রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

এরশাদ পরিকল্পনায় ৩০ মে ১৯৮১ চিটাগাঙ্গে এক সেনা বিদ্রোহে নিহত হন জিয়াউর রহমান।

ছবি: সম্পূর্ন পড়ুন এবং শেয়ার দিন।

জিয়া হত্যায় এরশাদ প্রধান ভূমিকা রেখেছে

৩০ মে ১৯৮১ চিটাগাঙ্গে এক সেনা বিদ্রোহে নিহত হন তৎকালীন সৈরশাসক জিয়াউর রহমান। এরপর তিন দিন পরে সেনা হেফাজতে নিহত হন ৮নং সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর। দু’টো হত্যাকান্ডেরই নির্দেশদাতা ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ। এর বিচার এখনও হয়নি।

সৈরশাসক জিয়া ১৯৭৮ সালে রাজাকার এরশাদকে সেনাপ্রধান বানান। এরশাদ চাকরিতে ছিল জিয়ার সিনিয়র। তার ক্ষোভ ছিল জুনিয়র হয়ে জিয়া কেন থাকবেন রাষ্ট্রপতি??? এরপর এরশাদ পরিকল্পনায় হত্যা করলেন সৈরশাসক জিয়াকে। ব্যবহার করেন লে. কর্নেল মতি আর মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে। এর আগে জেনারেল মঞ্জুর ও জেনারেল শওকতের ঝগড়া থামাতে সৈরশাসক জিয়া সিজিএস থেকে সরিয়ে চিটাগাঙ্গে পাঠানোয় মঞ্জুর ছিল জিয়ার উপর ক্ষিপ্ত। সে ক্ষোভকে ব্যবহার করে মঞ্জুরকে দিয়ে জিয়াকে হত্যা করলো এরশাদ। আবার আলামত নষ্ট করার জন্য মঞ্জুরকেও সাথে সাথে হত্যা করা হয় এরশাদের হুকুমে। ব্যস জিয়া হত্যার রহস্য চাপা পড়ে যায়। 

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে যোগ দেয়নি লে: কর্নেল এরশাদ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১১ হাজার বাঙালি সেনা, পুলিশ, বিডিআর, আনসার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলেও ছুটিতে থেকেও এরশাদ যুদ্ধে যোগ দেয়নি। রংপুর ক্যান্টমেন্টের সাথে তার বাড়ি। সে যুদ্ধে যোগ না দিয়ে ইয়াহিয়ার আদেশ মেনে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে যোগ দেয়। পরে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এসে চলে যায় কর্মক্ষেত্র পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখানে এরশাদকে দায়িত্ব দেয়া হয় পাকবাহনীর বিদ্রোহী বাঙ্গালী সৈনিকদের বিচার করার জন্য গঠিত কোর্ট মার্শালের প্রধান করে। যুদ্ধ চলাকালে আরো কয়েকবার দেশে আসে এরশাদ। কিন্তু কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেয়ার চেষ্টাও করে নাই। সে সর্বদা আজ্ঞাবহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রতি। যুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য সেনা অফিসারদের সাথে দেশে ফেরত আসে এরশাদ। তাকে আর্মিতে ফেরত নেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। এরশাদ যদিও জিয়ার চেয়ে সিনিয়র ছিল, কিন্তু জিয়া ২ বছরের সিনিয়রিটি লাভ করে। ১৯৭৫ সালে জিয়া নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর ক্যু পাল্টা ক্যুর পর জিয়া সেনাপ্রধান হন এবং জিয়া এরশাদকে উপ সেনাপ্রধান করে, পরে ১৯৭৮ সালে সৈরশাসক জিয়া রাষ্ট্রপতি হলে জিয়া এরশাদকে বানায় সেনাপ্রধান। এটাই ছিল সৈরশাসক জিয়ার সবেচেয়ে বড় ভুল। 

