শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সিরাজগঞ্জ ইন্সটিটিউটঅব টেকনোলজি প্রথম স্থান দখল 

ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সিরাজগঞ্জ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রথম স্থান দখল ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সিরাজগঞ্জ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ‘গাছের পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন’ করে ডিজিটাল উদ্ভাবনীতে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছেন। শনিবার দুপুরে কালেক্টরেক্ট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সিরাজগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার অপু সিট সিরাজগঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যক্ষ মোঃ শরীফুল ইসলাম ও ইন্সট্রাকক্টর জাহিদুল ইসলামের হাতে এ সম্মাননা (সার্টিফিকেট) তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ, সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

‘গাছের পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন’-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিরাজগঞ্জ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যক্ষ মোঃ শরীফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধানে সিটের ইন্সট্রাক্টর ইলেকট্রিক্যাল মোঃ জাহিদ হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রশিক্ষণার্থীরা হলেন সিট সিরাজগঞ্জের ছাত্র মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ ফারহান শাহারিয়ার, মোঃ রাকিব-উল-করিম প্রমুখ।
‘গাছের পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন’ প্রকল্পের সুবিধা সমূহ- কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন, অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মিটানো, ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজ লভ্যতা, ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতায়ন, পরিবেশের ক্ষতি হয় না এমন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। 

প্রসঙ্গত: আধুনিক ও কারিগরি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে ২০১১ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণ সিরাজগঞ্জে প্রথম ও বৃহৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ ‘ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠা করেন। সিরাজগঞ্জ শহরের রেলগেটের দক্ষিণ পার্শ্বে বৃহৎ সিট ভবনে সুপরিসর শ্রেণি কক্ষে টেক্সটাইল, সিভিল, কম্পিউটার, ডেন্টাল, গার্মেন্টস্, ইলেকট্রিক্যাল, প্যাথলজী ও ল্যাবরেটরী বিশিষ্ট আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিরাজগঞ্জ ‘ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’ গড়ে তোলা হয়েছে। 
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই খ্যাতিনামা ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা সর্বোচ্চ সংখ্যক তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাস নেয়া হচ্ছে। সার্বক্ষনিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিনা বেতনে ও অর্ধ বেতনে পড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিশেষ বৃত্তির মাধ্যমে সবচেয়ে কম খরচে অধ্যায়নের সুযোগ, জব রিপ্লেসমেন্ট সেলের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের চাকুরীর ব্যবস্থা করা, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইন্টার্নী করার ব্যবস্থা, নিয়মিত সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, অমনোযোগী ও দুর্বল ছাত্রের জন্য বিশেষ কাউন্সিলির মাধ্যমে অবস্থার উন্নতীকরণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।