বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭

রূপার পরিবার শেষ বারের মত দেখতে পেলো নাঃ কফিনে উপরে শুধু চোখের জল



রূপার লাশ আসবে। শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য সবার মন ছটফট করছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে টাঙ্গাইলের মধুপুর কবরস্থান থেকে রূপার লাশ উত্তোলনের পর অ্যাম্বুলেন্স গ্রামে পৌছার পর আদরের মেয়েকে দেখার জন্য ছুটে আসেন জন্মদাতা মা ও ভাই-বোন স্বজনরা। কিন্তু সাতদিন আগে মারা যাওয়ায় রূপার শরীরে পচন ধরায় কফিন খোলা সম্ভব হয় না। তাই সকলের আদরের মেয়েটির কফিন জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলা ছাড়া কিছুই করার ছিল না মা-বোন ও স্বজনদের। আদরের মেয়ে হারা মা ও বড় বোন হারা ছোটবোনদের বুকফাটা আহাজারি দেখে এলাকাবাসীর চোখেও ঝরতে শুরু করে অশ্রু। তারপরেও কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে সবার একটাই দাবী উচ্চারিত হয় রূপার হত্যাকারীরা যেন আইনের ফাঁক-ফোকর গলিয়ে বেরিয়ে না যায় এবং খুনীদের যেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাবার পথে চলন্তবাসে ৫জন মিলে ধর্ষনের পর জাকিয়া সুলতানা রুপাকে হত্যা করে মধুপুর জঙ্গলে ফেলে দেয়। পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করে। পরদিন পত্রিাকায় ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা রুপাকে শনাক্ত করেন। এরপর আইনী জটিলতা শেষ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে মধুপুর কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় রূপার লাশ গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের আসানবাড়ীতে আনা হয়। এ সময় এলাকাবাসী লাশবাহী গাড়ী নিয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে লাশ অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হলে রুপাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য মা-বোনসহ স্বজনরা ছুটে আসে। কিন্তু লাশে পচন ধরায় কফিন খোলা সম্ভব হয় না। মাগরিবের নামাজ পর গ্রামেই জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় ঢাকা আদালতের সহকারী জজ হায়দার আলী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনসহ শত শত গ্রামবাসী অংশগ্রহন করেন। জানাযায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত ব্যক্তিরা বক্তব্যে খুনীদের ফাঁসির দাবী জানান।
রূপার কফিন আকড়ে ধরে মা হাসনা হেনা, বোন জিয়াসমিন ও মাশরুফা আকতার পপি বিলাপ বিলাপ করতে করতে বলেন, রুপার আশা ছিল বড় হয়ে মানুষের সেবা করবে। ভাই-বোনদের প্রতিষ্ঠিত করবে। কিন্তু নরপশুরা তাকে বাঁচতে দিলো না। শেষ বারের মতো মুখটাও দেখতে পারলাম। এ কষ্ট কিভাবে ভুলব?  এ সময় স্বজনরা খুনীদের দৃষ্টান্তমুল ফাঁসি দাবী করেন। যাতে আর কোন মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়, এতো কষ্ট পেতে না হয়।
বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বলেন, আইনী ফাঁক-ফোকর গলিয়ে খুনীরা যেতো পার না পায় সে জন্য সরকার, প্রশাসনসহ ও আইনজীবিদের প্রতি সুদৃষ্টি দেয়ার জোরদাবী জানান।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, সন্ধ্যার আগে লাশ গ্রামের বাড়ীতে পৌছে। এরপর জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হয়। এছাড়া রুপার বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া এবং প্রাথমিকভাবে পরিবারটিকে দশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

বন্যার্তদের পাশে বি,এল,স্কুল এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ত্রাণ বিতরণ


বন্যার্ত অসহায় মানুষের মাঝে সিরাজগঞ্জের ঐতিয্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি,এল, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন “বি.এল.স্কুল এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন” এর সার্বিক সহযোগিতায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন “বি.এল.স্কুল এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন” এর কোষাধ্যক্ষ মোঃ আলী সোহেলের উদ্দোগে আফতাবী ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে প্রায় ৩০০জন বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের প্রতিটি বন্যা দূর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের মাঝে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ত্রান বিতরণ কওে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সিরাজগঞ্জে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জেলার ঐতিয্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি,এল, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন “বি,এল,স্কুল এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন” কেন বন্যার্ত অসহায় মানুষের পাশে দ্বাড়াবে না। কেননা অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ।


সংগঠনে সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে উক্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মমতাজ পারভীন। এসময় আরো উপস্থিত সংগঠনে ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক (১) রফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (২) আব্দুস ছালাম মামুন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (৩) তপু সিরাজী, সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক হাছান ইসতিয়াক তমাল, সহ-দপ্তর সম্পাদক কাজল।

নির্বাহী সম্পাদক গণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী সদস্য শ্রী অমর কৃষ্ণ দাস, মীর রাশেদ কবির শুভ্র ও মোঃ লুৎফুল কবির সোহাগ। এছাড়াও (৯৬-ব্যাচ প্রতিনিধি) শান্ত ও সায়েম।

