কাজিপুরে এক গৃহবধুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ আরজিনা খাতুন (২৫) উপজেলার উদগাড়ী গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে আরজিনা খাতুনের বিয়ে হয় উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভানুডাঙ্গা গ্রামে। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের ঘরে একটি সন্তান হয়। কিছুদিন পর অসুস্থ্য হয়ে তাদের সন্তানটি মারা যায়। গত দুই মাস আগে আরজিনা খাতুনের স্বামীও মারা যায়। সেই থেকে আরজিনা স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছিল। সম্প্রতি তার পিতা আমজাদ হোসেন লোকজন নিয়ে আরজিনার মতের বিরুদ্ধে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। বাড়ীতে আনার পর থেকেই আরজিনার স্বামীকে যৌতুক হিসেবে দেওয়া নগদ টাকা এবং ভ্যানগাড়ী বিষয়ে তার পিতার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে বুধবার সকালে আরজিনাকে তার ঘরের ভিতরে গলা কেটে অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ অনেক তালবাহানা করে বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা আমজাদ হোসেন জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তাকে হত্যা করা হয়নি। এদিকে স্থানীয়দের ধারণা তাকে যেভাবে গলা কাটা হয়েছে এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম জানান, আমি খবর পেয়ে কাজিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমানকে বারবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
কাজিপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) পিয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।