বেলকুচির মুকুন্দগাতী বাজারে বেলা
১২টার দিকে অবরোধের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের সময়
পুলিশের গুলিতে জামায়াতকর্মী আবদুল জলিল ও ছাত্রদলকর্মী মাসুম বিল্লাহ নিহত
হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩০ জন।
এদিকে, দিনের শুরুতে বুধবার সকাল থেকেই সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের তেলকুপিতে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত শিবির কর্মীরা। একপর্যায়ে তারা সড়কের উপরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে অবরোধকারীরা সরে যায়।
উল্লাপাড়ায় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের শ্রীকোলা মোড় ও বোয়ালিয়া বাজারে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উভয় স্থানে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। শ্রীকোলা মোড়ে সংঘর্ষের সময় ২ জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
রায়গঞ্জে দুপুর ১২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ক্যাম্পাস চত্বরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। পরে মিছিলটি ধানগড়া বাসস্ট্যান্ডে এসে সমবেত হয়। এ সময় থানা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নূর সাইদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি আয়নুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে ধানগড়া বাসষ্টান্ডে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বেলা ১১টার দিকে সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়ায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে ১৮দল। হাটিকুমরুল গোল চত্তর থেকে নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাঁচলিয়া বাজারে সমবেত হয়। সেখানে থানা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা এবিএম আব্দুস সাত্তার, থানা জামায়াতের আমীর হোসাইন আলী,বিএনপির সহ সভাপতি সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া, এনায়েতপুরের মন্ডলপাড়া ও ভূঁইয়ার হাটে ছাত্রশিবির সহ ১৮ দলের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে।