বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩

উল্লাপাড়ায় সংঘর্ষ, থানা ঘেরাও, পাট গুদাম ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুণ, বিজিবি মোতায়েন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে উল্লাপাড়ায় বিজিবি মোতায়েন করেছে জেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর হওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবির কর্মীরা বিক্ষোভ করতে করতে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহজাদপুরের বালসাবাড়ি থেকে উল্লাপাড়ার শ্রীখোলা মোড় পর্যন্ত গাছ কেটে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। রাত ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় তারা।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার চেষ্টা করলে হাটিকুমরুল-পাবনা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে তারা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুলিশি প্রহরার দাবি জানালে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ তাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে। এ সুযোগে উল্লাপাড়া মডেল থানা ঘিরে ফেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।

এর কিছু পরে তারা উল্লাপাড়া পাটবন্দরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে বন্দরের পাঁচটি পাটের গোডাউন পুড়ে যায়।

এরপর সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের পাট বন্দরের একটি গুদামে আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় প্রায় শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।

পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে এক হাজারেরও বেশি ক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবির কর্মীরা উল্লাপাড়া থানা ঘেরাও করে ফেলে।

বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবির কর্মীরা রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ বাধা দিতে এলে পুলিশের সাথেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ক্ষুব্ধ কর্মীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধসহ জামায়াত-শিবির ও পুলিশের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।