মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বার্ন ইউনিট নেই। অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিত্সা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অনেক রোগী চিকিত্সা সেবার অভাবে মারা যাচ্ছেন। 
 
জেলা হিসেবে সিরাজগঞ্জ তাঁতসমৃদ্ধ অঞ্চল। প্রায় এক হাজার স্বর্ণের দোকানও রয়েছে। ফলে অন্য জেলার তুলনায় এখানে এসিডের ব্যবহার বেশি। প্রেমঘটিত জটিলতা, জমিজমা, পাড়া-মহল্লার সংঘর্ষ ও পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর এসিড ছোড়া হয়। এর সঙ্গে সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতায় পেট্রল বোমার ব্যবহার হচ্ছে। অথচ জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কোনো বার্ন ইউনিট নেই। অগ্নিদগ্ধ রোগীদের ঢাকায় চিকিত্সার জন্য নেয়া হয়। অনেকে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার অভাবে মারা যান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ৬৯ জন দগ্ধ রোগী এ হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে আসেন। বার্ন ইউনিট না থাকায় তাদের অধিকাংশ রোগীকে ঢাকা পাঠাতে হয়েছে। গত শনিবার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রামগাতীতে দৃর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রল বোমায় শহরের গনেশ দাস নামে একজন মারা যান। দগ্ধ পাঁচজন চিকিত্সা নিতে জেনারেল হাসপাতালে আসেন। তার মধ্যে দুজনকে ঢাকার বার্ন ইউনিটে পঠানো হয়।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক ডা. মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, সরকারি এ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট নেই। এসিডে আক্রান্ত ও আগুনে পোড়া রোগীরা চিকিত্সার জন্য আসেন। বার্ন ইউনিট না থাকায় তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ চিকিত্সা করা সম্ভব হয় না। ফলে তাদের জীবন অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তিনি আরো জানান, দগ্ধ রোগীর জন্য আলাদা কেবিন ও ইউনিটের প্রয়োজন। তাদের গায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আত্মীয়স্বজনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। অন্যের সংস্পর্শে রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। ফলে অন্য রোগী থেকে তাদের আলাদা চিকিত্সা দিতে হয়। আলাদা শয্যা ও ইউনিটের প্রয়োজন। আলাদা বার্ন ইউনিট না থাকায় জেলায় দগ্ধ রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিত্সা দেয়া যাচ্ছে না। তিনিও সিরাজগঞ্জে  ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপনের দাবি জানান।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।