সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭

বাংলাদেশে পেপ্যাল’র কার্যক্রম শিগগিরই

বাংলাদেশে পেপ্যাল’র কার্যক্রম শিগগিরই শুরু

বাংলাদেশে পেপ্যাল’র কার্যক্রম শিগগিরই
ঝামেলামুক্ত ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফারের পথ সুগম করতে ও দেশের ফ্রিল্যান্সারের অর্থ সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা ‘পেপ্যাল’ খুব শিগগিরই বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, আজকের (সোমবার) মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশে পেপ্যাল সার্ভিস চালুর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 
আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২২ থেকে ২৪ মার্চ জামার্নিতে, ২৯ থেকে ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২ থেকে ৪ এপ্রিল আর্জেন্টিনায় সফর করেন এবং এ সময় তিনি গুগল, ফেসবুক ও পেপ্যাল’র উচ্চ পদস্থ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পেপ্যাল’র সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেপ্যাল খুব শিগগির বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। ১৯৯৮ সালে ডিসেম্বরে পেপ্যাল চালুর পর থেকে ইতোমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি একক ও ব্যবসায়িক পেমেন্ট ইলেক্ট্রনিকেলি ফান্ড ট্রান্সফার হয়েছে। সারাবিশ্বে প্রায় দু’শতাধিক মার্কেটে পেপ্যাল সুবিধা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭

কাজিপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম



আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। ২০ এপ্রিল ২০১৭ মন্ত্রী দিনাজপুর থেকে হেলিকপ্টারযোগে বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পৌছান।
তিনি মেঘাই ও মাইজবাড়িতে যান। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। প্রথমে তিনি কাজিপুর উপজেলার মেঘাই মৌজায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অর্থায়নে ৫.৫০ একর জমিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য গৃহীত প্রকল্প পরিদর্শন ও পরে মাজইবাড়ী ইউনিয়নের ঢেকুরিয়া ও মাইজবাড়ী মৌজায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রায় ১২ একর জমিতে ইকোপার্ক নির্মাণের জন্য স্থান পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কাজিপুর রেস্ট হাউজে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
এসময়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন মোঃ মনজুর রহমান, পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালক (পরিকল্পনা) শহিদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, এল.জি.ই.ডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, পরিবার  পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক শাহিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হামিদ রেজা, এছাড়ারও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল, মোঃ মুকুল চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

অছাত্র, বিবাহিত ও মাদকে যুক্তদের সংগঠনে ঠাঁই নাই : ছাত্রলীগ সভাপতি

অছাত্র, বিবাহিত ও মাদকে যুক্তদের সংগঠনে ঠাঁই নাই : ছাত্রলীগ সভাপতি
অছাত্র, বিবাহিত ও মাদকে যুক্তদের সংগঠনে ঠাঁই হবে না বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি আজ শনিবার বিকেলে ঢাকার ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ ও কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল ছাত্রসংগঠন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশের যেকোনো আন্দোলন, সংগ্রাম ও দুর্যোগময় মূহুর্তে ভূমিকা রেখেছে এই ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগে কোনো অছাত্র, বিবাহিত ও মাদকের সঙ্গে জড়িতদের জায়গা হবে না। ছাত্রলীগ মেধাবী ও ত্যাগীদের ছাত্রসংগঠন। ছাত্রলীগ যেমন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তো। তেমনি দেশরত্ন শেখ হাসিনার একমাত্র বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবেই কাজ করে আসছে।  
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা সারাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত। যেখানেই তারা ঘাঁটি করছে, সেখানেই প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়েছে। দেশকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্রলীগ সফল হতে দেবে না।  
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ফারুক। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা- ১৩ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু, বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। 

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

বিপুল সাড়া জাগিয়ে সিরাজগঞ্জের তরুণ সম্প্রদায়ের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক “অসমাপ্ত’’


সিরাজগঞ্জের নাট্যাঙ্গন আবারও মহান মুক্তিযুদ্ধের নাটক নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলা সদরের অন্যতম ঐহিতবাহী নাট্য সংগঠন ‘‘তরুণ সম্প্রদায়’’ ৩০তম প্রযোজনায় বাস্তব ঘটনাকে অবলম্বন করে নাট্যরুপ দিয়ে ঐতিহাসিক ভাসানী মিলনায়তন মঞ্চে মঞ্চায়িত হয়েছে নাটক ‘‘অসমাপ্ত’’। ৭ এপ্রিল থেকে মঞ্চস্থ হওয়া এ নাটকটি বিপুলসংখ্যক দর্শকদের সারা জাগিয়ে চলছে। নাটকটির ব্যতিক্রমী দিক হচ্ছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের প্রত্যান্ত গ্রামের এক নারী রাজাকারের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকা। শাহাজাদপুরের গোপীনাথপুর গ্রামের গৃহবধু নূরজাহান ১৯৭১ এ ছিল নারী রাজাকার।

অত্যন্ত গরীব পরিবারে সংসারপাতা নুরজাহান। তার স্বামী ছানোয়াকে সাহয্য করতে করতে সক্রিয় রাজাকার হয়ে ওঠে। লুট, ধর্ষন, খুন সবকিছুর পেছনে ও সামনে দুতরফেই অংশগ্রহণ ছিল নুরজাহান রাজাকারের। গোপীনাথপুর গ্রামে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোন পাকিস্তানী মিলিটারি আসেনি। কিন্তু রাজাকারদের দুঃসহ পদচারনা ছিল। নুরজাহান আর ছানোয়ারের মতো সুযোগ সন্ধানী
স্বার্থপরদের সহায়তায় গোপীনাথপুরে লুট আর হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিলো রাজাকার ও আলবদর বাহিনী। ১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন  পুরো সময় গোপীনাথপুর গ্রামটি নরকে পরিনত  হয়েছিল। যর প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে ছিলো নুরজাহান রাজাকার। এসবের মধ্যেও ঐ গ্রামের দামাল ছেলেরা যুদ্ধে গিয়েছিল। পাকিস্থানী মিলিটরিদের সাথে গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে  লড়াই  করে দেশ স্বাধীন করেছে। ফিরে আসা মুক্তিযোদ্ধারা ছানোয়ার রাজাকারের বিচার নিশ্চিত করলেও নুরজাহান রাজাকারের বিচার হয়নি। তার সঙ্গীদের হারানোর বেদনা নুরজাহান রাজাকারের প্রতিশোধের তান্ডব আজো মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে।

