হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকেই। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করে আহতের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে নাটোরের সড়ক দুর্ঘটনাস্থলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করার ঘোষণা।
আজ সোমবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী কেয়া পরিবহনের একটি বাস উপজেলার রাজাকার মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লোকাল বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে উভয় বাসের ২২ যাত্রী মারা যান। পরে গুরুতর আহতবস্থায় ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, তাদের মধ্য থেকে আরো যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী উদ্ধার কাজ শুরু করলেও পরে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ও পুলিশ এতে যোগ দেয়।
ঘটনাস্থলেই নিহতদের লাশ, বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। এদের মধ্যে থেকে কয়েক জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে স্বজনদের কাছে। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকমল রায় জানান, আহত যাত্রীদের বনপাড়া আমেনা হাসপাতাল, পাটোয়ারী হাসপাতাল, জয়নব হাসপাতাল ও নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফুয়াদ রুহানী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা যেসব লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন সেসব লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর অন্য লাশগুলো থানায়ই রাখা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন
এদিকে এ দুর্ঘটনা তদন্তে নাটোরের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ও বিআরটিএর সহকারী পরিচালক।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আজ বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।