শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

৭ মার্চের ভাষণ "ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দি ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রার " জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণ মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। ৪৬ বছর পর আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছে।
“বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ” আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার শুরুর আগে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, পুলিশ সুপার মিরাজ, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নুর মো. শামছুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. বিমল কুমার দাস।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে মুক্তি এনে দিয়েছে। এ ভাষণ না হলে স্বাধীনতা আসতো না। তাই ঐতিহাসিক এ ভাষণকে সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করার দাবী জানান বক্তারা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়েল সামনে সমাবেশ শেষ একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাজার ষ্টেশন মুক্তির সোপান চত্বরে এসে শেষ হয়। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ কয়েক হাজার নারী-
পুরুষ ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা ও পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। জেলা শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭

মুত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবন বাজি রেখে আমি কাজ করছি

সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এখানে দিতে এসেছি। রক্ত দিয়েছি। বাবা-মা, ভাই, ভাইদের স্ত্রীদের আর এখন জীবনটা বাজী রেখেছি কেবল একটাই কারণে এই বাংলাদেশটা যেন স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে উন্নত-সমৃদ্ধ হয় এবং বিশ্বের দরবারে মর্যাদার সঙ্গে যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘মুত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবন বাজি রেখে আমি কাজ করছি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই আমার সরকারের মূল লক্ষ্য।’
জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামক সংস্থার দু’টি গবেষণা প্রতিবেদন সম্পর্কিত এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ধন সম্পদ মানুষের চিরদিন থাকে না, মানুষকে মরতে হয়। সব রেখে চলে যেতে হয়। তবুও মানুষ অবুঝ। সম্পদের লোভে সে অস্থির হয়ে পড়ে এটা ঠিক। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এই প্রবৃত্তিটাকে যে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সেই পারে দেশকে কিছু দিতে, জনগণকে দিতে। আমরা এখানে দিতে এসেছি।’
‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামক সংস্থার গবেষণায় ১৭৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করে তারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ৩য় সৎ সরকার প্রধান হিসেবে এবং বিশ্বের ৪র্থ কর্মঠ সরকার প্রধান হিসেবে অভিমত দিয়েছে। সবচেয়ে সৎ সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের তালিকার শীর্ষে জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এবং দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। অন্যদিকে কর্মঠ সরকার প্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনা রয়েছেন ৪র্থ স্থানে। এরআগে চীন, ইরান এবং তুরষ্কের রাষ্ট্র প্রধানরা রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলব কি পেলাম কি পেলাম না সে হিসেবে মেলাতে আমি আসিনি। কে আমাকে স্বীকৃতি দিল কে দিলনা সে হিসেবটাও আমার নাই। আমার একটাই হিসাব- এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কতটুকু কাজ করতে পারলাম।
তিনি বলেন, আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই গবেষণায় যাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে তাদের দেশে জনসংখ্যা কত? আর আমার দেশের জনসংখ্যা কত? এটা যদি তারা একটু তুলনা করতেন তাহলে হয়তো হিসেবটা পাল্টে যেত। কারণ আমাদের মত প্রতিকুল অবস্থার মধ্যদিয়ে তাদের চলতে হয়নি। কেউ গ্রেনেড হামলার শিকার হয়নি বা তাদের কাউকে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রেখে হত্যার চেষ্টাও হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় কথা- আমাদের ক্ষুদ্র ৫৫ হাজারের কিছু বেশি বর্গমাইলের ভুখন্ডে ১৬ কোটির বেশি মানুষের বসবাস। তারপরও তালিকার শীর্ষে যারা রয়েছেন তাদের কিন্তু বাবা-মা বা আপনজন হারাতে হয়নি। অত্যাচারিত-নির্যাতিত হতে হয়নি, জেলের ভাত খেতে হয়নি, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত এমনটি তাদের উপর এতবারের প্রাণঘাতি হামলাও হয়নি। কিন্তুু আমাদের দেশের পরিবেশটাই আলাদা।