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

অজ্ঞতাবশত: অপবাদকারী, 'অপবাদ' দেয়াই, একাকিত্ত্বেই নিজের ফাঁদে সে পরাজিত সৈনিক

নজরুল ইসলাম তোফা||🔴
পাখি যখন জীবিত থাকে, পিঁপড়েকে তখন খায়, আর পাখি যখন মরে যায়, তখন পিঁপড়ে পাখিকে খায়। সময় আর পরিস্হিতি যেকোনো সময় বদলাতে পারে, জীবনে কখনো কাউকে দুঃখী আর অপমানিত করবেন না, আজ হয়তো আপনি শক্তিশালী, কিন্তু মনে রাখতে হবে, সময় আপনার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এক বৃক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ দিয়াশলাই কাঠি তৈরী হয়। আবার লক্ষ লক্ষ বৃক্ষ জালানোর জন্য সামান্য একটি দিয়াশলাই কাঠিই যথেষ্ট। তাই গুরুত্বের সহিত বলতে হয়, অন্যকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে অহেতুক ছোট করা মোটেও ঠিক নয়। সামন্য অপবাদে অন্যের ক্ষতিকারক দিক বৃহৎ হবে পারে, পক্ষান্তরে আপনার যে ক্ষতি হবে না তার গ্যারান্টি কোথাই। একটু আলোচনায় যাওয়া উচিৎ বলে মনে করি। যে ব্যক্তি অন্যকে অপবাদ দেয় সে অন্যের ক্ষতি করার পাশাপাশি নিজেরও ক্ষতি করে থাকেন। নিজের আত্মাকে পাপের মাধ্যমে কলুষিত করেন।
এখন প্রশ্ন হলো, অপবাদ কি? কোন ব্যক্তির মধ্যে যে দোষ বা ত্রুটি নেই তাকে সে জন্য দোষী সাব্যস্ত করাকেই অপবাদ বলা হয়। কাউকে অপবাদ দেয়া কবিরা বা মারাত্মক গোনাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। পবিত্র কোরআনে কাউকে অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকতে কঠোর নির্দেশ রয়েছে, আবার তাকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলেও উল্লেখ করা আছে। 'একজন নিরপরাধকে অপবাদ দেয়া পাপ, সেতো বড় বড় পাহাড়গুলোর চেয়েও বেশি ভারী' বলেছেন, ইমাম জাফর সাদেক (আ.) তাই অপবাদ বা কুৎসা রটনা হলো সবচেয়ে বড় ধরনের মিথ্যাচার। এটা যদি ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে করা হয় তাহলে তা গীবত হিসেবেও বিবেচিত হবে। অর্থাৎ অপবাদ দেয়ার জন্য একজন মানুষ প্রকৃত পক্ষে দুই ধরনের পাপ কাজে জড়িয়ে পড়েন।
'অপবাদ' সামাজিক সুস্থতাকে বিনষ্ট করে এবং ন্যায়বিচার ধ্বংস করে। সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য হিসেবে মানুষ কোন কারণ ছাড়াই অপবাদ দাঁড় করিয়ে অপরাধী সাজানোর প্ররনতা রয়েছ। হয়তো সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য না করার জন্য একজন মানুষের কোনই ক্ষতি হয় না। তবুও বলা চলে এই প্রবনতা মানুষের সহজাত সৃষ্টিকারী এক ঘৃন্য কৌশল। অপবাদ দেয়ার জন্য, কিছু নিকৃষ্ট মানুষ দিনে দিনে নিজে নিজেরই মান সম্মান ও ব্যক্তিত্বকে ক্ষতিগ্রস্তের দিকে পৌঁছায় তা সহজেই তিনি টের পান না। সমাজে অপবাদ দেয়ার রীতি যখন বিভিন্ন আড্ডায়, অফিস-আদালতে, কোর্ট-কাচারিতে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তথা রাজনিতীর ময়দানে শুরু হয়। তখন তা সাদরে অনেরা মেনেও নেয় এবং অপবাদকে বিশ্বাস করে তখন মিথ্যাটাও সত্যের বেশ ধারণ করে সামনে চলে আসে। ফলে সমাজে অনাস্থা,অবিশ্বাস এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যে কেউ কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে এবং যাকে তাকে অপবাদ দেয়ার সাহসও পায়।
ফলে সমাজে বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার পরিবর্তে হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতার স্থান দখল করে নেয়। কে কখন অপবাদের শিকার হয় তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে অপবাদের মারাত্বক কুপ্রভাব রয়েছে। ইমাম সাদেক (আ.) বলেছেন, যখনই কোন ব্যক্তি কোন মুমিনকে অপবাদ দেয় তখন তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায় যেমনিভাবে লবন পানিতে গলে যায়।
যে অপবাদ দেয় তার ঈমান নষ্ট হবার কারণ হলো ঈমান সততা ও সত্যবাদিতার সঙ্গে পথ চলে এবং অপবাদের অর্থ হলো অন্যের বিষয়ে মিথ্যা বলা। সুতরাং যে ব্যক্তি অন্যের বিষয়ে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সে সত্যের পথে থাকতে পারে না। এভাবেই অপবাদ দানকারী ব্যক্তির ঈমান আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যায়। হৃদয়ে ঈমানের আলোর আর কোন অস্তিত্ব থাকে না এবং তার চূড়ান্ত স্থান হলো দোজখ বা নরক। আর ইহজগতে অপবাদ কারিকে ভালো মানুষ খুব সহজেই চিনে ফেলে। তাদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার কবর খনন তিনি নিজ হস্তেই করেন। কারণ, অপবাকারীকে ভালো মানুষ কাছে ভিড়ার কোন প্রকার সুযোগ দেন না
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিন নারী বা পুরুষকে অপবাদ দেবে তাকে পরকালে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। অপবাদ দুই ধরনের। এক ধরনের অপবাদ হলো, ব্যক্তিটি দোষী নয় এটা জেনেও তাকে কোন কাজের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা বা নিজে অন্যায় করে তা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে সে ব্যাপারে কুৎসা রটনা করা।
আরেক ধরনের অপবাদ হলো, অজ্ঞতা ও সন্দেহের বশে কাউকে কোন দোষের জন্য দায়ী করা। অন্যের বিষয়ে খারাপ দৃষ্টিভঙ্গী পোষণের প্রবণতা থেকেই এ ধরনের অপবাদের সূত্রপাত। অজ্ঞতা ও সন্দেহের বশে অপবাদ দেয়ার ঘটনাই সবচেয়ে বেশি ঘটে। এ কারণেই পবিত্র কোরআনের সূরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা অনেক বিষয়ে সন্দেহ বা ধারণা করা থেকে বিরত থাক কারণ কোন কোন ধারণা বা সন্দেহ গোনাহ।' কাজেই সন্দেহের বশে কারো বিরুদ্ধে কোন দোষ চাপিয়ে দেয়া অপরাধ।
সূরা ইসরাঈলের ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই বা বুঝার ক্ষমতা নেই, সেটার পেছনে যেও না। ধারণা বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে অহেতুক বানোয়াট কথা উপস্হাপন করে অপুরণীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারো না। মনো বিজ্ঞানীদের মতে বললে বলা যায়, অনেকেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এমন অপবাদকে গবেষনায় পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে, হত্যাকারীর যে বিষয়ে সন্দেহ তা মোটেও সত্য নয়।
এখন আমরা দেখবো কোন অপবাদের কথা শোনার পর আমাদের করণীয় সম্পর্কে। সূরা হুজরাতের ৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন খরব আনে তাহলে তা পরীক্ষা করে দেখবে,যাতে অজ্ঞতাবশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও। অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশ হলো, আমরা যখন কারো ব্যাপারে কোন কথা বা অপবাদ শুনব তখন নিজ দায়িত্ব হলো প্রথমে তা পরীক্ষা করে এর সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া। কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক এবং প্রমাণ ও তদন্তবিহীন মূল্যায়ন নিষিদ্ধ।
ইসলাম অপবাদকে হারাম ঘোষণা করেছে এবং মুমিনদেরকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে একে অপরের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ না করা হয়। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া কাউকে কোন কিছুর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। পাশাপাশি এদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে যে, কেউ যাতে অপবাদ দিতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তবে মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাখ্যার মাধ্যমে সন্দেহ সৃষ্টির আশংকা দূর করতে হবে। এ কারণেই ইসলামে পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। কারণ পাপাচারীদের সঙ্গে মেলামেশার ফলে মানুষের মনে মুমিনদের বিষয়েও সন্দেহের জন্ম হতে পারে এবং পরিণতিতে অপবাদ দিতে পারে।
নজরুল ইসলাম তোফার শেষকথা, যদি অপবাদ বিষয়টিকে সর্বদাই গুরুত্বের আসনে বসাতেই চাই, তাহলে অপবাদ দিতে দিতে দিনে পর দিন অন্যের ক্ষতির পাশাপাশি নিজের ক্ষতিটাও মেনে নিতে হবে। আধ্যাত্বিক দিক থেকেও অপুরণীয় ক্ষতি হয় বলে গবেষকদের ধারনা। সুতরাং এ ধরনের বড় পাপ কাজ থেকে বিরত থেকে বরং বিতর্কহীন, অবাধ ও সুষ্ঠু জীবনে আশায় আত্ত্ব উন্নয়নের পথে থাকা বাঞ্ছনীয়।

বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করেন সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়

পারভেজ কাজিপুর প্রতিনিধি :
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচীর অাওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে শিক্ষা উপবৃত্তির ১৬ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে কাজিপুর  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত  ছিলেন  বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিমের সুযোগ্য সন্তান  সাবেক সংসদ সদস্য জনাব প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। তিনি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তোমাদের সহ সারা বিশ্বের প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন তোমাদেরকে কিভাবে শিক্ষা ও সকল কাজে সম্পৃক্ত  করা যায় সেই জন্য আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সরকার,  আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, এছাড়াও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

বেলকুচির গ্রাম পুলিশদের মাঝে মোবাইল বিতরণ


সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬০ জন গ্রামপুলিশদের মাঝে মোবাইল ফোন ও সংযোগ বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা হলরুমে গ্রাম পুলিশদের মোবাইল ফোন ও সংযোগ বিতরণ অনুষ্ঠান পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিউজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া মিলন, থানা অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন, বেলকুচি প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা রুবেল, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর্জা সোলায়মান হোসেন, রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ, ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী খন্দকার ফজলুর হক ভাষানী, বড়ধুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ। এ সময় বন্যার পানিতে শিশুর মৃত্যুর কারণের ২ জন অভিভাবকের হাতে ২০ হাজার টাকা করে ২টি চেক বিতরণ করা হয়।

ভোটের দাবিদার একমাত্র আমরাই-প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়(এমপি)

ভোটের দাবিদার একমাত্র আমরাই-প্রত্যন্ত গ্রামে  বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়(এমপি)
পারভেজ আহমেদ, কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের ছোনগাছা ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চল গাড়ুদহ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্ভোধনী অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অপস্থিত মাননীয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সুযোগ্য পুত্র সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়, শেখ হাসিনা সরকরে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, সারা বাংলাদেশ সহ সিরাজগঞ্জে যে উন্নয়ন হয়েছে তার উপর বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জনগণের উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোট আপনাদের অধিকার, কিন্তু আমরা যদি রাস্তা ঘাট, স্কুল মাদ্রাসা উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকি তাহলে আপনার ভোটের দাবিদার একমাত্র আমরাই।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম সারাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। সেই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে আমাদের সিরাজগঞ্জ ও বাদ পরেনি আপনেরা জানেন এতিমধ্যে শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজর কাজ চলমান, কাজিপুরে আইএসটি চালু হয়ে গেছে, নিশ্চিতপুর ও মনসুর নগর ইউনিয়নে মা ও শিশু হাসপাতাল উদ্ভোধন করেছেন এবং নার্সিং ইন্সটিটিউট ও টেক্সটাইলের কাজ চলছে। তিনি আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেবার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ডিজিএম মোঃ মিজানুর রাহমান (সিরাজগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২) কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, ছোনগাছা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শহিদুল আলম, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান দুদু প্রমূখ।


শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

বন্যার্তদের মাঝে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ত্রাণ বিতরণ

সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল  ফুলবাড়িয়া ও পঞ্চসোনা গ্রামের বানভাসী ছয় শতাধিক মানুষের মাঝে নিজ হাতে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকাযোগে ত্রানসামগ্রী নিয়ে গিয়ে এগুলো বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরনের সময় উপজেলার নির্বাহী অফিসার সরকার মোহাম্মদ রায়হান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলামসহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বানভাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বন্যার্তদের কথা স্মরণ করে ৩৩৫ টন চাল ও নগদ সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সে ত্রাণগুলো আমরা আপনাদের হাতে তুলে দিতে এসেছি। 

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা জানান, বন্যার্তদের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাউল, নগদ টাকা, শুকনো ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা তৈরীর কাজ দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় কিছু সমস্যা হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলার ছয়টি উপজেলার যে সকল মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে প্রত্যেককে ত্রাণ তৎপরতার আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান, পানি নামার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে পুনর্বাসনেও সার্বিক সহায়তা করা হবে।

মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

সিরাজগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন, আওয়ামী-লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৫আগস্ট) সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শোক র‌্যালী, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, চিত্রাঙ্কাণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুল হাসান মাহমুদের তত্যাবধানে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এর মধ্যে শোকর‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সদরের এম,পি  অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এম,পি সেলিনা বেগম স্বপ্না, আ‘লীগের সহসভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, কে এম হোসেন আলী হাসান, আব্দুল বারি তালুকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, পৌড় মেয়র আব্দুর রউফ মুুক্তা, প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ যুবলীগের সভাপতি মইনুদ্দিন খান চিনু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিমসহ ছাত্ররলীগ ও রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে কাজিপুরে সাবেক সাংসদ তানভির শাকিল জয়ের উদ্যোগে ১৮টি এতিম মাদ্রাসায় কুরয়ান শরীফ খতম শেষে তাদের ভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়া সাহজাদপুরে আ‘লীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসুচী শেষে গণভোজের আয়োজন করেন স্থানীয় এমপি স্বপন।

বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র

ভারীবর্ষণ ও ভারতের বাঁধ খুলে দেওযায় দেশের উত্তরাঞ্চল ব্যাপকভাবে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর ও লালমনিরহাট জেলায় শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সেই দুর্ভোগের চিত্র নিচে তুলে ধরা হলো-
বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র ভারীবর্ষণে ও ভারতের বাঁধ খুলে দেওযায় ফলে দিনাজপুর সদর উপজেলার নশিপুর-জামতলি সড়কে কালভার্ট ব্রিজ ভেঙে যায়। এতে দিনাজপুর সদর, বিরল ও কাহারোল উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে- সমকাল
বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র রংপুরের তিস্তায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী-সমকাল

বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে আড়াই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে- সমকাল
 
বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র  বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে কুড়িগ্রামের কুমরপুর এলাকায়- সমকাল

বন্যাকবলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটে হাতীবান্ধা মেডিকেলের পাশে প্রবল স্রোতে রেললাইনের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়
- সমকাল

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলামুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী কর্মসূচী উদ্বোধন

রিফাত রহমানঃ  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে জেলামুক্তিযোদ্ধা   সন্তান   কমান্ডের   উদ্যোগে   ৩   দিন   ব্যাপী   নানাকর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর ১ম দিনে শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ   কার্যালয়ের সামনে  র‌্যালীটির   উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ। মুক্তিযোদ্ধা   সন্তানদের অংশগ্রহনে  শোক র‌্যালীটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে  থেকে শুরু হয়ে শহরের   বিভিন্ন  সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একইস্থানে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি   জেলা পরিষদের সদস হোসনে আরা পারভীনলাভলী,   জেলা   পরিষদের   সদস্য   ও   সদর   থানা   মহিলা   আওয়ামীলীগেরসাধারণ   সম্পাদক   নাসরিন   ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকমান্ডের সাধারণ সম্পাদক বায়জীদ তালুকদার,  সাস্কৃতিক সম্পাদকলিনা রহমান, সদস্য আব্দুল ওহাব, সদস্য আশরাফ মন্ডল,   বেলকুচি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব ইমাম হাসান, রায়গঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক কাওসার সহঅন্যান্যরা। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ও জেলা   মুক্তিযোদ্ধা   সন্তান   কমান্ডের সদস্য রাসেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাছুম রানা, প্রচার সম্পাদকও  মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, শাকিলহায়দার, পূর্ণা, শামীম, রেজাউল করীম সহ জেলা ও উপজেলা কমিটিরসদস্য বৃন্দ। 
 আলোচনা সভা পরিচালনা করেন   জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের  যুগ্ন  সম্পাদক সালমান হক শিবলী। এছাড়া কর্মসূচীর মধ্যে ১৪ আগষ্ট   রাত্রি ১২:০১ মিনিটে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্য দান এবং মোমবাতি প্রজ্বালন,  ১৫ই আগস্ট জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক শোক র‌্যালী  অংশ  রহণ   এবং জেলা   আওয়ামীলীগ  কার্যালয়েস্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচী, বিকাল ৪টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতা ও ১৬ই আগষ্ট সকাল ১০টায়   চিত্রাঙ্কান   প্রতিযোগিতার   বিজয়ীদের   মাঝে   পুরস্কারবিতরনী, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয় একটি প্রতিষ্ঠান - ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর উত্তরসূরি সাবেক সাংসদ জয়