জিয়া হত্যার সপ্তাহখানেক আগে ১৯৮১ সালের ২৩ মে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিটাগাঙ্গে যান, এবং শহীদ জিয়ার হত্যাকারী লেঃ কর্নেল মতির সাথে গোপন সলাপরামর্শ ও লাঞ্চ করেন নেভাল চীফের বাংলোতে। ২৯ মে ১৯৮১ জিয়া যখন চট্টগ্রমে যান, সাথে যাওয়ার কথা ছিল সেনাপ্রধান এরশাদের। এরশাদ যাননি, এমনকি বিমান ছাড়তে বিলম্ব করেও এরশাদকে সৈরশাসক জিয়ার সাথে নেয়া যায়নি। জরুরী কাজের কথা বলে থেকে যান ঢাকায়। কি ছিল সেই জরুরী কাজ? সৈরশাসক জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা সমন্বয় করা ছাড়া আর কিছু নয়। ঐ রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে লে: কর্নেল মতির গুলিতে নিহত হন সৈরশাসক জিয়া। পরে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রনের অযুহাতে সেনাপ্রধান এরশাদের নির্দেশে হত্যা করা হয় লে:কর্নেল মতি ও জেনারেল মঞ্জুরকে। ১৯৮১ সালের ২ জুন সকালে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়েছিল—ডিআইজিকে এমনটাই বলেছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আজিজ। আটকের পরে জেনারেল মঞ্জুরকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আনা হলে ঢাকা থেকে আসা জনৈক সিনিয়র অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভেতরে ঢোকেন, পিস্তল বের করে মঞ্জুরকে একটি মাত্র গুলি করেন এবং বেরিয়ে যান—পুরো ঘটনাটি ঘটে পরিকল্পনা মাফিক। নিহত জেনারেল মঞ্জুরের স্ত্রী রানা ইয়াসমীন মঞ্জুর লিখিতভাবে বলেন, ”Lieutenant General Hossain Mohammed Ershad, a razakar who was then head of the Bangladeshi army, ordered General Manzur's execution.”

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে, কিন্তু খালেদা জিয়া এরশাদের বিচার করলেন না। অন্তত ২টি মামলায় এরশাদের ফাঁসি নিশ্চিত ছিল: ১) জিয়ার বিরুদ্ধে ক্যু ও তাকে হত্যার দায়ে এবং ২) জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যার দায়ে। কিন্তু খালেদা জিয়া দুই দুই বার ক্ষমতায় গিয়ে তাঁর স্বামী জিয়া হত্যার আসামী এরশাদের বিচার করেন নাই।৩০ মে ১৯৮১ চিটাগাঙ্গে এক সেনা বিদ্রোহে নিহত হন তৎকালীন সৈরশাসক জিয়াউর রহমান। এরপর তিন দিন পরে সেনা হেফাজতে নিহত হন ৮নং সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর। দু’টো হত্যাকান্ডেরই নির্দেশদাতা ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ। এর বিচার এখনও হয়নি।

