সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইসহাক হোসেন তালুকদার শ্বাসতন্ত্রের রোগে ভুগে মারা গেছেন।
তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার জানান, ইসহাক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
“সোমবার ঈদের দিন তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বগুড়া নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।”
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসহাক ১৯৮৬, ২০০৭ ও ২০১০ সালে তিন দফা রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
১৯৫০ সালের ১৮ জুন সিরাজগঞ্জে জন্ম নেওয়া ইসহাক স্ত্রী, দুই ছেলে ও নাতী-নাতনী রেখে গেছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রয়াত সাংসদের মৃতদেহ বগুড়ার একটি নার্সিং হোম থেকে রাত ৯টায় নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়ে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হয়েছে।
“মঙ্গলবার বাদ জোহর স্থানীয় বাকাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।”
এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগনেতা সঞ্জিত কর্মকার রাতেই তার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
সংসদ সদস্য ইসহাক তালুকদারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোকপ্রকাশ করে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোকপ্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এক শোকবাণীতে স্পিকার বলেন, ইসহাক হোসেন তালুকদার ছিলেন দেশ ও জাতির একজন সূর্য্য সন্তান। তিনি আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবককে হারালো। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।