সিরাজগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ২ শিশু চিকিৎসাধীন
অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এরা হলো- রায়গঞ্জ উপজেলার
সোনাখাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ট্রাক চালক আব্দুল মোমিনের ৫ বছর বয়সী
শিশু কন্যা ও শিশু শ্রেনীর ছাত্রী এবং তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বড়
পোত্ততা গ্রামের দিনমজুর আমির হোসেনের ১৫ বছর বয়সী কিশোরী। মঙ্গলবার
সন্ধ্যার পর এদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের
মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ জানান, ধর্ষিতা শিশু ২টির রক্তক্ষরণ
হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদের গাইনী ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা
হয়েছে। বুধবার যে কোন সময় তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হবে। রায়গঞ্জের
ধর্ষিতা শিশুর মামা সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টার
দিকে আকস্কিক শিশু ভাগ্নিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই সময় নিজ বাড়িতে আটকে
রেখে পাশ্ববর্তী কর্মা মাহাতো’র ছেলে দীপু মাহাতো (১৪) শিশুটিকে জোরপূর্বক
ধর্ষনের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে দীপু ছাড়া কেউ ছিল না। সংবাদ
পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর
রহমান জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত কেউ মামলা করতে আসেনি। এলে মামলা
গ্রহনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাড়াশের ধর্ষিতা কিশোরীর চাচী
লতা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, মাতৃহীন শিশুটি সোমবার বিকেলে গবাদি পশুর জন্য
মাঠে ঘাস তুলতে গেলে পাশ্ববর্তী হাবিবের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৪) ভাতিজীকে
ধরে মুখ ও গলায় গামছা পেচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাকরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার
করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাকে সদর
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রফিক জানান, ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সকলে পলাতক রয়েছে।