সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সদ্য ঘোষিত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিকে অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ উল্লেখ করে এই কমিটি বাতিল দাবী করা হয়েছে। একই সঙ্গে নব গঠিত আহবায়ক কমিটি থেকে ১২ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন । সোমবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্য পদত্যাগের ঘোষনা দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু বলেন, একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় আহবায়ক কমিটি গঠন অগনতান্ত্রিক এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই গত ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি পত্রিকায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেজন্য তারা এই আহবায়ক কমিটি বাতিল দাবী করেন। একই সঙ্গে আহবায়ক কমিটিতে নাম থাকা তারা ১২ জন সদস্য আহবায়ক কমিটি থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। একই সংগে নির্বাচিত কমিটিকে অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পদত্যাগী নেতারা হলেন, সদর থানা আ'লীগের নব গঠিত কমিটির সদস্য গাজী মিজানুর রহমান দুদু, রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন, একই এলাকার গাজী আকবর হোসেন তালুকদার, ছোনগাছা এলাকার সাইফুল ইসলাম, ফিরোজ আহম্মেদ ও শফিকুল ইসলাম শফি, বাগবাটির বাবলু মল্লিক, আব্দুল লতিফ ও রঞ্জু আহম্মেদ, মেছড়া এলাকার বাদশা আলম, রজব আলী ও আল আমিন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান দুদু লিখিত বক্তব্যে বলেন ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ,স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কাউন্সিল এ কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আজাহার আলী খানকে সভাপতি ও তাকে (গাজী মিজানুর রহমান দুদু) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জমা দেয়া হয়। এর মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি আজহার আলী খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কয়েক মাস পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়াও মৃত্যুবরণ করেন। যে কারনে উপজেলা কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি থেমে যায়। তবে কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্র্তীতে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহনের পর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির একাধিক সভায় উপজেলা কমিটি অনুমোদেনের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি অনুমোদন করা থেকে বিরত থেকে কাল ক্ষেপন করে।
বক্তব্যে আরো বলা হয়ঃ এ অবস্থায় সভাপতি পদে শূন্যতা ও জেলা আওয়ামীলীগের কালক্ষেপনের কারনে এখনও পর্যন্ত সদর থানা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়নি। বিষয়টি লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিকেও অবগত করা হয়েছে। এপরিস্থিতিতে জেলা আওয়ামীলীগের কোন সভা ছাড়াই এবং কারও সাথে পরামর্শ না করে চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর একটি স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি সোনা চোরাচালান মামলার আসামী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনকে আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় তথাকথিত আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন অবৈধ। যে কারনে আমরা ১২জন ওই কমিটিতে থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে পদত্যাগ করেছি এবং নব গঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে পূর্বের নির্বাচিত কমিটি বহাল রাখার দাবী করছি। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগে শীঘ্রই প্রেরন করা হবে বলেন, এই নেতা। সংবাদ সন্মেলনে সদর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী, দপ্তর সম্পাদক শুকুল মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পদাক শাহজামালসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু বলেন, একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় আহবায়ক কমিটি গঠন অগনতান্ত্রিক এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির আনুষ্ঠানিক সভা ছাড়াই গত ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি পত্রিকায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেজন্য তারা এই আহবায়ক কমিটি বাতিল দাবী করেন। একই সঙ্গে আহবায়ক কমিটিতে নাম থাকা তারা ১২ জন সদস্য আহবায়ক কমিটি থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। একই সংগে নির্বাচিত কমিটিকে অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পদত্যাগী নেতারা হলেন, সদর থানা আ'লীগের নব গঠিত কমিটির সদস্য গাজী মিজানুর রহমান দুদু, রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন, একই এলাকার গাজী আকবর হোসেন তালুকদার, ছোনগাছা এলাকার সাইফুল ইসলাম, ফিরোজ আহম্মেদ ও শফিকুল ইসলাম শফি, বাগবাটির বাবলু মল্লিক, আব্দুল লতিফ ও রঞ্জু আহম্মেদ, মেছড়া এলাকার বাদশা আলম, রজব আলী ও আল আমিন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান দুদু লিখিত বক্তব্যে বলেন ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ,স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কাউন্সিল এ কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আজাহার আলী খানকে সভাপতি ও তাকে (গাজী মিজানুর রহমান দুদু) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জমা দেয়া হয়। এর মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি আজহার আলী খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কয়েক মাস পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়াও মৃত্যুবরণ করেন। যে কারনে উপজেলা কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি থেমে যায়। তবে কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্র্তীতে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহনের পর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির একাধিক সভায় উপজেলা কমিটি অনুমোদেনের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি অনুমোদন করা থেকে বিরত থেকে কাল ক্ষেপন করে।
বক্তব্যে আরো বলা হয়ঃ এ অবস্থায় সভাপতি পদে শূন্যতা ও জেলা আওয়ামীলীগের কালক্ষেপনের কারনে এখনও পর্যন্ত সদর থানা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়নি। বিষয়টি লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিকেও অবগত করা হয়েছে। এপরিস্থিতিতে জেলা আওয়ামীলীগের কোন সভা ছাড়াই এবং কারও সাথে পরামর্শ না করে চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর একটি স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি সোনা চোরাচালান মামলার আসামী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনকে আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা অবস্থায় তথাকথিত আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন অবৈধ। যে কারনে আমরা ১২জন ওই কমিটিতে থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে পদত্যাগ করেছি এবং নব গঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে পূর্বের নির্বাচিত কমিটি বহাল রাখার দাবী করছি। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগে শীঘ্রই প্রেরন করা হবে বলেন, এই নেতা। সংবাদ সন্মেলনে সদর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী, দপ্তর সম্পাদক শুকুল মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পদাক শাহজামালসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।