আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন
ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতাদের উদ্দ্যেশে বলেছেন, পাতি নেতা, সিকি নেতা দিয়ে দল ও মঞ্চ ভরে গেছে। মঞ্চের লোক কমান। অন্যস্থায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি দেশও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ত্যাগীদের
মূল্যায়ন করুন, ভদ্র ও শিক্ষিত লোকদের দিয়ে কমিটি করুন, যারা অভিমান করে
দুরে সরে গেছে তাদের দলে বেড়ান, তাহলেই আগামীতে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনা
সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন নেতা না বানিয়ে কর্মী তৈরি করেন।
মাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা নেতা উৎপাদনের কারখানায় পরিনত হয়েছে। যদি পাথরে নাম লিখলে সে
নাম ক্ষয়ে যাবে হুদয়ে নাম লিখলে সে নাম রয়ে যাবে। বাংলার জনগণ বঙ্গবন্ধু
এবং শেখ হাসিনার নাম হৃদয়ে লিখে রেখেছে। দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এইযে
কালো মানুষ কে ফর্সাকরে বড় বড় বিলবোর্ড বানানো হয়েছে এটাও ডিজিটাল
বাংলাদেশের ফল। আসুন অন্য
কাউকে নয়, শেখ হাসিনাকে নেতা মেনে, তার নেতৃত্বে দল করি, তাহলেই দলের ও
দেশের ভাল হবে। দেশও এগিয়ে যাবে, উন্নয়নও হবে।
উত্তরাঞ্চলে
সফরের শুরুতে শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কের
কড্ডা মোড়ে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল
কাদের আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না, বিএনপির বার বার আন্দোলনের হুমকি দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন নালিশ পাটি পরিনত
হয়েছে। তারা শুধু আন্দোলনের ডাক দেয় আর বলে কোরবানী পরে,
পরীক্ষার পরে, এ বছর নয়, সামনে বছর আন্দোলনের জন্য মাঠে নামবো। কিন্তু মাঠে
নামে না, শুধু ঘরেই বসে থাকে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে সিরাজগঞ্জ-২
আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রফেসর হাবিবে
মিল্লাত মুন্না, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না, সহ-সভাপতি
আবু ইউসুফ সূর্য্য, সহ-সভাপতি এ্যাড: কে,এম হোসেন আলী হাসান বক্তব্য রাখেন। সভায় মন্ত্রীর সফর সঙ্গী আওয়ামীলীগের যুগ্ম
সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী
মির্জা আজম এমপি, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী,
ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমতিয়াজ বুলবুল, সাধারন সম্পাদক এস,এম জাকির
হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।