সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরপরই সিরাজগঞ্জ শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর করেছে ১৮ দলের কর্মীরা

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরপরই সিরাজগঞ্জ শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর করেছে ১৮ দলের কর্মীরা। ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় শহরের দোকানপাট।
রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী বাজার এলাকায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটর সাইকেল ও দোকানপাট ভাংচুর করে।
এর কিছুক্ষণ পরই শহরের চামড়াপট্টি, রেলগেট, মৌসুসী সিনেমা হল মোড়, কালেক্টরেট চত্বর, বড় বাজারসহ কয়েকটি স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের নবদ্বীপ পুল এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের পর পুলিশ সেখানে পৌছলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একই সময়ে শহরের রেলগেট ও নিউ ঢাকা রোডে একটি ট্রাক ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়েছে।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের দিয়ারবৈদ্যনাথ এলাকায় বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঐ সড়কের চন্ডিদাসগাঁতীতে ৩টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ী এলাকায় বিএনপি কর্মীরা দুটি ট্রাক ভাঙচুর করেছে বিএনপি-জামায়াত নেতা কর্মীরা।
এছাড়াও হাটিকুমরুল-পাবনা মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়ায় দুটি ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নাশকতা এড়াতে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন এবং মহাসড়কগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।