বেলকুচি প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আ’লীগের উদ্যোগে বনানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কৃতিসন্তান সন্তান মীর মোশারফ হোসেনের ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভা নস্যাৎ করতে শহীদুল এবং হাফিজুল রহমানের উপর আওয়ামী লীগে সদ্য অনুপ্রবেশকারী, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যোগে সমেশপুর হাই স্কুল মাঠে এ প্রতিবাদ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লাল চাদ আলীর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তালুকদার বদরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, বানানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেলকুচির সন্তান মীর মোশারফ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ। বক্তব্য রাখেন- বেলকুচি পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ বদিউজ্জামান বদি, যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম, রাজাপুরের কৃতিসন্তান ঢাকা বারডেম হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর গোলাম আজম, আওয়ামী লীগ নেতা এস,এম, আজম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিম ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন মুন্নাসহ প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আ’লীগের উদ্যোগে বনানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কৃতিসন্তান সন্তান মীর মোশারফ হোসেনের ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভা নস্যাৎ করতে শহীদুল এবং হাফিজুল রহমানের উপর আওয়ামী লীগে সদ্য অনুপ্রবেশকারী, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যোগে সমেশপুর হাই স্কুল মাঠে এ প্রতিবাদ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লাল চাদ আলীর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তালুকদার বদরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, বানানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেলকুচির সন্তান মীর মোশারফ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ। বক্তব্য রাখেন- বেলকুচি পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ বদিউজ্জামান বদি, যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম, রাজাপুরের কৃতিসন্তান ঢাকা বারডেম হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর গোলাম আজম, আওয়ামী লীগ নেতা এস,এম, আজম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিম ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন মুন্নাসহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন- ২০১০সালের মুলিবাড়িতে খালেদা জিয়ার জনসভা থেকে চাঞ্চল্যকর ট্রেন পোড়ানো ঘটনার মামলা, উপজেলা আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য মামলার আসামী আতাউর রহমান জেলার একজন শীর্ষ নেতার হাত ধরে গত ৮মাস আগে আ’লীগে অনুপ্রবেশ করেন। এর পর থেকে ওই নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে আতাউর আ’লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের অধিকাংশ নেতা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দ্বিমতকে উপেক্ষায় করায় আজ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আতাউর মাদক ব্যবসার ও সেবনের সাথে জড়িত হয়েছেন। এমন্তাবস্থায় এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এসময় বক্তারা ভবিস্যতে তার এ ধরণের কর্মকা- আর বরদাস্ত করা হবেনা বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
উল্লেখ্য আতাউর রহমান বিএনপি’র দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে ২০১৬ সালের ১৪নভেম্বর জেলা
বিএনপি’র তৃণমূল বর্ধিত সভায় কেন্দ্রিয় নেতাদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। তিনি বিএবেলকুচি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিব হিসেবে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং বেলকুচির রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান। এছাড়া, তিনি চাঞ্চল্যকর ট্রেন পোড়ানো ঘটনার মামলা, উপজেলা আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য মামলার আসামী। গত বিএনপি-জায়মাত জোট সরকারের আমলে তিনি নিজে তার ক্যাডার বাহীনি নিয়ে বেলকুচি উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মমিন তালুকদারের ছেলে মানিক তালুকদার, কার্যকরী সদস্য আব্দুল হাকিম, তৎকালীন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, রাজাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের কালীন সভাপতি শাজাহান মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক লাল চাঁন মেম্বর, সহ-সভাপতি আবু সাইদসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীর উপর হামলা-মামলাসহ বাড়ি-ঘর ভাংচূর করেন।
এছাড়াও, ২০০৬সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতনের সময় আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বেলকুচিতে একটি আনন্দ মিছিল বেড় করা হয়। সেই মিছিলের উপর আতাউর নিজে তার ক্যাডার বাহীনি নিয়ে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে গুলি চালান। ওই সময় আব্দুল লতিফ বিশ্বাস অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। এব্যাপারে আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।