উক্ত পটভুমিতে তৈরি  নাটক ‘‘অসমাপ্ত’’ দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করেছে। বিশেষ করে নুরজাহানের চরিত্রে তরুণ অভিনেত্রী নিলা রহমানের অনবদ্য অভিনয় বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া রাজাকারের চরিত্রে ফরিদুল ইসলাম সোহাগ, খালেক মাওলনার চরিত্রে আসাদ উদ্দিন পবলু, ওসমানের চরিত্রে ইমরান হোসেনের অভিনয় দর্শকদের দীর্ঘদিন মনে থাকবে। অন্যান্য চরিত্রে সুমন, তাহমিনা কলি, আয়শা নাসরিন এমিলি, জান্নাতুল ফেরদৌস কেয়া, যুগান্তর রন্টি, তুহিন রহমান, পিদিম, শান্ত, শাকিল, অনিক, আসাদ, মৌ, মোহনী, মীম, কেয়া, খ.ম. আখতার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, পাপ্পু, বাবু, হাসান, মনোয়ার, আবীর, অনিক, শাকিল, মোনা, সুইটি ও কনা ভাল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছে। দেশের অন্যতম বরেন্য নাট্যকর ডঃ মাহফুজা হিলালী নাটকটি  রচনা করেছেন এবং পরিচালনায় ছিলেন প্রথিতযশা নাট্য পরিচালক আমিনুল রহমান মুকুল ও সহযোগি ছিলেন এ.কে আজাদ। দীর্ঘদিন পর সিরাজগঞ্জের একটি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটে যাওয়া কাহিনী নিয়ে রচিত নাটকটি সিরাজগঞ্জের মানুষকে আবারও মনে  করিয়ে দিয়েছে যুদ্ধের সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। আজকের প্রজন্মের মানুষের কাছে যুদ্ধের  সেইগুলোকে তুলে ধরায় প্রয়াস দারুন ভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। নাটক মঞ্চায়ন শেষে প্রতিদিনই নাট্য দর্শকগণ অনুভুতি প্রকাশ করছেন। বিশিষ্ট নাট্য ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মধ্যে আনু ইসলাম, আছির উদ্দিন মিলন, হেলাল আহমেদ, মাহবুব এ খোদা টুটুল, ইমরান মুরাদ, নাটকটি উচ্ছসিত প্রসংশা করেছেন এবং শুধু সিরাজগঞ্জেই নয় দেশের সর্বত্র এবং দেশের বাইরেও নাটকটি মঞ্চস্থ করা  প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগকে শক্তিশালী করতে তৃণমুলের দাবী হাকিম-জুয়েল পরিষদ


আগামী ১৫ এপ্রিল সিরাজগঞ্জে জেলা আওয়ামালীগের সম্মেলনে জেলা যুবলীগকে শক্তিশালী করতে তৃণমুলের একটাই দাবী হাকিম-জুয়েল পরিষদকে ভোট দিন। বিএনপি-জামাত শিবিরকে প্রতিহত করতে আন্দোলন সংগ্রাম সঠিক নেতৃত্বে বেছে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আগামী ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুণরায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠনে ভোর্টের মাধ্যমে হাকিম-জুয়েল পষিদকে ভোট দিয়ে জেলা যুবলীগকে কার্য্যকরী এবং শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলুন।
শনিবার বিকালে হোসেনপুর ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বৃক্ততায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। বক্তরা আরো বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগকে শক্তিশালী করতে হাকিম-জুয়েলকে এখন প্রয়োজন।

১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপদি পদপ্রার্থী এ্যাডঃ আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জেহাদ আল ইসলাম জিহাদ, ১১নং ওয়ার্ডআওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, প্যানেল মেয়র ২ গোলাম মোস্তফা, ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিটু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসলাম, জেলা যুবলীগ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক মামুনুর রহমান মামুন, যুবলীগ নেতা, সাগর, আরিফ, পুলক প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টাবু, যুবলীগ নেতা হান্নান, হাফিজুল,  সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টি এম কামালসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীর্গণ।

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

রুয়েটের দুই বন্ধু প্রাণীজগতকে ক্যামেরায় বন্দির অদ্ভুত কাণ্ডকীর্তি রহস্য'


নজরুল ইসলাম তোফাঃদৈনিক সিরাজগঞ্জ ৭১ প্রতিনিধিঃ
বৈচিত্র্যময় জগতে ভালোবাসার রুপরেখা, আকর্ষণীয় বস্তু বা বিষয় নিয়ে যুগে যুগে মানব জাতি কতোই না আগ্রহ, উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখিয়ে আসছে। কারো কারো অদ্ভুত ধরণের মোহ বা ভালোবাসার জাগ্রত হয়, তা অবশ্যই সচরাচর সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনা। ভালোবাসার গভীরতা কারো প্রতি কারো অনেক অংশে বেশিই ধরা দেয়। এই ভালোবাসার গভীরতা ঈশ্বরের অবদান বললে ভুল হবেনা বৈকি। প্রাণীজগতের বৈচিত্র্যের স্বরূপ তুলে ধরার প্রতি এমন ভালোবাসা কারো কারো একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু এমনও কিছু মানুষ আছে দিবানিশিদির প্রতিটি ক্ষণে পশু-পাখির পেছনে কাটে, পশুপাখি তাদের মন ছুটে নিয়ে বেড়ায় সদাসর্বদা মনুষ্য জগতে আড়ালে কিছু অপ্রয়োজনীয় স্হানে। সেসব স্হানে উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা দিয়ে পশু পাখির জীবনকে নান্দনিক রূপে তুলে ধরেন। বলা যায় তারা পশু পাখি প্রেমী সমাজে দৃষ্টান্ত মূলক আদর্শ মানুষ।

হঠাৎ করেই নজরুল ইসলাম তোফার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাজশাহী শহরের পাশ ঘেঁষে পদ্মা নদীর মাঝ বরাবর ঠান্ডা, শীতল অল্প স্বল্প পানির নিকট শুকনো বালুচরে। অবাক করার মতোই দু'বন্ধু গভীর পানিতে নেমে ক্যামেরার লেন্স রাইফেলের মতো তাক করে মৃদু পায়ে উড়ন্ত পাখিকে টার্গেট করে। কখন পাখি মাছ ধরে বালিচরে পানি সংলগ্ন কুল ঘেঁষে দু'দন্ড অবস্থান করবে। আবার এদেশের যুদ্ধ সৈনিকে মতো হামাগুড়ি দিয়ে অসম্ভব ঠান্ডা বালুচরে ঘন্টা পর ঘন্টা শুয়ে থেকে পাখিকে ক্যামেরা বন্দি করে সৌখিন মনের মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য, অবশ্যই তারা সমাজে ও দেশের কাছে উপহার স্বরূপ হয়ে রবে। এমন কাজে কৃতিত্বপূর্ণ দু'বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের এক মুহূর্তে জানা গেলো তাদের কর্ম ও পরিবারের আদ্যোপান্ত।

