ঢাকা প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ভাইরাস থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের যে রোগে পড়েছে তা এখনো সারেনি। এর প্রভাবে তাঁরা কেবল নির্বাচন বর্জন আর বানচালের বুলি আওড়াচ্ছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস মিলনায়তনে ‘বিশ^ হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য বিশ^ হেপাটাইটিস দিবসের প্রাক্কালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সেমিনারের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ভাইরাস থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের যে রোগে পড়েছে তা এখনো সারেনি। এর প্রভাবে তাঁরা কেবল নির্বাচন বর্জন আর বানচালের বুলি আওড়াচ্ছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস মিলনায়তনে ‘বিশ^ হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য বিশ^ হেপাটাইটিস দিবসের প্রাক্কালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সেমিনারের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জন্ডিস রোগীরা যেমন সব কিছু হলুদ দেখে, তেমনি বিএনপি নেতারাও সব হলুদ দেখছেন। তারা সব সময় নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন। জনগণের ভোটাধিকারের উপর আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জন্ডিস থেকে মুক্ত হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামুন। আমরা বারবার বলে আসছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশ থেকে হেপাটাইটিস নির্মূলে জনসচেতনতা কার্যক্রমকে জোরদার ও সকলের সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খাবার দাবার, জীবন-ধারণ এবং নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনে সতর্কতা অবলম্বনে মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে রক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও সাবধান থাকতে হবে। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার যথাযথ পদ্ধতি মেনে কাজ করে না। সরকার এ ধরনের নিন্মমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করার অভিযান অব্যাহত রাখছে।
লিভার ও হেপাটাইটিস চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশেষ রোগীরা বাংলাদেশে আসছেন। এই তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসা ও ঔষধের মান যে উন্নত হয়েছে এটাই তার প্রমাণ। আমাদের চিকিৎসকরা যদি এই সেবার মানকে আরো উন্নত করতে পারেন তবে আমাদের দেশেই বিদেশ থেকে প্রচুর রোগী আসবেন। সরকারও সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিডিসির লাইন ডাইরেক্টর সানিয়া তাহমিনা বক্তৃতা করেন। বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। পরে মন্ত্রী আইইডিসিআর-এ স্থাপিত চিকুনগুনিয়া কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করে সেখানকার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা থেকে আগত সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এসময় বাংলাদেশে স্থাপিত চিকুনগুনিয়া কন্ট্রোল রুমের রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।