মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে কাদের মোল্লা একদমই চুপচাপ ছিলেন। তবে একেবারেই
স্বাভাবিক দেখা গেছে তাকে। মুখে কোনো কথা না বললেও অনেকটা অবিচল ছিলেন
তিনি। কেবল মাঝে মাঝে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলেন কখনও কখনও।’
কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পরে এ কথাগুলো জানা গেছে জেলখানার মেডিকেল অফিসার ডা. রফিক আহমেদের কাছ থেকে। কাদের মোল্লার মেডিকেল চেকআপ টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। অনেক অনুরোধের পরে বাংলামেইলকে জানালেন, শেষ সময়ে কাদের মোল্লার অবস্থা।
রাত ১২টা ১০ মিনিটে জেল গেট থেকে বের হন দুইজন। তাদের একজন ডা. রফিক ও অন্যজন ডা. রথিন্দ্রনাথ কুণ্ডু। দুইজনই কাদের মোল্লার মেডিকেল চেকআপের দায়িত্বে ছিলেন। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে এ টিমে ছিলেন আরও এক চিকিৎসক।
গণমাধ্যমকর্মীরা এ দু’জনকে ঘিরে ধরলেও তারা কাউকেই কিছু জানাননি। কেবল বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না। কিছুই জানি না।’
পরে অবশ্য বাংলামেইলকে ডা. রফিক বলেন, ‘আসলে তিনি (কাদের মোল্লা) মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তার চেহারা দেখে সেটাই বোঝা গেছে। আমাদের সঙ্গেও কোনো বিষয় নিয়ে তার কথা হয়নি। আমরা কেবল তার শারিরীক পরীক্ষা করেছি।’
ফাঁসিতে ঝোলার আধাঘণ্টা আগে তার মেডিকেল চেকআপ করা হয় বলে জানান এ চিকিৎসক। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই তাকে এ চেকআপ করা হতো। এ সময় তিনি সাধারণত কোনো কথা বলতেন না বলে জানান ডা. রফিক।
ডা. রফিক আরও বলেন, ‘তবে মঙ্গলবার রাতে কাদের মোল্লা একবারই কথা বলেছিলেন। সেদিন তিনি কেবল বলেছিলেন- কই আমাকে তওবা পড়ানোর জন্য তো হুজুর এলো না। এ বিষয়টি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বলে আমরা কোনো উত্তর দেইনি।’
জেলগেট থেকে বাসা পর্যন্ত হেঁটে যেতে যেতে এ চিকিৎসক বাংলামেইলকে বলেন, ‘রাত ১০টা ১ মিনিটেই তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মিনিট পনের আগে তাকে তাওবা পড়ানো হয়। জেলখানার পুকুরপাড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মনির তাকে তাওবা পড়ান।’
সব নিয়ম মেনেই তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে বলে জানান ডা. রফিক। তিনি বলেন, ‘তাকে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও তাকে ভাবলেশহীন ও স্বাভাবিক দেখা গেছে।’
পুরো ২০ মিনিট ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রেখে কাদের মোল্লার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দড়ি থেকে নামানোর পরে তার মৃত্যু হয়েছে কি না, নিয়ম অনুযায়ী সে পরীক্ষাও করা হয়েছে।
এ চিকিৎকরা ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদেরও ফাঁসির আগে মেডিকেল চেকআপ করেছিলেন। তারাও মৃত্যুর সময় অনেকটা স্বাভাবিক ছিলেন বলে জানান ডা. রফিক।
কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পরে এ কথাগুলো জানা গেছে জেলখানার মেডিকেল অফিসার ডা. রফিক আহমেদের কাছ থেকে। কাদের মোল্লার মেডিকেল চেকআপ টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। অনেক অনুরোধের পরে বাংলামেইলকে জানালেন, শেষ সময়ে কাদের মোল্লার অবস্থা।
রাত ১২টা ১০ মিনিটে জেল গেট থেকে বের হন দুইজন। তাদের একজন ডা. রফিক ও অন্যজন ডা. রথিন্দ্রনাথ কুণ্ডু। দুইজনই কাদের মোল্লার মেডিকেল চেকআপের দায়িত্বে ছিলেন। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে এ টিমে ছিলেন আরও এক চিকিৎসক।
গণমাধ্যমকর্মীরা এ দু’জনকে ঘিরে ধরলেও তারা কাউকেই কিছু জানাননি। কেবল বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না। কিছুই জানি না।’
পরে অবশ্য বাংলামেইলকে ডা. রফিক বলেন, ‘আসলে তিনি (কাদের মোল্লা) মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তার চেহারা দেখে সেটাই বোঝা গেছে। আমাদের সঙ্গেও কোনো বিষয় নিয়ে তার কথা হয়নি। আমরা কেবল তার শারিরীক পরীক্ষা করেছি।’
ফাঁসিতে ঝোলার আধাঘণ্টা আগে তার মেডিকেল চেকআপ করা হয় বলে জানান এ চিকিৎসক। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই তাকে এ চেকআপ করা হতো। এ সময় তিনি সাধারণত কোনো কথা বলতেন না বলে জানান ডা. রফিক।
ডা. রফিক আরও বলেন, ‘তবে মঙ্গলবার রাতে কাদের মোল্লা একবারই কথা বলেছিলেন। সেদিন তিনি কেবল বলেছিলেন- কই আমাকে তওবা পড়ানোর জন্য তো হুজুর এলো না। এ বিষয়টি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বলে আমরা কোনো উত্তর দেইনি।’
জেলগেট থেকে বাসা পর্যন্ত হেঁটে যেতে যেতে এ চিকিৎসক বাংলামেইলকে বলেন, ‘রাত ১০টা ১ মিনিটেই তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মিনিট পনের আগে তাকে তাওবা পড়ানো হয়। জেলখানার পুকুরপাড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মনির তাকে তাওবা পড়ান।’
সব নিয়ম মেনেই তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে বলে জানান ডা. রফিক। তিনি বলেন, ‘তাকে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও তাকে ভাবলেশহীন ও স্বাভাবিক দেখা গেছে।’
পুরো ২০ মিনিট ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রেখে কাদের মোল্লার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দড়ি থেকে নামানোর পরে তার মৃত্যু হয়েছে কি না, নিয়ম অনুযায়ী সে পরীক্ষাও করা হয়েছে।
এ চিকিৎকরা ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদেরও ফাঁসির আগে মেডিকেল চেকআপ করেছিলেন। তারাও মৃত্যুর সময় অনেকটা স্বাভাবিক ছিলেন বলে জানান ডা. রফিক।