আমিনুল ইসলাম খান রানা, সিরাজগঞ্জ॥
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিফলক উন্মোচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী শুক্রবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে চলছে রাস্তা মেরামতসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও এসএসএফ সদস্যরা। কারও যেনো দমফেলার ফুসরত নেই।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাঘাবাড়ি বন্দরসহ বাঘাবাড়ি থেকে শাহজাদপুর কাছারিবাড়ি ও পাইলট হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিশ্বরোডসহ আঞ্চলিক সড়কের ভাঙা, খানাখন্দের সংস্কার ও মেরামত কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বন্দরের হেলিপ্যাড থেকে শুরু করে উপজেলার ভেতরের রাস্তার সংস্কারসহ পলেস্তার ও চুনকাম চলছে। ব্যক্তিগত বাড়িঘর ও দোকানপাট নিজ উদ্যোগে চুনকাম করা হচ্ছে। আলোকসজ্জা করা হচ্ছে শহরের মূল সড়কে।
বর্ণিলভাবে সাজানো হচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কাছারি বাড়িটি। রঙ করা হয়েছে প্রায় প্রতিটি ভবনই। পাইলট স্কুল মাঠে মঞ্চ সাজাতে বাঁশ ও কাঠের স্তুপ করা হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাদ রহমান উৎকণ্ঠায় আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, 'আহ! প্রধানমন্ত্রী যদি বছর বছর শাহজাদপুরে আসতেন।'
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প উপমন্ত্রী হাসিবুর রহমান স্বপন বলেন, 'কোনও ধরনের কমতি রাখা হবে না। প্রধানমন্ত্রী এসেই যেনও শাহজাদপুরবাসীর অভ্যর্থনায় মুগ্ধ হন, সে বিষয়ে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত শতাধিক তোরণ এবং ফেস্টুন-ব্যানারে পুরো সাত কিলোমিটার সড়ক ছেয়ে ফেলারও পরিকল্পনা রয়েছে।'
এদিকে, প্রিয় নেত্রীর আগমনের খবরে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় নেতাকর্মীসহ শাহজাদপুরবাসী।
শুক্রবার ঢাকা থেকে সরাসরি হেলিকপ্টারে করে বাঘাবাড়ি বন্দরে নেমে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি পরিদর্শনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এরপর শাহজাদপুর পাইলট হাই স্কুল মাঠে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিফলক উন্মোচনের পর জনসভায় বক্তব্য দিবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সোমবার দুপুরে বাঘাবাড়ি বন্দর-হেলিপ্যাডে এসএসএফ’র হেলিকপ্টার মহড়া চলে। স্থানীয় সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপন, জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় কুমার মণ্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার পাশা, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাদ রহমান, নির্বাহী অফিসার শামিম আলম, সার্কেল এসএসপিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সকাল থেকেই ছুটতে দেখা যায়। দুপুরে টাউন হল রুমে এসএসএফ সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মত বিনিময়ও করেন।