বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

সিরাজগঞ্জে পুলিশ-১৮ দলের কর্মিদের সংঘর্ষ পেট্রল বোমা, ককটেল বিস্ফোরন, আহত ১০

সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-১৮ দল সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে প্রায় ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ১৮দলের ডাকা রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত এ ঘটনাগুলো ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শিসূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধা ছয়টার দিকে অবরোধ, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ১৮ দলের পক্ষ থেকে ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালের সমর্থনে শহরের ইসলামিয়া কলেজ রোড থেকে একটি মশাল মিছিল বের করে বিএনপি কর্মিরা। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ।

একই সময়ে শহরের জুবলি বাগান লেন থেকে একই দাবিতে একটি মশাল মিছিল বের করে বিএনপি কর্মিরা। এ সময় মিছিলটি শহরের মুজিব সড়কে পৌছে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

এছাড়া শহরের নিউ ঢাকা রোড রেলগেট থেকেও একটি মশাল মিছিল বের করে বিএনপি ও জামায়াত কর্মিরা। মিছিলটি শহরের চামড়াপট্টি ও খেদন সর্দ্দারের মোড়ে পৌছে প্রায় আটটি পেট্রোল বোমা
ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সর্টগানের গুলি ছোড়ে। 

এ সময় কলোনী এলাকায় মিছিলকারীরা ধাওয়া দিলে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তাকে মারপিট করে তার কাছে থাকা সার্ভিস রিভলবারটি ছিনিয়ে নেয়া হয়। রাত টার সময়ও রিভলবারটি উদ্ধার হয়নি।  

সিরাজগঞ্জ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 
এ সকল ঘটনায় প্রায় ১০জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম এ সকল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।