শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

ড. জাফর ইকবাল বলেছেন :- দেশের চলমান সহিংসতার সমাধান রয়েছে। জামায়াতকে বাদ দিয়ে সবাই এক হয়ে গেলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।

যাঁরা নির্বাচন বন্ধ করতে চান তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে সহিংসতা বন্ধ কর। তারপর তুমি রাজনীতি নিয়ে কথা বল। সহিংসতা বন্ধ না করলে তাদের নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলার অধিকার নেই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি খুব সহজ। এটি খুবই সঠিক আবার বেঠিক। যারা মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবেন তাদের সঙ্গেই থাকতে হবে।নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু অনেকে নির্বাচন বন্ধের কথা বলছে। নির্বাচন বন্ধ না হলে সহিংসতা হবে। তাহলে কি জামায়াতকে নির্বাচনে আনার জন্য নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। অনেক বড় বড় পত্রিকা ও সম্পাদক নির্বাচন বন্ধের কথা বলছেন। কিন্তু তারা সহিংসতা বন্ধের কথা বলছেন না কেন ?

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে গেছে। তখন এনজিওগুলো বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন বন্ধের কথা বলছেন। তারা কেন তা বলছেন তা আমাদের জানা। এনজিওগুলো কিভাবে চলছে, সেটাও আমাদের জানতে হবে।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের দেশের জন্য যদি মায়া থাকে, তাহলে তোমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। যখন দরকার পড়বে রাস্তায় নেমে আস। তোমাকে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করতে হবে না, বাংলাদেশ করতে হবে। মনে রাখবে, একাত্তর সালে তরুণরাই দেশ স্বাধীন করেছে।

তিনি বলেন, আমার কোন ফেসবুক এ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু খুব দুঃখ লাগে যখন দেখি বাঁশেরকেল্লা নামের একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে একমত হয়ে দেশের বড়বড় সংবাদপত্র ও এর সম্পাদক বলেন নির্বাচন বন্ধ কর।

তিনি বলেন, বড় বড় সম্পাদকের সঙ্গে দেখা হলে বলতাম, যখন একজন মানুষ মরে, তখন জানতে হবে কেন মরছে। নির্বাচনের জন্য নাকি যুদ্ধাপরাধের নির্বাচন বন্ধের দাবিতে। আমি এ ধরনের সুশীল বুদ্ধিজীবী হতে চাই না। আমি লজ্জা পাই। ভাবি আমি এর মধ্যে পড়ে গেলাম কিনা।

বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের না যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার দেখলাম আমরা স্মৃতিসৌধে সাদা চামড়ার লোকেরা যায়নি। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। বিদেশী ও সাদা চামড়ার লোকদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে হব

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।