একজনের নাম মোঃ রিফাত ইকবাল অপর জনের নাম শ্রী দিপু দত্ত। তারা রুয়েট ফাইনাল ইয়ারের মেধাবী ছাত্র। রাজশাহীর তালাইমারীতে দু'বন্ধু একই সঙ্গে থাকে। চমৎকার মাথায় ক্যাপ পরিহিত রিফাত ইকবালের জন্ম ঢাকায় অপর বন্ধুর খোঁচা খোঁচা সুন্দর দাড়ি দিপু দত্তের জন্ম খুলনা। তারা উন্নত প্রযুক্তির নিজস্ব ক্যামেরায় সাড়ে চার বছর ধরে ফ্রেমে বন্দী করে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখির জীবন যাত্রার নান্দনিক ছবি। প্রাণীজগতের বিচিত্র রূপ, পরিচয় নাম সংগ্রহের নেশা ছড়িয়ে দিতে চান শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে। সবাই পছন্দ করে বলেই দিনে দিনে এমন নেশা  আরো গভীরে প্রবেশ করে। পশু-পাখি ছবি তোলা এমন কৌশলী আচরণ না দেখলে সত্যিই বিশ্বাস হবে না বৈকি। তারা লেখাপড়ার পাশা পাশি পশু-পাখির অদ্ভুত কাণ্ডকীর্তি নিয়ে ছবি তোলে ব্যস্ত সময় পার করে। জানা গেল তাদের নাকি এমন আগ্রহের কারণ এক ধরনের মানসিক তৃপ্তি এবং চরম বিনোদন।
পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসার এমন ধরন জাগ্রত হয় তাদের এক বড় ভাই মোঃ কুদরাতী খুদার নিকট থেকে। তারা বলেন, পশু-পাখির প্রতি মমত্ব বোধ থাকাটা খুবই জরুরী। যারা ফুল-পাখি পশুর প্রতি ভালোবাসার নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের মানসিক বিকাশ সুন্দর হয়। আচরণে অনাবশ্যক রূঢ়তা প্রকাশ পায় না। কিন্তু নাগরিক জীবনে প্রাকৃতিক পরিবেশ, একটু সবুজের ছোঁয়া ক্রমশ দুর্লভ হয়ে উঠছে। কাক ছাড়া অন্য কোন পাখি চোখে পড়ার মতো খোঁজে পাওয়া দুর্লভ। আসলে তারা দেশ, মাটি, মানুষ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসে। আর প্রকৃতির মাঝে উঠাবসা করতে গিয়ে পাখির প্রতি ভালোবাসা নিবিড় ভাবে জাগ্রত হয়।
দিপু দত্ত বলেন, বাংলাদেশের অপরূপ প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার পশু-পাখি। এ দেশের মানুষ পশু-পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে আবার পশু-পাখির কলকাকলিতে জাগে। পশু-পাখি সংরক্ষণে গনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, পশু-পাখি নিয়ে মানুষের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করতে এবং বাংলাদেশের পশু-পাখি সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমি সহ আমার বন্ধু রিফাত ইকবাল কাজ করে যাচ্ছি।

জানা গেল, ছোট বেলা থেকেই তারা পশু-পাখি প্রেমী মেধাবী ছাত্র। এ দেশের সবুজ বৃক্ষের মাঝে হাজারো পশু-পাখির প্রতি তাদের আলাদা ভালোলাগা অজান্তেই জন্ম নেয়। তবে বর্তমানে গাছপালার সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। সেহেতু সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাখি। শহুরে জীবনে তো এগুলোর দেখা পাওয়া যায় না। এমন কথা জানান দিলেন মোঃ রিফাত ইকবাল। তিনি আরও জানান,  একটি ভাল ছবির পেছনে থাকে অনেক অনেক হতাশা, অপেক্ষা, ভাগ্য, চেষ্টা আর সফলতা। অধিকাংশ  মানুষ  শুধু ছবিটাই দেখে Behind the scene ভাবার চেষ্টা  করে না।

অনেকেই তাকে জিজ্ঞেশ করে কোন লেন্সে, কোন ক্যামেরায় উঠানো হয়েছে ছবি,  কিন্তু খুব কম মানুষই জানার চেষ্টা করে ছবিটা কিভাবে তোলা হয়েছে। আসলে সবাই ভাল ছবি তুলতে চায় কিন্তু সময় দিতে চায় না এবং সঠিক স্থান নির্ধারণ করতে চায় না। ক্যামেরার গিয়ার এর বাইরেও যে কিছু থাকে অধিকাংশই তা আয়ত্ত করতে চায় না।

পশু-পাখি নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ এবং নান্দনিকতার বিভিন্ন সাইটের দায়িত্ববোধ নিয়ে এ দেশের মন্ত্রিসভায় একটি যুগোপযোগী আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। নীতিগতভাবে এই আইনটি ‘প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৬’। আসলে বলতে গেলে,  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগেই এই আইন হয়েছে, এ দেশে অনেক দেরিতে হলেও বাস্তবায়িত হবে কতটুকু তা ভাববার বিষয়। যেহেতু আইনটি করেছে সরকার, সেহেতু  আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে হলেও পশু-পাখির অনুমোদিত আইন যথাযথ ভাবে মেনে চলা উচিত।

অনুমোদন ও ভবন নেই তবুও কারিগরি স্কুল ও বিএম কলেজের নামে চলছে ভর্তি কার্যক্রম



সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
অনুমোদন নেই, নেই কোন নিজস্ব ভবন। তবুও সিরাজগঞ্জ কারিগরি স্কুল ও বিএমকলেজের নামে চলছে ছাত্রছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম। অপর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইনবোর্ড টানিয়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার ৩টি ট্রেডে অনুমোদন ছাড়াই ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে। 



এদিকে জালিয়াতি ও ভুয়া কাগজের মাধ্যমে স্থাপিত ‘সিরাজগঞ্জ কারিগরি স্কুল ও বিএম কলেজ’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। যার
অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সচিব, কারিকুলাম পরিচালক ও পরিদর্শক বিভাগের পরিদর্শক বরাবরে। ওই অভিযোগে উল্লেখ হয়েছে,
সদর উপজেলার রাণীগ্রাম মৌজার জেএল নং-১৫৩, দাগ নং-২০৫৭, কোড নং-২৫২০২ এই ঠিকানায় ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড সিরাজগঞ্জ কারিগরি স্কুল ও বিএম কলেজের বিএম শাখার অ্যাফিলিয়েশন প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরিচালক (প্রকাশনা) ও সিরাজগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ
পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে এসে উপরোক্ত ঠিকানায় এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাননি পরিদর্শকগণ। অস্তিস্থহীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ বিষয়ে পরিদর্শকগণ সংশি¬ষ্ট অধিদপ্তরে কোন প্রতিবেদন দাখিল করেননি। পরবর্তীতে
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এম জাহাঙ্গীর আলম প্রতিষ্ঠানটির পরিদর্শনের জন্য বারবার চেষ্টা করলে গত জানুয়ারী মাসে পুনরায় টিম পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাগণ।

