শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

সরকারের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ,অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পে এ প্রশিক্ষণ চলছে

তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ পেশাজীবি হতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। শনিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ চৌধুরী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে বিকাল ৫টায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। এলআইসিটি প্রকল্পে এই উচ্চাতর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আর্নেষ্ট অ্যান্ড ইয়ং (ইওয়াই)। প্রকল্পটিতে মোট ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবি হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিন ধরণের এই প্রশিক্ষণে এফটিএফএল কর্মসূচিতে ৪ হাজার, টপ-আপ আইটি প্রশিক্ষণে ১০ হাজার এবং আইটি সক্ষম সেবা (আইটিইএস) বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ২০ হাজার তরুণ-তরুণীকে দক্ষ করে তোলা হবে। এলআইসিটি প্রকল্পে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণে অন্তত ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া এফটিএফএল প্রশিক্ষণের ৪ হাজারের মধ্যে প্রথম ব্যাচে ১৪৮ জনের মধ্যে ৭০ জনের বিভিন্ন আইটি শিল্প ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়েছে। অনেকে একাধিক কাজের প্রস্তাবও পেয়েছেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় ব্যচে ১২৪ জনের তিন মাসের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে কুমিল্লা বাংলাদেশ একাডেমি অব রুরাল ডেভেলপমেন্টে (বার্ডে)। আর শনিবার শুরু হতে যাচ্ছে প্রকল্পের সবচেয়ে বড় অংশের প্রশিক্ষণ।

হুমকির মুখে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প।

টানা হরতাল আর অবরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীতে। ক্রেতার অভাবে তৈরি পোশাক বিক্রি করতে পারছেন না মহাজনরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল ও অবরোধের মতো সহিংস কমসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

কাপড়ের গুণগত মান ভাল হওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাঁতের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁতিরা তৈরি করেন জামদানী, কাতান, বেনারসিসহ হরেক রকমের শাড়ি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব শাড়ি বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি এ অঞ্চলের শাড়ি বর্তমানে রফতানি হচ্ছে দেশের বাইরেও। কিন্তু টানা অবরোধ ও হরতালে থমকে গেছে এ শিল্প। অবরোধে ক্রেতারা না আসায় তৈরি কাপড় বিক্রি করতে পারছেন না মহাজনরা। এতে লোকসানের কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প।

তাঁত শ্রমিকরা বলেন, 'আমরা দিন কাজ করে দিন খাই। হরতাল-অবরোধে কাপড় বিক্রি হচ্ছে না যার কারণে কাজ করতে পারছি না। কাপড় বিক্রি না হলে আমরা খাবো কী? হরতাল-অবরোধের কারণে ইতোমধ্যে আমাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।' 

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'হরতাল-অবরোধের কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনতে পারছি না। শ্রমিকদের কাজ দিতে পারছি না। বেতন-মজুরি দিতে পারছি না। অবরোধের কারণে ব্যবসায় মন্দা চলছে, বাহির থেকে ক্রেতা আসছে না। তাঁত শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে।'এ অবস্থায় ঐতিহ্যবাহী 

এ তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল, অবরোধ পরিহার করে বিকল্প পথ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এমদাদুল হক বলেন, 'বিরোধী দল তথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের দাবি থাকবে হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পরিত্যাগ করে এমন কর্মসূচি যেন দেয়, যে কর্মসূচি দেশের তাঁত শিল্প তথা ব্যবসায়ীদের ব্যবসার বাধার কোনো কারণ না হয়।' সিরাজগঞ্জ জেলায় তাঁত, পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় ৫ লাখ।

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় হরতালের সমর্থনের মিছিল ভুন্ডল ৷

সিরাজগঞ্জ শহরে হরতাল বিরোধী মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বাজার স্টেশন এলাকা থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা ও জেলা যুবলীগ নেতা রাসেদ ইউসুফ জুয়েলের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী মিছিল বের হয়। 

সিরাজগঞ্জে আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা জানাজায় বাধা দেওয়া, দলীয় নেতাকর্মীদের আটক, মির্জা ফখরুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালে  পালিত হচ্ছে। 

হরতালের কারণে দূরপাল্লার যান চলাচল কম থাকলেও সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও রিকশাভ্যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শহরে দোকান-পাট আংশিক বন্ধ রয়েছে।

সাংবাদিক সেলিম শিকদার (৫৫) লাঞ্ছিত । আটক ৩

সিরাজগঞ্জে সেলিম শিকদার (৫৫) সাংবাদিককে মারপিট করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হল, শহরের রেলওয়ে কলোনী মহল্লার মকরম মন্ডলের ছেলে ইকো (২৩), চর মালশাপাড়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে হেলাল (২৪) ও মিরপুর মহল্লার ফরহাদ সেখের ছেলে মোতালেব (২৩)। বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেলিম শিকদার শহরের হোসেনপুর মহল্লার বাসিন্দা এবং দৈনিক যোগাযোগ প্রতিদিন’ এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক যমুনা প্রবাহ’র বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিক সেলিমকে বেধড়ক মারপিট করে কয়েক যুবক। খবর পেয়ে পাশেই কর্তব্যরত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ যুবককে আটক করে। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে৷

