সিরাজগঞ্জ
সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড (চণ্ডীদাসগাতী) আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর
আলমের বাড়িতে আসবাব পুড়ে আছে এখানে-সেখানে।
কাদের মোল্লার
ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত-শিবিরের লোকজন তাঁর
বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি কোনোমতে প্রাণ বাঁচান।
ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এখনো এলাকায় ফেরেননি
তিনি।
একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুন্নবী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব তালুকদার, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ রানাসহ অনেকের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হয়েও তাঁরা সিরাজগঞ্জ শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নিজের গ্রামে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না
একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুন্নবী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব তালুকদার, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ রানাসহ অনেকের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হয়েও তাঁরা সিরাজগঞ্জ শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নিজের গ্রামে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না
শিয়ালকোল
ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বুলবুল আহমেদ জানান, জামায়াত-শিবির-অধ্যুষিত
চণ্ডীদাসগাতী গ্রামে তাঁদের আট ভাইয়ের বাড়িঘর পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া
হয়েছে। আহাজারি করে বুলবুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। সিরাজগঞ্জের
পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আর আমরা নিজেদের ভিটায় ফিরতে
পারছি না। উদ্বাস্তুর মতো এক কাপড়ে থাকতে হচ্ছে আমাদের।’
জেলা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ পাশের বিশাল গ্রাম চণ্ডীদাসগাতী। এই এলাকা জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি বলে পরিচিত। অবরোধ চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এই রাস্তাটি বন্ধ করে রাখার কারণে সিরাজগঞ্জ জেলার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও স্বাভাবিকভাবে এখানে চলাফেরা করতে পারে না। গত শুক্রবার ওই গ্রামে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে পুলিশ।
চণ্ডীদাসগাতী গ্রামের মতোই সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে আছেন। ৯ ডিসেম্বর এখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শিশু নিহত হয়েছিল। সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়কের পাশের ওই গ্রামে গতকাল গিয়ে দেখা গেল, বহুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়টি ভস্মীভূত। ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘ইউপি কার্যালয়টি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব কাজকর্ম বন্ধ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে।’
বহুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের পর বহুলিতে আওয়ামী লীগের চারজন নেতা-কর্মীর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না।’
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তেয়াসিয়া ও কান্দাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘুদের অনেকগুলো ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা তপন সরকার ও গোপাল চন্দ্র সরকারের তাঁতের কারখানা। তপন সরকার বলেন, ‘মামলা করার সাহসও পাচ্ছি না। এলাকার হিন্দুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।’
বেলকুচি উপজেলার কল্যাণপুর, সর্বতুলসী ও মবুপুর গ্রাম তিনটি জামায়াত-অধ্যুষিত। এই তিনটি গ্রাম থেকেই এনায়েতপুর, বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয় বলে পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। অবরোধ চলাকালে এই গ্রামগুলোতে পুলিশও ঢুকতে পারেনি। এখানকার আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই এলাকাছাড়া। বেলকুচির চরধুল গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল মজিদের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিনিও এখন এলাকাছাড়া।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক গতকাল বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে ওই গ্রামগুলোতে আমাদের নেতা-কর্মীরা চরম আতঙ্কে আছেন। পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও এখন চরম আতঙ্কে আছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়েছে। উল্লাপাড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের দোতলা একটি তেলের মিল ও তিন ট্রাক মালামাল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল চৌকিদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ভবনটি কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে।
উল্লাপাড়ার সংখ্যালঘুরাও চরম আতঙ্কে আছে। ১২ ডিসেম্বর রাতে উল্লাপাড়া পৌর শহরের পাটবন্দর এলাকায় সমর কুণ্ডুর পাটের গুদামটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে বেশ কটি হিন্দুবাড়িতে। বড়হর ইউপির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ শফিকুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাট সব জায়গায় হামলা ও আগুন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনায় কোনো আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আমি নিজে পুলিশের কাছে তালিকা দিয়েছি। রাস্তাঘাট থেকে কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু যারা হামলা চালায়, সেই জামায়াত-শিবিরের কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না।’
