সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমরা শোকাহত ঃ মুুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লুৎফর রহমান অরুন আর নেই

আমরা শোকাহত ঃ মুুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লুৎফর রহমান অরুন আর নেই


মুক্তিযুদ্ধকালীন বেসরকারী সংগঠন সিরাজগঞ্জের পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার গাজী লুৎফর রহমান অরুন (৬৮) আর নেই(ইন্না........রাজেউন)। 
আজ সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গলির বাসিন্দা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের এই মহান সংগঠকের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। 

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সিরাজগঞ্জে পুলিশের গুলি ও মারপিটে আহত ৮৷


সিরাজগঞ্জে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামবাসীর হাতে আটক নারী-পুরুষকে ধরতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী বাধা দেয়ায় পুলিশের গুলিতে ও মারপিটে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হলেও গুলিবিদ্ধদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। এরা হলেন- ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও আমিনপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আবদুল্লাহ আল হাবিব রিমন (৩২), একই এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৪০) এবং মকবুল হোসেনের ৩ বছর বয়সী শিশুকন্যা সুমাইয়া।
সদর উপজেলার আমিনপুর গ্রামে গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ছোনগাছা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ বিপ্লব জানান, গতকাল সকালে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় আমিনপুর গ্রামের হাবিবুরের স্ত্রী নাসিমা ও পার্শ্ববর্তী আমিনপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে মিলনকে গ্রামবাসী ধরে আটকে রাখে। 
পরে বিষয়টির সমাধাকল্পে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে গ্রামে সালিশ বসে। সংবাদ পেয়ে সেখানে পৌঁছে পুলিশ আটক নারী-পুরুষকে ধরে আনার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ওই নারী-পুরুষকে থানায় নিয়ে যায়। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন৷

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) বন্যার্তদের মাঝে চাউল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের বিলচতল বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে বন্যার্তদের মাঝে চাউল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জে এক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মাসিক উন্নয়ন সভা ত্যাগ করেছেন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা।
img
বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ ভবনে সভা চলাকালে চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মামুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।
চৌহালী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের কারো সঙ্গে পরামর্শ বা সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্বান্তে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
“এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা দুই জন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত ইউপি চেয়ারম্যান মাসিক সমন্বয় সভা থেকে ওয়াক আউট করে উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ করেছি।”
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যমুনার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন পুরাতন ভবনের অংশ বিশেষ ও গাছপালা বিক্রি, সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগও করেন তিনি। 
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এমএ মামুন বলেন, গত কদিন ধরে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে কে বা কারা সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে। তিনি বিষয়টির সমালোচনা করেন এবং এর জন্য পরিষদের তহবিলে কত টাকা জমা হয়েছে তা জানতে চান।
এতে ভাইস-চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ হয়ে সভা থেকে চলে গেছেন।
তিনি বলেন, “ত্রাণ সামগ্রী যখন আসে, তখন এগুলো সরাসরি চলে যায় ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুকূলে। এক কেজি চালও আমরা দিতে পারিনি। আমরা সমন্বয়ের চেষ্টা করছি মাত্র, নয়-ছয়ের কোনো সুযোগ নেই।”
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হক জানান, সকালে মাসিক উন্নয়ন সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ করা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সকলেই ওয়াক-আউট করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ বন্যার্তদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেছে।

বুধবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৬০টি পরিবারের নারী-পুরুষের মধ্যে জনপ্রতি ৫’শ টাকা করে বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম বলেন, জেলার বন্যাকবলিত ৫টি উপজেলা কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরে বন্যার্তদের মধ্যে নগদ চার লাখ টাকা বিতরণের অংশ হিসেবে এ অর্থ বিতরণ করা হলো।
এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালাহ্ উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।