সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

অদ্ভুত মিডিয়ার পিঠে চলছে স্বদেশ

২০০৮ এর পর থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের মিডিয়া বোধহয় সবচেয়ে বেশী স্বাধীনতা ভোগ করছে। টক শো গুলোতে যে যা খুশী বলছে, মিথ্যাচার করছে; তথ্য প্রমাণ দেয়ার বা জবাবদিহিতার কোন ব্যবস্থা নেই!
নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন নামে গজিয়ে ওঠা অনলাইন পত্রিকা। যে কেউ চাইলেই অনলাইন পত্রিকার মালিক/সম্পাদক/সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে। এতে কোন সমস্যা বা আপত্তি নেই। কিন্তু বেশির ভাগ অনলাইন পত্রিকাগুলোই চলছে সংবাদ সূত্র উল্লেখ না করে কপি-পেস্ট করে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মনগড়া সংবাদ ও মিথ্যাচারও চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী কোন পত্রিকার নামে ওয়েবসাইট খুলে কোন রিপোর্ট করলেই তারা যাচাই না করে তার ভিত্তিতে রিপোর্ট করছে।

নীতিমালা যাদের মানার কথা এমন তালিকাভুক্ত পত্রিকারও জবাবদিহিতা নেই। ইনকিলাব বা আমার দেশ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আমার দেশ বলতে গেলে সংবাদ জগতের কলঙ্ক। তারা অবিরত মিথ্যাচার চালিয়ে গেলেও মাহমুদুর গ্রেফতার হয় অনেক পরে। যারা তার মুক্তি চায় তারা কি তার মিথ্যাচারের দায়ভার নেবেন?
এখনও আমার দেশের মিথ্যাচার চলছে। যেমন, আমার দেশের জাহিদ চৌধুরী আরটিভির টকশোতে বললো - প্রধানমন্ত্রী সাউথ সাউথ পুরস্কার পায়নি, এ নিয়ে পত্রিকায় রিপোর্টও করলো। অথচ এই মিথ্যাচারের কোন দুঃখ প্রকাশও তারা করে নি। সিএনএনের যে বিভাগের রিপোর্ট নিয়ে শিরোনাম করেছে "এক রিপোর্ট সরকারের মসনদ কাপিয়ে দিয়েছে", সেই বিভাগের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও তাদের লজ্জা করে না। ইনকিলাব তো রীতিমত জীবিতকে মৃত বানানোর মত রিপোর্ট করে।

আইসিটি নীতিমালার পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে কিন্তু অনলাইন পত্রিকার দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে যখন নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয়া হয় তখন অনেকেই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ভুক্তভোগী কিন্তু সকল পক্ষই কমবেশি হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে কি যাচ্ছেতাই লেখা বা প্রকাশ করা? গণতন্ত্রের স্তম্ভ যাকে বলা হয় তা কি সময়ের বিবর্তনে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে না!

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।