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

সরস্বতী পুজার বিসর্জন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে শোভাযাত্রা

বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা ও যমুনা নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী মাতার ৪দিন ব্যাপী পুজার সমাপ্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিসর্জন উপলক্ষে প্রেসক্লাব মোড় নাজমুল চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ এস আই এম এ রাজ্জাক। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পুজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ বিমল কুমার দাস। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুল ইসলাম, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ সুকুমার চন্দ্র দাস, সাধারন সম্পাদক সন্তোষ কুমার কানু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুকান্ত সেন, সদর থানা কমিটির সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় সাহা, শহর কমিটির সভাপতি বিজয় দত্ত অলোক,সাধারন সম্পাদক হীরক গুন, গৌর হরি পাল, সন্তোষ কর্মকার, মানিক সাহা, স্বপন স্যানাল, কমল সিং, দিলীপ গৌড়, রিংকু কুন্ডু, সরকারী কলেজ পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক গৌরাঙ্গ ঘোষ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধে গিয়ে শেষ হয়। পরে যমুনা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অবস্থিত বেসরকারী জেএস ক্লিনিকটি যেন অনিয়মের ফ্যাক্টরী।

হাসপাতালের ফ্রিজে রাখা ঔষধের থাকলেও ভেতর রয়েছে দুধের পিঠা। ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ ক্লিনিকটির নেই নিয়মিত চিকিৎসক ও নার্স। গত ৭ মাস থেকে ক্লিনিকের লাইসেন্সেরও নবায়ন করা হয়নি।
ভাড়া করা চিকিৎসক ও নার্স দিয়েই চলছে ক্লিনিকটি। সিরাজগঞ্জের আলোচিত রোগীমারা চিকিৎসক ডাঃ বিপ্লব অফিস ফাঁকি দিয়ে এখানে রোগীদের প্রায়ই অপারেশন করে থাকেন। শাহজাদপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মারা যাওয়া,নিজেকে গুম করে রাখা এবং অনৈতিকভাবে বেশ ক’টি বিবাহের ঘটনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে খাগড়াছড়ির হিমছড়ি উপজেলায় ডাঃ বিপ্লবকে বদলী করা হয়। যোগদান করেই দীর্ঘদিন থেকেই খাগড়াছড়িতে অনুপস্থিত থাকলেও এ ক্লিনিকটির চিকিৎসকদের কাতারে রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে,ক্লিনিকের মালিক আহসান কবীর নিজেই টাঙ্গাইল জেলায় আর্য়ুবেদ নেপচুন ঔষদ কোম্পানী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হওয়ায় ক্লিনিকটির পেছনে আগের মত সময় দিতে পারেন না তিনি। তার অবর্তমানে পার্টনার আমিরুল ও মুকুলের ক্লিনিক পরিচালনায় অতটা দক্ষতা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামসুদ্দিন ক্লিনিকটি তদন্ত করে এসে এমন অনিয়মের কথা জানালেন। তিনি আরো জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নিজেদের ত্রুটিমুক্ত হবার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে, ক্লিনিকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান কবীরের দাবি সিরাজগঞ্জের অনেক ক্লিনিকের চেয়ে তার ক্লিনিক বড় বরং বেশ দক্ষ জনবল এবং বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।

(২৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার) সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে আ’লীগ নেতার মৃত্যু । 
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের চালা নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুল মান্নান খান (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

থানা হেফাজতে রেখে নারী আসামী নির্যাতনের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক গৃহবধু খুনের মামলায় আটককৃত আসামীকে ৫দিন থানা হেফাজতে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী ঘটনার বিষয়ে আদালতে জবাববন্দি দেয়ার সময় তার স্বজনরা  সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসময় পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পাল্টা টিয়ারসেল ও শর্টগানের বেশ ক’রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে আটক করেছে।

থানা হেফাজতে রেখে নারী আসামী নির্যাতনের অভিযোগ
মোঃলুৎফুল কবির সোহাগ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচোখ.কম

 থানা হেফাজতে রেখে নারী আসামী নির্যাতনের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক গৃহবধু খুনের মামলায় আটককৃত আসামীকে ৫দিন থানা হেফাজতে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী ঘটনার বিষয়ে আদালতে জবাববন্দি দেয়ার সময় তার স্বজনরা  সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসময় পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পাল্টা টিয়ারসেল ও শর্টগানের বেশ ক’রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে আটক করেছে।
- See more at: http://www.banglarchokh.net/detailsnews.php?nssl=27795&nttl=27012015#sthash.H7foIcny.dpuf
থানা হেফাজতে রেখে নারী আসামী নির্যাতনের অভিযোগ
মোঃলুৎফুল কবির সোহাগ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচোখ.কম

