১৮ দলীয় জোটের টানা অবরোধ কর্মসূচীর কারণে দেশের দুগ্ধশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুররসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার গো-খামারীরা পড়েছে মহাবিপাকে। ঐহিহ্যবাহী দুগ্ধশিল্প বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
এছাড়া অবরোধে উত্তরাঞ্চলের বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর থেকে এ সময়ে উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র রাসায়নিক সার ও জ্বালানী তেল সরবরাহ সম্ভব না হওয়ায় গোটা উত্তরাঞ্চলে কৃত্রিম রাসায়নিক সার ও জ্বালানী তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা কারখানাসহ স্থানীয় ১৪টি বেসরকারি দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে তাদের ধারণক্ষমতানুযায়ী কিছু দুগ্ধ সংগ্রহের পর আর অতিরিক্ত দুগ্ধ সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাঘাবাড়ী মিল্কশেড এরিয়ার অন্তর্ভূক্ত অঞ্চলে দৈনিক উৎপন্ন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ লিটার দুধের সিংহভাগই অবরোধজনিত কারণে গন্তব্যে পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে গবাদীপশুর কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লাখ লাখ খামারী তাদের উৎপন্ন দুধ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। ফলে তারা বাধ্য হয়ে পানির দামে দুধ বিক্রি করছেন।
দুগ্ধসমৃদ্ধ জনপদ শাহজাদপুর, বেড়া, সাঁথিয়া, মোহনপুরসহ পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানাসহ এ অঞ্চলের বেসরকারি বিভিন্ন ডেইরি প্রজেক্টের কুলিং সেন্টারগুলোতে দুধ পাঠাতে পারছে না খামারীরা। এতে তাদের আর্থিক দিক বিবেচনায় চরম ক্ষতির সন্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও গ্রামে ফেরি করে ৪৫ টাকা লিটার দরের দুধ ২০ থেকে ২২ টাকা লিটার দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। দুগ্ধ খামারীরা জানান, ‘টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধে গন্তব্যে দুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাঘাবাড়ী মিল্কশেড এরিয়ায় গত ৩ দিনে উৎপন্ন প্রায় ৭ লাখ লিটার দুধ নিয়ে গো-খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা পানির দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে, উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকা ৭১ ঘণ্টার অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে। ৭১ ঘণ্টার হরতালে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার বিসিআইসির ১৪টি বাফার স্টকে রবি মৌসুমকে উপলক্ষ করে কোন সার সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকায় বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম কর্পোরেশানের তিনটি জ্বালানী তেলের ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে উত্তরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৪শ’ প্রেট্রোলপাম্পসহ অন্যান্য স্থানে কোন প্রকার জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে রাসায়নিক সার ও জ্বালানী তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।
রিপোর্ট- মো: মামুন বিশ্বাস, শাহজাদপুর থেকে
এছাড়া অবরোধে উত্তরাঞ্চলের বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর থেকে এ সময়ে উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র রাসায়নিক সার ও জ্বালানী তেল সরবরাহ সম্ভব না হওয়ায় গোটা উত্তরাঞ্চলে কৃত্রিম রাসায়নিক সার ও জ্বালানী তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা কারখানাসহ স্থানীয় ১৪টি বেসরকারি দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে তাদের ধারণক্ষমতানুযায়ী কিছু দুগ্ধ সংগ্রহের পর আর অতিরিক্ত দুগ্ধ সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাঘাবাড়ী মিল্কশেড এরিয়ার অন্তর্ভূক্ত অঞ্চলে দৈনিক উৎপন্ন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ লিটার দুধের সিংহভাগই অবরোধজনিত কারণে গন্তব্যে পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে গবাদীপশুর কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লাখ লাখ খামারী তাদের উৎপন্ন দুধ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। ফলে তারা বাধ্য হয়ে পানির দামে দুধ বিক্রি করছেন।
দুগ্ধসমৃদ্ধ জনপদ শাহজাদপুর, বেড়া, সাঁথিয়া, মোহনপুরসহ পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানাসহ এ অঞ্চলের বেসরকারি বিভিন্ন ডেইরি প্রজেক্টের কুলিং সেন্টারগুলোতে দুধ পাঠাতে পারছে না খামারীরা। এতে তাদের আর্থিক দিক বিবেচনায় চরম ক্ষতির সন্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও গ্রামে ফেরি করে ৪৫ টাকা লিটার দরের দুধ ২০ থেকে ২২ টাকা লিটার দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। দুগ্ধ খামারীরা জানান, ‘টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধে গন্তব্যে দুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাঘাবাড়ী মিল্কশেড এরিয়ায় গত ৩ দিনে উৎপন্ন প্রায় ৭ লাখ লিটার দুধ নিয়ে গো-খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা পানির দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে, উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকা ৭১ ঘণ্টার অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে। ৭১ ঘণ্টার হরতালে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার বিসিআইসির ১৪টি বাফার স্টকে রবি মৌসুমকে উপলক্ষ করে কোন সার সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর এলাকায় বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম কর্পোরেশানের তিনটি জ্বালানী তেলের ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে উত্তরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৪শ’ প্রেট্রোলপাম্পসহ অন্যান্য স্থানে কোন প্রকার জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে রাসায়নিক সার ও জ্বালানী তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।
রিপোর্ট- মো: মামুন বিশ্বাস, শাহজাদপুর থেকে