সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সামগ্রী বিতরণ


(স্টাফ রির্পোটার)
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য -৬২ সিরাজগঞ্জ -(১) কাজিপুর আসনের সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী আওতায় গৃহিত  পদক্ষেপ গ্রহন করেন (এডিপি)। এসময় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/ ব্যক্তির অনুকূলে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিসার, অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ গণম্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের লুৎফর রহমান দিলুর মত বিনিময় সভা


কে.এম রফিকুল ইসলাম, রায়গঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে, সিরাজগঞ্জ-৩, রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি বিশিষ্ট শিল্পপতি  লুৎফর রহমান দিলুর মত বিনিময় সভা করেছেন। রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি টি.এম কামরুজ্জামান লাবুর সভাপতিত্বে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি লুৎফর রহমান দিলু সাংবাদিকদের সামনে তার শিশু কিশোর জীবন থেকে শুরু করে শিক্ষা, সামাজিক, রাজনৈতিক, পারিবারিক ও বরণ্য কর্মময় জীবনের চালচিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, জীবনে আমার চাওয়া- পাওয়ার কিছুই নেই। আগামীতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা বাসীর সেবা করে যেতে চাই। গত ওয়ান-ইলেভেনে আওয়ামীলীগের দুর্দিনে দলীয় নেতাকর্মীদের সু-সংগঠিত করতে গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেরিয়েছি। সামাজিক কর্মকান্ড হিসাবে বন্যায় ও শীতার্থদের মাঝে খাদ্য, কাপড় ও ঔষধ বিতরণ করে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন। নিজ অর্থায়নে একটি পাটকল স্থাপন করে ৪ শ’তাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন। আমি পাট কলের একটি টাকাও গ্রহন করি না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলে দিয়েছি এ কারখানা তোমাদের এর যত উন্নয়ন হবে সব তোমাদেরই।
মনোনয়ন প্রত্যাশি এ নেতা বলেন দলবাজী, ক্ষমতাবাজী দুর্নীতি বন্ধ করে উন্নয়ন কর্মকান্ড অভ্যাহত রাখলে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন উত্তর বঙ্গেও সিংহ পুরুষ মোহাম্মদ নাসিমের আসন কাজিপুরের ন্যায় আওয়ামীলীগের নির্ধারিত আসন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা খুবই সম্ভব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সেই নেতা বেছে নিতে ব্যার্থ হয়েছি। আগামীতে যদি আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন দেয় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেক নজর পাই তবে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রমান করে দেব ইনসাল্লাহ।

তারাকান্দি হাওয়ালদার পাড়ায় বিদ্যুৎ উদ্ভোধন



পারভেজ আহমেদ,কাজিপুর প্রতিনিধিঃ শুভগাছা ইউনিয়নে তারাকান্দি হাওয়ালদার পাড়া বিদ্যুৎ উদ্ভোধনে প্রধান অতিথি হিসাবে অপস্থিত ছিলেন  কাজিপুরের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, শেখ হাসিনা সরকরে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন সারা বাংলাদেশ সহ সিরাজগঞ্জ এর যে উন্নয়ন হয়েছে তার উপর বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় দিবেন।তিনি জনগণের উদ্দেশ্য করে বলেন ভোট আপনাদের অধিকার কিন্তু আমরা যদি রাস্তা ঘাট,স্কুল মাদ্রাসা উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকি তাহলে আপনার ভোটের দাবিদার তো একমাত্র আমরাই করতে পারি,

তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম সারাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। সেই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে আমাদের সিরাজগঞ্জ ও বাদ পরেনি আপনেরা জানেন এতিমধ্যে শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজর কাজ চলমান, কাজিপুরে আইএসটি চালু হয়ে গেছে,নিশ্চিতপুর ও মনসুর নগর ইউনিয়নে মা ও শিশু হাসপাতাল উদ্ভোধন করেছেন এবং নার্সিং ইন্সটিটিউট ও টেক্সটাইলের কাজ চলছে। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ছিলেন মোঃ মিজানুর রাহমান ডিজিএম সিরাজগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি (২), কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, মেয়র নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুকুল, সাঃ সম্পাদক জিয়াউর রাহমান যুগ্ন সাঃ বিপ্লব।

শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে নাঃ মোহাম্মদ নাসিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, 'কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে বিএনপির মতো হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেনি, জঙ্গিবাদও সৃষ্টি করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তির দেশে পরিণত হয়েছে। মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আবারও নৌকার বিজয় হবে।'

