শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনকে মারপিট: ভাংচুর


এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরন অনুষ্ঠানকে জামাত-বিএনপির মিটিং আখ্যা দিয়ে কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন ও সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফকে মারপিট করেছে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ডুমুরইছা গ্রামের ডা. তাসমিনা মতিন উচচ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শিক্ষক-অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে বখাটে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবীতে সন্ধ্যার আগে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল মাঠে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন খান জানান, শনিবার দুপুরে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাচ্চু এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশপত্র বিতরন শেষে বিকেল তিনটার দিকে চলে যান। পরে তিনি ও সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ মিয়া ও পিয়নসহ কয়েকজন স্কুলে কাজ করছিলেন। এসময় এলাকার আওয়ামীলীগ নামধারী সন্ত্রাসী হেলাল উদ্দিন, সবুজ, শান্তাসহ ৬/৭জন সন্ত্রাসী স্কুলে ঢুকে সাবেক সভাপতি কেন স্কুলে এসেছিলেন? এখানে জামাত-বিএনপির মিটিং হচ্ছে এ কথা বলে অফিস কক্ষ ভাংচুর শুরু করেন। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাদের দুজনকে কলার ধরে মারপিট করে। এর পরই পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হায়দার আলী তাদেরকে উদ্ধার করেন।

তিনি আরো জানান, মারপিটের সময় স্কুলের কাজে জন্য রাখা ২৫ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকের ২০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ মিয়া জানান, পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আনা হয়েছিল। পুলিশ স্কুলে ঢোকার আগেই সন্ত্রাসীরা তাদের মারপিট করে। পরে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।

স্কুল ছাত্র জয়নাল, সোহেল, শাহাদত হোসেন জানান, সন্ত্রাসীরা স্কুলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও আমাদের শিক্ষককে মারপিট করেছে। আমরা স্যারকে মারপিটের ন্যায্য বিচার দাবী করছি। বিচার না হলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হবে। স্কুল ছাত্র হাসেম, জনি, ইমন ও নাসিম জানান, জামায়াত-বিএনপির কোন মিটিং স্কুলে হয়নি। আজকে আমাদের মাঝে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরন করা হয়েছে। বিতরন শেষ হবার পরপরই সন্ত্রাসীরা স্যারের উপর হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ কর্মী হেলাল বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমরা স্কুলে যাইনি। জামাত-বিএনপি মিটিং করছে শুনে পুলিশ গিয়েছিল।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, জামাত-বিএনপির মিটিং হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্কুলে যাই। কিন্তু আমরা স্কুলে ঢোকার আগেই হেলালসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে মারপিট ও অফিস কক্ষ ভাংচুর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়ী পৌছে দেয়া হয়। তবে মিটিংয়ের বিষয়ে বলেন, আমরা গিয়ে কোন মিটিং পাইনি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।