এ সময় প্রতিষ্ঠান প্রধান জাহাঙ্গীর আলম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৯নং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চর বনবাড়িয়ায় জাহিন প্রি-ক্যাডেটের একটি টিনের ঘরে ওই প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টানিয়ে পরিদর্শকগণকে দেখান। অভিযোগে আরও জানা যায়, সিরাজগঞ্জ কারিগরি স্কুল ও বিএম কলেজ-২৫২০২, রাণীগ্রাম, পোঃ পৌরসভা উপজেলাঃ সদর, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ ২০১১ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর পাঠদানের জন্য দুইবার পরিদর্শন আসলেও ভাড়া বাড়ীর কারণে প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের অনুমতি পায়নি। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষ্ঠানের তথাকথিত সভাপতি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা এম. জাহাঙ্গীর আলম ও অধ্যক্ষ মোঃ সাদিকুর রহমান জুয়েল জাল-জালিয়াতি ও লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বানিজ্যেও মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ
পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (রাণীগ্রাম) এর প্রত্যায়ন মোতাবেক দেখা যায় যে, রাণীগ্রাম মৌজায়- সিরাজগঞ্জ কারিগরিস্কুল ও বিএম কলেজ-২৫২০২, এই নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। শুধু তাই নয় বাকাশিবোর অনুমতি ছাড়াই রানীগ্রাম মৌজা থেকে স্থান পরিবর্তন করে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের প্রি-ক্যাডেটে সিরাজগঞ্জ কারিগরি স্কুল ও বিএম কলেজে ভর্তিসহ নানা কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।



জাল-জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে অনুমোদনপ্রাপ্ত “সিরাজগঞ্জ কারিগরি স্কুল ও বিএম কলেজের যাবতীয় বিষয়াদি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সিরাজগঞ্জবাসী।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জরুরী কাজে ঢাকায় আছি। আপনাদের সাথে পড়ে কথা বলবো। এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ সাদিকুর রহমান জুয়েল জানান, অনুমোদন হয়নি তবে অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চলছে। অনুমোদন না নিয়েই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত লিফলেট ছাড়া হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। সিরাজগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের
অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন জানান, শহরের রানীগ্রামে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে কালিয়া হরিপুরের চর বনবাড়িয়া গ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো অপরাধ।শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন ছাড়া এটা করাও বেআইনী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরিশিক্ষাবোর্ডের উপ-পরিচারক (প্রকাশনা) মোহাম্মদ আবু সাঈম মুঠোফোনে জানান,অনুমোদন ছাড়া ভর্তি কার্যক্রম করা প্রশ্নই উঠে না। তবুও যদি তারা ভর্তি কার্যক্রম চালায় তাহলে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।

চাঞ্চল্যকর ইব্রাহীম হত্যা মামলার রায়ে ৮ জনের যাবজ্জীবন সাজা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী ইব্রাহীম খলিল হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জাফরোল হাসান এই রায় ঘোষনা করেন। এ মামলার অপর তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায়আদালত তাদের  বেকুসুর খালাশ দিয়েছে।

দন্ডাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হোসনা বাদ গ্রামের আব্দুল জলিলের দুই ছেলে দুদু প্রামানিক (৩০), জিয়াউর রহমান (৩৫), সেফাত আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪০), বিশা সেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৩৫), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মিরের দেউলমোড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে কালাম মিয়া (৪০), গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়ার ছেলে শামীম হোসেন (৩৮) (পলাতক), মৃত ছোরমান আলীর ছেলে রব্বানী (৩৬) ও মৃত রইচ উদ্দীন প্রামানিকের ছেলে মিন্টু মিয়া (৪২)। খালাশ প্রাপ্তরা হলেন গ্রাম পাঙ্গাসী গ্রামের মৃত রামশোচন রবিদাশের ছেলে হিরালাল রবিদাস, মৃত মাখন চন্দ্রর ছেলে সুবল চন্দ্র দাস, হিরালালের ছেলে অরুন চন্দ্রদাস।

ওই আদালতের পিপি আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাত একটার দিকে সাজা প্রাপ্ত আসামীরা ইব্রাহীম খলিলকে তার নিজ বাড়ি থেকে মুঠোফোন চুরির অপরাধে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গ্রামপাঙ্গাসী
বাজারস্থ আজাদ মজলিস ক্লাবে নিয়ে গিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ ফেলে  রেখে যায়। পর দিন ১অক্টোবর নিহতের স্বশুর মোহাম্মদ মাহাম উদ্দীন বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে রায়গঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এমামলা তদন্ত শেষে ১১জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘদিন শুনানী শেষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জনাকীর্ন আদালত এ রায় ঘোষনা  করেন।

