বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩

অবরোধের শেষ দিনে সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুরে ৪ জন নিহত, পুলিশসহ আহত অর্ধশত।

লক্ষ্মীপুর: র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে যুবদল নেতাসহ চারজন নিহতের ঘটনায় পুরো লক্ষ্মীপুর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো শহর।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পৌর এলাকার উত্তর তেমোহিনী, জমুর ও লাহারকান্দি এলাকায় থেকে থেকে চলে এ সংঘর্ষ। এসময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে র‌্যাব সদস্যরা।
বিকেলে অবরুদ্ধদের উদ্ধারে ঢাকা থেকে র‌্যাবের বিশেষ একটি টিম হেলিকপ্টারে রওয়ানা দেয় লক্ষ্মীপুরে। সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাবের হেলিকপ্টার সেখানে পৌঁছে।

বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত শহরের পরিস্থিতি দেখা গেছে থমথমে। ১৮ দলের জেলার শীর্ষ নেতাদের রাজপথে দেখা যায়নি। আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্নিনিকে।

স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শহরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেলেও এখন জনশূন্য শহরে পুলিশের টহল গাড়ি চোখে পড়ছে।

১৮ দলের টানা অবরোধের শেষদিনে এমনিতেই শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল কম থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষে পর যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এর আগে ভোরে র‌্যাব লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সবুরের উওর তেমহনি এলাকার বাসায় তল্লাশি চালায়। এসময় বিএনপিসহ ১৮ দলের নেতাকর্মীরা র‌্যাবের ওপর চড়াও হলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে র‌্যাব-পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে ইকবাল মাহামুদ জুয়েল নিহত হন। এসময় গুলিবিদ্ধ হন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুসহ ২ জন।

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদরের জমুর এলাকায় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা-রায়পুর মহাসড়ক অবরোধ করে। র‌্যাব গিয়ে বাধা দিলে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তারা র‌্যাবকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে র‌্যাবও গুলি ছোড়ে। এতে মাহমুদ নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ফের অবরোধকারী ও র‌্যাব, পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহাবুব নিহত হন। র‌্যাব পুলিশের গুলিতে পর পর তিন নিহত

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।