টি,এম,কামালঃ 
বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয় একটি প্রতিষ্ঠান, বাঙালী জাতিসত্ত্বার সাথে মিশে থাকা ভালোবাসার নাম, একটি রাষ্ট্রের পরিচয়। বিশ্বের বুকে মাথা তুলে বাঙলীকে পরিচিত করার দৃঢ় প্রত্যয়দীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের নাম। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে সরিয়ে যারা ক্ষমতার মসনদকে পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল ইতিহাস তাদের ক্ষমা করেনাই। আজ তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত, জনবিচ্ছিন্ন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যা করতে পারেনি এদেশের ক্ষমতালিপ্সু একদল দেশদ্রোহী, বেঈমান তাই করেছে। তারা বাঙালী জাতির জনকের বুকে বুলেট এঁকে দিয়েছে। আজ তাদের বিচারও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার করেছে। রায়ও কার্যকর হয়েছে এবং বাকিদের খুনিদেরও দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হবে ইনশা আল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর উত্তরসূরি, উত্তর বঙ্গের সিংহ পুরুষ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সুযোগ্য সন্তান, (সিরাজগঞ্জ-১) কাজিপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এ সবকথা বলেন। 

মঙ্গলবার সকালে কাজিপুর উপজেলা আ’লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় আ’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন। কাজিপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাইদুলইসলাম তালুকদারের সঞ্চালায় তিনি আরও বলেন, সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত সোনার বাংলা গড়ার। এজন্য আওয়ামীলীগকে আবারও ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। আর তাহলেই বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। 

শোককে শক্তিতে পরিণত করে দলীয় নেতাকর্মিদের সামনে এগিয়ে যাবার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কাজিপুরের মাটি আ’লীগের ঘাঁটি। এখানে অন্যদলের কেউ জনগণকে কিছু দেয়নি দিতেও পারবে না। দলের সকল নেতাকর্মিকে ঐক্যের মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই কাজিপুরের উন্নয়নে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহিত পরিকল্পনাগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হবে।শোক সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএনও শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, পৌর মেয়র হাজী নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাধীন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ সমিত কুমার কুন্ডু, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু প্রমুখ।   বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শাহাদৎ বরণকারী সবার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধান অতিথি তার নিজ অর্থায়নে উপজেলার ১৯টি এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থাকরেন তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

কজিপুরে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত

পারভেজ আহমেদ, কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলহাজ্ব  শওকত  হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, যে জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু এদেশ স্বাধীন করেন সেই জাতির কিছু বিপদগামী সেনা সদস্য রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে তাকে হত্যা করে। তিনি নাবাব সিরাজদৌলা ও মীর জাফরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এদেশে যেমন সিরাজদৌলার বংশধর আছে তেমনি মীর জাফরের বংশধরেরা আমাদের মাঝে বিরাজমান। মীর জাফরের কারণে যেমন ইংরেজরা আমাদের দুইশত বছর শোষণ করেছে তেমনি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এদেশ মোস্তাক ও জিয়ারা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।

এসময় তিনি আরও বলেন, মীর জাফরের বংশধরেরা যেহেতু আমাদের মাঝে এখনও আমাদের মাঝে বিরাজমান তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা জনেন এরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেও খ্যান্ত হন নাই তারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে। এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকলের রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বকুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাধীন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন আলম, সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সেলিম রেজা, সধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ বাবলুসহ মুক্তিযোদ্ধা, সর্বস্তরের নেতাকর্মী বৃন্দ।

রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

হাতটা রেখে অপারেশন করা যায় না-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ব্যস্ততার মাঝেও বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির সব সময়ই খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তার চিকিৎসার ব্যয়ভারও গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাক্তার সামন্ত লাল সেন যখন দেখা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন তখন মুক্তামনির ব্যাপারে আলাপচারিতার শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামন্ত হাতটা রেখে অপারেশন করা যায় না?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনটিই বলেছিলেন বলে জানালেন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে হাত রেখে সফল অপারেশন সম্পন্ন করা। আজকে মুক্তামনির হাত রেখে অপারেশন করায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তার পক্ষে ধন্যবাদ পাওয়াটা কতটুকু গুরুত্ব বহন করছে তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। সত্যি আমরা সবাই আনন্দিত ও উৎফুল্ল। সব চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’

এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার শুরু করেন। অস্ত্রোপচার শেষে বেলা সোয়া ১১টায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এরপর মুক্তামনির অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থা জানাতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিদের ব্রিফ করা হয়। ব্রিফিংয়ে ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির হাতের মাংসপিণ্ড সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে। তবে এখনই তাকে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে আরো ৫-৬টি অস্ত্রোপচার করা লাগবে।’

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর মুক্তামনির হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তার আক্রান্ত ডান হাত এখন ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারী হয়ে উঠেছে। এতে পচনও ধরেছে। পোকাও জন্মেছে। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকে মুক্তামনি। আক্রান্ত স্থান থেকে বিকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ রোগ তার দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। এসব কারণে তাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ও পড়শিদের যাতায়াতও এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্প্রতি মুক্তামনির এ বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ৬০৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে শনিবার (৫ আগস্ট) তার বায়োপসি সম্পন্ন হয়। বায়োপসি রিপোর্টে তার রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়ে। যা অপসারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

প্রয়াত কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মরহুম আল আমিন তালুকদারের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত


পারভেজ (কাজিপুর প্রতিনিধিঃ) কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রয়াত সভাপতি মরহুম আল আমিন তালুকদারের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন আলমের সভাপতিত্বে উক্ত স্মরণ সভায় মরহুম আল আমিন তালুকদারের স্মৃতিচারণ করেন কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোজাম্মেল হক সরকার বকুল।  তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আওয়ামীলীগের যখন দুঃসময় তখন আল আমিন ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করেছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, আল আমিন ছিল নম্র-ভদ্র, ত্যাগী কর্মী। তিনি আগামীতে যারা ছাত্রলীগ করবেন তারা আল আমিন তালুকদারের রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্র রাজনীতি কারার আহবান জানান।
উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে স্মৃতিচারণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত হোসেন সাকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাইদুল ইসলাম তালুকদার, স্মৃতিচারণ করেন কাজিপুর পৌরসভা মেয়র হাজী নিজাম উদ্দিন, স্মৃতিচারণ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন আলম ও সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাধীন ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং পরিবারের পক্ষে স্মৃতিচারণ করেন মরহুম আল আমিন তালুকদারের ছোট ভাই পারভেজ তালুকদার।
এছাড়াও দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকসহ সর্বস্তরের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিল।

