অসুস্থ, অসচ্ছল, অসহায় এবং বেকার সাংবাদিকদের জন্য সরকারের অনুদানের টাকায় ভাগ বসিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক সচ্ছল সাংবাদিক। এর মধ্যে অষ্টম ওয়েজবোর্ড কার্যকর আছে এমন প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছে।
সরকারের এ অনুদান সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক এক লাখ এবং এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। অনেকেই পরিবারের সদস্যের অসুস্থতাজনিত কারণও উল্লেখ করে অনুদানের টাকায় নাম লিখিয়েছেন।
‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা/অনুদান নীতিমালা, ২০১২’ এর আওতায় এ সহায়তা দেওয়া হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৮১ জন সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এক কোটি ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার। যারা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাদের চেক পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে অনুদানের চেক প্রদান করবেন।
অসুস্থ, অসচ্ছল ও অসহায় সাংবাদিকের তালিকা ঘেটে দেখা গেছে, ১৮১ জন সাংবাদিকের মধ্যে গত বছরের মত এবারো প্রায় অর্ধশতাশিক সচ্ছল ও বিত্তশালী সাংবাদিক নাম রয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দিনাজপুর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের কয়েকজন সাংবাদিক নেতাও রয়েছেন। আবার প্রকৃত অনেক অসচ্ছল ও অসহায় সাংবাদিক অনুদানের টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ৫৩ জন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন জেলা ইউনিটের ৫০ জন এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আবেদনকারী আরো ৭৮ জন রয়েছে অনুদানের চেকের তালিকায়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সুপারিশকৃত অসচ্ছল, অসহায় ও দুস্থ সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের ফরিদুর রহমান, একুশে টিভির আবুল মনসুর সেলিম, মাছরাঙ্গা টিভির ফটো সাংবাদিক সাদেকুর রহমান খোকন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের খন্দকার মুজাহিদুল হক ও আবুল কাইয়ুম, জনকণ্ঠের আবদুল আজিজ রাজু ও মো. খলিল উদ্দিন, মানবকণ্ঠের মো. আব্দুল জলিল, উজ্জলুর রহমান, খায়রুল আহমেদ ও মো. কামরুল হাসান, ডেসটিনির খন্দকার আনিসুর রহমান, মানবজমিনের শামীমুল হক ও মো. আবুল হাসেম সরকার, যুগান্তরের নজরুল ইসলাম, তাপসী চক্রবর্তী ও শিরীন আক্তার, ভোরের কাগজের খন্দকার কাওসার হোসেন, ইনকিলাবের মো. ইসহাক খান, ইত্তেফাকের আবদুল হান্নান সরকার, বাংলাদেশ সময়ের চিত্তরঞ্জন দাস, কালের কণ্ঠের টি এম নাসির উদ্দিন ও মো. সিকান্দার হাওলাদার, আলোকিত বাংলাদেশের জহিরুল আলম ভূঁইয়া ও মো. হুমায়ুন কবির, ডেইলি সানের তরুণ তপন চক্রবর্তী, আমাদের অর্থনীতির ইমরুল শাহেদ ও জাহিদ রহমান, অর্থনীতি প্রতিদিনের আলাউদ্দিন আহমদ, একতার মুজাহিদুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার কাইয়ুম আহমেদ, আমাদের সময়ের রেজাউল করিম রাডার, আইএনবির রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু, অবজারভারের পুলক ঘটক, আমার কাগজের কামাল চৌধুরী, ভোরের সময়ের মো. জাকির হোসেন, সংবাদ প্রতিদিনের ওয়াহিদুজ্জামান, দৈনিক জনতার ওয়াজেদ হীরা ও দৈনিক করতোয়ার মো. মিজানুর রহমান।
