বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ ভবনে সভা চলাকালে চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মামুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।
চৌহালী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের কারো সঙ্গে পরামর্শ বা সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্বান্তে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
“এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা দুই জন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত ইউপি চেয়ারম্যান মাসিক সমন্বয় সভা থেকে ওয়াক আউট করে উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ করেছি।”
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যমুনার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন পুরাতন ভবনের অংশ বিশেষ ও গাছপালা বিক্রি, সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এমএ মামুন বলেন, গত কদিন ধরে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে কে বা কারা সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে। তিনি বিষয়টির সমালোচনা করেন এবং এর জন্য পরিষদের তহবিলে কত টাকা জমা হয়েছে তা জানতে চান।
এতে ভাইস-চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ হয়ে সভা থেকে চলে গেছেন।
তিনি বলেন, “ত্রাণ সামগ্রী যখন আসে, তখন এগুলো সরাসরি চলে যায় ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুকূলে। এক কেজি চালও আমরা দিতে পারিনি। আমরা সমন্বয়ের চেষ্টা করছি মাত্র, নয়-ছয়ের কোনো সুযোগ নেই।”
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হক জানান, সকালে মাসিক উন্নয়ন সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ করা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সকলেই ওয়াক-আউট করেন।