শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

হুমকির মুখে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প।

টানা হরতাল আর অবরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীতে। ক্রেতার অভাবে তৈরি পোশাক বিক্রি করতে পারছেন না মহাজনরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল ও অবরোধের মতো সহিংস কমসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

কাপড়ের গুণগত মান ভাল হওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাঁতের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁতিরা তৈরি করেন জামদানী, কাতান, বেনারসিসহ হরেক রকমের শাড়ি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব শাড়ি বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি এ অঞ্চলের শাড়ি বর্তমানে রফতানি হচ্ছে দেশের বাইরেও। কিন্তু টানা অবরোধ ও হরতালে থমকে গেছে এ শিল্প। অবরোধে ক্রেতারা না আসায় তৈরি কাপড় বিক্রি করতে পারছেন না মহাজনরা। এতে লোকসানের কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প।

তাঁত শ্রমিকরা বলেন, 'আমরা দিন কাজ করে দিন খাই। হরতাল-অবরোধে কাপড় বিক্রি হচ্ছে না যার কারণে কাজ করতে পারছি না। কাপড় বিক্রি না হলে আমরা খাবো কী? হরতাল-অবরোধের কারণে ইতোমধ্যে আমাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।' 

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'হরতাল-অবরোধের কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনতে পারছি না। শ্রমিকদের কাজ দিতে পারছি না। বেতন-মজুরি দিতে পারছি না। অবরোধের কারণে ব্যবসায় মন্দা চলছে, বাহির থেকে ক্রেতা আসছে না। তাঁত শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে।'এ অবস্থায় ঐতিহ্যবাহী 

এ তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল, অবরোধ পরিহার করে বিকল্প পথ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এমদাদুল হক বলেন, 'বিরোধী দল তথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের দাবি থাকবে হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পরিত্যাগ করে এমন কর্মসূচি যেন দেয়, যে কর্মসূচি দেশের তাঁত শিল্প তথা ব্যবসায়ীদের ব্যবসার বাধার কোনো কারণ না হয়।' সিরাজগঞ্জ জেলায় তাঁত, পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় ৫ লাখ।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।