অনলাইন নিউজের মধ্যে রয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফারহানা ইয়াসমিন, বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের মো. রফিকুল ইসলাম মুকুল তালুকদার। বেকার পরিচয়ে অনুদান পাচ্ছেন শামসুল হক সেতু, শ্যামল কান্তি নাগ ও অনিমেশ চক্রবর্তী। অসুস্থ কর্মক্ষমতাহীন সাংবাদিক হিসেবে অনুদান পাচ্ছেন সম্ভু নাথ নন্দি, ফরহাদ হোসেন ও শেখ লাভলী হক।
মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের মধ্যে অনুদান পাচ্ছেন সাংবাদিক আহামদ কাফিলের স্ত্রী জোসনা আহামদ, প্রয়াত সাংবাদিক তসলিম উদ্দিনের স্ত্রী মিসেস হুমায়রা আহমেদ, প্রয়াত ফটো সাংবাদিক মনোয়ারের স্ত্রী মিসেস মনোয়ার,প্রয়াত সাংবাদিক মো. আল আমিনের স্ত্রী আফরোজা আহমেদ, প্রয়াত ফটো সাংবাদিক মীর মহিউদ্দিন সোহানের স্ত্রী হোসনে আরা সোহান, প্রয়াত ফটো সাংবাদিক শওকত জামিলের স্ত্রী সাহিদা ইয়াসমিন, প্রয়াত ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ আলমের স্ত্রী সোরাইয়া বেগম।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সুপারিশ অনুযায়ী বিভিন্ন জেলাওয়ারী তালিকায় অনুদানের সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের অনুদান পাচ্ছেন রনজিত কুমার দে, প্রভাত বড়ুয়া, অর্পণা খাস্তগীর, নূর মোহাম্মদ রফিক, ছানোয়ারা বেগম, সুভাষ করণ, সাইদুল আজাদ, মো. হাসান ফারুকী, রোকসারুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী পাশা, পারভেজ ফারুকী, এম নাসিরুল হক, বশির আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেন ও সান্টু কুমার দাস
বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের তাসনেম আলম, মতিয়ার রহমান, নজরুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান বীমু, আলমগীর হোসেন, এ কে এম কামাল সিদ্দিকীও এ এইচ এম আকতারুজ্জামান।
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সিদ্দিক হোসেন, মিজানুর রহমান মুন, ইলিয়াস সাজু, আজিজুর রহমান শিমুল ও এস কে জমির আহমেদ টুন।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সুজা উদ্দিন রুবেল, ইসমত আরা ইসু এবং রোতাব চৌধুরী।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের মো. সামাদ খান, মো. আনিসুজ্জামান, মোছা. শামসুন নাহার, মো. নূরুল ইসলাম মণ্ডল ও শেখ জিয়াউল হক।
নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের তানজিন আহমেদ অন্তু রেজা ও জয়নাল আবেদিন জয়।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মো. সাহেব আলী, এ কে সরোজ নূন, শেখ আবু হাসান, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক হাওলাদার ও মো. নূরুল হাসান লিটু।
দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের লায়লা শামস, আকরাম হোসেন বাবলু, শ্যামল চন্দ শীল, আমির হোসেন বাদশা, মাহবুব আলম, মো. হারুন-অর-রশিদ ও মো. আবু বককর সিদ্দীক।
এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার অসুস্থ, অসহায় এবং অসচ্ছল সাংবাদিক হিসেবে অনুদান পাচ্ছেন, পটুয়াখালীর শামসুল আলম (অবজারভার), কুষ্টিয়ার মাহবুব হোসেন কবীর (দৈনিক হিসনা বাণী) ও মাসুদুল ইসলাম মাসুম (দৈনিক সময়ের কাগজ), বাগেরহাটের সাখাওয়াত আকুঞ্জি (এটিএন বাংলা) ও পঙ্গজ মণ্ডল (সমকাল), কিশোরগঞ্জের আমিনুল হক সাদি (স্বাধীনমত), নেত্রকোণার আল আজাদ ও কোহিনূর ইসলাম মিয়া (দেশ জনতা/গুড মর্নিং), জামালপুরের মোস্তফা বাবুল (কালের কণ্ঠ), সিলেটের প্রয়াত ফতেহ ওসমানীর স্ত্রী শাহিরা আহমেদ, গাইবান্দার নুরুন নাহার বেগম, জয়পুরহাটের আবু মুসা (ইনকিলাব), রংপুরের আবু তালেব (যুগের আলো), লালমনিরহাটের নুরুজ্জামান আহমেদ (জাতীয় অর্থনীতি), ঠাকুরগাঁওয়ের এ টি এম শামসুজ্জোহা (যুগান্তর), পাবনার এমজে বিপ্লব কাদরী (মর্নিং টাচ), ভোলার নীরব মোল্লা (বাসস), খাগড়াছড়ির চিং ওয়ামং মিন্টু চাকমা (সুপ্রভাত), রাঙ্গামাটির মোস্তফা কামাল (বিটিভি), সাতক্ষীরার মনোয়ার খাতুন (যুগেরবার্তা), মাগুরার এস আর এ হান্নান ( গ্রামের কাগজ), কুড়িগ্রামের মোক্তার হোসেন সরকার (ভোরের কাগজ) ও প্রয়াত শহীদুল ইসলামের স্ত্রী হাসনা হেনা, লক্ষ্মীপুরের মো. কাওসার (এটিএন বাংলা), নওগাঁর সরকার বিশ্বজিত মনি (জনকণ্ঠ), নাটোরের আতাহার হোসেন (উত্তর বাংলা), ঝালকাটির মিলন কান্তি দাস (সংবাদ), সিরাজগঞ্জের সাহেব আলী (দিনকাল), বরগুণার মুহিবুল হক কিসলু (যুগান্তর), ফরিদপুরের সাইফুল ইসলাম সাইফ (দিনকাল), কুমিল্লার শহিদুল হক সেলিম (দৈনিক শ্রমিক), যশোরের শাহানারা বেগম (এটিএন বাংলা), নড়াইলের মশিউল হক মিন্টু (জনতা), সুনামগঞ্জের আল হেলাল (আলোকিত বাংলাদেশ), হাবিবুর রহমান তালুকদার (বাসস), শংকর রায় (দৈনিক খবর) এবং রাজু আহমেদ রমজান (সুনামগঞ্জের ডাক), সিলেটের মো. সুরত আলী (দৈনিক খবর) এবং আমিরুল ইসলাম চৌধুরী (সিলেটের ডাকা), মাদারীপুরের রিপন চন্দ্র মল্লিক (সংবাদ), ফেনীর ইলিয়াস খান (সাপ্তাহিক বর্ণমালা), জ্যোতি চন্দ্র এস (মর্নিং গ্লোরি), মুন্সীগঞ্জের মাহবুব আলম লিটন (সংবাদ), কেরাণীগঞ্জের রায়হান খান (সমকাল), বরগুনার এনামুল হক মিলন (বরিশালের আজকাল), বগুড়ার প্রয়াত আরিফ রহমানের স্ত্রী কনা রহমান, নারায়ণগঞ্জের শাহানারা সালেহী (প্রয়াত এক সাংবাদিকের স্ত্রী। কিশোরগঞ্জের নজরুল ইসলাম খায়রুল (সাপ্তাহিক বৃত্তের বাইরে), ঢাকার মোশতাক এলাহী বাদশা (দিনকাল) শান্তি মিস্ত্রি (বঙ্গবাণী), প্রণব কুমার মজুমদার (দৈনিক শিরোনাম), প্রয়াত সাংবাদিকের স্ত্রী রুনা লায়লা ও রাবেয়া সুলতানা (দৈনিক অর্থনীতির কাগজ), কুষ্টিয়ার প্রয়াত আশরাফুল ইসলাম আজাদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বরিশালের এম এ স্বপন খন্দকার (বরিশাল প্রতিদিন), সিলেটের বাহার উদ্দিন, পটুয়াখালীর নিথিল চ্যাটার্জী (সংবাদ), গাইবান্দার নিজাম উদ্দিন প্রধান (দৈনিক আজ ও আগামীকাল) ও মফিজুল হক তারা (দৈনিক খবর), ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম রব্বানী (বাংলাদেশ সময়), বরিশালের কামাল মাসুদুর রহমান (প্রথম আলো), চট্টগ্রামের বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, ডিইউজের গাজী আসাদুজ্জামান, মাগুরার আব্দুল হাকিম, গাজীপুরের এম এ মোতালিব হোসেন (গণমুখ), বগুড়ার আব্দুল জলিল শেখ, গাইবান্ধার প্রয়াত এলাহী বকস আকন্দের পক্ষে আজহারুল ইসলাম, ভোলার সিদ্দিকুর রহমান, বরগুনার আরিফ হোসেন (এশিয়ান টিভি) এবং ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার মো. রেজাউর রহিম।