সৈরশাসক জিয়া ১৯৭৮ সালে রাজাকার এরশাদকে সেনাপ্রধান বানান। এরশাদ চাকরিতে ছিল জিয়ার সিনিয়র। তার ক্ষোভ ছিল জুনিয়র হয়ে জিয়া কেন থাকবেন রাষ্ট্রপতি??? এরপর এরশাদ পরিকল্পনায় হত্যা করলেন সৈরশাসক জিয়াকে। ব্যবহার করেন লে. কর্নেল মতি আর মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে। এর আগে জেনারেল মঞ্জুর ও জেনারেল শওকতের ঝগড়া থামাতে সৈরশাসক জিয়া সিজিএস থেকে সরিয়ে চিটাগাঙ্গে পাঠানোয় মঞ্জুর ছিল জিয়ার উপর ক্ষিপ্ত। সে ক্ষোভকে ব্যবহার করে মঞ্জুরকে দিয়ে জিয়াকে হত্যা করলো এরশাদ। আবার আলামত নষ্ট করার জন্য মঞ্জুরকেও সাথে সাথে হত্যা করা হয় এরশাদের হুকুমে। ব্যস জিয়া হত্যার রহস্য চাপা পড়ে যায়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে যোগ দেয়নি লে: কর্নেল এরশাদ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১১ হাজার বাঙালি সেনা, পুলিশ, বিডিআর, আনসার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলেও ছুটিতে থেকেও এরশাদ যুদ্ধে যোগ দেয়নি। রংপুর ক্যান্টমেন্টের সাথে তার বাড়ি। সে যুদ্ধে যোগ না দিয়ে ইয়াহিয়ার আদেশ মেনে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে যোগ দেয়। পরে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এসে চলে যায় কর্মক্ষেত্র পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখানে এরশাদকে দায়িত্ব দেয়া হয় পাকবাহনীর বিদ্রোহী বাঙ্গালী সৈনিকদের বিচার করার জন্য গঠিত কোর্ট মার্শালের প্রধান করে। যুদ্ধ চলাকালে আরো কয়েকবার দেশে আসে এরশাদ। কিন্তু কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেয়ার চেষ্টাও করে নাই। সে সর্বদা আজ্ঞাবহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রতি। যুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য সেনা অফিসারদের সাথে দেশে ফেরত আসে এরশাদ। তাকে আর্মিতে ফেরত নেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। এরশাদ যদিও জিয়ার চেয়ে সিনিয়র ছিল, কিন্তু জিয়া ২ বছরের সিনিয়রিটি লাভ করে। ১৯৭৫ সালে জিয়া নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর ক্যু পাল্টা ক্যুর পর জিয়া সেনাপ্রধান হন এবং জিয়া এরশাদকে উপ সেনাপ্রধান করে, পরে ১৯৭৮ সালে সৈরশাসক জিয়া রাষ্ট্রপতি হলে জিয়া এরশাদকে বানায় সেনাপ্রধান। এটাই ছিল সৈরশাসক জিয়ার সবেচেয়ে বড় ভুল।

জিয়া হত্যার সপ্তাহখানেক আগে ১৯৮১ সালের ২৩ মে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিটাগাঙ্গে যান, এবং শহীদ জিয়ার হত্যাকারী লেঃ কর্নেল মতির সাথে গোপন সলাপরামর্শ ও লাঞ্চ করেন নেভাল চীফের বাংলোতে। ২৯ মে ১৯৮১ জিয়া যখন চট্টগ্রমে যান, সাথে যাওয়ার কথা ছিল সেনাপ্রধান এরশাদের। এরশাদ যাননি, এমনকি বিমান ছাড়তে বিলম্ব করেও এরশাদকে সৈরশাসক জিয়ার সাথে নেয়া যায়নি। জরুরী কাজের কথা বলে থেকে যান ঢাকায়। কি ছিল সেই জরুরী কাজ? সৈরশাসক জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা সমন্বয় করা ছাড়া আর কিছু নয়। ঐ রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে লে: কর্নেল মতির গুলিতে নিহত হন সৈরশাসক জিয়া। পরে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রনের অযুহাতে সেনাপ্রধান এরশাদের নির্দেশে হত্যা করা হয় লে:কর্নেল মতি ও জেনারেল মঞ্জুরকে। ১৯৮১ সালের ২ জুন সকালে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়েছিল—ডিআইজিকে এমনটাই বলেছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আজিজ। আটকের পরে জেনারেল মঞ্জুরকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আনা হলে ঢাকা থেকে আসা জনৈক সিনিয়র অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভেতরে ঢোকেন, পিস্তল বের করে মঞ্জুরকে একটি মাত্র গুলি করেন এবং বেরিয়ে যান—পুরো ঘটনাটি ঘটে পরিকল্পনা মাফিক। নিহত জেনারেল মঞ্জুরের স্ত্রী রানা ইয়াসমীন মঞ্জুর লিখিতভাবে বলেন, ”Lieutenant General Hossain Mohammed Ershad, a razakar who was then head of the Bangladeshi army, ordered General Manzur's execution.”

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে, কিন্তু খালেদা জিয়া এরশাদের বিচার করলেন না। অন্তত ২টি মামলায় এরশাদের ফাঁসি নিশ্চিত ছিল: ১) জিয়ার বিরুদ্ধে ক্যু ও তাকে হত্যার দায়ে এবং ২) জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যার দায়ে। কিন্তু খালেদা জিয়া দুই দুই বার ক্ষমতায় গিয়ে তাঁর স্বামী জিয়া হত্যার আসামী এরশাদের বিচার করেন নাই।

সিরাজগঞ্জের সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।