শুক্রবার বিকেলে নিজের নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় এক জনসভায় মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।

মাইজবাড়ি ইউনিয়নের বেলতৈল হাই স্কুল মাঠে এর আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, '২০১৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে ওরা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। ওদের আমলেই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দেশের সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। ওরা ক্ষমতায় এলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে।'

নাসিম বলেন, 'দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।'

সিরাজগঞ্জসহ কাজীপুরের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী এক বছরের মধ্যে সব উন্নয়ন কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মাইজবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র হাজি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে উপজেলার সোনামুখীতে কাজীপুর শহীদ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন ও মাইজবাড়িতে বেলতৈল সড়ক পাকাকরণের উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ নাসিম।

এ সময় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রকল্পের প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারেনি বিএনপি ঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম

ঢাকা প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ভাইরাস থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের যে রোগে পড়েছে তা এখনো সারেনি। এর প্রভাবে তাঁরা কেবল নির্বাচন বর্জন আর বানচালের বুলি আওড়াচ্ছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস মিলনায়তনে ‘বিশ^ হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য বিশ^ হেপাটাইটিস দিবসের প্রাক্কালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সেমিনারের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জন্ডিস রোগীরা যেমন সব কিছু হলুদ দেখে, তেমনি বিএনপি নেতারাও সব হলুদ দেখছেন। তারা সব সময় নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন। জনগণের ভোটাধিকারের উপর আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জন্ডিস থেকে মুক্ত হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামুন। আমরা বারবার বলে আসছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী।

বাংলাদেশ থেকে হেপাটাইটিস নির্মূলে জনসচেতনতা কার্যক্রমকে জোরদার ও সকলের সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খাবার দাবার, জীবন-ধারণ এবং নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনে সতর্কতা অবলম্বনে মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে রক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও সাবধান থাকতে হবে। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার যথাযথ পদ্ধতি মেনে কাজ করে না। সরকার এ ধরনের নিন্মমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করার অভিযান অব্যাহত রাখছে। 

লিভার ও হেপাটাইটিস চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশেষ রোগীরা বাংলাদেশে আসছেন। এই তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসা ও ঔষধের মান যে উন্নত হয়েছে এটাই তার প্রমাণ। আমাদের চিকিৎসকরা যদি এই সেবার মানকে আরো উন্নত করতে পারেন তবে আমাদের দেশেই বিদেশ থেকে প্রচুর রোগী আসবেন। সরকারও সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে । 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিডিসির লাইন ডাইরেক্টর সানিয়া তাহমিনা বক্তৃতা করেন। বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। পরে মন্ত্রী আইইডিসিআর-এ স্থাপিত চিকুনগুনিয়া কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করে সেখানকার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা থেকে আগত সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এসময় বাংলাদেশে স্থাপিত চিকুনগুনিয়া কন্ট্রোল রুমের রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭

অসুস্থ মোরছালিনের পাশে মীর মোশারফ


বিরল রোগাক্রান্ত মোরছালিনের উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস মীর মোশারফ হোসেন ঢাকা মেডিকেলে উপস্থিত হয়ে তার চিকিৎসার খোজ খবর নেয়। মোরছালিনের বাবার কাছে খরচের টাকা না থাকায় নগদ ৫হাজার টাকা দেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের খামার উল্লাপাড়া গ্রামের দিন মুজুর কৃষক ময়নাল হোসেনের ছেলে মোরছালিন জটিল রোগে আক্রান্ত। তার মুখের জিব্বাহ সম্পূর্ণরুপ বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই ঠোট ও জিব্বাহয় গাঁ দেখা গেছে। ১৮ বছর বয়সী মোরছালিন দীর্ঘ ১০ বছর এ রোগে আক্রান্ত হলেও তার চিকিৎসা সেবার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি পরিবার। বিভিন্ন সময় ডাক্তার কবিরাজ দেখালেও কোনো সুফল মেলেনি। এক সময় হাল ছেড়ে দিয়েছিল তার পরিবার।

হতদরিদ্র মোরছালিনের নিউজের সংবাদটি মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস ও ঢাকা বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেনের নজরে এলে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না ও বেলকুচি উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সেলিমের মাধ্যেমে প্রতিবেদক জহুরুল ইসলামকে মোরছালিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিবেন বলে জানান। এরপর প্রতিবেদকের মাধ্যেমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভার্তি করান।
হাসপাতালে মোরছালিনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন মীর মোশারফের ছোট ভাই ও তিতুমির কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এম আক্তার হোসেন।

নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস মীর মোশারফ হোসেনের কথা মত জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ভর্তি করা হয় মোরছালিনকে। নাক, কান ও গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ নম্বর বেডে সে ভর্তি রয়েছে। নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকিরের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তাছাড়া আমরা জেনেছি মোরছালিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস মীর মোশারফ সাহেব। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছেন ও সার্বিক বিষয়ের খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির বলেন, মোরছালিনের গলার একটি রগের মাথায় টিউমার হয়েছে। সেটি অনেক দিন হওয়ায় তা মুখের জিব্বাহর ধারণ করেছে। অপারেশন করালে তা ঠিক হয়ে যাবে। তবে আমরা স্বাধ্যমত চেষ্টা করে যাব।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন মোরছালিনের বাবা ময়নাল হক, মা মমতা বেগম তারা বলেন, মীর মোশারফ সাহেব একজন অসাধারণ মানুষ, ফেরেস্তার মতন এসে আমাদের ছেলের চিকিৎসা খোজখবর নিচ্ছেন। তাছারা আমাদের কাছে টাকা ছিলনা ৫হাজার টাকা খরছের জন্য দিয়েছে। আল্লাহর কাছে দোয়াকরি মীর মোশারফ সাহেব ও সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম যেন দির্ঘ দিন বেচে থাকে। মানুষের সেবা যেন করতে পারে।

এদিকে, মীর মোশারফ হোসেনের ভাগিনা সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না ও ছোট ভাই ও তিতুমির কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এম আক্তার হোসন মোরছালিনের পাশে থেকে সব সময় দেখা শোনা করছেন।

এবিষয়ে সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। সেখান থেকেই আসলে প্রথমে ফেসবুকে পোষ্ট পরে পত্রিকায় খবরটি প্রকাশের পর আওয়ামীলীগ নেতা মীর মোশারফ হোসেন মোরছালিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার খবরটি জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না ও বেলকুচি উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সেলিম আমাকে জানান। পরে গত মঙ্গলবার মোরছালিনকে সাথে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

এতিমের টাকা মেরে খেয়ে এখন নির্বাচন করতে চায়

শ্যামল সরকার ও বারেক কায়সারঃ
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী  *নির্বাচন নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে  *মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনের খসড়া অনুমোদন।

যারা এতিমের টাকা মেরে খায় তারা আবার নির্বাচন করতে চায়। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি মহল আগামী নির্বাচন যাতে হতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ নির্বাচন না হলে ওই মহলটি বেশ সুবিধা পায়। একারণে তিনি সকলকে চোখ-কান খোলা রেখে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য প্রসঙ্গক্রমে নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করে মাঠে মোতায়েন সম্পর্কে বিএনপির দাবি উল্লেখ করে বলেন, এর যৌক্তিকতা নেই। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালে সার্বিক কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকে। নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে কী করা হবে আর কী করা হবে না। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত রোডম্যাপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সকলকে কথা বলতে নিষেধ করেন।    

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আগামী নির্বাচন যাতে না হয় এজন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে। সবাইকে ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিভাবে নির্বাচন হবে ওই কথা সংবিধানেই বলা হয়েছে। এনিয়ে কথা বলার দরকার নেই। কিছু মানুষ আছে নির্বাচন চায় না। নির্বাচন না হলে অনির্বাচিতরা ক্ষমতায় বসবে। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক।               সব দল নির্বাচনে এলে ভালো হয়। কিন্তু  কোনো দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তো কিছু করার নেই।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোডম্যাপ ইসির বিষয়। এই রোডম্যাপ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আপনারা কোন মন্তব্য করবেন না। এ বিষয়টি আপনাদের মনে রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা দেখতে হবে। এ জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। কাজেই আগে থেকে এ বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে কথা বলেন। তারা বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ ও র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন। তবে নির্বাচন কমিশন চাইলে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন করতে পারে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে কোন কোন মন্ত্রী বলেন, সাজার ভয়ে কি খালেদা জিয়া দেশ ছেড়েছেন? এমন প্রশ্ন এখন দেশের অনেক মানুষই করছে।

মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনের খসড়া অনুমোদন

মানব দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন সংশোধন আইন ২০১৭-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সরকার চিকিত্সা বিজ্ঞানের উত্কর্ষের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চিকিত্সা সেবার উন্নয়ন এবং মানব অঙ্গ পাচার বন্ধ ও এর অবৈধ ব্যবসা রোধে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কোন ব্যক্তি অঙ্গদাতা ও গ্রহিতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা এতে কাউকে উত্সাহিত বা প্ররোচিত বা ভীতি প্রদর্শন করলে তার সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বাধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে। এছাড়া আইনের অন্যান্য ধারা অমান্যে বা এ ব্যাপারে কাউকে সহায়তার অপরাধে সর্বোচ্চ ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বাধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। কোন চিকিত্সক এই আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তার বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে প্রণীত মূল আইনটিতে সাজার পরিমাণ বেশি থাকলেও সংশোধিত আইনে সেটা কমানো হয়েছে। এছাড়া আইনটি প্রণীত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এই আইনের কোন প্রয়োগ হয়েছে বলে জানা যায় না।

আইনটি যুগোপযোগী করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেন। মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সেই কমিটি সংশোধনীর জন্য খসড়া আইন তৈরিতে কাজ করে।

কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মালিক, পরিচালক ও ম্যানেজার বা অন্য কোন পদবিধারী যদি প্রমাণ করতে না পারেন যে তাদের জ্ঞাতসারে কোন অপরাধ হয়নি এবং তারা এটা রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, তবে তারাও প্রস্তাবিত আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।

এ সম্পর্কিত ১৯৯৯ সালের আইনে এর কোন ধারা লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড বা সর্বাধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

আইনের সংশোধনীতে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন বলতে বাবা-মা, সন্তান, ভাই, বোন, নাতি নাতনি, স্বামী-স্ত্রী এবং রক্তের সম্পর্কীয় দাদা, নানা, মামা, চাচা, খালু, ফুফা, মামি, চাচি ও ফুপুর মতো আত্মীয়-স্বজনদেরকে সঙ্গায়িত করা হয়েছে।

খসড়া আইন অনুযায়ী লাইফ সাপোর্টে থাকা মানুষের দেহ থেকে সংগৃহীত কিডনি, লিভার, হাড়, চক্ষু, হার্ট, লাং এবং টিস্যুসহ মানব দেহের যে কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানব দেহে প্রতিস্থাপন করা যাবে। কোন হাসপাতাল সরকারের অনুমোদন ব্যাতীত মানব দেহের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। তবে সরকারি হাসপাতালগুলো সরকারের অনুমোদন ছাড়াই মানব দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব বলেন, একজন নিউরোলজিস্ট, এনেস্থেসিয়োলজিস্ট এবং একজন মেডিসিন অথবা ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে প্রতিটি হাসপাতালে তিন সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে এবং তারা অধ্যাপক অথবা কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক হবেন।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ঘোষণাদানকারী কোন ব্যক্তির কোন আত্মীয়-স্বজনের এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কার্ডিয়াক কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপনের গোটা বিষয়টি দেখভাল করবেন এবং পরামর্শ দেবেন।

প্রতিটি হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হবে। বোর্ডে সদস্য হিসেবে এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে কো-অপট করা যাবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আইনটি কার্যকরের ৬০ দিনের মধ্যে বোর্ডের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে।

সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভায় মন্ত্রীবর্গ ও প্রতিমন্ত্রীগণ ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃইত্তেফাক

শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭

সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিল কিন্তু কাজিপুরে একটি সংযোগও দেয়নিঃ বাঐখোলা গ্রামে বিদ্যুৎ উদ্বোধন কালে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের গান্ধাইল ইউনিয়নে বাঐখোলা গ্রামে বিদ্যুৎ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর উত্তরসূরী কাজিপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ, প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, বি,এন,পির আমলে সিরাজগঞ্জের ইকবাল হাছান মাহমুদ টুকু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কাজিপুর অঞ্চলে একটি বিদ্যুৎ সংযোগও তিনি দেন নাই। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কাজিপুরের প্রায় সব ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ শেষের দিকে।

এসময় জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারই রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, দূর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে অাসছে, তাই আগামী নির্বাচনে জনগণকে আওয়ামী-লীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি ২ এর ডি,জি,এম, মিজানুর রহমান, কাজিপুর পৌরসভার মেয়র হাজী নিজাম উদ্দিন, এসময় কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭




