অনলাইনে উপার্জনের উপায়

 

অনলাইনে উপার্জনের ৫ টি সেরা উপায়

অনলাইনে উপার্জন বা Online income করার অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে।সেসব পদ্ধতির অনেক রকম সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই রয়েছে।অনলাইনে উপার্জনের পথসমূহ এত বেশী যে,নতুনদের জন্য তা বিভ্রান্তির কারন হয়ে দাড়ায়।আমি এখানে অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জনের ৫ টি যুগোপযোগী উপায়সমূহের বিবরন তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশাকরি আপনাদের কাজে লাগবে।

গুগল এডসেন্স:

গুগলের সেবাদান সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি।বর্তমানে অনলাইনে প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান।এডসেন্স হল গুগলেরই একটি সেবা।যার মাধ্যমে আয় করা যায়।এটি সাধারনত আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লোগে এড প্রদর্শন করবে এবং ভিজিটর তাতে ক্লিক করলে আপনি টাকা পাবেন।এখানে আপনাকে কোন প্রোগ্রামিং বা তার মত কঠিন কিছু না জানলেও হবে।আপনার যা দরকার তা হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লোগ।বর্তমানে যদি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লোগ খোলার সামর্থ না থাকে তাহলে গুগলের ফ্রি ব্লোগিং সেবা নিতে পারেন।সেই ব্লোগে ভাল ভিজিটর আনতে হবে তাহলেই আপনি ভাল অঙ্কের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনার ওয়েবসাইটের ভাল ভিজিটর পেতে হয়ত আপনাকে একটু ধের্য ধরতে হবে এবং নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং:

এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি উপার্জনের পথ যার সীমানা ব্যাপক।এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন কোম্পানীর সেবা অথবা তাদের পন্যের প্রচার ঘটানো।আর এজন্য তারা আপনাকে কমিশন দিবে।কাজেই আপনি যত বেশী পরিশ্রম করে তাদের প্রচার ঘটাবেন আপনার ইনকাম তত বেশী।এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ভাল অবদান রাখে নিজস্ব ব্লোগ কিংবা ওয়েবসাইট কারন এতে সহজে অনেক বেশী ভিজিটরের কাছে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের পন্য অথবা সেবার প্রচার করতে পারবেন।কিছু কোম্পানী/ওয়েবসাইট কমিশন দেয় তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাঠানোর জন্য আবার কিছু কোম্পানী/ওয়েবসাইট টাকা দেয় তাদের কাছ থেকে পন্য কেনার জন্য।এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যেসব কোম্পানী সাহায্য করে তাদের মধ্যে রয়েছে আমাজন,ই-বে ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং(Freeancing):

আপনার কাছে যদি উপরের দুটি ঝামেলার মনে হয় অথচ আপনি কম্পিউটার বিষয়ক কোন কোন কাজ ভাল জানেন।আপনার অনেক দক্ষতা রয়েছে।আপনি চাচ্ছেন সেই দক্ষতাকে কাজে লাগাতে তাহলে আপনার জন্য উত্তম পথ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা।যেমন-আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন,ডাটা এন্ট্রি,মাইক্রোসফট অফিস,এনিমেশন,ভিডিও এডিটিং,অডিও এডিটিং ইত্যাদি কোন কোন কাজে দক্ষ তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার এসব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারেন।সাধারনত কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো দেয় না,কাজ দেয় বিভিন্ন ব্যাক্তি,কোম্পানী অথবা প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো শুধু তাদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে আপনাকে করতে দেয়।আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গিয়ে তাদের কাজের বিবরন গুলি দেখে নিতে পারেন।কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হল-Freelancer.com,oDesk.com,guru.com ইত্যাদি।

নিজে বিক্রি করা:

নিজে বিক্রি করলে লাভ সাধারনত বেশীই হয়ে থাকে কারন আপনার পন্য বা সেবা বিক্রির পুরোটাই আপনি পাবেন।সেইসাথে নিজে বিক্রি করতে হলে আপনাকে পরিশ্রমও একটু বেশী করতে হবে।আপনার কিছু পন্য আছে আপনি সেই পন্যগুলো আপনার ওয়েবসাইটে রেখে দিতে পারেন অর্থাৎ পন্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন ভিজিটরের সেগুলি পছন্দ হলে তারা সেগুলো আপনার কাছ থেকে কিনবে এবং আপনি টাকা পাবেন।বর্তমানে আপনার যদি কোন পন্য না থাকে তাহলে আপনি অন্যের কাছ থেকে পন্য কিনে তা দিয়েও কাজ চালাতে পারেন।দিন যতই যাচ্ছে অনলাইনে পন্য কেনাকাটার হার ততই বেড়ে চলেছে।তাই গতিশীল বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে আপনার অসুবিধে কোথায়।আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সফটওয়্যার,ইবুক,ফটোগ্রাফ রাখতে পারেন এবং সেখানে থাকবে ডাউনলোডের ব্যবস্থা অথবা আপনি পার্সেল করে পাঠাতে পারেন।

অনলাইন বিজ্ঞাপন:

বিজ্ঞাপন এর জোরেই পৃথিবী চলছে।বড়ধরনের ওয়েবসাইট যেমন-এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে রাখতেই হবে তা নয়।অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক রয়েছে আপনি তাদের থেকে পছন্দ করে নিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লোগে আপনি কোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন রাখতে চান।উল্লেখ্য দিন যাচ্ছে ছাপানো বিজ্ঞাপনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে অনলাইন বিজ্ঞাপন।বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে সংবাদ মাধ্যমের মত সাইট তৈরি করে কাজ করলে আয় বেশী।তবে তা সংবাদমাধ্যম হতেই হবে এমন কোন কথা নেই মানুষের চাহিদা যে বিষরে প্রতি বেশী আপনি সেই ধরনের সাইট তৈরি করে ভাল ভিজিটর আনার চেষ্টা করুন তাহলেই অনলাইন বিজ্ঞাপন থেকে আপনি ভাল উপার্জন করতে পারবেন।