 থানা হেফাজতে রেখে নারী আসামী নির্যাতনের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক গৃহবধু খুনের মামলায় আটককৃত আসামীকে ৫দিন থানা হেফাজতে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী ঘটনার বিষয়ে আদালতে জবাববন্দি দেয়ার সময় তার স্বজনরা  সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসময় পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পাল্টা টিয়ারসেল ও শর্টগানের বেশ ক’রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে আটক করেছে।
- See more at: http://www.banglarchokh.net/detailsnews.php?nssl=27795&nttl=27012015#sthash.H7foIcny.dp
জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক গ্রেফতারে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুন্সি কামাল উদ্দিনসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করেছে ২০দলীয় জোট। দুপুর সোয়া ১টায় সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিরাজগঞ্জে ২টি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ১ আরোহী নিহত
সিরাজগঞ্জ-বগুড়া সড়কের ভদ্রঘাট এলাকার শিমুলতলায় দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আমিনুল ইসলাম স্বপন (৪৫) নামে এক আরোহী নিহত হয়েছেন।

উল্লাপাড়া জামায়াতের সভাপতি গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উল্লাপাড়া বারো আউলিয়া মাদ্রসার শিক। দুপুর দেড়টায় পূর্ণিমাগাতী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সিরাজগঞ্জে বাসে আগুন, আটক ৩
ভাঙচুর, বাসে অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ চলছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ-বগুড়া আঞ্চলিক সড়কের ভদ্রঘাটে একটি বাসে (চট্রগ্রাম মেট্রো ক ৪৬০) আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় অবরোধকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলে।

সিরাজগঞ্জে অবরোধকারীদের ধাওয়ায় অটোরিকশা উল্টে আহত ২
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলীতে অবরোধকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে ২ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বহুলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস মঙ্গলবার
রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহের ৯৩তম দিবস মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি)। ১৯২২ সালের এই দিনে তৎকালিন বৃটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার নিরস্ত্র বাঙালি শহীদ হন। সেই থেকে এদিনটি রক্তাক্ত সলঙ্গা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৫

তরুণদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করার মন্ত্র ‘জয় বাংলা’

একাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল কালজয়ী স্লোগান ‘জয় বাংলা’।  সেই স্লোগান বুকে ধারণ করে বাঙালী জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে, অভ্যূদয় ঘটেছিল বাংলাদেশের।   স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুণদের জাগাতে তাদের মধ্যে আবারও নতুন উদ্যমে সে স্লোগান ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে ‘ইয়ং বাংলা’।

সেই লক্ষ্যে তরুণদের নিয়ে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের ডিসি হিলে সংগঠনটি আয়োজন করেছে ‘ডিভিশনাল মিট চিটাগং। ’

অনুষ্ঠানে ইয়ং বাংলার আহবায়ক ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন,‘তরুণ-যুব সমাজের আগামীর ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করার মন্ত্রই হচ্ছে জয় বাংলা। ’ 

তিনি বলেন,‘স্বাধিকার আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি ছিল জয় বাংলা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যের প্রতীক ছিল জয় বাংলা।  এখনো বাংলার ১৬ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ গড়ার সেই মুলমন্ত্র জয় বাংলা।  জয় বাংলার মন্ত্রকে বাস্তব রূপ দিতে হলে আমাদের দরকার ঐক্য।  নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে আশা আকাঙ্খার বাস্তব রূপ দিতেই আমাদের ডাক হচ্ছে জয় বাংলার ডাক। ’

নাহিম রাজ্জাক বলেন,‘দেশে আঠার থেকে ৩৫ বছরের জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি। এই চারকোটি তরুন যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করেই বাংলাদেশের যে স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্য আয়ের বাংলাদেশ, ২০২১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে হবে।  সেই স্বপ্ন যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে এ তরুন যুব সমাজের প্রতিভাকে পরিস্ফুটনে সরকারি এবং বেসরকারি যে উদ্যোগ তার সমন্বয় ঘটাতে হবে।  তারই প্রতিফলন ঘটাতে ইয়াং বাংলা প্ল্যাটফর্মের সৃষ্টি। ’

জাতীয় পর্যায়ের যুব সংগঠন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন(সিআরআই), জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই), বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেসন ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে ইয়ং বাংলার সৃষ্টি।

প্রত্যকটি বিভাগ ও জেলাতে সাড়ে তিন’শ যুব সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সংগঠনটির তরুনরা।   সাতমাস ধরে মতবিনিময়ে তাদের যে পরামর্শ, সেই পরামর্শের প্রতিফলন ‘চিটাগং ডিভিশনাল মিট’ বলে জানান নাহিম রাজ্জাক।  

