বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫

কাজিপুরে গৃহবধুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

কাজিপুরে এক গৃহবধুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ আরজিনা খাতুন (২৫) উপজেলার উদগাড়ী গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে আরজিনা খাতুনের বিয়ে হয় উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভানুডাঙ্গা গ্রামে। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের ঘরে একটি সন্তান হয়। কিছুদিন পর অসুস্থ্য হয়ে তাদের সন্তানটি মারা যায়। গত দুই মাস আগে আরজিনা খাতুনের স্বামীও মারা যায়। সেই থেকে আরজিনা স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছিল। সম্প্রতি তার পিতা আমজাদ হোসেন লোকজন নিয়ে আরজিনার মতের বিরুদ্ধে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। বাড়ীতে আনার পর থেকেই আরজিনার স্বামীকে যৌতুক হিসেবে দেওয়া নগদ টাকা এবং ভ্যানগাড়ী বিষয়ে তার পিতার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে বুধবার সকালে আরজিনাকে তার ঘরের ভিতরে গলা কেটে অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ অনেক তালবাহানা করে বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।  

এ বিষয়ে নিহতের পিতা আমজাদ হোসেন জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তাকে হত্যা করা হয়নি। এদিকে স্থানীয়দের ধারণা তাকে যেভাবে গলা কাটা হয়েছে এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। 

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম জানান, আমি খবর পেয়ে কাজিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমানকে বারবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। 
কাজিপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) পিয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

সিরাজগঞ্জে প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮শ’ ৯৭ শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জ জেলায় ৮শ’ ৯৭ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পেয়েছে ৪০৯ জন। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী।

মেধা কোটায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা মাসিক ২০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা মাসিক ১৫০ টাকা করে বৃত্তি পায়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর তারা এই বৃত্তি পায়।

আজ রোববার প্রাথমিক বৃত্তি ২০১৪-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বৃত্তির ফল প্রকাশ করেন।

(সিরাজগঞ্জ জেলায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা- http://goo.gl/NImgMU )

সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

'সব জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে'


    রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, দেশের সকল জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

     রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, দেশের সকল জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শীঘ্রই ৮টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলাকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
     
    সোমবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকাল ৫টায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
     
    সুকুমার রঞ্জন ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৪ জেলা রেলপথ সুবিধার মধ্যে রয়েছে। দেশের সব জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলমান প্রকল্পের আওতায় শীঘ্রই বাগেরহাট, কক্সাবাজার, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, ও নড়াইল নতুনভাবে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। বাকি জেলা পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে বলে জানান তিনি।

শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

নারী অধিকার সুরক্ষা করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই হোক শ্লোগান৷

আদি নাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখে পালিত হয়। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রতিবছর ৮ মার্চ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালন করা হয়। এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ সালে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর দমন-পীড়ন চালানো হয়।

১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন।

এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে  ডেনমার্কের  কোপেনহেগেনে  অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। 

অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ । এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।

এর পর থেকে পৃথিবীজুড়েই নারীর সম-অধিকার আদায় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫

৭ই মার্চের ভাষণ

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে  (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)  অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ।

১৯ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল।

এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা।


বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

শাহজাদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

wmivRM‡Äi kvnRv`cy‡i †hŠ_ evwnbxi Awfhv‡b BDwc †Pqvig¨vb I weGbwc †bZvmn 22 Rb‡K †MÖßvi Kiv n‡q‡Q| G‡`i g‡a¨ Dc‡Rjvi †cviRbv BDwbqb mfvcwZ Aveyj †nv‡mb Pv` evey I †cvZvwRqv BDwc †Pqvig¨vb weGbwc †bZv iwdKzj Bmjvg PzbœyÕi bv‡g bvkKZv, cywj‡ki Kv‡R evav I Av‡jvwPZ †Uªb †cvov‡bv gvgjvmn AšÍZt 12wU gvgjvq †MÖßvix c‡ivqvbv i‡q‡Q| evwKiv wewfbœ gvgjvi Iqv‡i›Ufz³ Avmvgx| 

kvnRv`cyi _vbvi fvicÖvß Kg©KZ©v kvnve DwÏb Lwjdv Rvbvb, eyaevi mKvj †_‡K e„n¯úwZevi †fvi ch©šÍ Dc‡Rjvi wewfbœ GjvKvq †hŠ_ evwnbxi Awfhv‡b 22Rb‡K †MÖßvi Kiv nq| AvR `ycy‡i mKj‡K Av`vj‡Z cvVv‡bv nq| GKRb wbe©vnx g¨vwR‡óª‡U †bZ…‡Z¡ i¨ve, cywjk I wewRweÕi m`m¨iv Awfhv‡b Ask †bb| 

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

হরতাল-অবরোধ সরেজমিনে দেখতে রাস্তায় বের হওয়ার আহ্বান মোহাম্মদ নাসিম

আদৌ হরতাল-অবরোধ চলছে কিনা তা সরেজমিনে দেখতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাস্তায় বের হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার দুপুরে মতিঝিলে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত হরতাল-অবরোধ ও সহিংসতার প্রতিবাদে এক সমাবশে একথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম বলেন, “হরতাল-অবরোধ এখন এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে। রাস্তায় তীব্র যানজট। শিগগিরিই এ তামাশা বন্ধ হয়ে যাবে।

“এ তামাশার হরতালের জন্য ভবিষ্যতে আমরাও সত্যিকারের হরতাল করতে পারবো না।”

তিনি বলেন, “আমরা যখন আন্দোলন করেছি, তখন পুলিশ আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করেনি। আমরাও মার খেয়েছি। আর আপনি নিজেই বন্দী হয়ে আছেন, কেউ আপনাকে বন্দী করেনি। সেখানে বসে বসে নির্দেশ দিয়ে মানুষ হত্যা করছেন।”

‘বিদেশিদের পায়ে ধরে লাভ নেই’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে নাসিম বলেন, “কোনো বিদেশির কথায় সংলাপ হবে না, সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।

“সংলাপ হবে ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনের সাথে, কোনো সন্ত্রাসীর সাথে নয়। ঘর থেকে বের হয়ে মাঠে আসুন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিশ্বকাপের মতো খেলা হবে। সেই খেলায়ও শেখ হাসিনার বিজয় হবে।”

বিএনপি এখন ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ দলে পরিণত হয়েছে আর খালেদা সেই দলের জঙ্গী নেত্রীতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ ও দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রমূখ৷


সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।