রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

সিরাজগঞ্জে ৬০ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন সড়ক অবরোধ, ককটেল বিস্ফোরন, সংঘর্ষ, আটক ৪।

বিএনপি নেতৃত্বাধিন ১৮ দলের টানা ৬০ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন সিরাজগঞ্জে সড়ক অবরোধ, ককটেল বিস্ফোরন, সংঘর্ষ , টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, গ্যাসগানস র্টগানের গুলি নিক্ষেপ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে চলছে।

হরতালের শুরুতেই ভোর সোয়া ছয়টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কামারখন্দ উপজেলার সিমান্তবাজার-ধুকুরিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে ছাত্রদল কর্মিরা। এ সময় সাতটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায সাত রাউন্ড সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে ছাত্রদল কর্মিদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে একই মহাসড়কের সলঙ্গা থানার নলকায় সকাল সোয়া সাতটার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে জামাত-শিবির কর্মিরা। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে জামাত-শিবির কর্মিদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স এর পুলিশ কনস্টেবল রুবেলসহ আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। পরে প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড গ্যাস গান, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। 

এছাড়া সকাল ছয়টার দিকে সদর উপজেলার তেলকুপি বাজারে প্রায় ১৫ টি টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করে জামাত-শিবির কর্মিরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। 

একই সময়ে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের চন্ডিদাসগাতি ও চকশিয়ালকোলে সড়ক অবরোধ করে বিএনপি কর্মিরা। 

এদিকে হরতালের সমর্থনে সকাল সোয়া সাতটার দিকে শহরের ইবি রোড জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে বিএনপি নেতা কর্মিরা। মিছিলটি রেলগেট এলাকায় পৌছে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। 

অপরদিকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলার বেলকুচি উপজেলার সুবর্ন সাড়া মোড় এলাকায় হরতালে সমর্থনে মিছিল বের করে ১৮ দলের নেতা কর্মিরা। এসময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ৫ জন। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১১ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

এদিকে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় নাশকতার আশংকায় শনিবার রাতে চার জামাত-শিবির কর্মিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জয়নাল আবেদীন ও সরোয়ার হোসেন। 

অন্যান্য হরতালের মতই শহরের অধিকাংশ দোকানপাট, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরে কিছু রিক্সা, অটো রিক্সা চলাচল করছে। কেন্দ্রীয় এম এ মতিন বাস স্ট্যান্ড থেকে আন্ত জেলা বা দুরপাল্লা রুটের কোন বাস ছেড়ে যায়নি।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।