জীবনে বড় অর্জনে ছোট ভুল ত্যাগ প্রয়োজন - নজরুল ইসলাম তোফা

নজরুল ইসলাম তোফাঃদৈনিক সিরাজগঞ্জ ৭১ প্রতিনিধিঃ
জীবনে অনেক বড় কিছু পাবার আশায় ছোট ছোট অনেক কিছু ভুলে যাই। যেমনঃ
১. সম্মান
২. সম্পূর্ণ সৎ থাকা
৩. নীরবতা উপভোগ করা
৪. বাবা-মাকে বাদ নিয়ে অন্যকে নিয়ে চিন্তা
৫. মাফ করে দিবেন কিন্তু কখনো ভুলবেন না তাকে। আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জীবনে অনেক বেশী প্রভাব ফেলে। এই বিষয়গুলো মানুষ অবহেলা করার কারনে জীবনে অনেক বিপত্তির আশঙ্কা থাকে।
অন্যকে সম্মান করলে নিজে সম্মানিত হওয়া যায়। এই সত্যটা জানা থাকা সত্ত্বেও মানুষ ভুলে যায়। আসলে দাম্ভিকতা, আত্ত-অহংকার নিয়ে পজিটিভ ফলোদয় হয় না, আশা করাও বৃথা। তবুও মানুষ করে, মানুষকে সম্পূর্ণ রুপে উপভোগ করার যে কি মজা। ভালোবাসার মধ্যে যে কি আনন্দ। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে বুঝার চেষ্টা করি। মানুব জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করি। জীবনে অনেক ছোট হই, পজিটিভ কিছু দ্বার প্রান্তে আসবেই। অতিরিক্ত অসম্মানিত আচরণ পরিহার করে নিজেকে আগামীর সফলতায় তৈরী করি।
মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অন্যের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি অনেক খারাপ অভ্যাস পরিহার করি। আমাদের একটি সত্য কথা অনেকের জন্য মঙ্গলের কারন হতে পারে। মাঝে মাঝে কিছু সত্য আছে যা আমাদেরকে কলুষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই সব সময় নিজের সাথে সৎ চেতনার বিকাশ ঘটায়।
পৃথিবীতে মানুষ সারাক্ষণ অনেক আওয়াজ এর মধ্যে বসবাস করে। কখনও ফোনে, কখনো টিভিতে, রেডিওতে এবং অন্যান্য ডিভাইসে মানুষ সংযুক্ত থাকে। কিন্তু কখনও কখনও জীবনে নীরবতারও প্রয়োজনীয়তা আছে। এই নীরবতা মানুষের মনে প্রশান্তি বিরাজ করে। এতে মানুষ মনের ভাবনা গুলো নিজের ধ্যান-জ্ঞানে সঠিক উদ্দেশ্য আলোকিত বুঝতে পারে।
পৃথিবীতে আসার প্রধান কারন হল আপনার আমার বাবা-মা। তাদেরকে কখনও অসম্মান না করি। সব সময় তাদেরকে সম্মান করি। জীবনে কখনও বাবা-মা'র আসনে অন্য কাউকে নির্বাচন না করি। একমাত্র মা-বাবাকে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নির্বাচন করে আমাদের হাজারো বিপদ থেকে উদ্ধারে পথ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
ক্ষমা করে দেয়া একটি মহৎ গুণ। কারও কোন ভুলের জন্য তাকে যদি আপনি ক্ষমা করে দেন, তবুও তার কৃতকর্ম কথা কখনো ভুলবেন না। জীবনে বন্ধুত্বের সহিত এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো, এর জন্য অনেক সময় অনেক কথা ভুলতে হয়। কিন্তু আপনার যে ক্ষতি করেছে, তার সে ক্ষতির কথাটি ভুলবেন না। কারণ ক্ষতিকারক মানুষ কোন দিনও আপনার আর উপকারে আসবে না। যদি আসে তো বুঝবেন আবারও ক্ষতি করছে।
"জীবনে বড় অর্জনে ছোট ভুল ত্যাগ প্রয়োজন"
নজরুল ইসলাম তোফা||  জীবনে অনেক বড় কিছু পাবার আশায় ছোট ছোট অনেক কিছু ভুলে যাই। যেমনঃ
১. সম্মান
২. সম্পূর্ণ সৎ থাকা
৩. নীরবতা উপভোগ করা
৪. বাবা-মাকে বাদ নিয়ে অন্যকে নিয়ে চিন্তা
৫. মাফ করে দিবেন কিন্তু কখনো ভুলবেন না তাকে। আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জীবনে অনেক বেশী প্রভাব ফেলে। এই বিষয়গুলো মানুষ অবহেলা করার কারনে জীবনে অনেক বিপত্তির আশঙ্কা থাকে।
অন্যকে সম্মান করলে নিজে সম্মানিত হওয়া যায়। এই সত্যটা জানা থাকা সত্ত্বেও মানুষ ভুলে যায়। আসলে দাম্ভিকতা, আত্ত-অহংকার নিয়ে পজিটিভ ফলোদয় হয় না, আশা করাও বৃথা। তবুও মানুষ করে, মানুষকে সম্পূর্ণ রুপে উপভোগ করার যে কি মজা। ভালোবাসার মধ্যে যে কি আনন্দ। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে বুঝার চেষ্টা করি। মানুব জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করি। জীবনে অনেক ছোট হই, পজিটিভ কিছু দ্বার প্রান্তে আসবেই। অতিরিক্ত অসম্মানিত আচরণ পরিহার করে নিজেকে আগামীর সফলতায় তৈরী করি।
মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অন্যের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি অনেক খারাপ অভ্যাস পরিহার করি। আমাদের একটি সত্য কথা অনেকের জন্য মঙ্গলের কারন হতে পারে। মাঝে মাঝে কিছু সত্য আছে যা আমাদেরকে কলুষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই সব সময় নিজের সাথে সৎ চেতনার বিকাশ ঘটায়।
পৃথিবীতে মানুষ সারাক্ষণ অনেক আওয়াজ এর মধ্যে বসবাস করে। কখনও ফোনে, কখনো টিভিতে, রেডিওতে এবং অন্যান্য ডিভাইসে মানুষ সংযুক্ত থাকে। কিন্তু কখনও কখনও জীবনে নীরবতারও প্রয়োজনীয়তা আছে। এই নীরবতা মানুষের মনে প্রশান্তি বিরাজ করে। এতে মানুষ মনের ভাবনা গুলো নিজের ধ্যান-জ্ঞানে সঠিক উদ্দেশ্য আলোকিত বুঝতে পারে।
পৃথিবীতে আসার প্রধান কারন হল আপনার আমার বাবা-মা। তাদেরকে কখনও অসম্মান না করি। সব সময় তাদেরকে সম্মান করি। জীবনে কখনও বাবা-মা'র আসনে অন্য কাউকে নির্বাচন না করি। একমাত্র মা-বাবাকে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নির্বাচন করে আমাদের হাজারো বিপদ থেকে উদ্ধারে পথ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
ক্ষমা করে দেয়া একটি মহৎ গুণ। কারও কোন ভুলের জন্য তাকে যদি আপনি ক্ষমা করে দেন, তবুও তার কৃতকর্ম কথা কখনো ভুলবেন না। জীবনে বন্ধুত্বের সহিত এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো, এর জন্য অনেক সময় অনেক কথা ভুলতে হয়। কিন্তু আপনার যে ক্ষতি করেছে, তার সে ক্ষতির কথাটি ভুলবেন না। কারণ ক্ষতিকারক মানুষ কোন দিনও আপনার আর উপকারে আসবে না। যদি আসে তো বুঝবেন আবারও ক্ষতি করছে।