তিনি বলেন, আমি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবন বাজী রেখে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে নিজের জীবনে অর্থ-সম্পদ, টাকা-পয়সা- কি আছে না আছে ঐটা নিয়ে আমি কখনও চিন্তাও করিনা। ঐটা নিয়ে আমার কোন চিন্তা বা দুশ্চিন্তা নাই। আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, জীবনতো একভাবে না একভাবে চলেই যাবে।তিনি বলেন, যত নেতাদের জরিপ করা হয়েছে তার মধ্যে আমাকেই কেবল বাবা-মা, ভাইদের হারিয়ে শরণার্থী হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছে। কাজেই এমন অভিজ্ঞতাও তাদের নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও কখনও অব্যাহত ছিল না। প্রতিবারই বাধা এসেছে এবং আমাদেরকে পুনরায় আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে এবং সেই গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যদিয়েই আজকে দেশের এই উন্নতি।
দৈনিক ১২-১৪ ঘন্টা তিনি কাজ করেন গবেষণায় আসা এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২ ঘন্টা-১৪ ঘন্টা কাজের প্রশ্ন নয়, অনেক সময় এমনও দিন যায় যে রাতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টার বেশি ঘুমাতে পারি না। যখনই কাজ আসে তখনই কাজ করতে হয়। সেটা আমরা করে যাই মনের টানে। আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন । তাঁর একটা স্বপ্ন ছিল এই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ভাবে গড়ে তুলবেন। তিনি দেশ স্বাধীন করে সেই পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। কিন্তুু সম্পন্ন করে যেতে পারেন নি। বিপদগামী একদল ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ দিতে হয়েছে তাঁকে এবং গোটা পরিবারকে। একটাই চ্যালেঞ্জ-যে কাজটা আমার বাবা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি সেই অসম্পূর্ণ কাজটা আমি সম্পন্ন করতে চাই।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তবুও আমি বলব, এই হিসেব-নিকেশ যারা করেছেন। তাদের মত করে তাদের অভিমত দিয়েছেন। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ব্যক্তিগত না হলেও সরকারের কিছু দুর্নীতির কারণে প্রধানমন্ত্রী তালিকার আরো উপরে কথার কথা থাকলেও তৃতীয় হয়েছেন প্রশ্নকর্তার এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন চালু, যে দেশে গণতন্ত্রের অভাব, যে দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে। সেদেশে দুর্নীতিটার শিকড় গেড়ে যায়। সেই শিকড় উপড়ে ফেলা কঠিন হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর পর থেকে ২১ বছর কিন্তুু আমাদের দেশে সেই অবস্থাটাই চলেছে। এরপরে আবার ২০০১-২০০৮ (জামায়াত-বিএনপি জোটের শাসন) পর্যন্ত এই অবস্থা। ঐরকম একটা অবস্থা অর্থাৎ উত্তরাধিকার সূত্রে আমি কি পেয়েছি। পেয়েছি সামরিক স্বৈরশাসন, সামরিক আইন, অনিয়ম, অবিচার, অত্যাচার যার ফলে সেই দুর্নামের এখনও ভাগীদার হতে হচ্ছে। তবে, হ্যাঁ আমি নিজে সততার সঙ্গে দেশ চালাতে চেষ্টা করছি। আর একটা কথা মনে রাখবেন মাথায় পচন ধরলে সারা শরীরেই ধরে। যেহেতু মাথায় পচন ধরে নাই সুতরাং শরীরের কোথাও যদি এক আধটু ঘা-টা থাকে সেগুলি আমরা সেরে ফেলতে পারবো।
সরকার প্রধান বলেন, ঐ রকম যদি দুর্নীতি হত তাহলে বাংলাদেশের জিডিপি ৭ দশমিক ২৮ ভাগ এবং জনগণের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হত না। এতবড়ো বড় রাস্তা-ঘাট, স্থাপনা এত স্বল্প সময়ে আমরা করতে পারতাম না। এই দুর্নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করছি। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা দিতে পেরেছি। এখানে সততারই শক্তি, সততারই জোর-এটা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে দিতে এসেছি। রক্ত দিয়েছি। বাবা-মা, ভাই, ভাইদের স্ত্রীদের আর এখন জীবনটা বাজী রেখেছি কেবল একটাই কারণে এই বাংলাদেশটা যেন স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে উন্নত-সমৃদ্ধ হয় এবং বিশ্বের দরবারে মর্যাদার সঙ্গে যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনটি যারাই করুক তাতে আমার দেশের সম্মান বেড়েছে এটাই পাওনা। 