জেলা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ পাশের বিশাল গ্রাম চণ্ডীদাসগাতী। এই এলাকা জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি বলে পরিচিত। অবরোধ চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এই রাস্তাটি বন্ধ করে রাখার কারণে সিরাজগঞ্জ জেলার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও স্বাভাবিকভাবে এখানে চলাফেরা করতে পারে না। গত শুক্রবার ওই গ্রামে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে পুলিশ।
চণ্ডীদাসগাতী গ্রামের মতোই সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে আছেন। ৯ ডিসেম্বর এখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শিশু নিহত হয়েছিল। সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়কের পাশের ওই গ্রামে গতকাল গিয়ে দেখা গেল, বহুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়টি ভস্মীভূত। ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘ইউপি কার্যালয়টি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব কাজকর্ম বন্ধ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে।’
বহুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের পর বহুলিতে আওয়ামী লীগের চারজন নেতা-কর্মীর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না।’
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তেয়াসিয়া ও কান্দাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘুদের অনেকগুলো ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা তপন সরকার ও গোপাল চন্দ্র সরকারের তাঁতের কারখানা। তপন সরকার বলেন, ‘মামলা করার সাহসও পাচ্ছি না। এলাকার হিন্দুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।’
বেলকুচি উপজেলার কল্যাণপুর, সর্বতুলসী ও মবুপুর গ্রাম তিনটি জামায়াত-অধ্যুষিত। এই তিনটি গ্রাম থেকেই এনায়েতপুর, বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয় বলে পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। অবরোধ চলাকালে এই গ্রামগুলোতে পুলিশও ঢুকতে পারেনি। এখানকার আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই এলাকাছাড়া। বেলকুচির চরধুল গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল মজিদের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিনিও এখন এলাকাছাড়া।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক গতকাল বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে ওই গ্রামগুলোতে আমাদের নেতা-কর্মীরা চরম আতঙ্কে আছেন। পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও এখন চরম আতঙ্কে আছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়েছে। উল্লাপাড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের দোতলা একটি তেলের মিল ও তিন ট্রাক মালামাল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল চৌকিদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ভবনটি কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে।
উল্লাপাড়ার সংখ্যালঘুরাও চরম আতঙ্কে আছে। ১২ ডিসেম্বর রাতে উল্লাপাড়া পৌর শহরের পাটবন্দর এলাকায় সমর কুণ্ডুর পাটের গুদামটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে বেশ কটি হিন্দুবাড়িতে। বড়হর ইউপির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ শফিকুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাট সব জায়গায় হামলা ও আগুন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনায় কোনো আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আমি নিজে পুলিশের কাছে তালিকা দিয়েছি। রাস্তাঘাট থেকে কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু যারা হামলা চালায়, সেই জামায়াত-শিবিরের কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না।’
সিরাজগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা
পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন বলেন, ‘সিরাজগঞ্জে কারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড
চালাচ্ছে, আমরা তাদের তালিকা করেছি। তবে অবরোধের কারণে পুলিশ এখন ব্যস্ত
আছে। অবরোধ শেষ হলেই যৌথ অভিযান চালাব।’
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর গত ২৬ নভেম্বর থেকে সিরাজঞ্জে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘুদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে বেলকুচি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অন্তত ৫০টি বাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাঁতিতে ২৫টি বাড়ি ও ১০টি দোকান, বহুলী ইউনিয়নে ২০টি দোকান ও বাড়ি এবং উল্লাপাড়া উপজেলায় অর্ধশত দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।
এ ছাড়া অবরোধ ও কাদের মোল্লার রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জে ৫২টি গাড়ি ভাঙচুর ও ২১টিতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম হোসেন আলী বলেন, জামায়াত-শিবির একাত্তরের মতোই বর্বরতা চালাচ্ছে।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর গত ২৬ নভেম্বর থেকে সিরাজঞ্জে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘুদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে বেলকুচি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অন্তত ৫০টি বাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাঁতিতে ২৫টি বাড়ি ও ১০টি দোকান, বহুলী ইউনিয়নে ২০টি দোকান ও বাড়ি এবং উল্লাপাড়া উপজেলায় অর্ধশত দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।
এ ছাড়া অবরোধ ও কাদের মোল্লার রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জে ৫২টি গাড়ি ভাঙচুর ও ২১টিতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম হোসেন আলী বলেন, জামায়াত-শিবির একাত্তরের মতোই বর্বরতা চালাচ্ছে।