।
শুক্রবাবার সন্ধ্যায় চৌহালী উপজেলাধীন এনায়েতপুরের খামারগ্রাম কালী মন্দির পুর্জা মন্ডপ প্রাঙ্গণে সদিয়া চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে একটি সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত, তুখোড় সাবেক ছাত্র নেতা মীর মোশারফ হোসেন।
এসময় এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্মসম্পাদক মফিজ উদ্দিন  মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ উদ্দিন,  বেলকুচি উপজেলা পূর্জা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি ব্যোদ্দ নাথ শাহ, বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বদর, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা নয়ন মিয়া, দৌলতপুর আঞ্চলিক আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবুল, শহর আওয়ামীলীগের নেতা এস এম আজম, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না, যুগ্মসম্পাদক ডা. মাহমুদুল হাসান শুভ, বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের নেতা মাহমুদুল হাসান সেলিম, এনায়েতপুর থানা সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম, যুবলীগের নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, চৌহালী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগের নেতা আনাছার আলী জয় ও মনিরুল ইসলাম মোন্নাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেলকুচি, চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময় শেষে ৭১টি শারদীয় দূর্গাপূর্জা মন্ডপের সভাপতি সম্পাদকের মতবিনিময় করেন। স্বার্বজনীন  ভাবে শারদীয় দূর্গাপূর্জা উৎযাপনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন  তিনি হিন্দুদের এই সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার আছে বলে আমরা সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভাল ভাবে করতে পারছি।
প্রায় ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। গত পাঁচ বছরের মতো এবারও জন্মদিনে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদান শেষে বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। ওয়াশিংটনের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ২৬ সেপ্টেম্বর, সকাল ৬টা) তাঁর গলব্লাডারে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানাসহ ভাগ্নে-ভাগ্নি, নাতি-নাতনীদের সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে জন্মদিন পালন করবেন শেখ হাসিনা। আগামী ৫ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

কাজিপুরে ১৫টি পুজামন্ডব পরির্দশন করেন (সিরাজগঞ্জ-১) আসনের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।

পারভেজ আহমেদ, কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
তিনি হিন্দুদের এই সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার আছে বলে আমরা সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভাল ভাবে করতে পারছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, কাজিপুর পরৌসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ভাইজ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার , স্বস্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

“আ,লীগ শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারি উন্নয়ন করেছে” -সাবেক এম,পি প্রকৌশলী তাসভির শাকিল জয়

মোঃশাহজাহান আলী, কাজীপুর প্রতিনিধিঃ
জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর দৌহিত্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহবম্মদ নাসিমের সুযোগ্য সন্তান, সাবেক এম,পি প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় বলেছেন আ,লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারি  উন্নয়ন করেছে, পরিবর্তন এনেছে এবং আজ আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বাড়ছে যা আগামিতে উন্নত দেশ গড়তে আমাদের প্রয়োজন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাওে ৯টার দিকে কাজীপুরের গান্ধাইল উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্ভোধন উপলক্ষ্যে আয়োজীত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  সাবেক এম পি জয় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে  শিক্ষার্থী  ঝড়ে পড়ারোধে উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই প্রদান সহ উন্নত পরিবেশে লেখাপড়া নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর এর অংশ হিসাবেই আজ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হল। বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব শাহআলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শফিকুল ইসলাম,আ,লীগ নেতা খলিলুর রহমান, চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, যুবলীগ নেতা হায়দারআলী, আ,লীগ নেতা শহিদ সরোয়ার, সাংবাদিক শাহজাহানআলী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

কাজিপুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করেন - সাবেক সাংসদ জয়

পারভেজ আহমেদ, কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করেন - সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। শুক্রবার (২২শেষ সেপ্টেম্বর) কাজিপুরের ছয়টি ইউনিয়নের বন্যার্ত ঘর বাড়ী হারানো মানুষের নতুন করে বসবাস করার জন্য কাজিপুর উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে তিন লক্ষ্য ত্রিশ হাজার টাকা ও একশত বিশ বান টিন বিতরণ করেন প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় (সাবেক এমপি, সিরাজগঞ্জ-১)

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইজ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, কাজিপুর উপজেলা পিআইও, স্বস্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ। 

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পাওবোর নতুন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সিরাজগঞ্জে সাবেক সাংসদ জয়ের আনন্দ-শোভাযাত্রা



পানি উন্নয়ন বিভাগের একটি প্রকল্প সিরাজগঞ্জের উন্নয়নধারাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সর্বস্তরের জনতা মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহ এক আনন্দ মিছিলের উদ্বোধন ও নেতৃত্ব দেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
 
মোটর শোভাযাত্রাসহ আনন্দ মিছিল যমুনাপারের ছোনগাছা বাজার থেকে কাজীপুরের মেঘাই যমুনা নদীর তীর  পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার প্রদক্ষিন করে পথ সভায় মিলিত হয়। পরে সেখান থেকে আবার আনন্দ মিছিল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকায় যমুনানদীরপাড়ে এসে শেষ হয়। বাহুকায় স্বতস্ফুর্তভাবে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, এই প্রকল্প সিরাজগঞ্জ থেকে কাজীপুর পর্যন্ত যমুনাপারের দৃশ্যপটও পাল্টে দেবে।  মানুুষ আর ভাঙ্গন তান্ডবলীলায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।  প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এবং পানি নেমে যাবার সময় ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা থেকে যমুনাপারের মানুষ রেহাই পাবে । সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষায় বহু প্রতীক্ষিত ও কাঙ্খিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ  প্রকল্পটি ১২ সেপ্টেম্বর একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ”যমুনা নদীর ভাঙ্গন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার খুদবান্দি-সিংড়াবাড়ি- শুভগাছা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্প ” অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে চার শ পয়ষট্রি কোটি ছেষট্রি লাখ টাকা।  সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্পের ব্যয় মেটানো হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। 
এসময় তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর যমুনা নদীর ভাঙ্গন এ অঞ্চলের মানুষকে সহায় সম্বলহীন করে তোলে। ভাঙ্গনে অনেক পরিবারে নাড়ির বাঁধনও ছিন্ন হয়ে যায় । চলতি বছরের বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকায বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় দুই শ পরিবার ভিটে মাটি সহায় সম্বল হারিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে জমি হুকুম দখল ছাড়াই বাহুকায় তড়িঘড়ি করে নতুন রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সে বাঁধও পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাায়। তলব করা হয় সেনাবাহিনী। প্রায় চার দিন পানি উন্নয়ন বিভাগের নেতৃত্বে দিন রাত কাজ করে সেই বাঁধ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সে সময় সারা দেশে বাহুকা বাঁধ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম , পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালকসহ বিভাগীয় কর্মকর্তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদও বার বার বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। বাহুকার পাশ্ববর্তী এলাকা সহ গোটা সিরাজগঞ্জের মানুষ যেন সেই চার দিন আতংকের মধ্যে বসবাস করেছে।

পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, প্রকল্প অনুমোদনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জ হতে কাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিঃমিঃ  এলাকা স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন মুক্ত হবে। এর আগে প্রায় সাড়ে তিন শ কোটি টাকা ব্যয় করে যমুনাপারে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে।   এ প্রকল্প বাস্তবায়নের যমুনাপারের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে।  যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙ্গন হতে কাজীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন  স্থাপনা ও সম্পদ রক্ষা করা এ  প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ১৮ কিঃমিঃ যমুনা নদীতে ড্রেজিং, যমুনাপারের  দুটি স্পার শক্তিশালী করন, ব্রক্ষ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংরক্ষণ ও  ৪০ কিমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করা। প্রকল্প ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান। 

এসময় আরো বক্তব্যদেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু, ইউপি চেয়ারম্যান ও ছোনগাছা ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সহিদুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যাস গোলাম মোস্তফা খোকন, মেঘাই পথসভায় কাজীপুর উপজেলা আওযামীলীগের সভাপতিশওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ও পৌর মেয়র হাজী নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। পথে পথে যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে আনন্দ মিছিলকে অভিনন্দন জানায় এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে অভিনন্দন জানায়।

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পিকনিকে গিয়ে খুন সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মনতোষঃ লাশ মিলল নদীর কচুরিপানায়

সিরাজগঞ্জের  বেলকুচিতে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর মনতোষ কুমার সরকার (২৮) নামে এক সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবারসকালে   উপজেলার   বিশ্বাসবাড়ী   গ্রামে   হুড়াসাগর   নদীতে কচুরিপানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মনতোষ কুমার উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের খাস সোনামুখী গ্রামেরমঙ্গল চন্দ্র সরকার ওরফে মংলা  ও বনবালা সরকারের ছেলে। এলাকা ও স্থানীয়বাসীরা জানায়, জোকনালা গ্রামে মনতোষ কুমারসরকারের মৃত্যুর খবর শুনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং বাড়িতেচলছে শোকের মাতম। মনতোষ কুমার সরকার ছোট কাল থেকেই ছাত্র ছিলমেধাবী। সে খাস সোনামুখী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করেখাস সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভাল ফলাফল করে সিরাজগঞ্জ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে   উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি হয়  বানিজ্য বিভাগ নিয়ে। মনতোষ কুমার  সরকার কলেজ জীবন নিজের জীবনকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌছানোর জন্য অনার্সে ভর্তি একই বিশ্ববিদ্যালয় এন্ড কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালের ফলাফলে ম্যানেজম্যান্ট বিষয় নিয়েএম. কম প্রথম বিভাগে পাশ করে। মঙ্গল চন্দ্র সরকার ওরফে মংলা ও বনবালা সরকারের দুই ছেলে। তার মধ্যে মনতোষ কুমার সরকার বড় এবং দ্বিতীয়ছেলে দীপক কুমার সরকার মনুষিক রুগী ।  আজ পাগল ছেলে রয়ে গেল, চলে গেলমেধাবান ছেলে মনতোষ কুমার সরকার। 

এদিকে বেলকুচি থানা পুলিশ নিহত মনতোষ কুমার সরকারকে হত্যারসাথে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন, কামারখন্দউপজেলার   বলরামপুর   গ্রামের   গিয়াস   উদ্দিনের   ছেলে   শিপন   (৩২)বেলকুচি উপজেলার খাস সোনামুখী গ্রামের দেওয়ান কুমারের ছেলেসুজন কুমার। বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক শামীম রেজা জানান,মনতোষ সোমবার রাতে নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার দুপুরে তার কাকাতোভাই   অচিন্ত্য   কুমার   থানায়  অভিযোগ   দায়ের   করেন।   অভিযোগেরপ্রেক্ষিতে শিপন ও সুজনকে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।তাদের দেয়া তথ্যমতে বুধবার সকালে বিশ্বাসবাড়ী হুড়াসাগর নদীতেকচুরি পানার ভেতরে লুকানো মনতোষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন খাস সোনামুখী গ্রামের দেওয়ান কুমারের ছেলে সুজন কুমার ও জেলার কামারখন্দ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শিপন (৩২)।

নিহত যুবকের চাচাতো ভাই অচিন্ত কুমার সরকার জানান, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিবেশী সুজনের সঙ্গে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে বলরামপুর গ্রামে শিপনদের বাড়ি যান মনতোষ। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি মনতোষের ভাই কৃষ্ণ কুমারকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা কীভাবে, কোথায় দিতে হবে তা নিয়ে রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় কথা হয়। তারপরও মনতোষের সন্ধান মিলছিল না। পরে দুপুরে থানায় অভিযোগ করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকালে নদীতে তার মরদেহ পাওয়া গেলো।

বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, অভিযোগ পেয়ে রাতেই শিপন ও সুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে বুধবার সকালে বিশ্বাসবাড়ী হুড়াসাগর নদীতে কচুরিপানার ভেতরে লুকানো মনতোষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নোবেল শান্তির ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭ এর জন্য মনোনীত ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৬ অক্টোবর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করবে। ওই দিনই নোবেল কমিটি এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮টি নাম আসে। এটি নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাম। গত বছর ৩৭৬ জনের নাম এসেছিল। নোবেল কমিটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে মনোনয়ন প্রস্তাব গ্রহণ করে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখের মধ্যে তারা তাদের প্রস্তাব জমা দেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭ এর জন্য মনোনীতদের মধ্যে ২১৫ জন ব্যক্তি এবং ১০৩ প্রতিষ্ঠান। মার্চে এই তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে তা প্রেরণ করা হয় উপদেষ্টা মূল্যায়নের জন্য। জুলাই মাসে উপদেষ্টা মূল্যায়ন চূড়ান্ত হয়। উপদেষ্টা মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা উপস্থাপিত হয় কমিটির কাছে। কমিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান করেন।

নোবেল কমিটি কখনো নামের তালিকা বা সংক্ষিপ্ত তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না। তবে, যারা মনোনয়ন দেন এবং বিভিন্ন সূত্রে সংক্ষিপ্ত তালিকা বেরিয়ে আসে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নামও রয়েছে। এছাড়াও সিরিয়ার শরণার্থীদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ হোয়াইট হেলমেটও আছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়।আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন এর নেতা সুসান এন হারম্যানের নামও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে। মার্কিন পিস গ্রুপ কোড পিঙ্ক এবং ‘গ্লোবাল এক্সচেঞ্জ’ মানবাধিকার গ্রুপ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মেডা বেঞ্জামিনও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন। নরওয়ের শান্তি শিক্ষাবিদ জন গ্যালটাঙ্গের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকে। তিনি শান্তিবাদী তরুণ সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনের একজন প্রবক্তা।
 
এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম আছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁর জিরো টলারেন্স এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি শান্তির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এছাড়াও শান্তি সংগঠন ‘ওয়ান বিলিয়ন অ্যাক্ট অব পিস’, পোপ ফ্যান্সিসের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও অক্সফ্যাম বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যাম বাংলাদেশ ও এটুআই যৌথভাবে কাজ করবে গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র বেকার যুব ও যুবমহিলাদের মাঝে। এটুআই প্রোগ্রাম ও অক্সফ্যাম ৫ হাজার যুবক ও যুবমহিলাকে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় এ্যাপ্রেনটিচশিপের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলবে। তারা সপ্তাহে ৫ দিন হাতে কলমে কাজ শিখাবে এবং একদিন তাত্ত্বিক বিষয়ে জ্ঞান দেবে। এছাড়া গ্রামীণ যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হওয়া ও স্ব-কর্ম সন্ধান ও আত্মকর্মসংস্থান  কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক এবং প্রেরণামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এ কার্যক্রমে। ইতোমধ্যে আইএলও- এর সহযোগিতায় এটুআই এ পর্যন্ত ৩০টি উপজেলায় ইনফরমাল সেক্টরে ৩৬টি ট্রেডে ১২’শ যুব ও যুবমহিলাদের কর্মে যুক্ত করেছে।
 এ ধারাকে অব্যহত ও গতিশীল রাখতে আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়-এর এসএসএফ ব্রিফিং রুমে এটুআই ও অক্সফ্যাম বাংলাদেশ-এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়-এর মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার এবং অক্সফ্যাম বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এম বি আখতার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন শরণার্থী শিবিরে অক্সফ্যাম এর সেবামূলক কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়-এর এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এক্সপার্ট আসাদ-উজ-জামান, অক্সফ্যাম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. খালিদ হোসেন,  ম্যানেজার মনীষা বিশ্বাস, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জলি নূর হক এবং এটুআই ও অক্সফ্যাম এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব ও সাংবাদিকতার অনিশ্চিত যাত্রা

আমীন আল রশীদ’র আরও লেখা
দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার অফিসটি আমাদের অফিস লাগোয়া। ফলে ওই পত্রিকার কর্মী এবং আমরা ফুটপাথের একই দোকানে চা খেতাম। সাংবাদিক নেতা হেলাল ভাইয়ের সাথে ইয়ার্কি-মশকরা হতো। বস্তুত সকালের খবরের কয়েকজন রিপোর্টার আমাদের চায়ের আড্ডাকে প্রাণবন্ত করে রাখতেন। সেই মানুষগুলো এখন বেকার। চাকরি না পেলে আগামী মাস থেকে অনেককেই হয়তো বাকিতে চা খেতে হবে। আগামী মাস থেকেই তারা আর আমাদের সাথে এই ফুটপাথে একসঙ্গে চা খাবেন না। এটা মেনে নেয়া খুব কঠিন।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করেই সংবাদটি আসে যে, সকালের খবর পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকসহ কর্মীর সংখ্যা তিনশোর বেশি। এর কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল যমুনা নিউজ।

দেশের গণমাধ্যমের এই সংকট নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সহকর্মী জানালেন, দুই মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ। দৈনিক ইনকিলাবের কর্মীরা বছরের পর বছর বেতন পান না। দাবি আদায়ে তারা রাজপথেও নেমেছেন। কিন্তু তার ফল কী হয়েছে? ইংরেজি দৈনিক অবজারভারেরও একই অবস্থা ছিল। যদিও সেটি নতুন করে আবার প্রকাশিত হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে যখন দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে দেয়া হলো, তখনও অনেক সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে অনেকে নিশ্চয়ই এখনও বেকার। অনেকে হয়তো পেশা বদলে ফেলেছেন। আবার এই পত্রিকাটির একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা ও তকমা থাকায় এর কর্মীদের পক্ষে অন্য কোথাও চাকরি পাওয়ায় বেশ কঠিন। যেমন কঠিন বন্ধ হয়ে যাওয়া দিগন্ত টিভির কর্মীদের অন্য কোনো টেলিভিশনে চাকরি পাওয়া।দিগন্ত টিভি বন্ধ হওয়ার পর অনেকে এখনও চাকরি পাননি বলে শোনা যায়। ফলে তাদের সংসার কী করে চলছে, তা আমরা জানি না। রাষ্ট্রও সেই খবর রাখার প্রয়োজনবোধ করে না। যেমন প্রয়োজনবোধ করবে না সকালের খবরের চাকরিচ্যুত কর্মীদের সংসার কী করে চলবে, সেই খবর রাখার। নিশ্চয়ই এই কর্মীদের মধ্যে কারো স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। কারো সন্তান হয়তো পৃথিবীতে আসবে এ মাসেই। এসে সে দেখবে তার বাবা একজন বেকার সাংবাদিক। এসে দেখবে তার জন্য পৃথিবীটা বাসযোগ্য করার যোগ্যতা তার অভিভাবকের নেই। অথচ তিনি সাংবাদিকতার মতো একটি ‘মহান’ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