তিনি বলেন,‘ভিশন ২০২১, বাংলাদেশের রূপরেখা ও ভবিষ্যত যদি পরিবর্তন করতে হয় ইয়ং বাংলা প্ল্যাটফর্ম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’

নাহিম রাজ্জাক বলেন,‘জাতির মূল লক্ষ্য গড়ে উঠবে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ।  গড়ে উঠবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।  সেই সোনার বাংলা গড়তে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।  অনেক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।  তরুণদের সেই প্রতিবন্ধকতা ও সংকট মোকাবেলার সামর্থ রয়েছে। ’

তিনি বলেন,‘দলমত নির্বিশেষে সকলকে দুইটি জায়গায় ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে।  একটি হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাস।  অন্যটি হচ্ছে ভবিষ্যতের লক্ষ্য।’

অনুষ্ঠানে সফল তরুণদের বায়োডাটা ও প্রকল্প জমা নেওয়া হয়।  আগামী ৭ মার্চ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে জয় বাংলা উৎসবে ১০টি ক্যাটাগরিতে ৩০জন তরুণকে সন্মাননা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।  এছাড়া বিদ্যুৎ, তথ্য ও প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঁচ শতাধিক তরুণ তিন মাসের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবে।

নাহিম রাজ্জাক বলেন,‘প্রত্যকটি মন্ত্রণালয়ে তরুণদের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ থাকা উচিত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক এটা আমাদের অধিকার।  তরুণদের অধিকার।  ইয়ং বাংলা তরুণদের নেটওয়ার্কিং হাব হিসেবে দাঁড়াবে।  যেখানে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করবো।’ 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন,‘বর্তমানে যুব সমাজ হুমকির সম্মুখিন।  বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা।  এটি ভাল লক্ষণ নয়।  যুব সমাজ শেষ হয়ে যাক আমরা চাই না।  বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে’।
 
অনুষ্ঠানে দশম শ্রেণীর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থী বলেন,‘সুবিধাবঞ্চিতদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।  আমাদের দেশে প্রতিবন্ধিতাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখা হয়।  কিন্তু প্রতিবন্ধীদের মধ্যে যে সম্ভাবনা রয়েছে একজন স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে তা নেই।  শুধু প্রয়োজন তাকে সুযোগ দেওয়া।  প্রতিবন্ধিকতা দুর্বলতা নয়, শক্তি। ’

আরেক তরুণ বলেন,‘দেশের মোট জনশক্তির চারকোটি তরুণ।  আটকোটি হাত।  এ আটকোটি হাত যদি পরিশ্রম করে তাহলে বাংলাদেশকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।  কিন্তু তা সম্ভব হবে না একমাত্র রাজনীতিবিদদের কারণে।  বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যদি পরস্পর সহনশীল আচরণ করে তাহলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশে পরিণত হবে।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তুলে ধরেন নটরডেম কলেজ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। 

অনুষ্ঠান শেষে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশে গুগল স্ট্রিট ভিউ চালু হলো

www.google.com/streetview) এই ঠিকানায় গিয়ে স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ, ডেস্টটপ থেকে অনায়াসেই খুঁজে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত জায়গা। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের আরো ৫০টি দেশে গুগল স্ট্রিট ভিউ চালু রয়েছে।
এ বিষয়ে ম্যাপিং বাংলাদেশে (www.mappingbd.org) district cross pendent লুৎফুল কবির বলেন ‘গুগল ম্যাপে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে আমরা অনেকদিন ধরেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। এখন গুগল স্ট্রিট ভিউ চালুর ফলে আশা করছি আমাদের কাজ আরও উন্নত হবে এবং চাইলেই যে কেউ আরও সহজে সেবা পাবেন।’

গুগল স্ট্রিট ভিউ হল গুগলের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যেটির মাধ্যমে গুগল ম্যাপস এবং গুগল আর্থে প্যানারোমিক ভিউতে ছবি দেখার পাশাপাশি বিশ্বের যে কোনো নির্দিষ্ট রাস্তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র দেখা যায়। মূলত গুগলের একটি গাড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাস্তায় গিয়ে প্যানোরোমা সুবিধা ব্যবহার করে ওই স্থানের ছবি তোলে। ওই গাড়িটিতে রয়েছে নয়টি ক্যামেরা, যেগুলোর সাহায্যে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউতে ছবি তোলা যায়। সঙ্গে থাকে বিশেষ লেজার ও জিপিএস সুবিধা, যেটি ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে যেখান থেকে ছবি তোলা হলো সেখান থেকে ছবি তোলার স্থানটির দূরত্ব কতটুকু সেটি নির্ধারণ করে দেয়। নির্দিষ্ট একটি এলাকার ছবি তোলা শেষে ছবি ওই স্থানের তথ্য সংগ্রহ, একাধিক মান নির্বাচন শেষে যুক্ত হয় গুগল ম্যাপসে। গুগলের স্ট্রিট ভিউ ব্যবহারের সুবিধার্থে স্মার্টফোনের জন্য বিশেষ অ্যাপসও রয়েছে। যার মাধ্যমে এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

