বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১১টায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারায় যুবসমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে এক সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিবেশে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় মত্ত বিএনপি-জামায়াত জোট, যখন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে মরিয়া যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী, যখন হরতালের নামে চলছে হত্যা, নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও, ক্ষমতার লোভে চলছে লাশের উৎসব, এরকম পরিস্থিতিতে দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারা এগিয়ে নিতে এদেশের যুবসমাজকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, নিতে হবে যথাযথ ভূমিকা। তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতি ভাঁওতাবাজির রাজনীতি। যারা মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলেই তারা নির্বাচনে আসবে তারা ভুল ধারণা পোষণ করে। বিএনপি বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে তারা আলোচনায় বসবে, নির্বাচনে আসবে এমন কথা তারা একবারের জন্যও বলেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে তারা নির্বাচনে আসবে না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, প্রদান নির্বাচন কমিশনারসহ নানা ইস্যু তৈরি করে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরি করবে। তারা নতুন সরকার দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দাবি তুলবে। আসলে তাদের মূল দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। একমাত্র শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকলেই কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান থাকবে। তাই শেখ হাসিনাকেই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকতে হবে। এটাই যুবলীগের দাবি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, তিনি দেশের ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের পদ থেকে তিনি যেন কোনোভাবেই সরে না যান। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির নাম করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে যুদ্দাপরাধীদের মুক্ত করায় খালেদা জিয়ার মূল লক্ষ্য। কিন্তু তার সেই চিন্তা সফল হবে না। তিনি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. সিরাজুল ইসলাম মোলা, মো. ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, এ্যাড. বেলাল হোসাইন, স্থপতি নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, মো. আবুল বাশার, এ্যাড. মো. মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেস উজ-জামান হিরো, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, এনায়েত কবির চঞ্চল, জাকির খান, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নুরুননবী চৌধুরী শাওন এমপি, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মনজুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, মো. আজহার উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, আওলাদ হোসেন রুহুল, সাজ্জাদ হায়দার লিটন, বাবুল আক্তার বাবলা, জাফর আহমেদ, মাহফুজা আক্তার কিরন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক মিয়া, উপ-সম্পাদক নাসিম আল মোমিন রূপক, বোরহান উদ্দিন বাবু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।মোঃ শামছুল আলম অনিক, সহ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জহির উদ্দিন খসরু, সেলিম আজাদ, সোহেল পারভেজ, এ্যাড. একে আজাদ প্রমুখ। এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে রংপুর জেলা যুবলীগ ও মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহবায়ক করে, ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট রংপুর মহানগর কমিটিতে ৬ জন যুগ্ম-আহবায়ক এবং ৩১ জন সদস্য রয়েছে। অপরদিকে এইচএম রাশেদুন্নবী জুয়েলকে আহবায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট রংপুর জেলা কমিটিতে ৫ জন যুগ্ম-আহবায়ক এবং ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর থেকে এই কমিটির মেয়াদ শুরু হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের জন্য রংপুর জেলা শাখা ও মহানগর শাখার আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা শাখার সম্মেলন সমাপ্ত পূর্বক জেলা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করবে উভয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৩
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১১টায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারায় যুবসমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে এক সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিবেশে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় মত্ত বিএনপি-জামায়াত জোট, যখন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে মরিয়া যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী, যখন হরতালের নামে চলছে হত্যা, নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও, ক্ষমতার লোভে চলছে লাশের উৎসব, এরকম পরিস্থিতিতে দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারা এগিয়ে নিতে এদেশের যুবসমাজকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, নিতে হবে যথাযথ ভূমিকা। তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতি ভাঁওতাবাজির রাজনীতি। যারা মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলেই তারা নির্বাচনে আসবে তারা ভুল ধারণা পোষণ করে। বিএনপি বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে তারা আলোচনায় বসবে, নির্বাচনে আসবে এমন কথা তারা একবারের জন্যও বলেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে তারা নির্বাচনে আসবে না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, প্রদান নির্বাচন কমিশনারসহ নানা ইস্যু তৈরি করে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরি করবে। তারা নতুন সরকার দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দাবি তুলবে। আসলে তাদের মূল দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। একমাত্র শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকলেই কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান থাকবে। তাই শেখ হাসিনাকেই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকতে হবে। এটাই যুবলীগের দাবি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, তিনি দেশের ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের পদ থেকে তিনি যেন কোনোভাবেই সরে না যান। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির নাম করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে যুদ্দাপরাধীদের মুক্ত করায় খালেদা জিয়ার মূল লক্ষ্য। কিন্তু তার সেই চিন্তা সফল হবে না। তিনি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. সিরাজুল ইসলাম মোলা, মো. ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, এ্যাড. বেলাল হোসাইন, স্থপতি নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, মো. আবুল বাশার, এ্যাড. মো. মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেস উজ-জামান হিরো, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, এনায়েত কবির চঞ্চল, জাকির খান, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নুরুননবী চৌধুরী শাওন এমপি, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মনজুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, মো. আজহার উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, আওলাদ হোসেন রুহুল, সাজ্জাদ হায়দার লিটন, বাবুল আক্তার বাবলা, জাফর আহমেদ, মাহফুজা আক্তার কিরন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক মিয়া, উপ-সম্পাদক নাসিম আল মোমিন রূপক, বোরহান উদ্দিন বাবু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।মোঃ শামছুল আলম অনিক, সহ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জহির উদ্দিন খসরু, সেলিম আজাদ, সোহেল পারভেজ, এ্যাড. একে আজাদ প্রমুখ। এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে রংপুর জেলা যুবলীগ ও মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহবায়ক করে, ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট রংপুর মহানগর কমিটিতে ৬ জন যুগ্ম-আহবায়ক এবং ৩১ জন সদস্য রয়েছে। অপরদিকে এইচএম রাশেদুন্নবী জুয়েলকে আহবায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট রংপুর জেলা কমিটিতে ৫ জন যুগ্ম-আহবায়ক এবং ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর থেকে এই কমিটির মেয়াদ শুরু হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের জন্য রংপুর জেলা শাখা ও মহানগর শাখার আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা শাখার সম্মেলন সমাপ্ত পূর্বক জেলা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করবে উভয় কমিটি।