২০০৭ সালে দৈনিক যায়যায়দিনের শতাধিক কর্মীকে একসঙ্গে ছাঁটাই করা হয়েছিল। ঈদের ছুটি শেষে অফিসে এসে দেখছিলাম অফিসের সামনে চাকরিচ্যুত কর্মীদের তালিকা টানানো। সেই তালিকায় নিজের নাম না দেখে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয়েছিল। কিন্তু পরক্ষণেই যখন ভাবলাম, যাদের সাথে একসঙ্গে এতদিন কাজ করলাম পাশাপাশি চেয়ারে বসে, যাদের সঙ্গে ফুটপাথে মাসুদের দোকানে চা খেতাম, আড্ডা দিতাম, সেই মানুষগুলো এখন থেকে আর আমার সহকর্মী নন; বরং তারা এখন বেকার; যাদের মধ্যে অনেকেই (বস্তুত অধিকাংশই) বেতন পাওয়ার পরে ঘর ভাড়া দিতেন––সেই মানুষগুলো আগামী মাস থেকে কী করে চলবেন, এটি ভাবতে একটা শীতল অনুভূতি যেন রক্তের ভেতর দিয়ে বয়ে যায়।

যায়যায়দিনের শুরুর দিনগুলোয় যার তত্ত্বাবধানে কাজ করতাম, এখন একটি টেলিভিশনের সিনিয়র পদে কর্মরত, সম্প্রতি জানালেন তিনি একটা নতুন সংবাদপত্রে যোগ দেয়ার কথা ভাবছেন। তাকে অনুরোধ করলাম জেনেশুনে এমন বিপদের দিকে পা না বাড়াতে। কারণ দেশের শীর্ষ কয়েকটি সংবাদপত্র বাদে বাকিদের যে দুরবস্থা, তা এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলেই জানেন। সুতরাং ‘আপনি এখন একটা টেলিভিশনে ভালো অবস্থানে আছেন, নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন, সুতরাং এটা ছেড়ে একটা অনিশ্চিত গন্তব্যে কেন হাঁটবেন?’ আমার সেই অনুরোধ তিনি রাখবেন কি না জানি না।

নদী রক্ষায় ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদনে আ.লীগের আনন্দ মিছিল

পারভেজ আহমেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে কাজিপুরে নদীর রক্ষার কাজের জন্য পাঁচশত কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে কাজিপুর ইউনিয়ন থেকে গান্ধাইল হয়ে শুভগাছা ইউনিয়ন পর্যন্ত নদী রক্ষার কাজ করা হবে। এ খবর পাওয়ার পরে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণ করেন- কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, কাজিপুর পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক উজ্জল কুমার, যুবলীগের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন রেজা সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেছসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সিরাজগঞ্জ থানার আয়োজনে দুর্গাপূজা সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খলের লক্ষে মত বিনিময় সভা

সিরাজগঞ্জ সদর থানার আয়োজনে আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল করার লক্ষে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন ।
বৃহস্পতিবার সদর থানা চত্বরে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কানু,সহ-সভাপতি রঞ্জন মন্ডল তপা,সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় সাহা,যুগ্ন সম্পাদক সুকান্ত সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুবির কর্মকার, সদর থানা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় দত্ত অলোক, শহর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হীরক গুণ। 
আরো বক্তব্য রাখেন কালী বাড়ী গোবিন্দ মন্দিরের সভাপতি জীবন বিশ্বাষ, যুগ্ন সম্পাদক সুকুমার দাস, মহাপ্রভুর আখড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক রশিক চন্দ্র পাল, ঘুড়কা মহাশ্বষান কমিটির সভাপতি প্রদীপ বসাকসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। এসময় সদর থানা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক দিলীপ গৌর, শহর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক রিংকু কুন্ডু।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর থানার তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি অপারেশন নুরুল ইসলাম, উপ পরিদর্শক আলী জাহান, আযীমসহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা আসন্ন দুর্গা পুজায় মন্দিরে মন্দিরে সাম্প্রীতি কমিটি গঠন, স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন, ডিজে বাজানো নিষেধসহ নানান দিক নির্দেশনা দেয়া হয় মন্দির কমিটি গুলোকে।

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ ও শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