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ খুন হয়েছিলেন

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ খুন হয়েছেন বলে ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া ভিডিওতে দাবি করেছেন রাবেয়া সুলতানা ওরফে রুবি নামের এক নারী। সালমানের সেই সময়কার প্রতিবেশী এবং তাঁর স্ত্রী সামিরার ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিউটিশিয়ান রুবি। সালমানকে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হিসেবে রুবির নাম আসে। আদালতে সালমানের মায়ের দায়ের করা হত্যার অভিযোগে আসামিদের তালিকায় আট নম্বরে ছিল রুবির নাম। তাঁর এই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।  
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। ঘটনার পর সালমানের বাবা একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। সালমানের পরিবার শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এটা হত্যাকাণ্ড। ২১ বছর হতে চলেছে। কিন্তু এখনো এটা স্পষ্ট হয়নি যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, না তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সালমানকে হত্যার দায় স্বীকার করে রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ নামের এক তরুণ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দির ভিত্তিতে সালমানের মা হত্যার অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করে আদালতে নালিশি মামলা করেন। ওই ১১ আসামি হলেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ধনাঢ্য আজিজ মোহাম্মদ ভাই, রেজভী আহমেদ ফরহাদ, চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন, নজরুল শেখ, ডেভিড, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ এবং সালমানের বাসার গৃহকর্মী আবুল হোসেন খান। সেই নালিশি মামলাটি অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে মিলিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন  (পিবিআই)।
সালমানকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে রেজভী আহমেদ যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই রাতে ডনের নেতৃত্বে সালমানের বাসায় গেলে নিচতলার একটি দরজা খুলে দিয়েছিলেন রুবি। তাঁর ঘর থেকে আজিজ মোহাম্মদ ভাই বের হয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। রুবি ইস্কাটনে যে ভবনে সালমান থাকতেন, তাঁর সামনে মে ফেয়ার বলে একটি বিউটি পারলার চালাতেন। তাঁর চীনা স্বামী রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতেন।  সম্প্রতি ইউটিউবে ছাড়া ভিডিওতে রুবি
বলেছেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই খুনের বিষয়ে আমি সব জানি। যেভাবেই হোক আবার যেন মামলা তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। আমি যেমন করেই হোক আদালতে সাক্ষ্য দেব।’ ভিডিওতে সালমানের মাকে উদ্দেশ করে তিনি বারবার বলেছেন, ‘ইমন আত্মহত্যা করে নাই, তাকে খুন করা হইছে। নীলা ভাবি, প্লিজ, কিছু একটা করেন, কিছু একটা করেন।…আমার হাজব্যান্ড এইটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে।…সামিরার ফ্যামিলি করাইছে…। আমার ছোট ভাই রুমিরে দিয়া খুন করানো হইছে। রুমিরেও খুন করা হইছে। আমি জানি না রুমির কবর কোথায় আছে। রুমির লাশ যদি কবর থেকে তুলে ঠিকমতো আবার পোস্টমর্টেম করে, তাহলে দেখা যাবে যে ওরা গলা টিপে মাইরা ফেলছে।…ওরা আমারেও খুন করার চেষ্টা করছে। এই কেস যেন না শেষ হয়।’  
মামলাটির তদন্ত সংস্থা পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সালমান শাহের বিউটিশিয়ান হিসেবে ছিলেন রুবি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন। ঘটনার আগে-পরে ওই বাসাতেই তাঁর অবস্থান ছিল। সালমান মারা যাওয়ার পরে রুবি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। আমরা তাঁকে খোঁজার ব্যাপক চেষ্টা করেছি। অনেক দিন পরে তাঁকে পেলাম ইউটিউবে। তবে তাঁর কথাগুলো যাচাই করে দেখতে হবে তা কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যা। আবার এমনও হতে পারে কেউ তাঁকে দিয়ে বলাচ্ছে। এসবই তদন্তের বিষয়।’  যোগাযোগ করা হলে লন্ডনে অবস্থানরত সালমান শাহর মা নিলুফার চৌধুরী বলেন, ‘তাঁর এ বক্তব্যের পরে বলার আর কোনো অপেক্ষা রাখে না যে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছিল। আমি জানতাম এই দিনটা আমার আসবে। রুবি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় আছে। তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আর রুবি যাদের নাম বলেছে, তাদের এখনই গ্রেপ্তার করা হোক।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিচার চাই। এত বছর আমি হতাশায় ভুগছি। দেশে আমারও নিরাপত্তা নেই। যার কারণে আমি লন্ডনে আছি।’  সালমান শাহ হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ১৬ আগস্ট প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান নিলুফার চৌধুরী। সেদিনই তিনি পরবর্তী আরও কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

হবিগঞ্জে ২৫০ শয্যাআধুনিক হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন- দেশে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব মোকালোয় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুতি অনুযায়ী কাজ করায় ইতোমধ্যে এর প্রাদুর্ভাব কমে এসেছে। তিনি চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকেই হবিগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম শুরু হবে বলেও ঘোষণা দেন।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের নব-নির্মিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ৬তলা হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধনশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথাগুলো বলেন। ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮তলা বিশিষ্ট ৬তলা ভবনের নির্মাণ করা হয়। ৬৮ হাজার ৭৪৮ বর্গফুটের এ ভবনে ২টি লিফটসহ আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিম তলায় এক সুধি সমাবেশের আয়োজনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান সরকার দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন ও উপজেলা হাসপাতালে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকার এই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
মন্ত্রী রাতে শায়েস্তাগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি লাখাই উপজেলার কালাউক হেলিপ্যাড মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন।

