জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করতে সর্দার শাহাজাহান
ভূইয়াসহ পেশাদার ৫ জল্লাদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে নতুন ৭ জন
জল্লাদকে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাকাপোক্ত করা হয়েছে। জল্লাদের মধ্যে
জল্লাদ সর্দার শাহজাহান ভূইয়াসহ ৫ জন জল্লাদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ৩ জন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে
এবং আরো কয়েকজনকে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা
কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
জল্লাদদের গত আগস্ট মাস থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফাঁসি
কার্যকরের মহড়া দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট
জল্লাদদের। নরসিংদীর শাহজাহান ভূঁইয়া, কক্সবাজারের বাবুল মিয়া (মুক্ত),
সাভারের কালু মিয়া, গোপালগঞ্জের শেখ কামারুজ্জামান, ঢাকার ফারুক, মাসুম ও
মনির হোসেনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সকল
কর্মকর্তা গোপন করে যাচ্ছেন।
কারা সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে এক বিচারক আকস্মিক পরিদর্শনে ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। সেখানে তিনি ৩টি ফাঁসির মঞ্চ এবং কনডেম সেল ঘুরে
ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি তিনি কারাগারের ঠিকাদারি কাজের বিষয়েও কথা বলেছেন।
কারা সূত্র আরো জানায়, ফাঁসির মঞ্চ ও ফাঁসির রশি (ম্যানিলা রৌপ)সহ
আনুষাঙ্গিক সকল বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু বাকি
রয়েছে, দণ্ডিত আবদুল কাদের মোল্লাসহ সকল জামায়াতের নেতা এবং যুদ্ধাপরাধীদের
ফাঁসি কার্যকর করা।
এর আগে গতকাল দুপুরে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি কারা
কর্তৃপক্ষ হাতে পেয়ে তাৎক্ষণিক কনডেম সেলে তার কাছে পৌঁছে দেয়। রায়ের কপি
পাওয়ার পরই কাদের মোল্লা তার আইনজীবী ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছাপোষণ
করেন। এসময় কাদের মোল্লা কিছুটা বির্মষ হয়ে সেলের মেঝেতে বসে পড়েন। সব
মিলিয়ে অস্থিরতার কারণে গতকাল দুপুরে খাবার খাননি কাদের মোল্লা।