তরঙ্গ (ফ্রিকুয়েন্সি) বরাদ্দ ও নিরাপত্তা ছাড় পাওয়া নতুন টেলিভিশন চ্যানেলগুলো হল- ঢাকা বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল (ডি বাংলা), নিউজ টোয়েন্টিফোর, নিউ ভিশন টিভি, রেনেসাঁ টিভি, রংধনু টিভি, যাদু টিভি, আমার গান টিভি, চ্যানেল টোয়েন্টিওয়ান, এটিভি এবং বাংলা টিভি।
জানা গেছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই ১০টি চ্যানেলকে নিরাপত্তা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের শেষদিকে দু’দফায় মোট ১৫টি টেলিভিশন চ্যানেল লাইসেন্স পায়। এগুলোর মাঝ থেকেই নিরাপত্তা ছাড় পেল এই ১০টি চ্যানেল। পুলিশ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কাছে তথ্য জানতে চাইলে লাইসেন্স দেওয়ার পর ওই মন্ত্রণালয় প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলের উদ্যোক্তাগণের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থাকে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ১০টি চ্যানেলের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিলেও ৫টির ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্করে।
যে পাঁচটি চ্যানেল নিরাপত্তা ছাড় পায়নি এগুলো হল- ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন, গ্রিন মাল্টিমিডিয়া, তিতাস টিভি, চ্যানেল ৫২ এবং উৎসব টিভি।
যে ১০টি চ্যানেল সরকারের তরফ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছে তাদের মাঝে ঢাকা বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের (ডি বাংলা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধূরী। তার সাথে যুক্ত আছেন কয়েকজন প্রবাসী। নিউজ টোয়েন্টিফোরের মালিক ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ, যা বসুন্ধরা গ্রুপেরই একটা অংশ। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান। অপরদিকে নিউ ভিশন টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর। এই চ্যানেলের জন্য সুপারিশ করেছিলেন সাংসদ সুকুমার রঞ্জন রায়। এছাড়া রেনেসাঁ টিভির চেয়ারম্যান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। জানা গেছে, এই চ্যানেলটি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য একটি বিশেষ চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়া তরঙ্গ বরাদ্দ পাওয়া ও নিরাপত্তা ছাড় পাওয়া অপর টেলিভিশন চ্যানেল রংধনু টিভির মালিকগণের মাঝে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধূরী ও সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম। অপরদিকে যাদু টিভির চেয়ারম্যান এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও মোহাম্মদী গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিসুল হক। আমার গান টিভির চেয়ারম্যান তরুণ দে। তার সাথে জড়িত আছেন সাংস্কৃতিক জগতের কয়েকজন। চ্যানেল টোয়েন্টিওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সাথে আছেন জাসদের কয়েকজন নেতা। এটিভি চ্যানেলের মালিক চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাস উল্লাহ সিকদার। এছাড়া আবদুস সামাদের মালিকানাধীন বাংলা টিভি হবে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ চ্যানেল।
তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যে ১০টি চ্যানেলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আধুনিক যন্ত্রপাতি ও যোগ্য জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে নূন্যতম ১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, নতুন ১০টি চ্যানেলসহ দেশে বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৪১টিত। এর মাঝে সাময়িকভাবে সম্প্রচার স্থগিত আছে দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশনের। আর চালু আছে ২২টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল।

সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

সিরাজগঞ্জে সংবিধান রক্ষা ও গণতন্ত্রের বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত

 
গণতন্ত্রের সফলতা ও আওয়ামীলীগ সরকারের ২য় মেয়াদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নেতাকর্মী মিশিল নিয়ে জেলা আওয়ামী-লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে যোগ দেয়। অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ ২(দুই) আসনের সাংসদ ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মৎস্য মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, বর্তমান জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ কে এম হোসেন আলী হাসান, জেলা যুবলীগের সভাপতি মইনুদ্দিন খান চিনু ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ হাকিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সভাপতি সজল সাধারণ সম্পাদক জিহাদ ও ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল  সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে পৌরসভা বিভিন্ন নেতা-কর্মী অংশগ্রহন করে।

