রফিক মোল্লাঃ
সিরাজগঞ্জ
জেলা সদর থেকে যমুনা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন চৌহালী উপজেলার বাসিন্দাদের
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় প্রতিনিয়ত । একদিকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা,
অদক্ষ চালক অপর দিকে লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট না থাকায় মারাক্তক ঝুঁকি মাথায়
নিয়ে পাড়াপাড় হতে হয় কৃষি প্রধান এ অঞ্চলের মানুষদের। তবে স্থানীয়রা উন্নত
নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, চৌহালী উপজেলা সদর অনেক আগেই যমুনা নদীতে চলে গেছে। এছাড়া নদী ভাঙনের কাবলে পড়ে উপজেলার সিংহভাগ সড়ক পথই বিলীন হয়ে গেছে। যে কারনে এ উপজেলার মানুষদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুস্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি/ পায়ে হাটা ও বর্ষায় নৌকাই প্রধান মাধ্যম। চৌহালী ডিগ্রি কলেজ চত্ত্বরে অস্থায়ী ভাবে চলছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের কার্যক্রম। যেখানে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা শতশত মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমান উপজেলা সদরের তিন দিকে নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এসব এলাকার মানুষদেরকে নৌ পথে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে গন্তব্যে পৌছতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা সদরের সাথে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের প্রধান সড়কটি দু’বছর আগে নদীতে বিলীনের পর দুর্ভোগের সীমা নেই । তাদেরকে পায়ে হেটে ও নৌকায় প্রয়োজনীয় কাজে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে জেলা প্রশাসনের যোগাযোগর জন্য ইঞ্জিল চালিত নৌকা অথবা নাগরপুর টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে জেলা সদরে যেতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুইয়েরই অপচয় হয়। বিশেষ করে সকরারী বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ঝড় তুফানের মধ্যেও প্রতিদিনই যমুনা পাড়ি দিয়ে তাদের নিজ গন্তব্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। এত ঝুঁকির পরও যোগাযোগের তেমন কোন উন্নত ব্যাবস্থ না থাকায় বাধ্য হয়ে এসকল মানুষকে বানিজ্যিক ভাবে নির্মীত ইঞ্চিল চালিত নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করে চলাচল করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে নিরাপদে ঝুঁকি বিহীন নৌযান চলাচলের দাবী জানিয়েছেন ওইসব দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। সরকারী ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এনায়েতপুর-চৌহালী নৌ পথে উন্নত সার্ভিস চালু করতে সংশ্লিষ্টদের নিকট আবেদন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ভোরবেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে এসব নৌকা গুলো চৌহালী খাষকাউলিা, খগেন ঘাট ও এনায়েতপুর নৌকা ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। তারা বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে ঝড় তুফানের মধ্যে কোন লাইফ সার্পোট জ্যাকেট ছাড়াই ছেড়ে যায়। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বানিজ্যিক ভাবে যাত্রীবহনের কাজে নিয়োজিত এসকল শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করে দেদারচ্ছে চলাচল করছে। কয়েকজন সরকারী চাকুরিজীবি ও চরাঞ্চলের একাধিক ব্যবসায়িরা জানান, মৃত্যু ঝুঁকি থাকা সত্বেও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে এ সব নৌযানে চলাচল করতে হচ্ছে। তারা আরো জানায়, অসুস্থ রোগীসহ প্রতিদিনই স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যমুনার উত্তাল তরঙ্গ পাড়ি দিতে হচ্ছে ঝুঁকিপূন অবস্থায়। যাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য উন্নত নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।