রাষ্ট্রীয় কাজে কোন কোন দিন ৩/৪ ঘন্টার বেশি ঘুমাতে পারি না : সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা প্রতিনিধিঃ 
‘মুত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবন বাজি রেখে আমি কাজ করছি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই আমার সরকারের মূল লক্ষ্য।’  বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে কখনও কখনও ৩/৪ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দিনে ১২ ঘণ্টা না ১৪ ঘণ্টা কাজ করি, তার হিসাব নাই। এমনও দিন যায় রাতে তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারি না। যখনই কাজ আসে আমরা করে যাই। আমি মনের টানে কাজ করি।’
বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল ইমাম তার সম্পূরক প্রশ্নে ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস নামের একটি সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের তৃতীয় সৎ ও পরিচ্ছন্ন সরকার প্রধান এবং বিশ্বের চতুর্থ কর্মঠ সরকার প্রধান হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রসঙ্গ তুলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুভুতি জানতে চান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কী পেলাম, কী পেলাম না, সেই হিসাব মেলাতে আমি আসিনি। কে আমাকে স্বীকৃতি দিলো বা না দিলো সে হিসাব আমার নাই। একটাই হিসাব এই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছু কাজ করতে পারলাম, সেটাই আমার কাছে বড়। দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনটাও বাজি রেখেছি, শুধু একটাই কারণ। বাংলাদেশটা যেন স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলে।’
ওই সংস্থাটির প্রতিবেদনে তার (প্রধানমন্ত্রী) চেয়ে বাংলাদেশের মর্যাদাটা উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, যাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, আমার প্রশ্ন- তাদের দেশে জনসংখ্যা কত। আর আমাদের দেশে জনসংখ্যা কত। এটা যদি তারা তুলনা করতেন তাহলে হয়তো অন্য হিসাবটা আসতো। আমাদের ছোট্ট ভূখণ্ডে বৃহৎ জনগোষ্ঠী। এছাড়া, এক-দুই নম্বরে যারা আছেন, তাদের কিন্তু জীবনে বাবা-মা-ভাই- বোন আপনজন হারাতে হয়নি। জেলের ভাত খেতে হয়নি। আমাদের দেশের পরিবেশটাই আলাদা। এখানে একজনও আমার মতো গ্রেনেড হামলার শিকার হননি। হত্যার হুমকিও পাননি। বারবার আমার ওপরে যে আঘাত এসেছে, এরকম একবারও হলে তারা ঘরে বসে থকতো। 
আমি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে, জীবনকে বাজি রেখে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে নিজের জীবনে অর্থ-সম্পদ, টাকা-পয়সা কী আছে না আছে চিন্তাও করি না। ওটা নিয়ে আর কোনও দুশ্চিন্তা নাই। কারণ, আল্লাহ জীবন দিয়েছে, জীবনতো চলেই যাবে।’ নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাকে বিদেশের মাটিতে রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছে। যাদের সঙ্গে তুলনা- তাদের এই অভিজ্ঞতাও নেই। যারা করেছেন এ বিষয়গুলোও যদি বিবেচনা করতেন, তাহলে হয়তো রেজাল্ট অন্য রকম হতে পারতো। আমাদের যে প্রতিকূল অবস্থা এ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যদিয়ে তাদের চলতে হয়নি।’
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সরকারের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। বুঝতে হবে যে দেশে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ চলে, গণতন্ত্রের অভাব থাকে যে দেশে, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার অভাব থাকে, সেদেশে দুর্নীতির শিকড় গেড়ে যায়। সে শিকড় ওপড়ে ফেলা কঠিন হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি ডিকটেটরশিপ, মিলিটারি রুল, অবিচার, অত্যাচার। যার কারণে এখনও দুর্নামের ভাগীদার হতে হচ্ছে। আমি নিজে সততার সঙ্গে দেশ চালাতে চেষ্টা করছি। একটা কথা মনে রাখবেন, মাথায় পচন ধরলে সবখানেই পচন ধরে। যেহেতু মাথায় পচন নাই, শরীরের কোথাও একটু আধটু ঘা-টা যদি থাকে, সেগুলো আমরা সেরে ফেলতে পারবো।’ তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের দুর্নীতি হলে জিডিপি ৭ দশমিক ২৮ ভাগ হতো না। মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলার হতো না। দুর্নীতিকে চ্যালেঞ্জ দিয়েই কিন্তু আমরা পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করছি। সে চ্যালেঞ্জ দিতে পেরেছি। এখানে সততাই শক্তি।

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

নাগরিক সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফিরে পাবে একাত্তরের ৭ মার্চ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষে আয়োজিত আগামীকালের নাগরিক সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফিরে পাবে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের আবহ। লাখো লাখো মানুষ সেদিন যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে দেশ মুক্ত করার লড়াইয়ে দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেছিল, তেমনি আগামীকাল সেই একই স্থানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বিপ্লব সম্পন্ন করার লড়াইয়ের শপথ গ্রহণ করবে।

একাত্তরের ৭ মার্চের আবহ ফিরিয়ে আনতে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিস্তারিত কর্মসূচী। সমাবেশস্থলকে সাজানো হয়েছে সে দিনের মতো করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কৃত্রিম লেকে শোভা পাবে পাট বোজাই পাল তোলা নৌকা। আর নৌকার পালে থাকবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন অংশ।

এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ, তোমাদের হাতে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে ইত্যাদি। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সমাবেশ। তারপর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হবে। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন কবি নির্মলেন্দু গুন। তিনি পাঠ করবেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে নিয়ে তার নিজের লেখা কবিতা, ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো।’ নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও ড. নুজহাত চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সমাবেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান বিষয়ক জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী ও ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে পরিবেশিত হবে গান ও কবিতা। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা পাঠ করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পরিবেশিত হবে রবীন্দ্র, নজরুল আর মরমী কবি লালন শাহের গান।

নাগরিক সমাবেশের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় শুরু হবে সমাবেশ। সমাবেশ সফল করার জন্য ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক বিশালাকৃতির নৌকার ওপর তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। মঞ্চের সামনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা বসবেন। তারপর বাঁশের তৈরি বেঁড়ার পাশে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে ২৫ হাজার চেয়ার। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে জনতার জন্য সুন্দরভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে তারা সুন্দরভাবে সমাবেশে অবস্থান করতে পারেন।

সমাবেশস্থলে চিকিৎসক প্রতিনিধিদল থাকবে। যাতে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা গ্রহন করতে পারে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের পাশের গেইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে তিন নেতার মাজার পর্যন্ত পাঁচটি গেইট দিয়ে সাধারণ জনগন প্রবেশ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল বলেন, আগামীকালের সমাবেশ সফল করার জন্য ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নাগরিক সমাবেশে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দসহ প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদকে যুগ্ম আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, নাট্যজন আতাউর রহমান ও একাত্তর টেলিভিশন।

যে উন্নয়ন স্বপ্নে দেখতো, শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে-সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়

যে উন্নয়ন স্বপ্নে দেখতো, শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে-সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়
পারভেজ কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
কাজিপুর মাছুয়াকান্দি ও শুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রী কমিটির সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ- (কাজিপুর) আসনের সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের উন্নয়নের স্বপ্ন, বাস্তবে পূরণ করছে।আগে যেখানে মানুষ পায়ে হেটে যেতে পারতো না, এখন সেখানে মানুষ বড় গাড়ি নিয়ে যায়।আপনারাই বলেন আজ থেকে ৯-১০ বছর আগে আপনাদের জীবন যাপন আর এখনকার জীবন যাপনের মান কত পার্থক্য।তিনি বলেন শেখ সরকার যতদিন ক্ষমতাই থাকবে ততদিন দেশ ও জনগণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাবে। তাই উপস্থিত জনগণকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের লীগের সভাপতি শত্তকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া উপ-প্রকৌশলী আবুল কালাম প্রমুখ। এসময় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

হাসিনা সরকার সকল জনগণের জন্য উন্নয়ন করে - সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় । পারভেজ, কাজিপুর প্রতিনিধি

হাসিনা সরকার সকল জনগণের জন্য উন্নয়ন করে - সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়

পারভেজ কাজিপুর প্রতিনিধি :  কাজিপুর পৌরসভায় আলোমপুুর গ্রামে ১০০% বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রী কমিটির সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ- (কাজিপুর) আসনের সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশর এত উন্নয়ন করছে এবং সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা করা দেখে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে। জনগণের কাছে কি বলে ভোট চাইবে সেই চিন্তায় বেগম জিয়া এখন দিশেহারা, কারণ শেখ হাসিনা সরকার সকলের জন্য উন্নয়ন করে এসময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন এখানে যারা বিএনপি জামাত  করে আওয়ামীলীগ সরকার  তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রমাণ করে আমাদের সরকার সকল জনগণের জন্য কাজ করে। এর আগে সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিল কই আপনাদেরকে তো বিদ্যুৎ সংযোগ রাস্তাঘাট উন্নয়ন করেনাই,আজকে আমাদের সরকারতো বলে নাই বিএনপি জামাতের বাড়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে না, তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে তৃতীয় বারের মত ক্ষমতাই আনার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানাই।
 অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর ডিজিএম মিজানুর রাহমান, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের লীগের সভাপতি শত্তকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী,সহ সভাপতি জিএম তালুকদার,  কাজিপুর পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনা সরকার সকল জনগণের জন্য উন্নয়ন করে - সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়


হাসিনা সরকার সকল জনগণের জন্য উন্নয়ন করে - সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়