খুব শীর্ঘ আসছে টেলিফিল্ম “বদঅভ্যাস”

নজরুল ইসলাম তোফঃ অভ্যাস মানুষেরই দাস। সে অভ্যাস দিনে দিনে বদভ্যাসে পরিনত হয়। বেশীরভাগ মানুষেরই সে অভ্যাস আছে বৈকি। কিন্তু সেটি আবার যদি নেশা থেকে শুরু করে নারী ইভটিজিং হয়, তাহলে তো দেশিও দণ্ডবিধি অনুযায়ী শালীনতার উদ্দেশ্যে কোন মন্তব্য, অঙ্গ ভঙ্গি বা কোন কাজ করলে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা আবার তা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

কিন্তু টেলিফিল্মে নাট্যকার নজরুল ইসলাম তোফা সে দিকে যেতেই চাচ্ছেন না। বলতে চাচ্ছেন, নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত এক স্কুল শিক্ষকের কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের কথা। স্কুল শিক্ষকের সৎ উপার্জনে সংসার চালানোই মুশকিল, তার উপর পালিত ছেলের দ্বাবি, আই ফোন, দামি ল্যাপটপ, হাই সোসাইটির ছেলেদের মতই দামি পোশাক-আশাক, কি করে দিতে পারে বাবা স্কুল মাষ্টার? অতি সামান্য বেতনের চাকরি তাঁর।

এদিকে ছেলে জানবে কি করে মা তার ছোট বেলা থেকেই ঘরে নেই, বাবা পালিত ছেলের মতো করেই কখন দেখে না তাকে। আপনের আক্ষেপ, তার চাহিদার অপূর্ণতার মতোই মার চাহিদাকে পুরন না করে কষ্ট দিয়ে অকালেই মেরে ফেলেছে। আপন মায়ের কথা বাবাকে বললেই বাবা স্কুল মাষ্টার এড়িয়ে চলেন। কারণ আপনের বাবা তো বিয়েই করেনি। আপনকে এই কথা জানালে যদি কষ্ট পায়।

অপর দিকে, বাবার উপর জেদ করে আপন অবাধ্য হয়ে অসৎ সংগে দিনে দিনে বদঅভাসের দিকে পা বাড়ায়। আবার আপন মেয়ে দেখলেই তাকে মা সরূপ মনে করে অপলক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকে! কিন্তু ধনীর দুলালি স্নেহা তা না বুঝে, আপনকে কটুক্তি করে। স্নেহা এমন দৃষ্টি মেনে না নিয়েই প্রতিবাদ করে এবং তার মা নার্গীসের কাছে বলে, আহসান মাষ্টারের ছেলে সর্বদাই কলেজের করিডোরে পথে-ঘাটে ইভটিজিং করে। মা নার্গীস অবাক হয় এবং কল্পনায় আনে, আমার প্রেমিক কি সেই আহসান।

মেয়েকে জিজ্ঞেস করে আহসান কোন স্কুলের মাষ্টার? একদিন নার্গীস সেখানে গিয়ে দেখে তার সেই প্রেমীক আহসান। এমন উপস্হিতিতে কি করবে সে, নার্গীস রাগ লুকিয়ে রেখে বলে তুমি কি বিয়ে করে ঘর সংসার করে দুষ্ট ছেলের জন্ম দিয়েছ ?

আহসান তাকে আর মিথ্যা বলতে পারেনা। প্রেমিক আহসান তো বিয়েই করেনি, নার্গীস অবাক হয়ে বলে, তাহলে সন্তান আপন কি করে জন্ম নিলো। তখন আবেগ তাড়িত কন্ঠে আহসান বলে, তোমার কাছ থেকে যেদিন শেষ দেখা করে বাড়ী ফিরি সেই মুহুর্তেই পথের মাঝে এই ছোট্ট ছেলেটি কাঁদে, অনেকেই তাকে দেখে চলে যায়, আমি যেতে পারিনি। তাকে আজ লালন পালন করে নাম রেখেছি আপন। কথা গুলো শুনে নার্গীসের চোখে পানি আসে এবং বলে, আমি তোমাকে বলেছিলাম আমাদের ছেলে হলে ‘আপন’ নাম রাখবো। তুমি কিনা কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের ‘আপন’ নাম রেখে আমাদের প্রেমকে অমর করেছ।

অপর দিকে নার্গীস আহসানের কথাও রেখেছে, মেয়ের নাম রেখেছে স্নেহা। আপন, স্নেহার এমন প্রেম কাহিনী নিয়ে নার্গীস ও আহসান আসলে কি করতে পারে। শেষ হবে তা টেলিভিশনের পর্দায়। তরুন নাট্যকার নজরুল ইসলাম তোফা এমনিভাবে তার টেলিফিল্মে চমৎকার ক্লাইমেকস্ এনেছেন।
পরিচালক মোঃ আশিক উল আলম বলেন, পৃথিবীতে এমন অনেক মহান পেশা বা নেশা আছে, যা করতে ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন পড়ে। এ কথার সাথে একমত না দ্বিমত-সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। তবে একটা বিষয়ে মোটামুটি সবাই কম বেশি এক মত হবেন যে, এদেশের নির্মাণের মান এখন অনেকটাই এগিয়েছে অথবা মানসম্মত করার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন উৎসবে দেশীও সিনেমা প্রদর্শনী হচ্ছে। চমৎকার ও দুর্দান্ত সব সিনেমা সুধী মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। এমন কি মাঝে মধ্যে পুরস্কারও ছিনিয়ে আনছে। অর্থের অভাবে অথবা অন্য কোন কারণে যখন একটা ফিল্ম, সিনেমা হলের উপযোগী করে বানানো যায় না কিংবা গুটি কয়েক সিনেমা হল ছাড়া সারা দেশের সিনেমা হল গুলোতে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয় না, সেটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের দীনতা বোঝাতেই যথেষ্ট।

