বেলকুচি প্রতিনিধি :জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল,
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট ও বাকশালী সরকার দেশের
মানুষের চাহিদার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ
নির্দলীয় সরকার ব্যাবস্থা বাতিল করে তথা কথিত নাস্তিক ও বিশ্ব বেহায়াদেরকে
নিয়ে আওয়ামীলীগের নীল নকশার পাতানো নির্বাচনের জন্য কথিত সর্বদলীয় সরকার
গঠন করে দেশকে এক ভয়াবহ নৈরাজ্য ও সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আওয়ামী সরকরের
পেটুয়া বাহিনীদের দিয়ে প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন এলাকায় মানুষ হত্যা করে
তারা দেশবাসীর ন্যায়সংঘত আন্দোলন মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে ১৮দলের
নেতাÑকর্মীদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির
সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জেল জুলুম দিয়ে যখন জাতীয়তাবাদী ও
ইসলামী শক্তির আন্দোলনÑসংগ্রাম মোকাবেলায় ব্যার্থ ভারতের তাবেদার এই
স্বৈরাচার সরকার তখন দেশের শান্তিকামী মানুষের প্রাণের দাবি তত্ত্বাবধায়
সরকার ব্যাবস্থা পূনঃপ্রতিষ্ঠা ও শীর্ষ নেতাদের মুক্তির
দাবির আন্দোলন দামিয়ে দিতে গুলি চালানোর পথ বেছে নিয়েছে। ১৮দলের শীর্ষ এই
দুই নেতা জানাজায় উপস্থিত জনসাধারনের মাঝে মোবাইল ফোনে বক্তৃতাকালে এসব কথা
বলেন। জানাজা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলকুচি উপজেলা
চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলী আলম বলেন, মিছিলে গুলি করে ১৬কোটি মানুষের এ
আন্দোলন দামিয়ে রাখা যাবে না। জানাজা পূর্ব সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে আরও
বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক নুরÑউনÑনবী সরকার,
শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. আব্দুল খালেক, এনায়েতপুর থানা
জামায়াতের আমির ডা: সেলিম রেজা, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী
আলাউদ্দিন আলÑআজাদ, বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আরিফুল ইসলাম
সোহেল, জেলা শিবির সেক্রেটারী মোঃ সোলায়মান হোসেন, জামায়াত নেতা অধ্যাপক
গোলাম আজম, , ইয়াছিন আহম্মেদ বাবু, মাহবুবুর রশিদ শামীম, মোঃ আবুল হোসেন,
মাওলানা ছানোয়ার হোসেন উপজেলা শিবির সভাপতি জুবায়ের হোসেন, সেক্রেটারী,
জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন,বাবর আলী , নুরুল আলম, জামাল
উদ্দিন বেপারী ও শহীদ মাওনানা আব্দুল জলিলের বড় ছেলে জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার দুপুরে
সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে ১৮ দলের উদ্যোগে একটি শান্তিপূর্ন মিছিল মুকুন্দগাতী
এলাকা প্রদক্ষিনের সময় পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী গুন্ডা বাহীনির গুলিতে
উপজেলার ধুকরিয়াবেড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আবদুল
জলিল (৫৫) ও একই ইউনিয়নের চান মিটুয়ানী গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে ছাত্রদল
কর্মী মাসুম বিল্লাহ (২২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে
ধুকুরিয়াবেড়া মাদ্রাসা মাঠে জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল আজিজ ও কলাগাছি
ঈদগাহ মাঠে ছাত্রদল কর্মী মাসুম বিল্লাহ’র নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।