উখিয়া, কক্সবাজার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাখাইনের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগণের ওপর অমানবিক আচরণ এবং অন্যায়-অত্যাচার বন্ধ করে প্রতিবেশী মিয়ানমারের প্রতি শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ নেপিডো’র সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় তবে কোন অন্যায়-অবিচার সহ্য করবে না।
রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ ও শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর সান্ত¦নার বাণী পৌঁছে দেন। তাঁর বোন এবং বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
শরণার্থীদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী রাখাইন সম্প্রদায়ের জনগণের প্রতি অত্যাচার বন্ধ এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের শরণার্থীদের দেশে ফেরত নিয়ে যাবার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ারমারের শরণার্থীদের পাশে রয়েছি এবং তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাব, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তাদের দেশে ফিরছে আমরা পাশে রয়েছি।’
মিয়ানমারের শরণার্থীদের দুরাবস্থা দেখার পর অন্তরের অন্তস্থলে গভীর দুঃখ অনুভব করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারাও মানুষ এবং মানুষ হিসেবেই তাদের বাঁচার অধিকার রয়েছে। তারা কেন এত দুঃখ কষ্ট ভোগ করবে?’
তিনি বলেন, ‘এই নিরীহ রাখাইন সম্প্রদায়ের ওপরে অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধে এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগ করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই রাখাইন সম্প্রদায়কে তাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করার মিয়ারমারের কোন অধিকার নেই। তাদেরকে মিয়ানমার সরকারের নিরাপত্তা দিতে হবে। যাতে নিজেদের দেশে তারা নিরাপদে বসবাস করতে পারে।’
এই বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে সবধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আগে তাদের এই রাখাইন জনগণের প্রতি অন্যায়-অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং জরুরি সেবা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত রাখবে, তাতে কোন সমস্যা হবে না- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে যদি সকলের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা সরকার বিধান করতে পারে সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের শরণার্থীদেরও কোন সমস্যা হবে না।
এই বার্তাও প্রধানমন্ত্রী আগত রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে দেন- এইখানে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যদি ফায়দা লোটার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুতরাং বিচ্ছিন্নভাবে হলেও কেউ যেন এ ধরনের কোন অপচেষ্টার সাথে লিপ্ত না হন। সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক করে দেন।
এলাকাবাসীর প্রতি তিনি আহবান জানিয়ে বলেন, এই সব আশ্রিত জনগণের সঙ্গে কোন অস্থির বা অমানবিক আচরণ করা যাবে না। সহনশীলতার সঙ্গে এবং মানবতার সঙ্গে যেন তারা এইসব মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বিবেচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক এবং শেখ রেহানার পুত্রবধু এবং সিনিয়র আইএমও কর্মকর্তা পেপী সিদ্দিক সহ স্থানীয় সাংসদ এবং জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এক দেশের নাগরিকদের অন্যদেশে আশ্রয় গ্রহণ সেই দেশের জন্যই অসম্মানজনক আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে অবিলম্বে মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আমাদের দেশের একদা সৃষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে যে রিফ্যুজি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেন। তৃতীয় কোন পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার সমাধান এবং ভারত থেকে ৬৪ হাজার শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনারও উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারে সৃষ্ট সংঘাত প্রসঙ্গে বলেন,বার বার আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু মানুষ কোন কোন জায়গায় এক একটা ঘটনা ঘটায়। তারাতো ঘটনা ঘটিয়েই চলে যায়। আর ভ’ক্তভোগী হতে হয় ছোট্ট শিশু, নারী আর সাধারণ মানুষজনদের। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারকে আমি বলব, তারা যেন এই নিরীহ মানুষগুলোর ওপর কোনরকম নির্যাতন না করে। এগুলো যেন তারা বন্ধ করে প্রকৃত দোষী যারা তাদের খুঁেজ বের করে। আর এটি করার জন্য আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যা যা সাহায্যের দরকার, আমরা তা করবো।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে বলেন, আমাদের একটা সিদ্ধান্ত যে কোনরকমের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-কোন কিছুই আমরা কখনো মেনে নেব না। বা আমাদের মাটি ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদি কাজ করবে তাও আমরা কখনো বরদাশত করবো না।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে হাজার, হাজার, লাখ, লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়ে চলে এসেছে। সেখানে (মিয়ানমারে) এখনো আগুন জ্বলছে। সেখানে এখনো অনেকে আপনজনের হদিস পাচ্ছে না। নাফ নদীতে ছোট্ট শিশুর লাশ ভেসে বেড়াচ্ছে। মানুষের লাশ ভাসছে-এটা সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী কাজ। সাধারণ শিশু, নারী, পুরুষ সাধারণ মানুষেরা কি অপরাধ করেছে যে, তাদের ওপর এই জুলুম-অত্যাচার। এই ধরণের কর্মকান্ড আমরা কখনই সমর্থন করতে পারি না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মিয়ানমার সরকারকে বারবার বলেছি- আমাদের তরফ থেকে একটা কথা বলেছি যে, সেই ’৭৮ সাল থেকে মিয়ানমারে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে আর মানুষ এখানে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। এদের ভোটের অধিকার, নাগরিক অধিকার-সব কেড়ে নেয়া হয়েছে। কেন এই অত্যাচার। এরাতো মিয়ানমারেরই লোক। মিয়ানমারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীতো নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন- এই রোহিঙ্গারা তাদেরই নাগরিক। তাহলে এখন তারা এই সমস্যা সৃষ্টি করছে কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটুকুই বলবো এ ধরনের ঘটনা। বিশেষ করে এটি একটি অমানবিক ঘটনা, এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। প্রতিবেশি দেশ আমরা। সেখানে কোন ঘটনা ঘটলে আমাদের ওপর চাপ পড়ে। তিনি বলেন, এই যে মানুষ আজকে এখানে এসেছে- আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে এখানে আশ্রয় দিয়েছি। কারণ স্বজন হারাবার বেদনাটা যে কি সেটা আমরা জানি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর এবং শেখ রেহানার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা দুটি বোন ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট মা, বাবা, ভাই সব হারিয়ে আমাদেরকেও রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছে। আমার মনে পড়ে ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল তখন আমাদের দেশের মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। এভাবেই ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল হানাদার বাহিনীরা। আমাদের নিজের ঘর, আমার দাদার বাড়ি, নানার বাড়ি এবং আমাদের আত্বীয়-স্বজনদের বাড়িঘর, আমাদের গ্রাম পুরো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করা হয়েছিল। আজকের যারা নতুন প্রজন্ম তারা পাকিস্তানী বাহিনীর সেই বর্বর অত্যাচার-নির্যাতন দেখেনি। কিন্তু আমরা যারা দেখেছি তারা স্মরণ করতে পারি কি ভয়াবহ তা ছিল। তাই এই শরনণর্থীদের প্রতি আমি সকলকে সদয় হতে বলব। মানবতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানাবো।

আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থাই আজ মিয়ানমারের শরণার্থীদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি রিলিফ কমিটি গঠন করে তাঁর মাধ্যমে ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, স্থানীয় প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করেছেন।
সরকার বায়মেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রিলিফ তৎপরতা চালিয়ে যাবার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শরণার্থীদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় লিপিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে তাদের কোন সমস্যা হলে আমরা দেখভাল করতে পারি এবং তাদের দেখভাল করাটা আমাদের দায়িত্ব। যাতে সবকিছু সুন্দরভাবে করতে পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শরণার্থীদের হাতে নিজে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় শরণার্থীরা তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে মিয়ানমারে তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্গত নারী ও শিশুকে কাছে টেনে নেন। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এই নির্যাতন বন্ধ করুন: মিয়ানমারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পের শরণার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতি নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে প্রথমে কক্সবাজার এবং সেখান থেকে সড়কপথে উখিয়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া নারী, পুরুষ, শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা। শরণার্থীদের মুখ থেকে দুর্দশার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীর চোখ ভিজে ওঠে। তার সঙ্গে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানাও এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা ছাড়াও তার পুত্রবধূ আইওএম কর্মকর্তা পেপ্পি সিদ্দিক এ সময় কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সিরাজগঞ্জে সোনা চোরাচালান মামলার রিয়াজ উদ্দিনকে আহবায়ক করায় সদ্য গঠিত কমিটির ১২জনের পদত্যাগ



সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের  সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সদ্য ঘোষিত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিকে অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ উল্লেখ করে এই কমিটি বাতিল দাবী করা হয়েছে। একই সঙ্গে নব গঠিত আহবায়ক কমিটি থেকে ১২ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন । সোমবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্য পদত্যাগের ঘোষনা দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু বলেন, একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় আহবায়ক কমিটি গঠন অগনতান্ত্রিক এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই গত ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি পত্রিকায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সদর  উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেজন্য তারা এই আহবায়ক কমিটি বাতিল দাবী করেন। একই সঙ্গে আহবায়ক কমিটিতে নাম থাকা তারা ১২ জন সদস্য আহবায়ক কমিটি থেকে  তাদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। একই সংগে  নির্বাচিত কমিটিকে অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পদত্যাগী নেতারা হলেন, সদর থানা আ'লীগের নব গঠিত কমিটির সদস্য গাজী মিজানুর রহমান দুদু, রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন, একই এলাকার গাজী আকবর হোসেন তালুকদার, ছোনগাছা এলাকার সাইফুল ইসলাম, ফিরোজ আহম্মেদ ও শফিকুল ইসলাম শফি, বাগবাটির বাবলু মল্লিক, আব্দুল লতিফ ও রঞ্জু আহম্মেদ, মেছড়া এলাকার বাদশা আলম, রজব আলী ও আল আমিন।

সাংবাদিক সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান দুদু  লিখিত বক্তব্যে বলেন ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ,স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কাউন্সিল এ কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আজাহার আলী খানকে সভাপতি ও তাকে (গাজী  মিজানুর রহমান দুদু)  সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জমা দেয়া হয়। এর মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি আজহার আলী খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কয়েক মাস পরে জেলা আওয়ামী লীগের  সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়াও মৃত্যুবরণ করেন। যে কারনে উপজেলা কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি থেমে যায়। তবে কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্র্তীতে  সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহনের পর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির একাধিক সভায় উপজেলা কমিটি অনুমোদেনের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি অনুমোদন করা থেকে বিরত থেকে কাল ক্ষেপন করে।

বক্তব্যে আরো বলা হয়ঃ এ অবস্থায় সভাপতি পদে শূন্যতা ও জেলা আওয়ামীলীগের কালক্ষেপনের কারনে এখনও পর্যন্ত সদর থানা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়নি। বিষয়টি লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিকেও অবগত করা হয়েছে। এপরিস্থিতিতে জেলা আওয়ামীলীগের কোন সভা ছাড়াই এবং কারও সাথে পরামর্শ না করে চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর একটি স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি সোনা চোরাচালান মামলার আসামী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনকে আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় তথাকথিত আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন অবৈধ। যে কারনে আমরা ১২জন ওই কমিটিতে থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে পদত্যাগ করেছি এবং নব গঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে পূর্বের নির্বাচিত কমিটি বহাল রাখার দাবী করছি। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগে শীঘ্রই প্রেরন করা হবে বলেন, এই নেতা। সংবাদ সন্মেলনে সদর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী, দপ্তর সম্পাদক শুকুল মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পদাক শাহজামালসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের সভা ভাংচুরের প্রতিবাদে বিশাল জনসভা



বেলকুচি প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আ’লীগের উদ্যোগে বনানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কৃতিসন্তান সন্তান মীর মোশারফ হোসেনের ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভা নস্যাৎ করতে শহীদুল  এবং হাফিজুল  রহমানের উপর আওয়ামী লীগে সদ্য অনুপ্রবেশকারী, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যোগে সমেশপুর হাই স্কুল মাঠে এ প্রতিবাদ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লাল চাদ আলীর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তালুকদার বদরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, বানানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেলকুচির সন্তান মীর মোশারফ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ। বক্তব্য রাখেন- বেলকুচি পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ বদিউজ্জামান বদি, যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম, রাজাপুরের কৃতিসন্তান ঢাকা বারডেম হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর গোলাম আজম, আওয়ামী লীগ নেতা এস,এম, আজম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিম ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন মুন্নাসহ প্রমুখ। 

এসময় বক্তারা বলেন- ২০১০সালের মুলিবাড়িতে খালেদা জিয়ার জনসভা থেকে চাঞ্চল্যকর ট্রেন পোড়ানো ঘটনার মামলা, উপজেলা আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য মামলার আসামী আতাউর রহমান জেলার একজন শীর্ষ নেতার হাত ধরে গত ৮মাস আগে আ’লীগে অনুপ্রবেশ করেন। এর পর  থেকে ওই নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে আতাউর আ’লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের অধিকাংশ নেতা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দ্বিমতকে উপেক্ষায় করায় আজ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আতাউর মাদক ব্যবসার ও সেবনের সাথে জড়িত হয়েছেন। এমন্তাবস্থায় এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এসময় বক্তারা ভবিস্যতে তার এ ধরণের কর্মকা- আর বরদাস্ত করা হবেনা বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