এই আলাপ গুরুজন-অভিজ্ঞজনেরা আরো বিশদভাবে ব্যাখা দিতে পারবেন বলে মনে করেন পরিচালক মোঃ আশিক উল আলম। তবে টেলিফিল্মটির গল্পের গাঁথুনি ও চিত্রনাট্যে পরিপূর্ণতা সম্পূর্ণভাবে আধুনিক প্যার্টানে বিরাজমান। ভুল-ত্রুটির অভাব থাকলেই বরং দর্শকের প্রাণের তেষ্টা মেটে। সেখানে সমালোচনার খাতায় দারুণ প্রভাব ফেলে। এই ফিল্মের পরিচালক আশিক উল আলম সে আশাটুকুই করেন।
সহকারী পরিচালক হিসেবে ফাহিম শাহারিয়ার, উয়াইব আহম্মেদ অপু, অনি ও রেহান হাবিব রয়েছেন। গ্রীন এ্যারো প্রডাকশন হাউজের ব্যানারে টেলিফিল্মটি অবশ্যই বিনোদন নির্ভর হবে বলে আশা পোষন করেন পরিচালক। যোগ্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সমন্নয়ে এই শৈল্পিক বিনোদন নির্ভর টেলিফিল্ম ‘বদঅভ্যাস’ এবং বেসরকারি চ্যানেলের জন্যই নির্মিত হচ্ছে।

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

মীর মোশারফ হোসেনের সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে গণসংযোগ

দলীয় হাইকমান্ড থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবার নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা, গণসংযোগ সুরু করেছে। এছারা সাধারন মানুষের পাশে দাড়ানো, এলাকার উন্নয়ন, দলীয় অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত ভাবে সহায়তা করে বেশ জোড়েসড়ে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন বহুল আলোচিত ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নির্যাতিত আ’লীগ নেতা মীর মোশারফ হোসেন।
তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মীর মোশারফ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা ছিলেন। বর্তমানে ঢাকার বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তার নির্বাচনী এলাকার কয়েকটি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শুক্রবার দিনব্যাপী মীর মোশারফ হোসেন বেলকুচি উপজেলার শ্যামগাঁতী, গাবগাঁছী, বানিয়াগাঁতী তামাইসহ বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের নেতা এস এম আজম, বেলকুচি উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মোতিহার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শাহাদ্ৎ হোসেন মুন্না, বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সেলিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইকবল হোসেন, ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ মির্জা প্রমুখ। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন পর্যয়ের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীর জামাতা মাশরুম হোসেন মিতুর দেওয়া সাইকেল, নাতনি আলীজা করলেন উদ্বোধন


সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার ৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মধ্যে ৬০০ বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। এগুলো বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের স্বামী ও এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে খন্দকার মাশরুম হোসেন মিতু। এ সময় একটি সাইকেলে চড়ে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মাশরুম হোসেনের মেজো মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর নাতনি আলীজা হোসেন।

‘শোককে শক্তিতে পরিণত করে নারীদের ক্ষমতায়নে বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে’ স্লোগানকে সামনে রেখে খন্দকার মাশরুম হোসেন মিতু আজ বাইসাইকেল বিতরণ করতে যান তাঁর ছোট বোন শারিতা মিল্লাত রিতুর স্বামী সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নির্বাচনী এলাকায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মাশরুম হোসেন মিতু বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে, বাল্যবিবাহ রোধ করে নারীদের আরো এগিয়ে আসতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান বাল্যবিবাহ যেন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আর এই  বাল্যবিবাহকে রুখতে হলে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। কেবল সরকারের পক্ষে এই ব্যাধি সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব নয়। খন্দকার মাশরুম হোসেন আরো বলেন, মাত্র ২০ বছর আগে সেনাবাহিনী ও এসএসএফে নারীর অংশগ্রহণ ছিল না। এখন অনেক নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় নারীরা এখন অনেক এগিয়ে, প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। এমপি, ডিসিসহ প্রশাসনের অনেক বড় বড় অবস্থানে নারী। নারীদের এখন অনেক বড় হওয়ার সুযোগ আছে।

ছাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের জামাতা বলেন, ‘নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের নারীরা এখন বিশ্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। আর কোনো বাল্যবিবাহ নয়, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অভিশাপ। যারা বেআইনিভাবে বিবাহ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য বেআইনি বিবাহ বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের আইন না মেনে বিবাহ সম্পাদন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাল্যবিবাহ যেখানে, প্রতিরোধ সেখানে।’

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আলহাজ আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-পাবনা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহান সিদ্দিকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শারিতা মিল্লাত রিতু, অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, নবম শ্রেণির ছাত্রী হাফসা খাতুন প্রমুখ। বাইসাইকেল পাওয়ার পর কলেজ মাঠ থেকে র‍্যালি বের করে স্কুলছাত্রীরা।

বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

গোলাম সারওয়ার পুনরায় পিআইবির চেয়ারম্যান

দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ারকে চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) ১৩ সদস্যের নতুন পরিচালনা বোর্ড গঠিত হয়েছে।   সরকার পিআইবির রেজ্যুলেশনের ৩(২) এবং ৩(৩) উপ-অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ পরিচালনা বোর্ড গঠন করে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। খবর বাসসের

কমিটির সদস্যরা হলেন— দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক হানিফ মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মণ্ডল ও যুগ্ম মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও একই বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রেস), দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক স্বপন সাহা ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

কাজিপুরের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্দোগে রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচী পালন

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কাজিপুরের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্দোগে রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচী পালন করেন। শোকের মাসের প্রথম দিন মধ্য রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথম প্রহরে আলোর মিছিলের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হল। ১২ টা ১মিনিটে কাজিপুরের শহীদ মিনারে অঙ্গ ছাত্র লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্দোগে রাত ১২টা ১মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচী পালন করা হয়। 
 
পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও স্বজন।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।