পারভেজ কাজিপুর প্রতিনিধি :  কাজিপুর পৌরসভায় আলোমপুুর গ্রামে ১০০% বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রী কমিটির সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ- (কাজিপুর) আসনের সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশর এত উন্নয়ন করছে এবং সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা করা দেখে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে। জনগণের কাছে কি বলে ভোট চাইবে সেই চিন্তায় বেগম জিয়া এখন দিশেহারা, কারণ শেখ হাসিনা সরকার সকলের জন্য উন্নয়ন করে এসময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন এখানে যারা বিএনপি জামাত  করে আওয়ামীলীগ সরকার  তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রমাণ করে আমাদের সরকার সকল জনগণের জন্য কাজ করে। এর আগে সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিল কই আপনাদেরকে তো বিদ্যুৎ সংযোগ রাস্তাঘাট উন্নয়ন করেনাই,আজকে আমাদের সরকারতো বলে নাই বিএনপি জামাতের বাড়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে না, তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে তৃতীয় বারের মত ক্ষমতাই আনার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানাই।
 অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর ডিজিএম মিজানুর রাহমান, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের লীগের সভাপতি শত্তকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী,সহ সভাপতি জিএম তালুকদার,  কাজিপুর পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

বাঙ্গালী জাতি হিসেবে এ লজ্জা রাখি কোথায়

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে (ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রদান করায় বাঙালি জাতি যখন গর্বিত, এই স্বীকৃতি প্রদান বাঙালি জাতি যখন উৎসবের সাথে পালন করছে ঠিক সেই সময়েই রাজধানীর কাওরান বাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার গুলিতে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি কেটে ফেলা হয়েছে। বাঙ্গালী জাতি হিসেবে এ লজ্জা রাখি কোথায় ।

আজ রাত ১০টার দিকে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে গিয়ে এই কাটা ছবিগুলো দেখা যায়। কে বা কারা এই ঘৃণ্য কার্যসাধন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। জাতির জনকের ভাষণ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্থান পাওয়া আন্তর্জাতিক মানের খ্যাতি, যা বাঙালি জাতির জন্য বিরাট অর্জন। কিন্তু এমন কার্যসাধন বাঙালি জাতির জন্য বিরাট লজ্জার, সমগ্র জাতির মাথা নিঁচু করে দেয়।

প্রজন্ম ‘৭১ এর সভাপতি শাহীন রেজা নূর তাঁর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ার বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের স্বীকৃতিকে মেনে নিতে পারে নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারাই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। সারা দেশ যখন এই উৎসব পালন করছে, গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) শাহাবাগে ‘৭ই মার্চ উদযাপন কমিটি’র আয়োজনে যখন স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, আগামী ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের তথা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অধিদফতর, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হবে তখনই এই রকম একটি ঘটনা ঘটলো। আমাদের এই ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে হবে, প্রশাসনের আরও নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আজকে চতুর্দিকে চক্রান্ত চলছে। সকল দেশপ্রেমিক মানুষকে সম্মিলিতভাবে সেই চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হবে।

গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কামাল পাশা চৌধরী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আজকে সমগ্র পৃথিবী ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর সাবেক ডাকসু ভিপি, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ১৩ নভেম্বরে শাহাবাগের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলেছেন অথচ একটি গোষ্ঠি স্বাধীনতা বা বঙ্গবন্ধু কোনটিকেই মেনে নিতে পারে নি। সেই সকল গোষ্ঠিই তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে (ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বুকোভা এক বিজ্ঞপ্তিতে, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ওই ভাষণটিকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে ঘোষণা করেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার স্মৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ইউনেস্কো কর্তৃক তৈরি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের একটি তালিকা। আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রাকৃত এই তালিকা তৈরির উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহ্যগত প্রামাণ্য দলিলসমূহের সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।

ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজারি কমিটি (আইএসি) কোনো প্রামাণ্য দলিল বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে রেজিস্ট্রার হবে কিনা বা যোগ্য কিনা তা বিচার বিশ্লেষণ করে থাকে। এই কমিটি এবছর ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর আয়োজিত সংগঠনটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বে আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার্ড মেমোরি হিসেবে মনোনীত করে। বর্তমানে ম্যামোরি অফ ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে সব মহাদেশগুলো থেকে ৪২৭টি প্রামাণ্য দলিল ও সংগ্রহ তালিকাভুক্ত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভাষণটি স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রস্তুতির দিকে ঝুঁকে পড়তেও উৎসাহিত করে। এটি মুক্তিবাহিনীতে যোগদানকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেশের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচারে বাঙালী জাতির হৃদয় ও মনকে উৎসাহিত করে। এই ভাষণ এদেশের মানুষকে এবং পরবর্তী প্রজন্মগুলোকে অনুপ্রাণিত করছে।

শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭

ঢাকার বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা মীর মোশারফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বৃহত্তম দল। দলের নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবে একত্রিত হয়ে আমরা তার হয়ে কাজ করে যাব। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির হাতের গড়া যুবলীগই পারে দেশের অপশক্তিকে প্রতিহত করতে। যুবকরাই পারে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ সরকার তথা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী  শেখ হাসিনার সরকারের কোন বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন যুবলীগ দলের অহংকার যুবলীগ একত্রিত থাকলে কোন অপশক্তি দলের ক্ষতি করতে পারবেনা।
ঢাকার বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা মীর মোশারফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বৃহত্তম দল। দলের নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবে একত্রিত হয়ে আমরা তার হয়ে কাজ করে যাব। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির হাতের গড়া যুবলীগই পারে দেশের অপশক্তিকে প্রতিহত করতে। যুবকরাই পারে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দুপুরে এক বর্ণাঢ্য রালি উপজেলা মূল সড়ক প্রদক্ষিন করে এবং বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহব্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকন্দ, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী-লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মমিন মন্ডল, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজু আহাম্মেদ, বেলকুচি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মীর সেরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহব্বায়ক ওমর ফিরুক সরকার, তারেক সরকার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, যুব সমাজকে দক্ষ ও আদর্শ মানুষ হয়ে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন যুব সমাজের আইকন, তার নির্দেশিত পথে চললে দেশ এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে মীর মোশারফের মত বিনিময় সভা

 সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন শুক্রবার চৌহালীতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভা ও গনসংযোগ করেছেন।

চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবু নজির মিয়ার সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাননী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন।

এসময় থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক সরকার, বনানী থানা আওয়ামীলীগের নেতা রবিউল ইসলাম টুটুল, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি হযরত আলী মাষ্টার, সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ বাবুল, যুগ্মসম্পাদক তাজ উদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ চৌধুরী সঞ্জু, শহর আওয়ামীলীগের নেতা এস এম আজম, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্মসম্পাদক ডা. মাহমুদুল হাসান শুভ, চৌহালী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার, বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুল হাসান সেলিম, এনায়েতপুর থানা সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম, চৌহালী সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা আলমগীর হোসেন ও চৌহালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম রেজা, সাধারন সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মোল্লা ও ভিপি রবিউল ইসলামসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলৈন।

এছাড়া এর আগে মীর মোশারফ হোসেন চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি নওজেশ আলী মোল্লা ও সাধারন সম্পাদক মোকদম আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গাজী নওশের আলীর কবর জিয়ারত করে রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

৭ নভেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা

Probhash Amin  
৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুবই আলোচিত, বিতর্কিত, গুরত্বপূর্ণ এবং জট লাগানো দিন। দিনটি একেকজন একেকভাবে পালন করে। আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই কার বিপ্লব, কে পালন করে; কার হাসি কে হাসে? বিএনপি দিনটি পালন করে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে। কিন্তু ৭৫’র ৭ নভেম্বর তো বিএনপির জন্মই হয়নি। আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তখন ক্যান্টনমেন্টে গৃহবন্দি। এমনকি জিয়াউর রহমান তখন কাগজে কলমে কেউই ছিলেন না। ২৪ আগস্ট মোশতাক জিয়াকে সেনাপ্রধান বানালেও ৩ নভেম্বর ক্যু করে সেনাপ্রধান হন জেনারেল খালেদ মোশাররফ। নিজ বাসায় বন্দি হন জিয়া। এমনকি জান বাঁচাতে জিয়া তখন পদত্যাগ করে পূর্ণ পেনশন দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। 
খালেদ মোশাররফ জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করে বাসার ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেও তার বেডরুমের ফোন লাইনটি সচল ছিল। সেই ফোনেই তিনি কর্নেল তাহেরকে বলেছিলেন, ‘সেভ মাই লাইফ’। ডাক পেয়ে তাহের তার ‘সৈনিক সংস্থা’ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। তাহের যে জিয়াকে ভালোবেসে তার জীবন বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তা নয়। বিপ্লবের গোপন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সুযোগ ভেবেই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। জাসদের মধ্যেই তখন অনেক বিভ্রান্তি। কর্নেল তাহেরের বিপ্লবের কথা জানতেনই না জাসদের অনেকে। ৭ নভেম্বর বিপ্লব হোক, প্রতিবিপ্লব হোক, ব্যর্থ বিপ্লব হোক, হঠকারিতা হোক– করেছে জাসদ। ৭ নভেম্বর তো বিএনপির সাফল্যের দিন নয়, জাসদের ব্যর্থতার দিন, সেটাই ঘটা করে পালন করে বিএনপি। পদচ্যুত, গৃহবন্দি সেনাপ্রধান ক্যু করতে পারেন, বিপ্লব নয়।

যে সৈনিক জিয়াকে নিয়ে উল্লাস করেছে তারা তো ছিল কর্নেল তাহের-এর অনুগত। রাস্তায় যে জনগণ সৈনিকদের সঙ্গে মিলে ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাস করেছে, তারা তো জাসদের কর্মী। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, যদি সেদিন জাসদের বিপ্লব সফল হতো; যদি জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরের সাথে বেঈমানি না করতেন, যদি জিয়া তাহেরের স্ক্রিপ্ট ফলো করে শহীদ মিনারে গিয়ে বিপ্লবের ঘোষণা দিতেন; তাহলে আজ বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্রটা কেমন হতো? আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকতো জাসদ, যেমনটা ছিল ৭৫’র আগে, বিএনপির হয়তো জন্মই হতো না। সত্যি রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

জাসদের বিপ্লব সফল হলে ভালো হতো, আমি এমনটা মনে করি না। জাসদের বিপ্লব সফল হলে কী হতো আসলে তা বলা মুশকিল। যারা বিপ্লবটি করতে চেয়েছিলেন, তারাও এর পরিণতি সম্পর্কে আদৌ জানতেন কিনা, আমার সন্দেহ।  জাসদ আগে কী অপকর্ম করেছে, পরে কী করতে পারতো, সে আলাদা তর্ক। তবে অফিসারদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লব ভালো কিছু বয়ে না আনারই কথা। আর সিরাজুল আলম খান যে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আফিম খাইয়ে ধ্বংস করেছেন একটি মেধাবী প্রজন্মকে, ৭ নভেম্বর কি তার চূড়ান্ত পরিণতি? জাসদের লোকজন কি তা বিশ্বাস করেন? সিরাজুল আলম খানের কি সায় ছিল ৭ নভেম্বরের তথাকথিত বিপ্লবে? মাত্র তিনবছর বয়সী একটা রাজনৈতিক দল কিছু ‘খ্যাপাটে সৈনিকে’র ওপর ভর করে মধ্যরাতে গুলি ফুটিয়ে সমাজতন্ত্র কায়েম করে ফেলবে? বিপ্লব কি এতই সহজ? ৭ নভেম্বর কি জাসদের বিপ্লব, নাকি স্বপ্নবান কর্নেল তাহেরের ইউটোপিয়ান বিপ্লব বিলাস? প্রশ্নগুলো সহজ, কিন্তু উত্তর পাওয়া দায়।

৩ নভেম্বর ১৫ আগস্টের খুনি চক্রের বিরুদ্ধে ক্যু করেছিলেন খালেদ মোশাররফ। কিন্তু তিনি আর্মি ক্যু করতে চেয়েছিলেন সিভিলিয়ান স্টাইলে। আলাপ-আলোচনা-সমঝোতার সুযোগে কালক্ষেপণ হয়। বিভ্রান্তি ছড়ায়, গুজব ছড়ায়, ক্যুর শুরুতেই পলায়নপর খুনি চক্র কারাগারে হত্যা করে জাতীয় চারনেতাকে। এই ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে নামে জাসদ, আরও স্পষ্ট করে বললে কর্নেল তাহের। তিনি জিয়াউর রহমানের মাথায় লবণ রেখে বরই খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্নেল তাহের সৈনিকদের উস্কানি দিতে যতটা পটু ছিলেন, জনসমাগম করতে ততটা নয়। জনগণ জাসদের পক্ষে ছিল না বলেই তাহেরের চেয়ে বেশি চালাক জিয়া বরইটি নিয়ে নিজেই খেয়ে ফেলেন। কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিয়ে জিয়া ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অবশ্যই। কারণ তাহের তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু কর্নেল তাহের বিপ্লবী ‘সৈনিক সংস্থা’ করে ক্যান্টনমেন্টে গোপন রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। তার বিপ্লবের মূল স্লোগান ছিল ‘সৈনিক সৈনিক ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই’। এ ধরনের হঠকারী তৎপরতা সবসময়ই অপরাধ। তবে ৭ নভেম্বরই জাসদের প্রথম হঠকারিতা নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও, এমপি হত্যা, থানা লুট, ভারতীয় হাইকমিশনারকে অপহরণ চেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি ৭ নভেম্বর। আর এই ৭ নভেম্বরেই জাসদের কফিনে শেষ পেরেকটুকু ঢুকেছিলেন কর্নেল তাহের।