কলেজ পড়ুয়া আবিদ লেখাপড়ার আম নিয়ে ব্যবসা

'কলেজ পড়ুয়া আহানাফ আবিদ আম উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রমে অত্যন্ত খুশি'
নজরুল ইসলাম তোফা: দৈনিক সিরাজগঞ্জ ৭১ প্রতিনিধিঃ
ফাল্গুনের শুরুতেই আকাশে বাতাসে আমের মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে প্রকৃতির ভারসাম্য এক আলাদা রূপে বিরাজ করে। রাজশাহী অঞ্চলে দেখা মেলে গাছে গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের মুকুল। মুকলিত আমের বাগানে দৃষ্টি দিলে চোখ জড়িয়ে যায় এমন আবহে। বাগানের সারি সারি আম গাছ সত্যিই এক নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করে, উত্তরাঞ্চলের জনপদ হয়ে উঠে রাজশাহীবাসীর আড্ডা দেয়ার প্রান কেন্দ্র। আসলেই মালিকদের আম বাগান প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যের এক শৈল্পিকতায় নরম ছায়া ছড়িয়ে দেয়। শৈল্পিক শোভা বর্ধনে এমন ছায়া শুনিবিড় অঞ্চলে আমের মুকুল বা আম বিষয়ক অতি প্রাচীন এক ইতিহাস রয়েছে। তাই ইতিহাসের সাক্ষী স্বরূপ, আম প্রধান রাজশাহী শহরকে সৌন্দর্য্য বর্ধনে তিনটি কাঁচা-পাকা আম দিয়ে নির্মিত হয় রড সিমেন্টের ভাস্কর্য। এমন সৌন্দর্য্য রাজশাহী শহরের উত্তরে নওগাঁ রোড ও পূর্ব পশ্চিম আর একটি রোড রয়েছে বিধায় নামটি দিয়েছে 'আম চত্বর'। ছোটবেলা থেকে প্রতি দিন এমন দৃশ্য দেখেই এক যুবক আম নিয়ে স্বপ্নে বিভোর হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত বড় হতে না হতেই তার বাবার মৃত্যু হয়, সেই স্বপ্ন কেন যেন অভাবের তাড়নায় হাতের নাগালে ধরা দেয়। বাবার বড় ছেলেটি লেখাপড়ার পাশা পাশি সংসার পরিচালনায় আম ব্যাবসা নেমে পড়ে। এই পরিশ্রমী যুবক আম উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যে মজা পান, নাম তার শেখ মো: আহানাফ আবিদ। পিতা মৃত শেখ আনোয়ারুল ইসলাম। মমতাময়ী মা মোছা: আইরিন আম্বিয়া, স্নেহের ছোট্ট বোন মোছা: আশিকা সাবাতিনকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। তার পড়াশোনা দাওকান্দি কলেজে, একাউনটিংয়ের এই মেধাবী ছাত্র অনার্স বিবিএ পড়ছেন।
তিনি বলেন, আম গাছ সমৃদ্ধ  রাজশাহী শহরের উত্তরে জিয়া পার্কের পেছনে তার বাসা। বাসার পাশেই অবস্থিত আম বাগান গুলোতে সোনালী মুকুলের পর আমের গুটি দেখা দিয়েছে। মুকুল আসার আগেই আম গাছে প্রতি নিয়ত বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যা শুরু হয়। বাগান মালিক বা চাষীরা মাঘের শুরুতেই আমের ফলন ভালো করানো জন্য  খেয়াল রাখে এবং আম গাছের মুকুলিত ডালে ডালে ঔষধ প্রয়োগ ও পরিচর্যা শুরু করে। কীটপতঙ্গের হাত হতে মুকুল রক্ষাকারী কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক এমন ঔষধ এবং সেচ, সার প্রদানসহ অন্যান্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত হয়। আবিদের মতে, ছত্রাক নাশক ও কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে গাছে গাছে যে পরিমাণ মুকুল ধরে তার সিকিভাগ টিকে থাকলেও বাম্পার ফলন পেতে পারেন।

আবিদ বলেন, আম প্রাপ্তির জন্য অনূকুল আবহাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির প্রতিকূলতার বেড়া জাল ডিঙ্গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেবার কোনই পদক্ষেপ থাকে না বাগান মালিকের। স্বয়ং সৃষ্টি কর্তার দেওয়া এমন ভয়াবহ দুর্যোগ আম বাগান মালিকদের কষ্টে শিষ্টে নিরব থেকে দিন গোঁজার করা বাঞ্ছনীয়। এই দুর্যোগের কারণে আমের বাজার দর অত্যন্ত উর্ধমুখী হয়ে উঠে। পরিশ্রমী আবিদের নিজস্ব গবেষণার এক  মতামত তা হলো, হুট হাট করে গরম আসা আবার শীতের পরিমাণ বেশি হওয়া আম গাছে মুকুলের জন্য ঠিক না। আস্তে আস্তে শীত কেটে আস্তে আস্তে গরম পড়লেই হয়তো আমের মুকুল বা আমের কচি গুটির জন্য অবশ্যই ভাল। সেহেতু এবার অনেক অংশে আম উৎপাদনের জন্য ভালো মৌসুম সেহেতু হালকা বৃষ্টি হলে মন্দ হতো না। কারণ রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় আম, সেরা আমে পরিনত হবে এমন আশা ব্যক্ত করেন। আমের জন্য এই বছরের  মৌসুম ভালো বলেই আমের গুটি টিকবে বেশি, শেষ পর্যন্ত পাকা আম পাওয়া যাবে প্রচুর, সেগুলো খেতে হবে মিষ্টি এবং সুস্বাদু। আবিদ সহ আম বাগান মালিকের আশা আকাঙ্খা এমন পরিচ্ছন্ন মৌসুম, উৎসবের আমেজে প্রতি বছর ফিরে ফিরে আসুক।

রাজশাহী বিভাগের মানুষজন তাকিয়ে থাকে কখন আসবে ঘরে আম। কাঁচা আমের চাহিদা পূরণের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক বৃষ্টি আর ঝড়ের কোনো বিকল্প নেই। এমন মৌসুমী কাঁচা ফল পেতে বাগান মালিকরা নারাজ। দরকার আর অদরকারী প্রাকৃতিক পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে চাষিরা কষ্ট পেলেও চাষীর বউ খুশিই থাকে। কারণ, প্রকৃতির এমন আচরণে কাঁচা আম কুড়িয়ে এনে কেটে-কুটে শুকিয়ে চমৎকার আমের আচার করে বয়াম ভর্তি রাখতে পারে। আবার খাবার ডালের মধ্যে রান্নাকৃত ঝোলে কাঁচা আম প্রতিদিন ব্যবহার করে টক টক ভাবটুকু আস্বাদন করে। দুরন্তপনা ছেলে-মেয়ে দল গ্রামীন মেলায় চাকু-ছুরি কেনে কাঁচা অপরিপক্ক আম কেটে লবণ, হলুদ, মরিচ আর সরিষা বাটা তেল মাখিয়ে ভর দুপুরে কলা পাতায়  নির্জন গাছতলায়  খায়। আহা! কি যে মজা, সেই মজার দিনগুলো ছিল শৈশব স্মৃতি। নজরুল ইসলাম তোফা লেখা মাঝে মাঝেই ফিরে পেলেন আনন্দ, আহানাফ আবিদের কথা শুনে। মগডালে আমে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে থাকা, কখন একটি  আম পড়বে মাটিতে আর সেই আম কাড়া কাড়ি করে নিজ হস্তে নিয়ে সবাই মিলেই খাবে। বন্ধুর প্রতি বন্ধুদের ভালোবাসার এমন দৃষ্টান্ত রাজশাহী না এলে অপূর্ণতা রযে যাবে। আম গাছে মালিকের দৃষ্টি খুব কম থাকে, দুরন্তপনা বালকদের ঢেল ছোড়ে আম পেড়ে খাওয়া নিয়ে কোন অভিযোগ থাকে না, এমন ভালোবাসার অঞ্চল এই উত্তরবঙ্গের রাজশাহী।

