সোমবার, ২০ জুলাই, ২০১৫

তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার আইনঃ বাস্তব জীবনে প্রতিফলন কতদূর?


বাংলাদেশ সংবিধানের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা- ধর্ম, বর্ণ, গোত্র বা লিঙ্গের ভিত্তিতে রাষ্ট্র কোনও মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না। এরপরও সমাজ বিচ্ছিন্ন হিজড়া সন্তান বরাবরই বঞ্চিত পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি থেকে। সংবিধান এবং ধর্মীয় আইন অনুসারে, এ জন্মগত অধিকারের বর্তমান অবস্থা কেমন?

শৈশবে ভাইবোনসহ পরিবারের সাথে একটু একটু করে বেড়ে উঠে একজন শিশু। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুটির শরীর আর আচরণে যখন পরিবর্তন ঘটতে থাকে, তখন কাছের মানুষগুলো কড়া শাসন তাকে জানিয়ে দেয়, সে আলাদা। 

সংবিধান মতে, নাগরিক হতে মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়াই যথেষ্ট। হোক সে পুরুষ, নারী বা হিজড়া। ফলে রাষ্ট্রের অঙ্গীকার মোতাবেক, মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার সন্তানের মাঝে সমান ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু, সমাজে হেয় হবার ভয়ে আপনজনই হিজড়াদের বঞ্চিত করে জন্মগত অধিকার থেকে। আইনবিদরা বলছেন, সংবিধান তো বটেই, সম্পত্তিতে হিজড়া সন্তানের উত্তরাধিকার দিতে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। 

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, 'উত্তরাধিকার সমভাবে স্বীকৃতি পাবে- আইন এমনটিই বলে।  কে কোন লিঙ্গের- তা এখানে বিবেচ্য নয়।  উত্তরাধিকারে সম্পত্তি সমানভাবে বণ্টিত হবে।'

ঘর আলো করে যে শিশু সন্তানটি জন্মগ্রহণ করে বাবা-মায়ের কোলে সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে। সে হয়ে যেতে পারে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ। যখনই এ রকম পরিস্থিতি হয় তখন, পরিবার বা সমাজ থেকে সেই শিশু সন্তানটি হয়ে পড়ে বিচ্যুত। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে অধিকার ফিরিয়ে দিলে অবস্থার উন্নতি সম্ভব।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।