৭ নভেম্বর নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু সবচেয়ে কম আলোচনা হয় সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায়টি নিয়েই। ৭ নভেম্বর আমরা হারিয়েছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের তিন শ্রেষ্ঠ বীরকে। খালেদ মোশাররফ তো ছিলেন বীরদের বীর। কর্নেল হুদা আর কর্নেল হায়দারের বীরত্বও মুক্তিযুদ্ধের রূপকথার অংশ। খুনি চক্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে প্রাণ দেওয়া খালেদ মোশাররফ আজ যেন ভুলে যাওয়া নাম। শেখ হাসিনা ইতিহাসের অনেক দায় মিটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, জেলহত্যা মামলার বিচার করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। এখন সময় খালেদ-হুদা-হায়দার হত্যার বিচার করার। ইতিহাসের দায় মেটাতে হবে সবাইকেই।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুটি আলাদা রাজনৈতিক দল। তাদের আদর্শও আলাদা। যেমন ৭ নভেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা। কাগজে–কলমে বিএনপির জন্ম ১৯৭৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর হলেও এই দলটির আদর্শিক জন্ম এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়ার উত্থান এই ৭ নভেম্বরেই। তাই এই দিনটি তারা সাড়ম্বরে পালন করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের মতো দিনটি স্মরণ করুক, জাসদ জাসদের মতো। কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু বিএনপিকেও বিএনপির মতো করে দিনটি উদযাপনের সুযোগ দিতে হবে। গণতন্ত্রে ভিন্নমত তো থাকবেই। সেই ভিন্নমতও প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। ৭ নভেম্বর পালন নিয়ে বিএনপির অবস্থানের সঙ্গে আমারও যোজন যোজন ফারাক। কিন্তু আমি চাই তারা তাদের কথা স্বাধীনভাবে বলার সুযোগ পাক। অপরাধের বিচার করতে হবে। তবে রাজনীতির মোকাবিলা করতে হবে রাজনীতি দিয়েই, ক্ষমতায় থাকার সূত্রে পাওয়া প্রশাসনিক গায়ের জোরে নয়। ৭ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যেতে না দেওয়া অন্যায়, অগণতান্ত্রিক। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে আসা অতিথিদের নিরাপত্তাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়াকে যেতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যেতো। কিন্তু বেগম জিয়াকে যেতে না দেওয়া ঠিক হয়নি। বেগম জিয়া শুধু একটি জনপ্রিয় ও বড় দলের চেয়াপারসনই নন; বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও। যে কোনও সময় তার নিরাপদ ও অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে বিএনপি প্রথমে ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। পরে তারা সমাবেশের তারিখ ১১ নভেম্বরে বদলে নেয়। সম্ভাব্য তারিখ আবার বদলানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে। গত কয়েকবছরের অভিজ্ঞতায় আমার আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে সরকার অনুমতি না দেওয়ার কথা জানাবে। তবে আমি চাই আমার আশঙ্কা মিথ্যা হোক। দাবি জানাচ্ছি, বিএনপিকে যেন নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়। রাজনীতিতে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। শত মতের বিকাশ ঘটুক।

শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

দেশে মাটিতে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে, জেল হত্যা দিবসে-তানভীর শাকিল জয়


পারভেজ আহমেদ, কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যাগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সাবেক এমপি সিরাজগঞ্জ -১ বলেন যারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে তারা বাঙ্গালী জাতির কলঙ্ক, তারা বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে প্রমাণ করেছে অতীতে ও তারা চাইনি বাংলাদেশ স্বাধীন হক, বর্তমানেও দেশ যেন উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে না পারে তাই সেই ঘাতকেরা শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করছে। 
এছাড়াও শোক র‌্যালী, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, মীলাদ মাহফীলসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শক্রবার ৩রা নভেম্বর কাজীপুরে জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শক্রবার ৩রা নভেম্বর রাত্রী ১২ট ১ মিনিটে প্রথম প্রহরে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে  দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে নিহত চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর দহিত্র সাবেক এম পি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বরে এক শোক র‌্যালী শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, ছোনগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল আলম, উপজেলা ভাইজ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেল্লাল, যুগ্ন সা:সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রচর সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার সহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 
পরে  মনসুর আলী কল্যাণ ট্রাণ্ঠটের উদ্যেগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ  এবং স্থানীয় নেতৃবিন্দদের মরনোত্তর ক্রেষ্টপ্রদান করা  হয়। বাদ জুমা মরহুমদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোওয়া অনুষ্ঠিত হয়।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন ঐসব ঘাতক এখনো আমাদের মাঝে বিরাজমান তাই এরা যেন বাংলার মাটিতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে এবং  ৩রা নভেম্বরের মত ঘটনা না করতে পারে এদের বের করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে  আওয়ামীলীগ যেন তৃতীয় বাবের মত যেন ক্ষমতাই আসে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।