রফিক মোল্লাঃ
সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে যমুনা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন চৌহালী উপজেলার বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় প্রতিনিয়ত । একদিকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, অদক্ষ চালক অপর দিকে লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট না থাকায় মারাক্তক ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পাড়াপাড় হতে হয় কৃষি প্রধান এ অঞ্চলের মানুষদের। তবে স্থানীয়রা উন্নত নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, চৌহালী উপজেলা সদর অনেক আগেই যমুনা নদীতে চলে গেছে। এছাড়া নদী ভাঙনের কাবলে পড়ে উপজেলার সিংহভাগ সড়ক পথই বিলীন হয়ে গেছে। যে কারনে এ উপজেলার মানুষদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুস্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি/ পায়ে হাটা ও বর্ষায় নৌকাই প্রধান মাধ্যম। চৌহালী ডিগ্রি কলেজ চত্ত্বরে অস্থায়ী ভাবে চলছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের কার্যক্রম। যেখানে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা শতশত মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমান উপজেলা সদরের তিন দিকে নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এসব এলাকার মানুষদেরকে নৌ পথে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে গন্তব্যে পৌছতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা সদরের সাথে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের প্রধান সড়কটি দু’বছর আগে নদীতে বিলীনের পর দুর্ভোগের সীমা নেই । তাদেরকে পায়ে হেটে ও নৌকায় প্রয়োজনীয় কাজে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে জেলা প্রশাসনের যোগাযোগর জন্য ইঞ্জিল চালিত নৌকা অথবা নাগরপুর টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে জেলা সদরে যেতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুইয়েরই অপচয় হয়। বিশেষ করে সকরারী বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ঝড় তুফানের মধ্যেও প্রতিদিনই যমুনা পাড়ি দিয়ে তাদের নিজ গন্তব্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। এত ঝুঁকির পরও যোগাযোগের তেমন কোন উন্নত ব্যাবস্থ না থাকায় বাধ্য হয়ে এসকল মানুষকে বানিজ্যিক ভাবে নির্মীত ইঞ্চিল চালিত নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করে চলাচল করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে নিরাপদে ঝুঁকি বিহীন নৌযান চলাচলের দাবী জানিয়েছেন ওইসব দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। সরকারী ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এনায়েতপুর-চৌহালী নৌ পথে উন্নত সার্ভিস চালু করতে সংশ্লিষ্টদের নিকট আবেদন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ভোরবেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে এসব নৌকা গুলো চৌহালী খাষকাউলিা, খগেন ঘাট ও এনায়েতপুর নৌকা ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। তারা বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে ঝড় তুফানের মধ্যে কোন লাইফ সার্পোট জ্যাকেট ছাড়াই ছেড়ে যায়। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বানিজ্যিক ভাবে যাত্রীবহনের কাজে নিয়োজিত এসকল শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করে দেদারচ্ছে চলাচল করছে। কয়েকজন সরকারী চাকুরিজীবি ও চরাঞ্চলের একাধিক ব্যবসায়িরা জানান, মৃত্যু ঝুঁকি থাকা সত্বেও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে এ সব নৌযানে চলাচল করতে হচ্ছে। তারা আরো জানায়, অসুস্থ রোগীসহ প্রতিদিনই স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যমুনার উত্তাল তরঙ্গ পাড়ি দিতে হচ্ছে ঝুঁকিপূন অবস্থায়। যাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য উন্নত নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে ইঞ্জিল চালিত নৌকায় যাতায়াত আসলেই ঝুঁকিপূর্ন। তবে এসব নৌকা মেরামত ও নতুন নৌকা তৈরীতে তাদেরকে বলা হয়েছে। এছাড়া নৌকা গুলোতে লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট সরবরাহে এনজিও প্রতিনিধিদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন, বন্যায় একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না”- তানভীর শাকিল জয়।

শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন, বন্যায় একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না”- তানভীর শাকিল জয়।

কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
কাজিপুর উপজেলা  বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলায়  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি, জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর উত্তরসূরী, মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা মন্ত্রী জননেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম এমপি মহোদয়ের সুযোগ্য সন্তান , বর্ন্যাত্য মানুষের পাশে দ্বাড়াতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ প্রদানকালে বলেন, “বর্তমান সরকার বর্ন্যার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি রেথেছে বলেই এখন পর্যন্ত একাট
মানুষ্ও মারা য়ায় নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন, বন্যায় একটি মানুষও না খেয়ে থাতবে না, না খেয়ে মরবে না ”

কাজিপুর উপজেলা  বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফাইনাল টুর্নামেন্টে আজ বুধবার ১২ই জুলাই বুধবার বিজয়ী ও রানার্সআপ দলকে পুরস্কার তুলে দেন সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বকুল সরকারসহ উপজেলোর নেতৃবৃন্দ।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।