জাতির উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
- সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
- আজ ৫ জানুয়ারি। গত বছরের এই দিনে আপনারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের দল, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সরকার গঠনের ম্যান্ডেট দিয়েছিলেন।
- আজকের এই দিনে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
- আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
- স্মরণ করছি ৩ নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে।
- শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, স্বজন হারানো পরিবার ও একাত্তরের নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক সমবেদনা।
- গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকা-ের শিকার আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, আমার তিন ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল, শেখ কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা ও রোজী, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সহোদর শেখ নাসের, কর্ণেল জামিলসহ সেই রাতের সকল শহীদকে।
- স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ শহীদ ২২ নেতা-কর্মীকে।
- স্মরণ করছি বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় নির্মম হত্যাকা-ের শিকার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজউদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে।
- দশম সংসদের যে সকল সংসদ সদস্য ইন্তেকাল করেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
- বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির শিকার হয়ে নিরীহ বাসড্রাইভার, বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার, সেনাবাহিনীর সদস্য, এমনকি স্কুলের শিশুও নিহত হয়েছে। আহত হয়ে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
- আমি জামাত-বিএনপি জোটের নির্মমতার শিকার হয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আহতদের জন্য আমার আন্তরিক সহানুভূতি।
প্রিয় দেশবাসী,
- ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
- তারা শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে হাজার হাজার গাড়ি। মহাসড়কসহ গ্রামের রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ-বিজিবি-আনসার-সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে।
- তাদের সহিংস হামলা, পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলায় নিহত হয়েছে শত শত নিরীহ মানুষ।
- সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাতের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও তাদের জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি।
- রেহাই পায়নি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর সামনে হাজার হাজার পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিয়েছে।
- ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলে এবং ফিসপ্লেট খুলে শতশত বগি এবং রেলইঞ্জিন ধ্বংস করেছে।
- নির্বাচনের দিন ৫৮২টি স্কুলে আগুন দিয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ ২৬ জনকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগ সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে।
- সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগকে উপেক্ষা করে আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন। গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন।
- নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপে বসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব ধরণের ছাড় দিতে চেয়েছিলাম। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা গঠনের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
- বাংলাদেশের সংবিধানে অনির্বাচিত সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের শুধু একটাই দাবী ছিল, সংবিধানের মধ্য থেকে আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেখানে যত ধরণের ছাড় দেওয়া সম্ভব, তা দিতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
- বিএনপি-জামাত জোট চেয়েছিল দেশে একটা অরাজক এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল।
- কিন্তু দেশের মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদে পা দেননি।
প্রিয় দেশবাসী,
- আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
- আপনাদের সহযোগিতার ফলে উন্নয়নের যে কাজগুলি আমরা শুরু করেছিলাম, তা সমাপ্ত করতে পারছি। পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।
- আগামী দিনেও যে কোন ধরণের নাশকতা এবং জঙ্গিবাদী কর্মকা- সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবেন, আপনাদের কাছে আমি সেই অনুরোধ করছি।
- ০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছি। এমন এক অবস্থায় আমরা সরকার গঠন করেছিলাম যখন সমগ্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চরম খাদ্যাভাব চলছে।
- ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি-জামাতের দুঃশাসন. দুর্নীতি, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম এবং দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমননীতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম বিপর্যস্ত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ছিল।
- এই পরিস্থিতিতে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করে সমাজের সকলস্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি। মানুষের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস সঞ্চার করি। নব উদ্যমে দেশ গড়ার কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করি।
- সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করি। দীর্ঘ মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করি।
- আজ দেশের মানুষ ভাল আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
- সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত রাখার ক্ষেত্রে ২০১৪ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর।
- অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যের বছর।
- আমাদের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের ফলে গত মেয়াদের পাঁচ বছর এবং এই মেয়াদের প্রথম বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- বর্তমানে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া পাঁচটি দেশের একটি- বাংলাদেশ।
- আমরা ৬.২ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
- ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করেছি।
- বিএনপি-জামাত জোট আমলের শেষ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৯০ মার্কিন ডলারে।
- ৫ কোটি মানুষ নিম্ন আয়ের স্তর থেকে মধ্য আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। বিএনপি-জামাতের শেষ বছরে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৫ শতাংশ। আমরা তা কমিয়ে ২৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
- ২০০৬ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.২ শতাংশ। তা এখন কমে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।
- মানুষের আয় বেড়েছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে আমরা এককোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছি। ২৫ লাখ মানুুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।
- ২০০৬ সালে রেমিট্যান্স আয় ছিল মাত্র ৪.৮০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে।
- ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। তা আজ ছয়গুণ বেড়ে ২২.৩৯ বিলিয়ন ডলার।
- ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল মাত্র ০.৭৯ বিলিয়ন ডলার যা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৬.৮৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
- ২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১০.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- ২০০১ সালে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন রেখে এসেছিলাম ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। বিএনপি-জামাতের সময়ে তা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে।
- এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩ হাজার ২৮৩ মেগাওয়াট।
- ২০০৬ সালে গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ছিল মাত্র ১৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাস উৎপাদন গড়ে দৈনিক ২ হাজার ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
- যোগাযোগ খাতে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ঢাকায় হাতিরঝিল প্রকল্প, কুড়িল-বিশ্বরোড বহুমুখী উড়াল সেতু, মিরপুর-বিমানবন্দর জিল্লুর রহমান উড়াল সেতু, বনানী ওভারপাস, মেয়র হানিফ উড়াল সেতু, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু এবং চট্টগ্রামে বহদ্দারহাট উড়াল সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।
- মগবাজার-মালিবাগ উড়ালসেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
- ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
- আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।
- সারাদেশে ১৪টি বৃহৎ সেতু, ৪ হাজার ৫০৭টি মাঝারি ও ছোট সেতু, ১৩ হাজার ৭৫১টি কালভার্ট এবং ২১ হাজার কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
- নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা সড়ক ৪-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক ৪-লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
সচেতন দেশবাসী,
- বিএনপি-জামাত জোট আমলে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ আবারও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
- ২০০৫-০৬ অর্থবছরে খাদ্য-শস্য উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়েছে।
- ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সার, সেচ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি বাবদ প্রায় ৪০ হাজার ২৭৮ কোটি টাকার কৃষিসহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
- মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। আমরা এখন চাল রপ্তানিও শুরু করেছি।
প্রিয় দেশবাসী,
- ২০০১-এ বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। দেশের বর্তমানে শিক্ষার হার ৬৯ শতাংশ।