আম চাষের পরিচর্যা নিয়ে আবিদ বলেন, অনান্য বারের তুলনায় এবার গাছে গাছে আম বেশি ধরেছে দামও এবার অনেক বেশি পাবেন। তবে আবহাওয়া যদি ভালো থাকে আর যদি কাল বৈশাখী ঝড় শিলা বৃষ্টি না হয় তাহলে বেশি পরিমানে আম গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন। আরো জানান এই আম দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সংগ্রহের উপযোগী হবে। রাজশাহীর আম সারা দেশের মানুষের কাছে খুব পরিচিত এবং চাহিদাও অনেক বেশি। কেবল দেশেই নয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে আম ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, রাজশাহীর আম খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, তা দিয়ে জামাই আদর ও অতিথিদের আপ্যায়ন করতে এই অঞ্চলের মানুষ কার্পণ্য করে না। হরেক রকম  আমের পসরা সাজিয়ে দই, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, রসগোল্লা, স্বন্দেশ মিশ্রত খাবার পরিবেশন করে মজা পায়। রাজা ফজলি, ফজলি, তোতাপরি, ল্যাংড়া, লখনা, হিমসাগর, দুধসর, আম্রপলি, ক্ষুদি, বৃন্দাবনী, বৌভুলানী, রানীপছন্দ, কৃষাণ ভোগ, মলি¬কা, বারি-৪, মিশ্রীদানা, রাণী পসন, আরজান, দুধকলম, সিঁন্দুরী, বোম্বাই, হালের রানী, হাড়িভাঙা, জামাইখুসি, লনভোট,  ক্ষিরসাপাত, গোপাললাড়ু, মোহনভোগ, লক্ষণভোগ, গোপালভোগ, কালীভোগ এবং আশ্বিনা জাতের প্রভূতি আম অনেক বেশি পরিমানে চাষ হয় এবং তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে। আমের কদর অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে রাজশাহীর আম আলাদা। এমন কোয়ালিটি পূর্ণ আম সারা দেশের মানুষের কাছে মৌসুমী ফলের রাজা নামে পরিণত। রাজশাহী ছাড়াও অন্যান্য অঞ্চল যেমন: চাঁপাই নবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা, নাটোর সহ সকল জেলাতেই বড় বড় আমের বাগান রয়েছে। উত্তরবঙ্গের রাজশাহীতে আমের বাগানে বেশ ফলন হয়। যেমন: বাঘা, পবা, তানোর, দুর্গাপুর, চারঘাট, গোদাগাড়ী ইত্যাদি। লাভজনক আমের ব্যবসা হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে নতুন ভাবে গড়ে ওঠা আম বাগান গুলোর অধিকাংশই বনেদি জাতের। রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় আড়াইশ’ জাতের আমের চাষ হয়। যে জমিতে আগে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য শষ্য উৎপাদন হতো সেই জমিতে বর্তমানে উন্নত জাতের আম উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে জমির মালিকরা। সার, জ্বালানী ও বীজের অধিক মুল্যবৃদ্ধি, তাছাড়া উৎপাদিত খাদ্য শষ্যের সঠিক মুল্য না পাওয়ায় আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে রাজশাহীর বাগান মালিকরা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক আগেই গাছে গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমের মুকুল ধরেছে এবং তা ছোট ছোট গুটিতে রূপ নিয়েছে। কৃষি বিভাগ জানায়, এখন আম চাষের ধরন পাল্টেছে সেহেতু বাগান মালিকরা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ ও বাজার জাত করে খুব ভালো মুনাফা পাবেন। সর্বশেষ বলতেই হয় শেখ মো: আহানাফ আবিদ শুধুমাত্র শখের বশেই নয়, প্রতি বছর আম উৎপাদন ও বিক্রয় কাজে শ্রম দিয়ে ভালো মুনাফা পান। সেহেতু জীবন-জীবিকার জন্য প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে আম চাষকে লেখাপড়ার পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন। সংসারে তার লেখাপড়ার খরচ সহ ছোট বোন আশিকা সাবাতিনকেও পড়াশুনার খরচ দিতে হয়। আমের বাগান সহ বাড়ির আঙ্গিনাতেও দুই একটি আম গাছ শখের বশে লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্থে জন্য এমন আম উৎপাদনের শ্রম দিতে হয়। লেখাপড়ার শেষে চাকরীর পাশাপাশি আরো কিছু আম উৎপাদনের জমি ক্রয় করে অধিক ফলন সম্পন্ন আম চাষ করবেন।

রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭

সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ৬৯তম জন্মদিন পালিত


গতকাল রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ৬৯ তম জন্ম দিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃইসহাক আলীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম এর ৬৯ তম জন্ম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা ও দোয়া
মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক মোল্লার পরিচালনায় আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক তপন সিরাজী, যুবলীগের সভাপতি ও যুবলীগ ২০১৭ সম্মেলনের আহবায়ক মঈনু উদ্দিন খান চিনু, ও সম্মেলনের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রাজন, এ্যাডঃ মোঃ পান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে নেতার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


সৈয়দা ইসাবেলা স্মৃতি ফুটবল লীগের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসন মহাপরিচালক কবীর বিন আনোয়ার



সিরাজগঞ্জ শহরের মাছুমপুর ক্রীড়া চক্রের আয়োজনে সৈয়দা ইসাবেলা ৩য় তম স্মৃতি ফুটবল লীগের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মুক্তা কনষ্ট্রাকশন লিঃ ও আসরাফুল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার বিকেল ৩টায় মাছুমপুর ক্রীড়া চক্রের খেলার মাঠে এ খেলার শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসন মহাপরিচালক জনাব কবীর বিন আনোয়ার অপু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীন আলম খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, গাজী ফজলুল মতিন মুক্তা, মাছুমপুর ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাহফুজ আলম বাচ্চু, বোরহান উদ্দিন রতন, প্রবীণ খেলোয়ার দীলিপ প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাছুমপুর ক্রীড়া চক্রের সভাপতি মহসিন আহম্মেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকল সদস্য ও খেলোয়ারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধমেই আসরাফুল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও বিভিন্ন কসরত প্রদর্শন করে। উদ্বোধনী খেলায় মুগবেলাই তরুন সংঘ ৩-১ গোলে শিয়ালকোল যুব সংঘকে হারিয়ে বিজয়ী হন।

