সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম মুন্নু ওরফে মুন্নু রাজাকার আত্ম গোপনে রয়েছে । গুটি কয়েক সমর্থ নিয়ে আকতারুল ইসলাম মুন্নু ওরফে মুন্নু রাজাকার ২০ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যায় ।
এ সময় তৃনমূল আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে সবতন্ত্র প্রার্থী আকতা তাকে প্রতিরোধ করে রাজাকারের ফাঁসি চাই বলে শ্লোগান দিতে থাকে । জনতার প্রতিরোধের মুখে মুন্নু রাজাকার ওই সময় মনোনয়ন পত্র দাখিলে ব্যার্থ হয় । পরে বিকেলে পুলিশ প্রহরায় তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন । মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে মুন্নু রাজাকার আত্মগোপনে রয়েছে । তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে ।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আকতারুল ইসলাম মুন্নু সরাসরি দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল । সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের বেতুয়া তার বাড়ি । তার পিতা মৃত মাওলানা আব্দুল করিম শান্তি কমিটির চেয়াম্যান ছিলেন । ২০০১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মুন্নু রাজাকার ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় । চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মুন্নু রাজাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজেকে রাজাকার পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রয়াত গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার এমপি নির্বাচিত হন। এর পর থেকে গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদারের সাথে মুন্নু রাজাকারের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে । যার কারণে মুন্নু রাজাকারের শত নির্যাতন নিরবে সহ্য করতে হয়েছে এলাকার জন সাধারণের । ফলে তার বিরুদ্বে মুখ খুলতে সাহস পায়নি এলাকাবাসি ।
২০০৯ সালের ৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জের ৬নং আমলী আদালতে আকতারুল ইসলাম মুন্নুর বিরুদ্বে যুদ্ধাপরাধ মামলা দায়ের হয় । মামলাটি দায়ের করেন শরিফ সলঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি । মামলায় উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সালের ১৩ আগষ্ঠ পাকিস্থানী বাহিনী নিয়ে বাদীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তার চাচা জাহের আলীকে ধরে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে মুন্নু রাজাকার মামলাটি ২০০৯ সালের ৫ আগষ্ট সলঙ্গা থানায় নথিভুক্ত হয়। সলঙ্গা থানার মামলা নং-৪ । পরে ২০০৯ সালের ১১ আগষ্ট হাইকোর্টে অর্ন্তবর্তী কালিন জামিন গ্রহন করে বহাল তবিয়তে আছে মুন্নু রাজাকার ।
সারা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্বে যখন সবাই সচ্ছার সেই মুর্হুত্বে এক জন যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামী সংসদীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করায় সিরাজগঞ্জ-৩ আসন এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে ।