সোনা চোরাচালানের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা, কর্মী, চোরাকারবারিসহ জড়িত ৫০ জনের নাম জেনেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটক চোরাকারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ মাফিয়াদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিমানের কেবিন ক্রুসহ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ডিবির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোনা পাচারের ঘটনা তদন্তে নতুন কিছু তথ্য মিললেও মূল কারবারিদের সন্ধান মেলে না। বরাবরের মতোই আটককৃতরা নিজেদের ‘সহায়তাকারী’ দাবি করে নানা বক্তব্য দিলেও মাফিয়াদের ব্যাপারে একেবারে চুপ। প্রায় সবারই দাবি, মূল কারবারিদের তারা চেনে না। টাকার বিনিময়ে তারা বিভিন্ন জনের হয়ে শুধু কাজ করে দেয়।
তবে এবারের ঘটনা অনেকটাই ব্যতিক্রম। ইতোমধ্যেই যেসব ব্যক্তির নামের তালিকা পাওয়া গেছে, সেখানে বিমানবন্দরে কর্মরত অনেকের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একাধিক নাম রয়েছে। তালিকার বড় অংশ জুড়েই রয়েছে সিভিল এভিয়েশন, বিমান বাংলাদেশের পাইলট, বিমানবালা, ফ্লাইট স্টুয়ার্টসহ নানা স্তরের কর্মকর্তা। বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কর্মীও এই চক্রের সদস্য বলে তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিমানের ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য এখন যাচাই বাছাই চলছে। গত ১২ নভেম্বর বিমানের কেবিন ক্রু মাজহারুল আফসার রাসেলকে ২ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনাসহ আটক করা হয়। পরে ডিবি পুলিশ তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সোনা চোরাচালানে বিমান সিন্ডিকেটের তথ্য দেয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিমানের উর্ধ্বতনদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিমানের পাঁচ জন জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য দিয়েছে তা এক অর্থে বিস্ময়কর। বিমানবন্দরের অধিকাংশ সেক্টরের সঙ্গেই দুর্নীতিবাজ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের যোগাযোগ রয়েছে।’
তবে এবারের ঘটনা অনেকটাই ব্যতিক্রম। ইতোমধ্যেই যেসব ব্যক্তির নামের তালিকা পাওয়া গেছে, সেখানে বিমানবন্দরে কর্মরত অনেকের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একাধিক নাম রয়েছে। তালিকার বড় অংশ জুড়েই রয়েছে সিভিল এভিয়েশন, বিমান বাংলাদেশের পাইলট, বিমানবালা, ফ্লাইট স্টুয়ার্টসহ নানা স্তরের কর্মকর্তা। বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কর্মীও এই চক্রের সদস্য বলে তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিমানের ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য এখন যাচাই বাছাই চলছে। গত ১২ নভেম্বর বিমানের কেবিন ক্রু মাজহারুল আফসার রাসেলকে ২ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনাসহ আটক করা হয়। পরে ডিবি পুলিশ তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সোনা চোরাচালানে বিমান সিন্ডিকেটের তথ্য দেয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিমানের উর্ধ্বতনদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিমানের পাঁচ জন জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য দিয়েছে তা এক অর্থে বিস্ময়কর। বিমানবন্দরের অধিকাংশ সেক্টরের সঙ্গেই দুর্নীতিবাজ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের যোগাযোগ রয়েছে।’
ডিবির পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একজন ডিজিএমসহ পাঁচ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের তথ্যমতে, বিমানের সব সেক্টরেই চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের হাত রয়েছে। চোরাচালানের সুবিধার্থে এদের মাধ্যমেই বিমানের সিডিউল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’
সূত্র জানায়, গত প্রায় তিন বছর রাজধানীর হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই সোনা চালান ধরা পড়লেও এর সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালরা বরাবরই ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যেত। বিমানের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলো। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে গত বছর ২৪ জুলাইতে সবচেয়ে বড় স্বর্ণ চালান ১২৪ কেজি স্বর্ণের চালান দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আটক করা হয়। যার দাম ছিল ৫৩ কোটি টাকা। এই ১২৪ কেজি সোনা চোরাচালানে জড়িত ১৪ জনকে শনাক্ত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে ১০ জনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে কমরত ছিলেন। এতদিন সোনা পাচারে বাহক ধরা পড়ছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে। হোতারা বরাবরই ছিল আড়ালে। বিশেষ করে সোনা চোরাচালানে বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি এতদিন অন্তরালেই ছিল। ফলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল সোনা চোরাচালান।
ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধ্বতন অনেকেই সোনা চোরাচালানে জড়িত। তাদের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া মুশকিল। তবে নানা তথ্যসূত্রে ন্যূনতম ২০ জনকে চূড়ান্ত সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ধরনের সন্দেহভাজনদের ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায় জড়িত কয়েকজনও সন্দেহের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। আলামিন মানি এক্সচেঞ্জ, এমরান মানি একচেঞ্জ, আব্বাস মানি এক্সচেঞ্জের কর্ণধাররা এ চোরাচালান ঘটনায় যুক্ত বলে বিস্তর তথ্য মিলেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শফিকুল আজম, মিঠু, হাসান, পিণ্টু , লিটন ও শাহীন নামের ব্যক্তিদের খোঁজা হচ্ছে। আলী হোসেন নামে বাড্ডা এলাকার একজন সাবেক চেয়ারম্যান রয়েছে সোনা চোরাকারবারী চক্রের সামনের কাতারে। আলী হোসেন ও লিটন ২০১২ সালে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। সম্প্রতি তারা জামিনে থেকে বের হয়ে ফের একই কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃত বিমান কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, চোরাকারবারিদের সহায়তাকারীদের মধ্যে বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি ১৫ ফ্লাইট স্টুয়ার্ট রয়েছে। কথিত সহায়তাকারীরা প্রতিটি সোনার বার পাচার করতে পারলেই এক হাজার টাকা করে পায়। তবে চোরাকারবারীদের মাঠ পর্যায়ের সহায়তাকারী ক্লিনাররা। বিদেশ থেকে আসা সোনা চোরাচালান নির্বিঘ্নে খালাশ করতে ডিজিএম, ক্যাপ্টেন ও তাদের আস্থাভাজন ফ্লাইট ক্রু, বিমান বালা থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে নিজস্ব বলয়ের স্টাফদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া আছে। তবে মূল কারবারিদের পরিচয় সম্পর্কে ধারণা নেই সহায়তাকারীদের। দেশে-বিদেশে অবস্থান করা মাফিয়ারা পর্দার আড়ালে থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।
গত তিন বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে আকাশপথে দেশে ঢুকেছে, আর তার বেশিরভাগ স্থলপথে পাচার হয়েছে ভারতে। দেশে প্রতি বছর কমপক্ষে এক থেকে দুই হাজার কোটি টাকার চোরাকারবারিদের সোনা ঢোকে। আর সব স্বর্ণই আসছে দুবাই থেকে। এরপর মালেয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর থেকেও কিছু সোনা দেশীয় চোরাবারিদের মাধ্যমে দেশে আসছে। তবে বিদেশ থেকে আসা সব চোরাই সোনা ভারতে পাচার হয়।
মাফিয়া যারা
গোয়েন্দা তথ্যমতে, সোনা পাচারকারিদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কমপক্ষে ১০ জন মাফিয়াদের সদস্য ছিল। বর্তমানেও সরকারি দলের পাশাপাশি, বিরোধি দলের অনেকেই সোনা চোরাকারবারির সূত্র ধরে এসব মাফিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা এর আগে হোরোইন পাচারের পাশাপাশি সোনা পাচারকারী মাফিয়া চক্রের সদস্য ছিলেন বলেন গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, সোনা পাচারকারিদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কমপক্ষে ১০ জন মাফিয়াদের সদস্য ছিল। বর্তমানেও সরকারি দলের পাশাপাশি, বিরোধি দলের অনেকেই সোনা চোরাকারবারির সূত্র ধরে এসব মাফিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা এর আগে হোরোইন পাচারের পাশাপাশি সোনা পাচারকারী মাফিয়া চক্রের সদস্য ছিলেন বলেন গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
ডিবি সূত্র জানায়, দুবাইয়ে সোনা কেনাবেচায় নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কেউ সেখান থেকে যত ইচ্ছা সোনা কিনে স্বদেশে আনতে পারে। দুবাইয়ে শফিউল আজম নামে এক বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে। তিনি দুবাইয়ে অবস্থান করে বাংলাদেশি সিন্ডিকেটের সোনা চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। দুবাই থেকে সোনা বিমানে করে চালান আনার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেন বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিশেষ করে বিমান চেয়ারম্যানের ধর্মপুত্র দাবিকারী পলাশ পুরো চোরাচালানের সমন্বয় করতেন। আটককৃতরা একসঙ্গে কাজ করায় জড়িত অনেকেরই নাম প্রকাশ করতে রাজি হচ্ছে না। কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সোনায় টাকার পাহাড়!
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের উপ-মাহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেনের একটি মার্সিডিজ গাড়ি রয়েছে। গুলশানের ডিসিজি মার্কেটে একটি দোকানের পাশাপাশি যমুনা ফিউচার পার্কেও তার আরো একটি দোকান রয়েছে। পান্থপথে তার নিজস্ব বাড়ি। বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ নিজেকে বিমানের বর্তমান চেয়ারম্যানের ‘ধর্মপুত্র’ পরিচয় দিয়ে বিমানবন্দরে প্রভাব বিস্তার করতেন। তার মাধ্যমে বিমানের ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ, কেবিন ক্রু, ক্যাপ্টেন, বিমানবালা, অফিস স্টাফসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারির সিউিউল নিয়ন্ত্রণ করা হত। এমনি বিমানের কে বা কারা নিয়োগ পাবে, কার প্রমোশন হবে, প্রমোশন আর নিয়োগ পেতে কত টাকা ঘুষ দিতে হবে। এর মধ্যে সে কত টাকা রাখবে আর উর্ধ্বতনদের কত টাকা দিবে তার মাধ্যমের চক্রের অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি বিমানের টেন্ডারও পলাশই নিয়ন্ত্রণ করতেন। এর বাইরে বিমানের ‘কাবু’ থেকেও মোটা অংকের কমিশন পেতেন।
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের উপ-মাহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেনের একটি মার্সিডিজ গাড়ি রয়েছে। গুলশানের ডিসিজি মার্কেটে একটি দোকানের পাশাপাশি যমুনা ফিউচার পার্কেও তার আরো একটি দোকান রয়েছে। পান্থপথে তার নিজস্ব বাড়ি। বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ নিজেকে বিমানের বর্তমান চেয়ারম্যানের ‘ধর্মপুত্র’ পরিচয় দিয়ে বিমানবন্দরে প্রভাব বিস্তার করতেন। তার মাধ্যমে বিমানের ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ, কেবিন ক্রু, ক্যাপ্টেন, বিমানবালা, অফিস স্টাফসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারির সিউিউল নিয়ন্ত্রণ করা হত। এমনি বিমানের কে বা কারা নিয়োগ পাবে, কার প্রমোশন হবে, প্রমোশন আর নিয়োগ পেতে কত টাকা ঘুষ দিতে হবে। এর মধ্যে সে কত টাকা রাখবে আর উর্ধ্বতনদের কত টাকা দিবে তার মাধ্যমের চক্রের অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি বিমানের টেন্ডারও পলাশই নিয়ন্ত্রণ করতেন। এর বাইরে বিমানের ‘কাবু’ থেকেও মোটা অংকের কমিশন পেতেন।
চোরাকারবারির মাধ্যমে পলাশ ঢাকার উত্তরা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিক হয়েছেন। বিদেশে তার ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই সঙ্গে স্ত্রীকে দিয়েও বিমানবালাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন। বিমানের বেশিরভাগ বিমানবালার সিডিউল নিয়ন্ত্রণ করতেন পলাশের স্ত্রী। আর পরিকল্পনা ও সিডিউল বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ শহীদ বিমানের সব প্রশাসনিক দপ্তরের পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের উর্ধ্বতনদের নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০৫ সালে বিমানে যোগদান করার পর থেকে সোনা চোরাচালান বেড়েছে। তার হাত দিয়ে কোটি কোটি টাকা সবকিছু ম্যানেজ করতে লেনদেন হত। এর পাশাপাশি শিডিউলিং ম্যানেরজার তোজাম্মেল হোসেন পলাশের নির্দেশমত বিমানের সিডিউল নিয়ন্ত্রণ করতেন। গ্রেপ্তার হওয়া উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদের মাধ্যমে চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে ১০/১২টি চক্রের সম্পর্ক রয়েছে। হারুন এসব মানি এক্সচেঞ্জ চক্রের নিয়ন্ত্রক। মানি এক্সচেঞ্জ মালিকদের সব সবধরনের অর্থ লেনদেন তার মাধ্যমে হত।