বিরল রোগাক্রান্ত মোরছালিনের উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস মীর মোশারফ হোসেন ঢাকা মেডিকেলে উপস্থিত হয়ে তার চিকিৎসার খোজ খবর নেয়। মোরছালিনের বাবার কাছে খরচের টাকা না থাকায় নগদ ৫হাজার টাকা দেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের খামার উল্লাপাড়া গ্রামের দিন মুজুর কৃষক ময়নাল হোসেনের ছেলে মোরছালিন জটিল রোগে আক্রান্ত। তার মুখের জিব্বাহ সম্পূর্ণরুপ বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই ঠোট ও জিব্বাহয় গাঁ দেখা গেছে। ১৮ বছর বয়সী মোরছালিন দীর্ঘ ১০ বছর এ রোগে আক্রান্ত হলেও তার চিকিৎসা সেবার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি পরিবার। বিভিন্ন সময় ডাক্তার কবিরাজ দেখালেও কোনো সুফল মেলেনি। এক সময় হাল ছেড়ে দিয়েছিল তার পরিবার।
হতদরিদ্র মোরছালিনের নিউজের সংবাদটি মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস ও ঢাকা বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেনের নজরে এলে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না ও বেলকুচি উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সেলিমের মাধ্যেমে প্রতিবেদক জহুরুল ইসলামকে মোরছালিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিবেন বলে জানান। এরপর প্রতিবেদকের মাধ্যেমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভার্তি করান।
হাসপাতালে মোরছালিনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন মীর মোশারফের ছোট ভাই ও তিতুমির কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এম আক্তার হোসেন।
হাসপাতালে মোরছালিনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন মীর মোশারফের ছোট ভাই ও তিতুমির কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এম আক্তার হোসেন।
নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস মীর মোশারফ হোসেনের কথা মত জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ভর্তি করা হয় মোরছালিনকে। নাক, কান ও গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ নম্বর বেডে সে ভর্তি রয়েছে। নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকিরের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া আমরা জেনেছি মোরছালিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এপিএস মীর মোশারফ সাহেব। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছেন ও সার্বিক বিষয়ের খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির বলেন, মোরছালিনের গলার একটি রগের মাথায় টিউমার হয়েছে। সেটি অনেক দিন হওয়ায় তা মুখের জিব্বাহর ধারণ করেছে। অপারেশন করালে তা ঠিক হয়ে যাবে। তবে আমরা স্বাধ্যমত চেষ্টা করে যাব।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন মোরছালিনের বাবা ময়নাল হক, মা মমতা বেগম তারা বলেন, মীর মোশারফ সাহেব একজন অসাধারণ মানুষ, ফেরেস্তার মতন এসে আমাদের ছেলের চিকিৎসা খোজখবর নিচ্ছেন। তাছারা আমাদের কাছে টাকা ছিলনা ৫হাজার টাকা খরছের জন্য দিয়েছে। আল্লাহর কাছে দোয়াকরি মীর মোশারফ সাহেব ও সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম যেন দির্ঘ দিন বেচে থাকে। মানুষের সেবা যেন করতে পারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির বলেন, মোরছালিনের গলার একটি রগের মাথায় টিউমার হয়েছে। সেটি অনেক দিন হওয়ায় তা মুখের জিব্বাহর ধারণ করেছে। অপারেশন করালে তা ঠিক হয়ে যাবে। তবে আমরা স্বাধ্যমত চেষ্টা করে যাব।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন মোরছালিনের বাবা ময়নাল হক, মা মমতা বেগম তারা বলেন, মীর মোশারফ সাহেব একজন অসাধারণ মানুষ, ফেরেস্তার মতন এসে আমাদের ছেলের চিকিৎসা খোজখবর নিচ্ছেন। তাছারা আমাদের কাছে টাকা ছিলনা ৫হাজার টাকা খরছের জন্য দিয়েছে। আল্লাহর কাছে দোয়াকরি মীর মোশারফ সাহেব ও সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম যেন দির্ঘ দিন বেচে থাকে। মানুষের সেবা যেন করতে পারে।
এদিকে, মীর মোশারফ হোসেনের ভাগিনা সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না ও ছোট ভাই ও তিতুমির কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এম আক্তার হোসন মোরছালিনের পাশে থেকে সব সময় দেখা শোনা করছেন।
এবিষয়ে সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। সেখান থেকেই আসলে প্রথমে ফেসবুকে পোষ্ট পরে পত্রিকায় খবরটি প্রকাশের পর আওয়ামীলীগ নেতা মীর মোশারফ হোসেন মোরছালিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার খবরটি জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মুন্না ও বেলকুচি উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সেলিম আমাকে জানান। পরে গত মঙ্গলবার মোরছালিনকে সাথে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।