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

সিরাজগঞ্জে জন্মহার বাড়ছে অটিজম শিশুর

সিরাজগঞ্জে জন্মহার বাড়ছে অটিজম শিশুর


তাঁত শিল্পের পরিত্যক্ত রং ও রাসায়নিক যুক্ত পানির ব্যবহারে মায়েদের ক্রমশ অটিজম শিশু জন্মের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁত রঙের ব্যবহৃত বিষাক্ত বর্জ্য আর পানি এ এলাকার ভূগর্ভের পানির স্তরের সঙ্গে মিশে থাকা খাবার পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে যা নলকূপের মাধ্যমে উঠে আসে। এ মারাত্মক দূষিত পানি পান করার কারণে মাতৃগর্ভ থেকেই অটিজম শিশুর জন্ম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

বিশ্ব অটিজম দিবসে নানা দিক নিয়ে আলোচনা হলেও অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ ইস্যুটি সবার অগোচরেই থেকে যাচ্ছে। পরিত্যক্ত রং ও রাসায়নিক বর্জ্য ফেলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট আইন থাকলেও তাঁত সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জের চারটি উপজেলায় তার প্রযোগ নেই। ফলে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। ক্রমশ জন্মহার বাড়ছে অটিজম শিশুর।

তাঁত ও বস্ত্রশিল্পের জন্য দেশের অন্যতম একটি জনপদের নাম সিরাজগঞ্জ জেলা। তাঁত শিল্পের জন্য ব্যবহৃত সুতার রঙের বর্জ্য মিশ্রিত বিষাক্ত পানি প্রতিনিয়ত ফেলা হয় এলাকার জলশায়গুলোতে। দীর্ঘদিন ধরে এই বর্জ্য ফেলার কারণে জলাশয় ভর্তি হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কারখানার মালিকেরা পাইপ দিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ভুগর্ভস্থ পানির স্তরে মিশিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ছে। এসব এলাকার নলকূপ চাপলেই এখন দূষিত পানি উঠে আসছে। আর এরকম ভয়ানক রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত পানি প্রতিনিয়ত পান করছে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। এতে গর্ভবতী মায়েরা অটিস্টিক আর প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দিচ্ছেন।

এ অঞ্চলের বেশ কিছু নলকূপের পানির নমুনা সংগ্রহ করে সিরাজগঞ্জ জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরও রাজশাহী জোনাল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় পানিতে মারাত্মক ডিজেল, অক্সিজেন, মেগানিস, ফসফেট, সিসা, মাত্রা অতিরিক্ত আয়রন ও আর্সেনিক পাওয়া গেছে, যা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জেলার বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসি গ্রামের শহিদুল্লাহ খান ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তাদের বাড়ির চার পাশে সুতার রঙের ডাইং ও প্রসেস মিল রয়েছে। এসব মিলের বর্জ্যযুক্ত রঙিন পানি তাদের বাড়ির চাপকলে উঠে আসে। এসব পানিতে দুর্গন্ধ থাকলেও বাধ্য হয়েই তা পান করতে হয়। এ কারণে  তাদের ছয় বছরের শিশুকন্যা এশা মনি অটিজমের শিকার হয়েছে বলে ধারণা  করছেন এশা মনির চিকিৎসক। শহিদুল্লাহ খান ও নাজমা বেগম এখন ভয় পাচ্ছেন পরবর্তী সন্তান নিতেও।

শাহজাদপুরের শেখ খালীদ সাইফুল ও তার স্ত্রী নাজরিন বেগম জানান, তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় অটিজমের শিকার হয়ে। দেশের নামি দামি হাসপাতালের বড় বড় চিকিৎসক দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাদের বাড়ির নলকূপের পানি আর পান করা যাবে না। বিষয়টি জানতে পেরে এ বাড়ির পানি নিয়ে পরীক্ষা করলে পাওয়া যায় মারাত্মক ফসফেট, সিসা ও মাত্রাতিরিক্ত আয়রন ও আর্সেনিক।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামানুর রহমান জানান, এসব তাঁত শিল্প এলাকার সুতা রং করার প্রসেস ও ডাইং মিলের বিষাক্ত বর্জ্যমিশ্রিত পানি সরাসরি নলকূপের পাইপ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে মিশিয়ে দিচ্ছে অসাধু মিল মালিকরা। এ কারণে এ অঞ্চলের নলকূপগুলোর পানিতে মারাত্মক ডিজল অক্সিজেন, মেগানিস, ফসফেট, সিসা, মাত্রা অতিরিক্ত আয়রন ও আর্সেনিক পাওয়া গেছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও  শিশু রোগ বিষেশজ্ঞ  অধ্যাপক ডা. মো. রেজাউল ইসলাম জানান, যদি কোনও গর্ভবতী মা কিংবা শিশু ডিজেল অক্সিজেন, মেগানিস, ফসফেট, শিশা, মাত্রা অতিরিক্ত আয়রন ও আরসেনিকযুক্ত পানি পান করে তাহলে ওই গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় সন্তান অটিজমের শিকার হতে পারে, আবার ছোট শিশুরাও যদি এ পানি পান করে তাহলে তাদেরও সম্ভাবনা থাকে।

সিরাজগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. হাবিবে মিল্লাত মুন্না জানান, ভূগর্ভস্থ পানি যথাযথ পরীক্ষার জন্য সরকারের উচ্চ মহলকে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলার সদর হাসপাতালে অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বিভাগ খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অটিজম সচেতনতায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ বাংলাদেশ - সায়মা ওয়াজেদ

অটিজম সচেতনতায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ সায়মা ওয়াজেদ
অটিজম নিয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে নির্বাচিত করেছে।শনিবার সকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লি কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়।
অটিজম অর্থাৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য পুতুলের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, শিশুদের দুর্ভোগের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা এবং তাদের বাবা-মা ও যত্নকারীদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অটিজম আক্রান্ত শিশু, তাদের পিতা-মাতা ও রোগীদের যত্নকারীদের মধ্যে রোগটি নিয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে আন্দোলন করে আসছেন। বিশ্বব্যাপীও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য, অটিজমসহ নানা বিষয়ে আয়োজিত সভা, সেমিনারে অংশ নিয়ে জনমত গঠন করে আসছেন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক /রেজা

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।