মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩


সিরাজগঞ্জে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ১৮ দলের ডাকা টানা ৪৮ ঘন্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন পালিত হয়েছে।

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। যুবদল নেতা নিহত ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদককে আটকের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলায় পূর্ন দিবস হরতাল আহবান করেছে বিএনপি।

১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার জগাইমোড়ে পিকেটিংয়ের চেষ্টা করে বিএনপি কর্মিরা। এসময় সেখান থেকে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর কায়েম সবুজকে আটক করে পুলিশ।সুবজ ২০১০ সালের আলোচিত ট্রেন পোড়ানো মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এ ঘটনার জের ধরে পুলিশের উপর হামলা করলে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ফাকা গুলি ছোড়ে । এতে সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক ছাকমান হোসেনসহ ১০ অবরোধকারি আহত হয়। আহত ছাকমানকে (৩৫) শহরের মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুয়াকান্দি গ্রামে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে নিহত ছাকমান পালাতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধকারীরা সকালে জগাইমোড়ে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি হাতবোমা ফাটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবরোধকারীরা তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। 

ভোরে অবরোধের শুরুতেই শহরের মালসাপাড়া রেলগেইট এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেয়া হয় এবং একটি মিনি ট্রাক ভাংচুর করে অবরোধকারীরা।

এছাড়া শহরের রেলগেইট এলকায় রাস্তার পাশের গাছ কেটে অবরোধ সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে সড়কের কয়েকটি স্থানে রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় অবরোধকারীররা। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলতে দেখে গেছে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান।


সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।