হোল্ডিং নম্বরের প্লেট লাগানোর নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা ইউএনও’র কাছে আশ্রয় নেয়া ইউপি সচিবকে ছিনিয়ে নিয়ে গণধোলাই দিয়েছে।
গতকাল দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শাহানগাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শাহানগাছা, গুপিরপাড়া, ছোনগাছা, ডাকাতিয়াবাড়ী, ঝিনাইগাতিসহ অন্তত ৭টি গ্রামের শতাধিক মানুষ ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মিছিলও করেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র ও ভুক্তভোগীরা জানান, সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের বাড়ির হোল্ডিং নম্বর প্লেট তৈরি ও লাগানোর জন্য বগুড়ার একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর সম্প্রতি ওই বেসরকারি সংস্থার লোকজন প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০০ টাকার রসিদ দিয়ে টাকা গ্রহণ করে ওই নম্বর প্লেট লাগিয়ে দেন। পরে প্রতিবেশী উইনিয়নগুলোতে খোঁজ নিয়ে লোকজন জানতে পারেন সেখানে হোল্ডিং প্লেট লাগানো বাবদ ২০ টাকা নেয়া হয়েছে। এ সংবাদ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাধতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে লোকজন সকালে ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। সেখানে অন্য কাউকে না পেয়ে তারা ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিনের ওপর চড়াও হন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইউপি সচিব দৌড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী শাহানগাছা বাজারের একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিক্ষুব্ধ জনতা সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করেন এবং তার সঙ্গে থাকা ওই এনজিও’র এক মাঠকর্মীকে মারধর করেন। এরপর ইউপি সচিব কিছু হোল্ডারকে ৮০ টাকা করে ফেরত দেন। তবে উপস্থিত লোকজনের অধিকাংশ টাকা ফেরত না পাওয়ায় তাদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় তারা ইউপি সচিবকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে দুপুর পৌনে ১টায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। অভিযোগ শোনার পর বিচারের আশ্বাস দিলেও বিক্ষুব্ধ জনতা ইউপি সচিবের বিচারের দাবিকে অনঢ় থাকায় প্লেট লাগানো ও টাকা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন ইউএনও। একপর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ওই ইউপি সচিবকে নিয়ে তিনি নিজের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলে জনতা তার কাছ থেকে ইউপি সচিবকে ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন এবং আবার তাকে আটকে রাখে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে ইউএনও ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে সদর থানা পুলিশের একটি দল বিকাল ৩টায় ইউপি সচিবকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার কারণে ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিনকে জনতার রোষালন থেকে উদ্ধার করে থানায় আনার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঝিনাইগাতী গ্রামের শাহজাহান আলী বলেন, নম্বর প্লেট দেয়ার সময় সে বাড়িতে ছিলেন না। তার পরও বাড়ির মহিলাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০০ টাকা নেয়া হয়। একই অভিযোগ করেন চর ছোনগাছা গ্রামের (৯১০ নম্বর হোল্ডিং নম্বরের বাড়ির মালিক) ওয়াজেদ আলী।
গতকাল দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শাহানগাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শাহানগাছা, গুপিরপাড়া, ছোনগাছা, ডাকাতিয়াবাড়ী, ঝিনাইগাতিসহ অন্তত ৭টি গ্রামের শতাধিক মানুষ ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মিছিলও করেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র ও ভুক্তভোগীরা জানান, সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের বাড়ির হোল্ডিং নম্বর প্লেট তৈরি ও লাগানোর জন্য বগুড়ার একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর সম্প্রতি ওই বেসরকারি সংস্থার লোকজন প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০০ টাকার রসিদ দিয়ে টাকা গ্রহণ করে ওই নম্বর প্লেট লাগিয়ে দেন। পরে প্রতিবেশী উইনিয়নগুলোতে খোঁজ নিয়ে লোকজন জানতে পারেন সেখানে হোল্ডিং প্লেট লাগানো বাবদ ২০ টাকা নেয়া হয়েছে। এ সংবাদ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাধতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে লোকজন সকালে ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। সেখানে অন্য কাউকে না পেয়ে তারা ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিনের ওপর চড়াও হন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইউপি সচিব দৌড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী শাহানগাছা বাজারের একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিক্ষুব্ধ জনতা সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করেন এবং তার সঙ্গে থাকা ওই এনজিও’র এক মাঠকর্মীকে মারধর করেন। এরপর ইউপি সচিব কিছু হোল্ডারকে ৮০ টাকা করে ফেরত দেন। তবে উপস্থিত লোকজনের অধিকাংশ টাকা ফেরত না পাওয়ায় তাদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় তারা ইউপি সচিবকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে দুপুর পৌনে ১টায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। অভিযোগ শোনার পর বিচারের আশ্বাস দিলেও বিক্ষুব্ধ জনতা ইউপি সচিবের বিচারের দাবিকে অনঢ় থাকায় প্লেট লাগানো ও টাকা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন ইউএনও। একপর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ওই ইউপি সচিবকে নিয়ে তিনি নিজের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলে জনতা তার কাছ থেকে ইউপি সচিবকে ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন এবং আবার তাকে আটকে রাখে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে ইউএনও ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে সদর থানা পুলিশের একটি দল বিকাল ৩টায় ইউপি সচিবকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার কারণে ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিনকে জনতার রোষালন থেকে উদ্ধার করে থানায় আনার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঝিনাইগাতী গ্রামের শাহজাহান আলী বলেন, নম্বর প্লেট দেয়ার সময় সে বাড়িতে ছিলেন না। তার পরও বাড়ির মহিলাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০০ টাকা নেয়া হয়। একই অভিযোগ করেন চর ছোনগাছা গ্রামের (৯১০ নম্বর হোল্ডিং নম্বরের বাড়ির মালিক) ওয়াজেদ আলী।