উল্লেখ্য আতাউর রহমান বিএনপি’র দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে ২০১৬ সালের ১৪নভেম্বর জেলা
বিএনপি’র তৃণমূল বর্ধিত সভায় কেন্দ্রিয় নেতাদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি থেকে তাকে  বহিস্কার করা হয়। তিনি বিএবেলকুচি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিব হিসেবে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং বেলকুচির রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান। এছাড়া, তিনি চাঞ্চল্যকর ট্রেন পোড়ানো ঘটনার মামলা, উপজেলা আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য মামলার আসামী। গত বিএনপি-জায়মাত জোট সরকারের আমলে তিনি নিজে তার ক্যাডার বাহীনি নিয়ে বেলকুচি উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মমিন তালুকদারের ছেলে মানিক তালুকদার, কার্যকরী সদস্য আব্দুল হাকিম, তৎকালীন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের কালীন সভাপতি শাজাহান মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক লাল চাঁন মেম্বর, সহ-সভাপতি আবু সাইদসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীর উপর হামলা-মামলাসহ বাড়ি-ঘর ভাংচূর করেন।

এছাড়াও, ২০০৬সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতনের সময় আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বেলকুচিতে একটি আনন্দ মিছিল বেড় করা হয়। সেই মিছিলের উপর আতাউর নিজে তার ক্যাডার বাহীনি নিয়ে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে গুলি চালান। ওই সময় আব্দুল লতিফ বিশ্বাস অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। এব্যাপারে আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
 

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মীর মোশারফের ঈদ শুভেচ্ছা সভা ভাংচুরঃ অবশেষে ঈদ শুভেচ্ছা সভা বিশাল জনসভায় পরিনত

সিরাজগঞ্জ- ৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারনের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন। ঈদের ৩য় দিন বিকেল ৫টায় বেলকুচির উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মকিমপুর বাজারে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজন করা।
কিন্তু বিকেল ৪টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ তার বাহিনী ওই কর্মীসভা ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে দল বেঁধে সভার চেয়ার টেবিল সহ মঞ্চ ভাংচুর করে এবং মাইক ওয়ালা সহ বেলকুচি থানা আওয়ামী লীগের ধর্মীয় সম্পাদককে মারধর করে। এবং তাদেরকে আওয়ামী লীগের কোন ধরনের সভা, মিটিং করলে হত্যার হুমকি প্রদান করে।

এবং এখবর চড়িয়ে পরার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি -চৌহালী) আসনের সকল অঞ্চলের দলীও নেতা কর্মৃ ও সাধারণ জনগণ যে যে ভাবে পারে সভাস্থলে ছুটে আসেন।
এদিকে মীর মোসারফ হোসেন দ্বীপ্ত আগুনের ন্যায় বিকাল ৫টায় যথা সময়ে সভাস্থলে পৌঁছলে সাধারণ ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা সভা বিশাল জন সভায় রুপ নেয়। এসময় বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে ব্যহত করতে দলে অনুপ্রবেশকারী চক্র বিএনপির (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদ, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ ধরণের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা কখনো আওয়ামীলীগের লোক ছিল না। বিএনপি জামাতের অনুপ্রবেশকারী চক্র মাত্র।
উক্ত মতবিনিময় সভায় রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শাজাহান আলী মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তালুকদার বদরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি-চৌহালী আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মীর মোশারফ হোসেন। বেলকুচি উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন সরকার, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না, বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিম, আওয়ামীলীগ নেতা এস এম গোলাম রেজা আরিফুল ইসলাম আরিফ, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

যাকেই দল মনোনয়ন দেবে, তার হয়ে কাজ করতে হবে- বেলকুচিতে মীর মোশারফ হোসেন

ঢাকার বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় আহতদের অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগের সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী আমাদের দল ক্ষমতায় থাকালে দেশে উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই। দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন সৎ নির্বিক সমাজ স্বেবক চায়। যাকে দিয়ে উন্নয়ন হবে তাকেই দেখতে চায় সাধারণ মানুষ। তিনি এসব কথা রোববার বিকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বানিয়াগাঁতী জামি আতুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ কবরস্থান মাদরাসার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের সহযোগি অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিষেশ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী খন্দকার ফজলুল হক ভাসানী, শাহাপুর দারুল হেফজ মাদ্রাসার মুহতামিম আলহাজ হাফেজ জালাল উদ্দিন, ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হযরত আলী আকন্দ, আ’লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী, এস এম গোলাম আজম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা রাশেদুল ইসলাম জিন্নাহ, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না, বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ। এ সময় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেত্রীবৃন্দ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জ- ৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারনের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন। ঈদের দিন বিকেল থেকে বেলকুচির সুবর্নসারাস্থ নিজ বাসভবনে বেলকুচি. চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা, ইউনিয়ন ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধানের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এছাড়া দলের দরিদ্র নেতাকর্মী ও এলাকার দুস্থদের জন্য আলাদা ভাবে পশু কোরবানি দিয়ে তাদের মধ্যে নিজ হাতে গোসত বন্টন করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর মোশারফ হোসেন। এদিকে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড নিযে আলোচনা ও গনসযোগ করতে তামাই পশ্চিম পাড়া, কাজীপুড়া চৌরাস্তা ও আজগরা ফুটানী মার্কেট এলাকায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
এছাড়া রোববার দক্ষিণ বানিয়াপাড়া কওমীয়া মাদরাসার শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মীর মোশারফ হোসেন। সভায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের সহযোগি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী ফজলুল হক ভাসানী, প্যানেল চেয়ারম্যান হযরত আলী, আ’লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী ও বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিমসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