- আওয়ামী লীগ সরকার ৬ বছরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ১৫৯ কোটি বই বিতরণ করেছে।
- এবছরের পহেলা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
- ২০১৫ সাল থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুরাও ব্রেইল পদ্ধতির বই পাচ্ছে।
- প্রথম শ্রেণী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত ১ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপ-বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
- ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকুরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।
- মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারি শিক্ষকদের পদমর্যাদা ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে।
- সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৭২ টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ২০ হাজার ৫০০টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ চালু করা হবে।
- এক হাজার ৪৯৭টি স্কুলে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, সাউন্ডসিস্টেম ও ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরও ৩ হাজার ৯৩০টি স্কুলে একই ধরণের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।
- স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায়।
- ১৬ হাজার ৪৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ৩০ পদের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে।
- ৬ বছরে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
- ২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬.৫ বছর যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর।
- দেশের প্রায় সব শিশুকে টিকাদান কর্মসূচী এবং সব মানুষকে নিরাপদ পানি প্রাপ্তি এবং স্যানিটেশনের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী,
- গত ছয় বছরে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।
- ৫ হাজার ২৭৫ টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০০ ধরণের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই খাতের উদ্যোক্তাদের মাসিক আয় ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।
- বর্তমানে দেশে মোবাইল গ্রাহক ১১ কোটি ৯৭ লাখ। ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ।
- ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” চালু করেছে সরকার।
- আইটি সেক্টরে বিদেশ থেকে ১২৫ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে।
সম্মানিত দেশবাসী,
- আমাদের সরকার নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
- বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাসে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে এই প্রথম নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
- সরকারি কর্মকাণ্ডের নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট তৈরি হচ্ছে।
- আজ নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশ।
- জাতীয় সংসদকে আমরা সকল কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। সংসদীয় কমিটিগুলোর নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। তারা মন্ত্রণালয়ের কাজের তদারকি করছে।
- সংসদের স্বচ্ছতা আনার জন্য আমরা সংসদ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। সংসদের কার্যক্রম সরাসরি প্রচারিত হচ্ছে।
- গণকর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের ৬০ বছর করা হয়েছে।
- সামরিক-অসামরিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন আবারও দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হবে। পদমর্যাদা বৃদ্ধি করে ব্যাপকভাবে পদোন্নতির সুযোগ করে দিয়েছি।
- জাতির পিতা প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আর্মড ফোর্সেস গোল- ২০৩০ নির্ধারণ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
- পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে এবং ইন্সপেক্টর পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে।
- পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও সশস্ত্রবাহিনীর ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে।
- শ্রম আইন ও শ্রমনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন করা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৫ টাকা।
- গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
- বিএনপি-জামাত জোট সরকার পাটকল বন্ধ করেছিল। বিজেএমসির ২৭টি বন্ধ পাটকলের মধ্যে ২৩টি চালু করেছি। আরও ৩টি চালু করা হবে।
- ২৭ লাখ ২২ হাজার ৫০০ জন বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও বয়স্ক মানুষ প্রতিমাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
- ৪ লাখ প্রতিবন্ধী প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
- আশ্রয়ণ, একটি বাড়ী একটি খামার, ঘরে ফেরা কার্যক্রম, দুস্থভাতাসহ ১২৮টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি সুবিধা পাচ্ছেন।
- ১ লাখ ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ৫৫ হাজার একর কৃষি জমি বিতরণ করা হয়েছে।
- আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখেরও বেশি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
- বিজিবি’র মাধ্যমে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার সংখ্যালঘু পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয়, বাড়িঘর ও দোকানপাট পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দ্বারা রামুর বৌদ্ধবিহার পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, হিজড়া, দলিত, বেদে ও হরিজন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে 'তৃতীয় লিঙ্গ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।
প্রিয় দেশবাসী,
- আমরা দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করি। যারফলে দেশে দুর্নীতি অনেক কমে এসেছে।
- বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ ছিল বাক-স্বাধীনতা হরণের দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ।
- ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০০টি মামলা দায়ের এবং ৭৫০টি হুমকি-হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
- বাংলাদেশে মিডিয়া এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
- বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন ৩২টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
- ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা বা অনুদান নীতিমালা, ২০১২-এর আওতায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি।
- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।
- সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
- বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুইটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের গণতন্ত্রকামী সকল দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও সুসংহত হয়েছে।
- গত বছর বাংলাদেশ ওগঝঙ, ওঞট এবং হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে।
- ইউনেসকো আমাকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পুরষ্কারে ভূষিত করেছে।
- জাতিসংঘ সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন দপ্তর এবং অরগানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস আমাকে ঠরংরড়হধৎু অধিৎফ-২০১৪ প্রদান করেছে।
- আমরা এমডিজি ১ থেকে ৪ অর্জন করেছি।
- বাংলাদেশ জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং ওঞট–এর ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
- বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনের ফলে সমুদ্র সম্পদ আহরণের পথ সুগম হয়েছে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে।
- “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়” এই পররাষ্ট্রনীতির আলোকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশ সম্মানজনক অবস্থান করে নিতে পেরেছে।
শান্তিপ্রিয় দেশবাসী,
- আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আবারও অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
- যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারী, রাজাকার-আলবদরদের বিচারের কাজ এগিয়ে চলছে। রায় কার্যকর করা হচ্ছে।। ইনশাআল্লাহ আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করব।
- এই বিচার বানচাল করতে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে অন্ধকারের অপশক্তি যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, জনগণের মঙ্গল চায় না তারা আবারও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে।
- বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটা ছিল একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। তাদের এই রাজনৈতিক ভুলের খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে?
- বিএনপি নেত্রীকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি- নাশকতা, মানুষ হত্যা, বোমা-গ্রেনেড হামলা, অগ্নিসংযোগ, জানমালের ক্ষতি করা বন্ধ করুন।
- আপনার ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আজ আপনি ও আপনার দল সংসদে নেই। আপনি কাকে দোষ দেবেন? আপনার নিজেকেই দোষ দিতে হবে।
- নাশকতার পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসুন। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কী কী করতে চান তা মানুষকে জানান। নিজের দলকে গড়ে তুলুন। তাহলেই হয়ত ভবিষ্যতে সম্ভাবনা থাকবে।
- যে পথে আপনি চলছেন তা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা আরও হারাবেন।
- মানুষ নিরাপত্তা চায়, শান্তি চায়, উন্নতি চায়।
- আমরা অসুস্থ রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যে রাজনীতি দেশের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সেই রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
প্রিয় দেশবাসী,
- ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব। ইনশাআল্লাহ তার পূর্বেই আমরা সেটা করতে পারব।
- ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা এ লক্ষ্যপূরণে সফল হব। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
- বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।
- সবাইকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
জাতির উদ্দ্যেশে ভাষণ
শেখ হাসিনা | মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সোমবার
২২ পৌষ ১৪২১/ ৫ জানুয়ারি ২০১৫

একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আটক

 
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশিনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে তার কার্যালয়ের নিচ থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায় নি।
ইটিভির চিফ ফ্যাসেলিটিজ অফিসার সাইদ মুন্না বাংলানিউজকে জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাসায় যাওয়ার সময় অফিসের নিচ থেকে একদল সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে নিয়ে যায়। তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি
তে তার কার্যালয়ের নিচ থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায় নি।

ইটিভির চিফ ফ্যাসেলিটিজ অফিসার সাইদ মুন্না বাংলানিউজকে জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাসায় যাওয়ার সময় অফিসের নিচ থেকে একদল সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে নিয়ে যায়। তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/355041.html#sthash.SRNtu1BQ.dpuf

সিরাজগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০

সিরাজগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্র ও যুবদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, হোসেনপুর মহল্লার জাকির, আল-আমিন, রাসেল, সুমন, স্বাধীন, লিমন, আসাদ, মিরপুর মহল্লার রুবেল ও মাহমুদপুর মহল্লার আসলাম ও হামিম। এদিকে, সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে উত্তরাঞ্চল ও ঢাকামুখি যানবাহনের হ্রাস পেয়েছে। 
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হওয়ার পর নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এসময় অন্তত ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আরও বলেন, নাশকতার আশংকায় হোসেনপুর ও ধানবান্ধি মহল্লায় অভিযান চালালেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এখনও অভিযান চলছে।
 
অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টি, এম আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপির কর্মসূচির কারনে সকাল থেকেই মহাসড়কে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল জানান, সকালে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ভূতগাছা এলাকায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। সংঘর্ষের আশংকায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।