বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

নিজের মানসিকতা পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় শুদ্ধাচার : পলক

নিজের মানসিকতা পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় শুদ্ধাচার :  পলক
নিজের মানসিকতার পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় শুদ্ধাচার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘একটি দুটি মানসিক পরিবর্তন বড় ধরনের জাতীয় পরিবর্তন সৃষ্টি করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কিছু যুগান্তকারী ও বাস্তবমুখী সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি অফিসগুলো এখন জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। এখন সরকারি কর্মকর্তাগণ সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার পরও আউট অব বক্স চিন্তা করছে। তাদের মানসিকতা পরিবর্তিত হয়েছে।’

বুধবার আইসিটি টাওয়ারস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন’ সংক্রান্ত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা আজ সর্বক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করছি বলেই দেশে আজ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দুর্নীতি, হয়রানি কমেছে। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল অনুষঙ্গই হচ্ছে ই-গভার্নেন্স। ই-গভার্নেন্স প্রতিষ্ঠায় জোর দেয়ার ফলে আজ আমরা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ই-ফাইলিং কর্মকাণ্ড নিয়ে যেতে পেরেছি এবং প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ই-গভার্নেন্স বাস্তবায়নে কাজ করছে।’

সরকারের ই-গভার্নেন্স প্রতিষ্ঠার ফলাফল বিষয়ে পলক বলেন, ‘ই-গভার্নেন্স প্রতিষ্ঠার ফলে সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে জনগণের সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হচ্ছে এবং হয়রানি কমেছে। বেড়েছে সেবার মান।‘

তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানকে ধারণ করেছে বলে আজ ৩৫ শতাংশ সেবা আমরা অনলাইনে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ২০২১ সালের মধ্যে সরকারি সেবার ৯০ শতাংশ অনলাইনে নিয়ে আসার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সর্বোত্তম শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে আপনারাই বাস্তবায়িত করবেন।’


জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক বলেন, ‘দেশের মানুষকে দেশের স্বার্থেই সকল আইন-কানুন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তাদেরকে সরকারের সকল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত করা এবং সরকারি সেবা প্রদান ও প্রাপ্তি সহজলভ্য করার জন্য আমাদেরকে নিরলসভাবে কাজ করলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হবে। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবহার শুদ্ধাচার চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে উক্ত সেমনিারে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, পার্থ প্রতিম দেব, সুশান্ত কুমার সাহা, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিকসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
 

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।