দুর্গত মানুষের মাঝে কোরবানি করেন তানভীর শাকিল জয় সাবেক এমপি

পারভেজ আহমেদ, কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নাটুয়ারপারা ইউনিয়নে ফুলজোর চরে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে গরু কোরবানি করে চারশত পরিবারে মধ্যে ভাগ করে দেন। তাকে কাছে পেয়ে বন্যাদুর্গত মানুষ আবেগে অপ্লত হয়ে এবং তার এই উদ্দোগকে স্বাগত জানিয়ে তাকে তার দাদা শহীদ মুনসুর আলীর সাথে তুলনা করে বলেন আমরা কাজিপুরে দ্বিতীয় মনসুর কে পেয়েছি।
এসময় তিনি প্রত্যেক সমাজে গিয়ে সকলের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, প্রচার সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার নাটুয়ারপারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার।   

শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শুভেচ্ছা



পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ নাসমি এমপি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ সিরাজগঞ্জ বাসিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এক বার্তায় ,আরো বলা হয়, “সুখ-সমৃদ্ধি এবং শান্তির বার্তা নিয়ে, ঈদের আগমন ঘটুক ঘরে ঘরে। সুস্থ ও কর্মময় জীবনের প্রতিশ্রতি হোক, এবারের ঈদের অঙ্গীকার”।।

তিনি কুরবানি ঈদে নিজ গ্রামে প্রতিবারের মতোই তিনি এবারও নিজগ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করে পশু কুরবানি করেন।  পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসমি জানান, মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁরই সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানী ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।

এসময় তিনি আরো বলেন মহান ত্যাগ আর কোরবানির মহিমায় মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা সকল ভাইবোনদের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে। ঈদুল আজহায় প্রিয় বস্তুকে মহান আল্লাহর উদ্দেশে উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্থাপন করেছেন, তা মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরকালই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। ঈদুল আজহা মুসলিম জাতির ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুসংহত করার শিক্ষা দেয়। তিনি দেশবাসী ও বিদেশে বসবাস ও কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ ও শুভ কল্যাণ কামনা করেন। তিনি পবিত্র ঈদ শেষে নিরাপদে সবাই কর্মস্থলে ফিরে যাক তিনি এই কামনাও করেন।

বেলকুচিতে জেলা প্রশাসকে বরাদ্দকৃত শিশুদের খাবার গুড়ো দুধ বিতরণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় বন্যার্ত পরিবারের শিশুদের মাঝে জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকার বরাদ্দকৃত ঈদ পোশাক ও ছোট শিশুসহ ও দের হাতে শিশুদের খাবার (গুরো দুধ) বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার  বেলকুচি উপজেলা পরিষদের আশ্রয় নেওয়া অসহায়দের মাঝে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত শিশুদের খাবার (গুড়ো দুধ) বিতরণ করা হয়। এছারা ঢাকার নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির উদ্দ্যোগে বাচ্চাদের ঈদ পোশাকের ব্যবস্থা করে বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বিতরণ করেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান। এছারা আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিনী নুশরাত জাহান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রমুখ।

বন্যার্তদের মাঝে ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্র-যুব ঐক্য পারিষদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্র-যুব ঐক্য পারিষদ। শুক্রবার সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নে, মাটিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের সার্বিক সহযোগীতায় বন্যার্ত ৩০০টি পরিারের মাঝে  ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়।

এসময় প্রত্যেকের মাঝে ১কেজি করে পোলাও চাল, হাফ লিটার সয়াবিন তেল, হাফ কেজি চিনি, লাচ্ছা সেমাই, গুড়ো দুধ, সাবান বিতরণ করা হয়  ঈদ সামগ্রী পেয়ে যমুনা পাড়ের অসহায় পরিবারগুলোর মুখে ঈদের আনন্দ ভেসে ওঠে।

ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্র-যুব ঐক্য পারিষদের দ্বিপ ইউনুস ও সাক্ষর আলম বলেন বলেন, সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের সার্বিক সহযোগীতায় এসকল ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ কাজে যারা সহযোগীতা করেছেন কাদের সরার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মেধাবী ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন।
শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য নব কুমার কর্মকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতি ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, সিরাজগঞ্জ প্রসুন থিয়েটারের সভাপতি অ্যাড. মাহবুব এ খোদা টুটুল, সামাজিক সংগঠক দীপা, শাহনেওয়াজ খান রাজন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মামুনুর রশিদ মামুন, যুগ্ন সম্পাদক সালমান হক শিবলী, সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ গৌড়, নাট্যলোকের আতাউল্লাহ খান রাজু ও সাংবাদিকরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশে যে হারে সহিংসতা বেড়ে গেছে তাতে নারীদের ঘরের বের হওয়াই দুষ্কর। নারীদের নিরাপত্তার জন্য পুরুষদেরই এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের নিরাপত্তা দেবার দাযিত্ব সরকারের। কিন্তু বারবার দেশে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলেই বিচার বিলম্বিত হবার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। রুপা হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

সিরাজগঞ্জে ১০টি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের আযোজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আরো উপস্থিত ছিল সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, মোমিন হাসান, রাজু আহম্মেদ সহ প্রমুখ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা মোড়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর ময়মনসিংহ ঢাকা মহাসড়কের পঁচিশ মাইল এলাকার চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যা করে রুপাকে সুমী নার্সারির নিকট রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে অজ্ঞাত লাশ হিসাবে উদ্ধার করে রুপার ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ শনিবার বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইলের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে রুপার মরদেহ দাফন করেন।

ঘটনার তিন দিন পর গত সোমবার ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের বড় ভাই মো. হাফিজুর রহমান। এদিকে এ ঘটনায় রাতেই মধুপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ছোয়া বাসের চালক হেলপারসহ ৫ নরপশু ধর্ষক। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পরে হত্যার ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুপার মরদেহ তার নিজ গ্রাম সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ী আনা হয় এবং আসানবাড়ী জামে মসজিদ কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।